হিন্দুত্ববাদে 'কামা' বা যৌনতা জীবনের একটি মুল লক্ষ্য

লিখেছেন লিখেছেন মুক্ত কন্ঠ ২৪ অক্টোবর, ২০১৪, ০৬:১৫:১৭ সন্ধ্যা



বিডি টুডে ব্লগ সাইটে সজল আহমেদের হিন্দু মন্দির আর গ্রন্থ ভরা যৌনতা আর অযাচার আরো অনেক কিছু!পোষ্টে প্রথমে আমার বিষয়টি নজরে পড়ে। ব্লগ থেকে রেফারেন্সসহ যে তথ্যগুলো পাই তাতে আমি বিস্মিত হই। ভাবলাম এগুলো কি আসলেই সত্যি? তবে ছবিগুলো দেখে প্রথমে আমি বিনোদনই পেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, এগুলো ফটোশপের ফটোগ্রাফিই হবে হয়ত। কিন্তু যখন গুগল মামার কাছে গেলাম, 'Khajuraho mandir' লিখে ইমেজ সার্চ দিলাম, তখন আমি দারুন শক্ড হয়েছিলাম। এও কি সম্ভব! এটা কি ধর্ম মন্দির নাকি যৌন মন্দির? উপাসনালয় নাকি পর্ন ভিডিওগ্রাফির শুটিং সেট?

সার্চ রিজাল্টে খাজুরাহো মন্দিরের অগনিত চিত্র সামনে ভেসে উঠলো। দুর থেকে মন্দিরের নান্দনিক নির্মান শৈলী দেখে ভালই লাগে। কিন্তু জুম করলে বেরিয়ে আসে মন্দির গাত্রের আসল চেহারা। দুর থেকে যেটা খাঁজ কাটা ডিজাইন বা নির্মান শৈলী মনে হয়, ওগুলো আসলে কোন ডিজাইন নয়। সবগুলো নারী পুরুষের একেকটা উলঙ্গ মুর্তি। বিশাল উচু মন্দিরের আগা গোড়ার প্রতিটি ভাঁজে এসব দৃশ্য। কোথাও নারী পুরুষ খুনসুটিরত, কোথাও বিভিন্ন এ্যাংগেলে কাম কার্যে ব্যাস্ত। যেন কামাসুত্রা! নারীকে দিয়ে মুখমৈথুন, হস্তমৈথুন কোনটাই বাদ নেই। এমন কি ঘোড়ার সাথে কামলীলায় ব্যস্ত দৃশ্যও রয়েছে। তবে সম্মিলিত যৌন লীলার দৃশ্যই সবচেয়ে বেশি।

ইউটিউব ভিডিও লিংক

(ছবিগুলো কষ্ট করে গুগলে দেখে নিবেন, চরম নোংরা হওয়ায় আপলোড করিনি )

পরে যখন সুত্রে পাওয়া হিন্দু ধর্মগ্রন্থের রেফারেন্সে দেব দেবীদের আকাম কুকাম আর কামলীলার বিষয় নিয়ে আরও ঘাটাঘাটি করলাম, তখন মন্দিরের দেয়ালে মুর্তিমান এসব নোংরামীকে স্বাভাবিক মনে হল। মনে হল, দেবদেবিদের সেসব ঐতিহাসিক! কর্মকান্ডকেই মন্দির গাত্রে বাস্তব রুপ দেয়া হয়েছে।

আরও মনে পড়ল, হিন্দু ধর্মের প্রায় সব দেব দেবীই নগ্ন, উলঙ্গ। মনে প্রশ্ন জাগে, যারা ধর্মপরায়ন হিন্দু, তারা যখন স্বপরিবারে নগ্নবক্ষা দেবীর পুঁজো দিতে যায়, একটুও কি লজ্জা করে না তাদের? মনে কি একবারও প্রশ্ন জাগে না, এদের উলঙ্গপনার ব্যাপারে?

