চুটিয়ে অবৈধ প্রেম করলে সমস্যা নেই; বিয়ের কথা বললেই বেশরম-বেলাজ!!!

লিখেছেন লিখেছেন মুক্ত কন্ঠ ২৫ জুলাই, ২০১৫, ১০:৫১:০৩ রাত



কোন ছেলে কিংবা মেয়ে যদি মুখ ফোটে বিয়ের কথা বলে তাহলে তার নিজ পরিবারই বেলাজ, বেশরম, বিয়ে পাগলা ট্যাগ দেয়। বর্তমান সমাজের অবস্থা, পারিপার্শ্বিকতার বিচারে বয়ঃসন্ধিকালেই যখন বিয়েটা সেরে ফেলা জরুরি, সেখানে আমাদের পরিবার, সমাজের এ ধরনের ট্রেন্ড কতটা ঈমান আমল এবং নৈতিকতা বিধ্বংসি তা কি আমরা অনুধাবন করতে পারি? একটি ছেলে বা মেয়ে পরিবেশ পরিস্থিতির বিচারে যখন নিজের আমল এবং চরিত্রকে নিরাপদ রাখতে বিয়েটাকে খুব জরুরি মনে করে, এবং নিজের মত প্রকাশ করে, তাকে ঐসব ট্যাগ দিতে পরিবার সমাজ কুন্টাবোধ করে না। অথচ একটা ছেলে বা মেয়ে যদি লুকিয়ে লুকিয়ে পরপুরুষ পরনারীর সাথে প্রেমের সাগরে হাবুডুবু খায়, প্রস্টিটিউসনে গিয়ে গা ভাসিয়ে দেয় তারপরেও পরিবার সমাজের চোঁখে সে ভদ্র ছেলে, ভদ্র মেয়ে।

বিষয়টি এমন যে, সকল পাপ পঙ্কিলতা থেকে নিজেকে বাচাতে কেউ যদি শরমের মাথা খেয়ে বিয়ের আগ্রহ প্রকাশ করে তাহলে সে দুনিয়ার সবচেয়ে বেশরম ইনসান। অন্যদিকে নামাজি আদবি পরহেজগার ছেলে/মেয়েই পরিবার সমাজের চোঁখে সবচাইতে লাজুক এবং ভদ্র, সে যদি লোক চক্ষুর অন্তরালে ঈমান আমলের মাথা খেয়ে আপাদমস্তক ডুবে থাকে অবৈধ লিলাখেলার অতলান্তে; তবুও সে সুবোধ বালক, চরিত্রের সার্টিফিকেটধারী।

আমাদের প্রিয় বিশ্বনবী সঃ বয়ঃসন্ধিকালের যে সময়টাতে ছেলে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিতে বলেছেন, যে সময়টা ছেলে মেয়েদের জন্য সাংঘাতিক বিপদজনক, সেই 'টিন এজ' এর সময়গুলো পেরিয়ে এসেছি আজ থেকে কম করে হলেও এক যুগ আগে। পেঠের ক্ষুধার পরেও যে শরিরের আরেকটি ক্ষুধা আছে, সে ক্ষুধাকে নিদারুণ ভাবে অনুভব করেছি ঐ সময়গুলোতে। কিন্তু আজ! আজ সেই ক্ষুধার অনুভূতি খুব দ্রুত গতিতে ভোতা হয়ে যাচ্ছে বুঝতে পারি। যদিও আজ অবধি সেই ক্ষুধা নিবারণের ব্যবস্থা পরিবার করতে পরেনি। সামাজিক বাধ্যবাধকতার কারণে স্ব উদ্যোগেও কিছু করতে পারিনি।

এহেন অবস্থা আমার একার নয়, গোঠা সমাজের অন্ততঃ ৮০ ভাগ ছেলে মেয়ের। এ কারণেই গোঠা সমাজ আজ অনৈতিকতা আর চারিত্রিক অবক্ষয়ের কবলে বিপর্যস্ত। পথে-ঘাটে, হাটে-মাঠে বেহায়াপনা আর অশ্লীলতার জোয়ার। হোটেলে, পার্কে, শপিং মলে, বিনোদন কেন্দ্রে কোথায় নেই বেহায়াপনা! ধর্ষনতো এখন নিউজের একটি কমন বিষয়!!

