একটি শিক্ষনীয় ঘটনা

লিখেছেন লিখেছেন মুক্ত কন্ঠ ২০ জুন, ২০১৪, ১১:২৭:৪৪ রাত





এক ছেলে মাদ্রাসায় পড়াশুনা করত । ছেলেটা মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় একটি মেয়ে সব সময় তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকে, তাঁর সাথে কথা বলতে চায় ! কিন্তু সেই ছেলেটি আবার অন্য দুই দশটা ছেলের মত ক্যারেক্টার ঢিলা ছিল না ! সে কোনো বেগানা নারীর দিকেতাকাতে চায়না, চায়না কথা বলতে ! হয়তো এরকম এভয়েড এবং মেয়েদের দিকে তাকানোর অনীহা দেখে সেই মেয়েটি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে !! একদিন মেয়েটা ছেলেটিকে তার খালি বাড়ীতে ডাকলো ! কিন্তু ছেলেটি রাজি হলনা ।

কিছুদিন পর মেয়েটি একটা কৌশল খাটাল, মেয়েটা তাদের এক দাসীকে শিখিয়ে দিলে যে, ছেলেটাকে বলবে যে, এ বাড়ীতে একটা ছোট বাচ্চা আছে , বাচ্চাটা খুব কান্না-কাঁটি করতেছে, আপনি একটু এসে বাচ্চাটাকে সূরা - কালাম পাঠ করে ঝাড়-ফুঁক দিয়ে যান , দাসীটা এ মিথ্যা কথা বলে ঐ মাদরাসার ছেলেটাকে বাড়ির ভেতর নিয়ে গেলো ! তারপর সে দুষ্ট মেয়েটা ছেলেটাকে নির্জন একটা রুমে বন্দি করল , ছেলেটার কাছে নিজেকে সঁপে দিতে চাইলো !! (আমি আপনি এই জায়গায় হলে হয়তো (.)(.)....) কিন্তু সেই ছেলেটি চাইলো না কোনো অবৈধ কিছু করতে ! ছেলেটি পড়ে গেলো মহা বিপদে, বুদ্ধি করে বললো, আমার একটু টয়লেটে যেতে হবে! মেয়েটি বলল যাও,তবে দ্রুত ফিরে আসবে । ছেলেটি বাধ্য হয়েই টয়লেট থেকে নোংরা পানি দিয়ে তার পুরো শরীর মেখে নিল যাতে তার শরীর থেকেবিশ্রি গন্ধ বের হয়।

ছেলেটি টয়লেট থেকে বের হবার পর মেয়েটি তার গায়ের দুর্গন্ধের কারনে তাকে তাড়িয়ে দিলো! আর ছেলেটি খুশী মনে বের হয়ে গোসল করে মাদ্রাসায় গিয়ে ক্লাসে প্রবেশ করলো !!

ওস্তাদ ক্লাস চলাকালীন সময়ে বললেন,, তোমাদের মধ্যে কে আজকে এমন সুগন্ধ লাগিয়ে এসেছো যে পুরো ক্লাস সুগন্ধময় হয়ে আছে! ছেলেটা ভয় পেয়ে গেল , মনে মনে ভাবল হয়ত তার গায়ে কোথাও ময়লা লেগে আছে অথবা ভাল করে ধোয়া হয়নি , সেখান থেকে মনে হয় দুর্গন্ধ বের হচ্ছে ! সে মনে করল , ক্লাসের মধ্যে ওস্তাদ তার গায়ের দুর্গন্ধকে উপহাস করে সুগন্ধ বলছে নাতো ? ছেলেটা লজ্জায় মাথা নিচু করে বেঞ্চে বসে রইল! এদিকে কোন ছাত্র জবাব না দেওয়ায় ওস্তাদ অবাক হলেন, এবং পরীক্ষা করার করার জন্য একজন একজন করে উঠে আসতে বললেন , আশ্চর্যের বিষয় কারো কাছেই এ সুগন্ধ পাওয়া গেল না , অতঃপর ওস্তাদ দেখলেন একটা ছেলে ক্লাসের সর্বশেষ বেঞ্চে মাথা নিচু করে বসে আছে , ওস্তাদ ছেলেটাকে কাছে ডাকলেন , ছেলেটা কাছে আসলো , ওস্তাদ খেয়াল করলেন এই ছেলেটার কাছে থেকেই এত সুগন্ধ বের হচ্ছে ! ওস্তাদ ছেলেটাকে প্রশ্ন করলেন , তুমি ই এ সুগন্ধ লাগিয়ে এসেছ , কিন্তু আমাদেরকে বলছনা কেন ? বলো এই সুগন্ধ কোথায় পেয়েছ ? ছেলেটা তখন ভয়ে কাঁদতে আরম্ভ করল ! ওস্তাদ আরো বেশি অবাক হলেন এবং ছেলেটাকে বললেন , তুমি কাঁদছ কেন ? তখন ছেলেটা সম্পূর্ণ ঘটনা ওস্তাদ কে বলে দিল , সব কিছু শুনে ওস্তাদ ও কেঁদে ফেললেন এবং ছেলেটাকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে সকল ছাত্রদেরকে বললেনঃ তোমরা যদি কেউ একজন জান্নাতী মানুষ দেখতে চাও তাহলে আমার এই ছাত্রটিকে দেখ ! সুবহান-আল্লাহ্!!!!!!!

ছেলেটি আর কেউনা, তিনি হলেন ঈমাম গাজ্জালী (রহ.)

(সংগৃহিত)

বিষয়: বিবিধ

১১১১ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

236984
২০ জুন ২০১৪ রাত ১১:৩৪
সন্ধাতারা লিখেছেন : সুন্দর কাহিনীটি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো লাগলো।
২০ জুন ২০১৪ রাত ১১:৩৮
183517
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : ভাল লাগার জন্য আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ!!
236993
২০ জুন ২০১৪ রাত ১১:৫৭
শিশির ভেজা ভোর লিখেছেন : সুবহান-আল্লাহ্ব , সুবহান-আল্লাহ্!!!!!!!
২১ জুন ২০১৪ রাত ১২:৩৫
183546
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : এমন লোভনীয় পরিস্থিতিতে কয়জনের ক্ষমতা আছে নিজেকে পাপ থেকে নিয়ন্ত্রন রাখার!!
237057
২১ জুন ২০১৪ সকাল ০৬:১৭
জোনাকি লিখেছেন : সুন্দর!রেফারেন্সটা কি দিতে পারেন?
238149
২৪ জুন ২০১৪ রাত ১২:১৭
ভিশু লিখেছেন : দারুণ কাহিনী! ঈমামের জীবনের সত্য ঘটনা নাকি এটা?!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File