আমার মনে প্রশ্ন জেগেছিল, এটা হিন্দু ধর্মে ঢুকে পড়া নব্য কোন কু সংস্কার কি না? তাই মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপেডিয়াতে সার্চ দিলাম, জানলাম তার ইতিহাস।

Wikipedia লিংক

জানলাম, এটা বর্তমানে UNESCO এর World Heritage Site, South Asia হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। ইন্ডিয়ার মধ্যপ্রদেশে অবস্থিত খাজুরাহো মন্দির তৈরি হয়েছে ৯৫০ থেকে ১০৫০ খৃস্টাব্দের মধ্যে। ১২ শতাব্দি পর্যন্ত ওখানে বিভিন্ন দেব দেবীর নামে মোট ৮৫ টি মন্দির বিদ্যমান ছিল। যার বিস্তৃতি ছিল বিশ কি: মি: স্কয়ারের চেয়েও বেশি। এখন মাত্র ২০ টি মন্দির অবশিষ্ট আছে।

'Most Khajuraho temples were built between 950 and 1050 AD, during the Chandella dynasty. Historical records note that Khajuraho temple

site had 85 temples by 12th century, spread over 20 square kilometers. Of these, only about 20 temples have survived, spread over 6 square kilometers. Of the various surviving temples, the Kandariya is decorated with a profusion of sculptures with intricate details, symbolism and expressiveness of ancient Indian art.'

খাজুরাহো মন্দির মুলত দুটি স্কুলের জন্যই উৎসর্গিত ছিল, যেগুলোতে হিন্দু ও জৈন ধর্ম শিক্ষা দেয়া হত।

'The Khajuraho group of temples were built together but were dedicated to two schools of Hinduism and to Jainism-suggesting a tradition of acceptance and respect for diverse religious views among Hindus and Jains.'

প্রশ্ন হল, হিন্দু এবং জৈনরা এ দুটি স্কুলে কী শিখত? ধর্ম নাকি যৌনতা? দেখুন এখানে:

The art work symbolically highlight the four goals of life considered necessary and proper in Hinduism - dharma , kama , artha and moksh.

হিন্দুত্ববাদ অনুযায়ী জীবনের ৪টি গোলকেই খাজুরাহো মন্দিরের ডিজাইন শৈলিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে 'কামা' বা যৌনতা।

অর্থাৎ, হিন্দুত্ববাদ অনুযায়ী যৌনতা হচ্ছে জীবনের একটি গোল বা লক্ষ্য। অথচ, যৌনতা জীবনের একটি অংশ হতে পারে; এটা কোনভাবেই সভ্য সমাজের জীবনের লক্ষ্য হতে পারে না।

যেহেতু হিন্দুত্ববাদ মতে 'কামা' জীবনের একটি গোল, তাই যৌনতা একটি অবাধ বিষয় হয়ে দাড়ায়। আর দেব দেবীরা এসবই করেছেন। (যা সজল আহমেদের ব্লগে আলোচনা করেছেন)

বিষয়: বিবিধ

১১৭৭৮ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

277867
২৪ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২২
মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী লিখেছেন : মন্তব্য করার ভাষা নেই
২৫ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০১:১৩
221784
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : ভাষা হারালে চলবে না। ইসলামের অপপ্রচারকারীদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে হবে ভাষা দিয়েই। ধন্যবাদ!
277869
২৪ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৬
শহীদ ভাই লিখেছেন : নাউজুবিল্লাহ্!ছিঃ কি জঘন্য প্রকৃতির মানুষ আপনারা। এই ব্লগটাতে আমার ২ মেয়ে বেড়াতে আসে। ওদেরকে আমিই উৎসাহিত করেছিলাম। আরও অনেক ব্লগার বোনরা এখানে লেখালেখি করা। আপনি দেখছি মানুষিক বিকারগ্রস্থ রোগী। এক্ষুনি সরিয়ে ফেলুন এই পোষ্ট। আল্লাহ্ আপনাদের হেদায়েত দান করুন।
২৪ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:০৩
221745
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : ইসলামের বিরুদ্ধে ওরা যেভাবে লেগেছে তাতে কঠোরভাবে এদের মুখোশ উন্মোচনের প্রয়োজন আছে। শালীনতা রক্ষায় ছবিটা রিমুভ করে দিলাম। তবে পোষ্টের ব্যাপারে প্রশ্ন কেন? আপনিও যে ছদ্মবেশে ওদের কেউ নন তাই বা কে জানে!!!
২৪ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:২৮
221752
জাগ্রত চৌরঙ্গী লিখেছেন : আপনিও যে ছদ্মবেশে ওদের কেউ নন তাই বা কে জানে!!! Surprised