একটি মুসলিম সংখ্যাঘরিষ্ট দেশের এটাই কি সামাজিক রুপ হওয়া উচিত ছিল? ইসলাম কি শুধু নামাজ রোযা ইত্যাদি কতক রুকন পালন করার নাম? অথবা ব্যাক্তিগত আমল নামার নাম? সমাজ সমষ্টিতে ইসলামের কোন রুপরেখা নেই? মাঝে মাঝে আকুন্ঠ কুসংস্কারাচ্ছন্ন ঘুনে ধরা এ সমাজের পাছায় কষে লাথি দিতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে পোকা মাকড় আর মাছিতে ভন ভন করা পচাঁ গান্ধা এ সমাজকে ঝেটিয়ে বিদায় করে শ্বাশ্বত সুন্দর একটি ইসলামি সমাজ ব্যবস্থা বিনির্মাণের। যে সমাজ গুটিকয়েক রীতি নীতির কাছে বাধা পড়ে থাকবে না। যে সমাজের মুখ্য উদ্দেশ্য হবে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা। যে সমাজ হবে সকল মানুষের ইহকালীন কল্যাণের জন্য নিবেদিত এবং পরকালীন মুক্তির চুড়ান্ত লক্ষ্যে উৎসর্গিত।

বিষয়: বিবিধ

১৯০৪ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

331588
২৫ জুলাই ২০১৫ রাত ১১:০৮
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
২৬ জুলাই ২০১৫ রাত ০১:২৯
273879
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ!
331629
২৬ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৮:৫২
নাবিক লিখেছেন : হু খাঁটি কথা
২৮ জুলাই ২০১৫ রাত ১২:২২
274314
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : খাঁটি কথাটা পরিবারের গুরুজনরা বুঝে না কেন?
331633
২৬ জুলাই ২০১৫ সকাল ১০:১০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ঠিক বলেছেন। এর অন্যতম কারন স্বার্থপরতা। বেশিরভাগ পিতামাতাই সন্তান এর স্ত্রির ভরনপোষন এর দায়িত্ব নিতে চাননা। অনেকে বলেন যে তারা তা হলে তাদের ছেড়ে যাবে। কিন্তু সন্তান এর নৈতিক জিবন নিয়ে চিন্তা করেন না।
২৬ জুলাই ২০১৫ সকাল ১০:২৬
273905
হতভাগা লিখেছেন : এক্ষেত্রে মেয়ের অভিভাবকেরও এগিয়ে আসা উচিত মেয়ের জামাইয়ের ও তার পরিবারের উপর যে চাপ তা হালকা করাতে ।

কিন্তু আপনারা নারীবাদীরা তো সেটাকে যৌতুকের কালার দেন ।
২৮ জুলাই ২০১৫ রাত ১২:২৫
274315
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : ঠিক বলেছেন। বিয়ের জন্য সন্তানের নিজের পায়ে দাড়ানোটাই তাদের কাছে মুখ্য।
২৮ জুলাই ২০১৫ রাত ১২:৩৮
274316
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : হতভাগা লিখেছেন : এক্ষেত্রে মেয়ের অভিভাবকেরও এগিয়ে আসা উচিত মেয়ের জামাইয়ের ও তার পরিবারের উপর যে চাপ তা হালকা করাতে ।

