আল্লাহর ৯৯ নাম নিয়ে গাফ্ফার চৌধুরীর মন্তব্য এবং বাস্তবতা
লিখেছেন লিখেছেন মুক্ত কন্ঠ ০৬ জুলাই, ২০১৫, ১১:৩৬:৩১ সকাল
'আল্লাহর ৯৯ নাম কাফেরদের দেবতাদের নাম ছিল' গাফ্ফার চৌধুরীর এমন মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। ধর্মপরায়ন মানুষ এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।
আ.গা চৌধুরি ৯৯ নাম নিয়ে যেভাবে মন্তব্য করেছেন তা অবশ্যই অবমাননাকর এবং দৃষ্টতাপূর্ণ। এ ছাড়াও যেসব মন্তব্য করেছেন তাতে স্পষ্টতঃই প্রতিয়মান যে, তার উদ্দ্যেশ্য কি। আমি শুধু প্রাসঙ্গিক ভাবে রাসূল এবং ধর্ম বিষয়ক যেসব রসদ হিন্দু ধর্মে আছে বলে প্রমান পেয়েছি সেসব দিয়ে আমার একটি ধারণা তুলে ধরার চেষ্ঠা করছি।
হিন্দুদের দেবতা বা ভগবানের যে গুনবাচক শতনাম আছে, বৈশিষ্টের দিক থেকে সেগুলোর অনেকটাই মহান আল্লাহর গুনবাচক নামগুলোর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আর এ সামঞ্জস্য স্বভাবিক বলেই মনে করি। কারণ, আল্লাহ পাক পৃথিবীর বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর কাছে বিভিন্ন সময়ে হাজার হাজার নবীকে প্রেরন করেছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষি মানুষের কাছে তাদের মাঝে থেকেই তাদের নবীকে পাঠিয়েছেন। কিতাবও দিয়েছেন তাদেরই ভাষায়। যৌক্তিকভাবেই আল্লাহর বৈশিষ্ট্যের বর্ণনাও নিশ্চয় তাদের মাতৃভাষায়ই দিয়েছেন।
হিন্দু ধর্মগ্রন্ত বেদ-বেদান্ত, ঋগ্বেদ, কল্কি পুরানে শেষ অবতার বা নবী হিসেবে মহানবী মোহাম্মাদ সঃ এর আগমনের কথা এবং তার ব্যাক্তি ও পারিবারিক বৈশিষ্ট্যেরও উল্ল্যেখ পাওয়া যায়।
আ.গা চৌধুরীর বক্তব্যে আমরা প্রতিক্রিয়ায় মুখর হয়েছি। এটা আমাদের ইমানেরই বহিঃপ্রকাশ। আমাদের ক্ষোভ সম্পূর্ণ যৌক্তিক। কারণ, তার বক্তব্যের কথা ও ধরন চরম অবমাননাকর ও দৃষ্টতাপূর্ণ। তবে বাস্তবতা হল, এ ধরণের বক্তব্যের পেছনে যে রসদ এবং তত্ব উপাত্ত রয়েছে সেগুলো আল্লাহ এবং আল্লাহর দ্বীনকে অবমাননা করছে না, বরং প্রাচীন এ পৌত্তলিক ধর্মের এমন তথ্য আল্লাহর অস্তিত্ব এবং দ্বীন ইসলামকে সমর্থন করছে। যেভাবে সমর্থন করে তাওরাত, যবুর, ইঞ্জিল বা বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্ট।
পৃথিবীতে প্রেরিত সকল পয়গাম্বর বা নবী রাসুলের মুল ম্যাসেজ একই ছিল, আল্লাহর একাত্তবাদ। তাদের একটাই ছিল মুল লক্ষ্য, বান্দাদের মধ্যে আল্লাহর তাআরুফ বা পরিচয় করিয়ে দেয়া এবং উভয়ের মাঝে সম্পর্কের সোপান তৈরি করা। তেমনি ভাবে রাসুলগন শেষ নবী মোহাম্মাদ সঃ এর ভবিষ্যত বানিও করে গেছেন। হিন্দু ধর্মের ব্যাপারে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে এটাই ধারণা জন্মেছে যে, প্রাচীনকালের কোন এক নবীর উম্মাহর পথভ্রষ্ট, বিচ্যুত জাতিই আজকের হিন্দু ধর্ম। যা পুর্ববর্তী অন্য যে কোন ধর্মের তুলনায় সবচেয়ে বেশি মনগড়া এবং বানোয়াটি তত্ব ও রীতি নীতির শিকার হয়েছে। যা এক দুই দিনে নয়, শত শত বছর ধরে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। এই ধর্মের বর্তমান রীতিনীতি হল হিন্দু ধর্মগুরুদের জগন্যতম প্রবৃত্তির অবৈধ প্রসব।
অনেক বছর আগের, সম্ভবতঃ ২০০৫ এরও আগের মাসিক মদীনার কোন এক সংখ্যায় খুব সম্ভবতঃ 'বেদ বেদান্তে মহানবী সঃ' শিরোনামের একটি প্রবন্ধ পড়েছিলাম। যার চুম্বক অংশগুলো লিখে ইমেজ আকারে কয়েকটি পোষ্ট করেছিলাম ধারাবাহিকভাবে ২০১২ সালের শেষের দিকে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে মাসিক মদিনার সেই কপিটি হারিয়ে যাওয়ায় পুরো বিষয়টি আর পোষ্ট করা সম্ভব হয়নি। পাঠকের সুবিধার্থে সেই পোষ্টের এ্যালবামের লিংক নিম্নে দেয়া হল।
https://mbasic.facebook.com/Shelzz/albums/3266396758353/?refid=52&_ft_=top_level_post_id.10203183627751107&__tn__=C
বিঃ দ্রঃ দয়া করে কেউ আমাকে ধর্মদ্রোহি ট্যাগ করবেন না।
বিষয়: বিবিধ
১৩৯৪ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহ ৯৯ নাম হচ্ছে আল্লাহ ও তার রসুল (সা) এর দারা স্বিকৃতিপ্রাপ্ত।