আমার ব্লগবাড়ীতে দাওয়াত রইলো। Waiting
২৪ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:৩৪
221756
শহীদ ভাই লিখেছেন : দেখুন মুক্ত কন্ঠ, আপনারা মনে করেছেন এইসব করলেই আপনার অনেক বড় ব্লগার হতে পারবেন। আমি খুবই সাধারন একজন মানুষ। তবুও ব্লগার জাগ্রত চৌরঙ্গীর সাথে সুর মিলিয়ে বলছি
"আমার ব্লগবাড়ীতেও আপনার দাওয়াত রইলো।"

সম্ভব হলে আমার ফেসবুকে যোগাযোগ করতে পারেন। https://www.facebook.com/sikmusafer
২৫ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০১:২৮
221785
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : বড় ব্লগার হওয়ার বাসনা আমার নেই। নেই সে যোগ্যতাও। খালিস নিয়্যাতে লেখার চেষ্ঠা করি। পত্রিকায়ও মাঝে মাঝে লিখি, ওরাও এ অধমের লেখা ছেপে দেয়।
আপনার দাওয়াত রাখার চেষ্ঠা করব।
২৫ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৭
221877
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : শিরোনামে একটু ইঙ্গিত দিয়ে রাখলে বোধ হয় সমাধান হয়ে যাবে।
277872
২৪ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪১
প্রাইভেট ডিটেকটিভ লিখেছেন : হুম! বটে আপনাকেইতো আমি খুঁজছি।
অপেক্ষা করুন দেখা হবে।
২৪ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:০৯
221749
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ!
277873
২৪ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৭
জাগ্রত চৌরঙ্গী লিখেছেন : সজল আহমেদের করছে তাই আপনের মাথা আউলাইয়া গেছে আর আপনে তারে প্রমোট দিতে শুরু করলেন .... চমৎকার বুদ্ধি Shame On You Shame On You জলদি এইটা সরান ... এখানে অনেক ব্লগার ভাইয়ের ছোট ছেলে-মেয়েরা আসে, অনেক ব্লগার বোনরাও আসে।
২৪ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:০৫
221747
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : ইসলামের বিরুদ্ধে যখন অশালীন অপপ্রচার আর নোংরামি ছড়ানো হয়, তখন আপনারা কই থাকেন? দয়া করে একটু বলবেন??
277879
২৪ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৯
এমরুল কায়েস ভুট্টো লিখেছেন : কোন ধর্মের কথা বলতেছেন,

### যেখানে মানুষের পেটে জন্ম নিয়েও নিজেকে ভগবান দাবী করা যায় সেই ধর্মের কথা?? হিন্দুরা যাদেরকে ভগবান দাবী করে তারা সবাই মানুষের পেটে জন্ম নিয়েছে। এবং সবাই ছিল লম্পট টাইপের। যেমন শ্রী কৃষ্নের তার আপন মামি রাধা সাথে পরকিয়াসহ ১৬১০৮ জন গোপী (যৌনদাসী) ছিল। এই লিংকে পাবেন নিজের বোন কে ধর্ষন করা জায়েজ কিন্তু রক্তের সম্পর্কিত কউকে বিয়ে করা সম্পূর্ন নাজায়েজ!!! but why???




এই ইতিহাস এখানে শেষ নয় ।বর্তমানেও হিন্দুদের মধ্যে অনেকে নিজেকে ভগবান দাবি করে। এবং সবার বিরোদ্ধে নারী ধর্ষনের অভিযোগ আছে। তার ইতিহাস গডম্যান কর্তৃক মেয়েদের ধর্ষনের ইতিহাস। এই লিংকে পাবেন।

কোন ধর্মের কথা বলতেছেন যে ধর্মের অনুসারিরা স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য ভিন্ন হলে দেবতা বলে পুজা করে সেই ধর্মের কথা? এই লিংক টি দেখুন এক ছেলের পাছায় লোম গজালো, অতপর হয়ে গেল দেবতা!!!!!