কিন্তু আপনারা নারীবাদীরা তো সেটাকে যৌতুকের কালার দেন ।

ঠিক বলেছেন। তবে চাপ দুদিক থেকেই আছে। জামাই ও কনে পক্ষের চাওয়া পাওয়ার ডিমান্ড পুর্ণ করা অনেক কষ্টসাধ্য। (যেমন একদিকে দেনমোহর, কাবিন, কনের যাবতীয় পোষাক, অন্যদিকে যাবতীয় ফার্নিচার এবং বিশাল সংখ্যার বরযাত্রীর বৌভাত।) রুসুম রেওয়াজ ও আনুষ্টানিকতার ফিরিস্তিও অনেক লম্বা। এসব পরিহার করে স্বতঃস্ফুর্ত এবং শরয়ি সিম্পল বিবাহের প্রচলনই সমস্যাকে অনেকাংশে সহজ করে দিবে।
২৮ জুলাই ২০১৫ রাত ১২:৪৩
274317
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এই সহায়তা যদি ছেলে পক্ষ থেকে অতিরিক্ত দামি উপহার শারি ইত্যাদি না নেওয়া এবং অতিরিক্ত মাহর ধার্য না করা হয় তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু এই সুযোগে কেউ যেন যেীতুক না নেয় সেটাও দেখা জরুরি। কিন্তু যে কোন অবস্থাতেই এই বিষয়ে ছেলে পক্ষের কর্তব্য বেশি।
২৮ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৮:২৪
274371
হতভাগা লিখেছেন : যার কর্তব্য বেশী তার অধিকারও বেশী হবার কথা । কিন্তু বাস্তবে কি তা হয় ?
331643
২৬ জুলাই ২০১৫ সকাল ১০:৩৪
হতভাগা লিখেছেন : একটা পড়ুয়া ছেলে কি একজন মেয়েকে তার বাবার মত লাক্সারী দিতে পারবে যে লোক (মেয়ের বাবা) ২০ বছর ধরে চাকরি করছে ?

মেয়ে কি তার বাবার কাছ থেকে যে লাক্সারী পেত একদিনের মাথায় একেবারে শূন্য থেকে শুরু করতে চাইবে/মানবে একজন পড়ুয়া ছেলের সংসারে এসে?

বিবাহ বহির্ভূত এই অবাধ মেলামেশার ফিন্ড যাতে না সৃষ্টি হয় সেজন্য অল্প বয়সেই বয়ঃসন্ধিকালে বিয়ে হয়ে যাওয়া শ্রেয় ।

কিন্তু এতে যে অর্থনৈতিক চাপ আসে বিশেষ করে ছেলের পরিবারে এটাই বিয়ের বয়স বাড়িয়ে দেওয়ার মূল কারণ ।

একটা মেয়ের হাত পা বড় হয়ে গেলেই সে বিয়ের যোগ্য হয়ে যায় , তা তার বয়স ১২ হোক বা ২০ বছর। কারণ তার কোন Financial Liability নেই ।

একজন ছেলের Financial base শক্ত না করে বিয়ে করা মাঝ সাগরে বৈঠা ছাড়া নৌকা চালানোর মত ।
২৬ জুলাই ২০১৫ সকাল ১১:৩২
273906
আহমদ মুসা লিখেছেন : একটা পড়ুয়া ছেলের মানদন্ড কি? বর্তমান দুনিয়ার সমাজ ব্যবস্থায় একাডেমিক ডিগ্রীধারী ব্যক্তিকেই পড়ুয়া ছেলে/মেয়ে হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। অথচ মধ্য যুগ কিংবা ইসলামী জীবন ব্যবস্থাতে ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য নির্দিষ্টি কোন বয়স নির্ধারণ করা নেই। দোলনা থেকে মৃত্যু পর্যস্ত জ্ঞানার্জনের যেমন তাগেদা দেয়া হয়েছে তেমনি জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি মুুহুর্তেরও ঝররা ঝররা হিসেব নেয়ার কথা বলা হয়েছে। সে হিসেবে একজন প্রকৃত মুসলমান মাত্রই ছাত্র/ছাত্রী। অপর দিকে জন্ম-মৃত্যুর মধ্যেবর্তী সময়ের সব কিছুর জবাবদিহিতার কারণে তার জীবনটা সুনিয়ন্ত্রিত হওয়া বাঞ্চনীয়। যার জীবন ব্যবস্থাটাই একটা সুন্দর নিয়ম শৃংঙখলার অধীনে নিয়ন্ত্রিত তার জন্য জীবন সঙ্গী পাওয়া বা বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে অথব জীবনের কোন সময়ে এসে জীবন সঙ্গী গ্রহণ করা উচিত তার সিদ্ধান্ত নেয়া মোটেও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এক্ষেত্রে এককভাবে নারী বা এককভাবে পুরুষের প্রতি সাইড-পক্ষ নেয়ার প্রয়োজনটাই কি?
২৬ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:০১
273908
হতভাগা লিখেছেন : এখানে পড়ুয়া ছেলে বলতে এমন কাউকে বুঝানো হয়েছে যে চাকরির জন্য এখনও মিনিমাম শিক্ষাগত যোগ্যতা ছুঁতে পারে নি ।
এখানে অনার্স কমপ্লিটই সেই মাইল ফলক ।

