মানুষ, হ্যা মানুষই এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান
লিখেছেন লিখেছেন মুক্ত কন্ঠ ২৮ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৭:৪৭:২৮ সন্ধ্যা
মানব দেহই এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান
বর্তমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগে বিজ্ঞানিরা অনেক অকল্পনীয় জিনিষ উদ্ভাবন করে সভ্যতাকে অনেক এগিয়ে নিয়েছেন, তেমনিভাবে বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিস্কার মানুষের জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। যদিও বিজ্ঞান মানুষের কল্যাণ করেছে বেশি নাকি ক্ষতি করেছে সেটা একটা যৌক্তিক প্রশ্ন এবং বিতর্কিত বিষয়। কিন্তু সেদিকে আমরা যাচ্ছি না। আজ পর্যন্ত বিজ্ঞান যা সৃষ্টি করেছে সবই বস্তু থেকে সৃষ্টি। সবই উদ্ভাবন করা হয়েছে বস্তু থেকে বস্তুর বিল্টইন অথবা সমন্বয় ও একত্রিকরণ করার মাধ্যমে। যেমন গাড়ি, জাহাজ, প্লেন ইত্যাদি তৈরি করা হয়েছে লোহার সাথে বিভিন বস্তু ও প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে। কিন্তু অদ্যাবধি কোন বিজ্ঞানি শুন্য থেকে কিছু আবিস্কার করে দেখাতে পারেননি। আর বস্তু থেকে বস্তু সৃষ্টিকারীকে আক্ষরিক অর্থে 'স্রষ্টা' বা Creator ও বলা যায় না। কারণ, এটা হল Made, Make বা 'তৈরি করা' যার আরবী হল সানে' (صانع)। পক্ষান্তরে মহান আল্লাহ তাআলা হলেন শুন্য থেকে সৃষ্টকারী Creator (خالق)।
কিন্তু দুঃখের বিষয়, কথায় কথায় আজ এ বিজ্ঞানকে টানা হয় কোরআন এবং ইসলামের সর্বকালের গ্রহনযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। বলা হয় আজকের আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক যুগে সেকেলে ইসলাম অচল। প্রযুক্তির এই বিশ্বে ইসলামকে টেনে আনা অজ্ঞতা ও মুর্খতার পরিচায়ক।
বাস্তবতা হল, যে মানুষ বিজ্ঞানকে নিয়ে লাফালাফি করে, ইসলামকে মধ্যযুগের ধর্ম বলে আল্লাহর দ্বীনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে, সেই মানুষের দেহের মধ্যেই রয়েছে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান।
আমি বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ। সৃষ্টি রহস্য নিয়ে আমি যখন চিন্তা করি তখন আমার নিজ দেহের মধ্যেই পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান আমি দেখতে পাই। আমার দেহের ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল ডিজাইন, লক্ষ কোটি কোষ, গ্রন্থি এবং পার্টস দিয়ে নিপুণভাবে তৈরি এ আর্কিটেক্চারের (দেহ) মধ্যে আমি আমার স্রষ্ঠাকে দারুণভাবে অনুভব করি। এই দেহতো নয়ই; এর একটি পার্টসও অকৃত্রিম ভাবে তৈরি করতে পৃথিবীর কোন বিজ্ঞানী কোন দিনও পারবে না। শুন্য থেকে তৈরি করাতো অনেক দুরের কথা। এটা মানুষের অস্তিত্বের ন্যায় সত্য। এ তো গেল আমার নিজ অনুভূতির কথা। এবার দৃষ্টি দেয়া যাক কোরআনের দিকে।
আল্লাহপাক কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় আসমান-জমিন, পাহাড়-সাগর, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র ইত্যাদি সৃষ্টির বর্ণনা দিয়েছেন। এমন অনিন্দ্য সুন্দর মোহময় প্রকৃতি সৃষ্টি করেও কিন্তু কোথাও নিজেকে সর্বোত্তম স্রষ্টা বলেননি। কিন্তু যখনই মানুষ সৃষ্টির কথা বলেছেন, সেখানে নিজেকে 'সর্বোত্তম', 'সর্বশ্রেষ্ঠ' স্রষ্টা (احسن الخالقين) বলেছেন। তেমনিভাবে সৃষ্ট জীব হিসেবে মানুষের ক্ষেত্রেই (احسن) শব্দ ব্যবহার করেছেন। তার মানে- সর্বশ্রেষ্ঠ সর্বোত্তম স্রষ্টার সর্বোত্তম সৃষ্টি হল মানুষ। মহান আল্লাহ তাঁর এই শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিতে তাঁর কুদরতি যে জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রয়োগ করেছেন, কিয়ামত পর্যন্ত গবেষনা করেও বিজ্ঞানিরা কোন কুল কিনারা পাবেন না।
উদাহরনতঃ বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞান তাদের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি দিয়েও ক্যানসার সহ অনেক নিত্য নতুন রোগের চিকিৎসা দিতে পারে না, এমনকি রোগ নির্ণয়ও করতে পারে না। আমি নিজেও তুচ্ছ একটি রোগে মারাত্বক রকম ভোগছি। যত ডাক্তার দেখিয়েছি এবং দেশ বিদেশে, ইন্টারনেটে খোজখবর নিয়ে যতটুকু জানতে পেরেছি সবখানের রিজাল্ট একই- এলার্জিক বা সাইনাস জনিত এই কাশি'র কোন স্থায়ী চিকিৎসা নেই। তার মানে এই দাড়ায়, আধুনিক বিজ্ঞান আজোবধি মানব দেহের পরিপুর্ণ মেকানিজম আয়ত্ব করতে পারেনি; যে কারণে এর পরিপুর্ণ সার্ভিসিং এর ব্যাবস্থাও তৈরি হয়নি।
আমরা আশাবাদি, চিকিৎসা বিজ্ঞান যত অগ্রসর হবে, মানবদেহের মেকানিজম এবং এর রিপিয়ারিং ও ট্রাবলশুটিং এর ধারণা ও জ্ঞান তত বেশি আয়ত্ব হবে। তবে অকৃত্রিম মানুষ সৃষ্টির ইচ্ছেটা অধরাই থেকে যাবে।
বিষয়: বিবিধ
১১২৯ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined variable: count_total_count
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
বিজ্ঞানের কোথায় পেয়েছেন ৬০০ ডানার জিবরাইল নামক কোন বস্তু পাহারের গহব্বরে আল্লা নামক বস্তুর ওহি বহন করে নিয়ে যেতে পারে??
২। আল্লাহপাক কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় আসমান-জমিন, পাহাড়-সাগর, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র ইত্যাদি সৃষ্টির বর্ণনা দিয়েছেন।
কি বর্ণনা দিয়েছেন? সূর্য সকালে উঠে, বিকেলে আল্লার ডুবে যায়, এসব কথা??
মন্তব্য করতে লগইন করুন