ভাগ্য ভাল বলতে হবে। কারণ সানি লিওন এবং রবিদ্রনাথের জন্ম বর্তমান সময়ে। তাদরে জন্ম যদি অন্তত ৫-৬ শত বছর আগে হত তাহলে সানি নিওন কে যৌনদেবী পুজা শুরু করে দিত। গীতায় লেখা থাকত যে সানী দেবীর যৌন ভিডিও গুলো দেখে মানুষের যৌন প্রবৃত্তি জাগ্রত হত। এবং যৌন শক্তি বৃদ্ধি পাইত।
আর রবিদ্রনাথ কে বলা হত অক্ষর দেবতা বা শিক্ষা দেবতা
২৪ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:০৮
221748
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : মন্তব্য আর লিংক গুলোর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ!
ভাল থাকুন!
277887
২৪ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:১৮
অনেক পথ বাকি লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৪ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:৫৪
221762
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ!
277889
২৪ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:২২
জাগ্রত চৌরঙ্গী লিখেছেন : মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : ইসলামের বিরুদ্ধে যখন অশালীন অপপ্রচার আর নোংরামি ছড়ানো হয়, তখন আপনারা কই থাকেন? দয়া করে একটু বলবেন??
আমাকে বল্লেন Surprised
আপনি আমার ব্লগের লেখাগুলো পড়ে দেখুন আর আমি কোথায় কিভাবে মন্তব্য করি সেগুলোও দেখুন মেহরবানী করে।

২৪ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:৫৩
221760
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : চেষ্ঠা করব ইনশাআল্লাহ্!
278087
২৫ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৬
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : একথা সচেতন ব্যক্তি মাত্রই জানেন যে হিন্দুু ধর্মের রন্ধে রন্ধে ছড়ানো অশালিনতা আর নোংরামি। যৌনতা ছাড়া ওদের ধর্মই অচল। অথর্ব পূরাণে লেখা আছে, এই পৃথিবীটা একটা থালার ওপর যে থালাটাকে মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ৪টা হাতি। আর সেই হাতিগুলোকে একটা কাছিম পিঠে ধারণ করে আছে। এই ধারণাটা যদি একটু ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করি, যেমন হিন্দু ধর্মকে ধারণ করে আছে ৪টা পিলার (১) যৌনতা ও নগ্নতা (২) জাতভেদের নামে অমানবিকতা (৩)ধর্মের নামে আষাঢ়ে গল্প আর কিসসা এবং(৪) কুসংস্কার। আর এই ৪টা পিলার যে কাছিম ধারণ করে আছে তার নাম "মূর্খতা"।
তবে আমাদের উচিত এই বেহায়াপনাকে এড়িয়ে চলা। ওদের যথোপযোক্ত উত্তর দেয়া যেতে পারে এগুলো ছাড়াই, ওদের ধর্মের পরস্পর বিরোধীতা ও অসাড়তাগুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে। জাযাকাল্লাহ খইর।
২৮ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৮
222700
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : ঐ একটি বিষয় আর একটি অঙ্গের বিষয়ে হিন্দু ধর্ম একটি পরিপুর্ণ ধর্ম।
278100
২৫ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:১৪
বুড়া মিয়া লিখেছেন : সে তো এক ভয়াবহ ব্যাপার!

আয়ুর-ভেদ (আয়ুর্বেদ) এ দেখেছিলাম বেশ কিছু রেসিপিও আছে কামের; সেখানে ৩৬ পদের ভায়াগ্রা-র লিষ্ট করেছিলাম একসময়, যাতে মোট ৯৯ রকম প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে হয়; কাম-দেব এর ভায়াগ্রায় ১১ আইটেম ব্যবহার হয়েছে এবং সর্বোচ্চ ৫৪ রকম উপাদান দিয়ে একট ভায়াগ্রা তৈরী করতে হয় বলে জেনেছিলাম।

এছাড়াও কোন ঋতুতে কোন ধরনের মেয়ে/মহিলা কখন কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, তারও বিশাল কাহিনী দেখেছিলাম!
২৮ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৩
222704
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : কামাসুত্রার ক্ষেত্রে হিন্দু ধর্ম একদম পারফেক্ট!!! তাদের শাস্ত্র মানেই যৌনতা।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File