আপনার কথা অনুযায়ী ধরলে তো একজন পোস্ট ডক্টরেট করা ব্যক্তিও পড়ুয়া লোক ! সে কি ঐ সময়ে চাকরির সামর্থ্য রাখে না ? বিয়ে করারও ?
২৮ জুলাই ২০১৫ রাত ১২:৫৬
274322
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : হতভাগা যা বলেছেন, সে ক্ষেত্রে শরয়ি দৃষ্টিতে কনে নির্ধারন করার ক্ষেত্রে বরের চেয়ে কনের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থান নীচে হওয়াটাই বাঞ্চনিয়। এটাই হাদিসের নির্দেশনা। এতে করে আপনার উল্ল্যেখিত কনের লাক্সারিয়াস চাহিদা থাকবে না। সমস্যার ও সমাধান হয়ে যাবে।
২৮ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৮:২৬
274372
হতভাগা লিখেছেন : @ মুক্ত কন্ঠ : ঠিক বলেছেন ।

নিজের অর্থনৈতিক অবস্থানের তুলনায় একটু নিচে বিয়ে করা বান্চনীয় ছেলেদের । কারণ আপনার অধীনস্তের বেতন যদি আপনার চেয়ে বেশী হয় তাহলে তাকে আপনি আপনার কমান্ডে কখনই চালাতে পারবেন না ।
331644
২৬ জুলাই ২০১৫ সকাল ১০:৩৫
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আমার পরিচিত এক ব্যক্তির পাঁচ ভাই দুই বোন। সবাই চাকুরী করে। দুই জন বিদেশে ভাল পজিশনে। মায়ের দাবী ঢাকায় সম্পক্তি ও বাড়ী না হওয়া অবধি কারো বিয়ে নয়। বিশ বছর আগে দুঃখ করে সে একথা বলেছিল, এখনও বিয়ে করতে পারিনি। আরো দুঃখ করে বলল এখন প্রেম করতে চাইলেও মেয়েও পাওয়া যাবেন। কেননা তার বড় ভাইয়ের বয়স ৫৯ বছর, মেঝ ভাই ৫৩তম বছরে ডায়াবেটিসের কারণে হার্ট এটার্কে চির কুমার অবস্থায় মারা পড়েছে এবং বর্তমানে তার বয়স ৫০ বছর। বোনদের বিয়ে দেবার বয়স সে বহুদিন আগেই পেরিয়ে গেছে.....
২৮ জুলাই ২০১৫ রাত ০১:০৪
274325
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : সত্যিই দুঃখজনক! মায়েদের মায়া মমতা দিন দিন কেন জানি হারিয়ে যাচ্ছে। সন্তানদের সুখ শান্তির চেয়ে নিজের কামনা বাসনা আর বিলাসিতা মুখ্য হয়ে উঠছে।
মায়েদের এই বিলাসী আর সাজুগুজু জীবনমুখীতার জন্য ইন্ডিয়ান সিরিয়ালগুলাই অনেকাংশে দায়ি।
331650
২৬ জুলাই ২০১৫ সকাল ১১:৩৩
আহমদ মুসা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৮ জুলাই ২০১৫ রাত ০১:০৬
274326
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : ধন্যবাদ! আপনার প্রতি মন্তব্যটা ঠিক আহমদ মুসার মতই মনে হয়েছে!Tongue
331733
২৬ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৭
মু নূরনবী লিখেছেন : এ কারনেই সমাজে দিনদিন অশ্লীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২৮ জুলাই ২০১৫ রাত ০১:১০
274328
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : বিয়ের আনুষ্টানিকতা, রুসম-রেওয়াজ যত কঠিন ও ব্যয়বহুল হবে, অশ্লীলতা, ওপেন রিলেশনশীপ, লিভ টুগেদার ইত্যাদি তত বেশি বাড়বে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File