এগুলোর মিনিং এর সাথে মিললেও এগুলোই বলতে হবে অন্য কিছু নামে আল্লাহকে ডাকা যাবে না।
সব সময় সব নাম রাখা যায় না। আর আজীজ,গফুর নাম রাখলেও তার আগে আব্দুল গফুর বা পিছনে রহমান যেমন আজিজুর রহামন ইত্যাদি বলেডাকতে হবে। শুধু আজীজ, গফুর বলে ডাকা যাবে না।
আশি শাহানশাহ নামের বিষয়ে:
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَيْمُونٍ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَخْنَعُ اسْمٍ عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ رَجُلٌ تَسَمَّى بِمَلِكِ الأَمْلاَكِ " . قَالَ سُفْيَانُ شَاهَانْ شَاهْ وَأَخْنَعُ يَعْنِي أَقْبَحَ . هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ صَحِيحٌ
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফূ’রূপে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট সবচেয়ে অবাঞ্ছিত নাম হবে সেই ব্যক্তির যার নাম রাখা হয়েছে ‘মালিকুল আমলাক’। সুফইয়ান (র) বলেন: অর্থাৎ শাহানশঅহ (রাজাধিরাজ)।
এ হাদীসটি হাসান-সাহীহ।
(তিরমিযি হা/২৮৩৭, এছাড়াও এই হাদীস বুখারী ও মুসলিমে রয়েছে)
তাই শাহানশাহ নাম রাখা যাবে নাহ।এছাড়াও নিম্নক্ত নাম রাখতে রসুল (সা) নিষেধ করেছেন।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لأَنْهَيَنَّ أَنْ يُسَمَّى رَافِعٌ وَبَرَكَةُ وَيَسَارٌ "
উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: রাফি’, বারাকা, ইয়াসার নাম রাখতে আমি নিষেধ করছি।
(তিরমিযি হা/২৮৩৫, হাদীস সহীহ)
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ عُمَيْلَةَ الْفَزَارِيِّ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تُسَمِّي غُلاَمَكَ رَبَاحٌ وَلاَ أَفْلَحُ وَلاَ يَسَارٌ وَلاَ نَجِيحٌ يُقَالُ أَثَمَّ هُوَ فَيُقَالُ لاَ "
সামুরা ইবন জুন্দুব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: তোমার সন্তানের নাম রাবাহ, আফলাহ, ইয়াসার, নাজীহ রাখবে না। কেননা বলা হবে, এখানে অমুক আছে কি? জওয়াবে বলা হবে: নেই।
তাই উপরোক্ত নাম গুলো রাখাও নিষেধ। এছাড়া আমি বলেছি শুধু গফুর, শুধু রহিম, শুধু কারিম বলে ডাকাও নিষেধ। কেননা ডাকা হবে গফুর আছে জওয়াবে বলা হবে: নেই।
"আগে বাংগালি পরে মুসলিম।"
"ধর্ম মুছে যেতে পারে বাংগালিত্ব মুছে যাবে না। "
এই কথাগুলিই মারাত্মক!
Is just explanation, may be true or false but what Gaffar said is nothing but false,
Actually he up hold the truth
Up side down
Thanks
আর বোকা বানাতে বা তাদের (আ.গার) সাফাই গাওয়ার দরকার নেই ।
জাতী মখার মতো না , জাতী বুঝে কোনটি অবমাননা।
আপনার তাকে হয়তো ভাল লাগে তাই আপনি তার কথার একোটী ব্যাখ্যা উত্থাপন করলেন যা আমার কাছে
ভিত্তিহীন অট্টালিকার মতো।
আ গা চৌধুরি ৯৯ নাম নিয়ে যেভাবে মন্তব্য করেছেন তা অবশ্যই অবমাননাকর এবং দৃষ্টতাপূর্ণ। এ ছাড়াও যেসব মন্তব্য করেছেন তাতে স্পষ্টতঃই প্রতিয়মান যে, তার উদ্দ্যেশ্য কি। আমি শুধু প্রাসঙ্গিক ভাবে রাসূল এবং ধর্ম বিষয়ক যেসব রসদ হিন্দু ধর্মে আছে বলে প্রমান পেয়েছি সেসব দিয়ে আমার একটি ধারণা তুলে ধরার চেষ্ঠা করেছি। তার মত করে নয়, আমি বলতে চেয়েছি বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে আল্লাহর গুনবাচক নামের সাথে তাদের ভগবানের শত নামের অনেকটাই সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা এক আল্লাহকে সকল বৈশিষ্ট্যের অধিকারি বিশ্বাস করি, আর তারা একেকজন দেবতাকে একেকটা বৈশিষ্ট্যের অধিকারি মনে করে পূজা করছে। এমন সব রসদ ডঃ জাকির নায়েকের লেকচার বা বইয়ে পাবেন। উলামায়ে কেরামের কাছে ডঃ জাকির নায়েক না হয় একজন বিতর্কিত মানুষ, কিন্তু মুহিউদ্দিন খান সাহেব বিশ্ব খ্যাত একজন আলিম। সউদি আরব সরকার যার লেখা কোরআনের বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত তাফসির গ্রন্থ ছাপিয়ে বিতরণ করেছে। সেই মুহিউদ্দিন খান সাহেব সম্পাদিত মাসিক ম্যাগাজিনে এমন তথ্য কি কোন ভিত্তি ছাড়াই ছাপা হয়েছে?
মন্তব্য করতে লগইন করুন