মহাপাপ নয় বরং পরস্পরের কাজে সহযোগিতা করা সওয়াবের কাজ!
লিখেছেন লিখেছেন মুক্ত কন্ঠ ২৯ মে, ২০১৪, ০৪:০৮:১৫ বিকাল
-সেলিম সামীর
ঘরের কাজে সাহায্য করা কি ছেলেদের জন্য মহাপাপ! নামক ব্লগপোষ্টে মন্তব্য করতে গিয়ে লেখাটা একটু লম্বা হয়ে যাওয়ায় ভাবলাম একটি স্বতন্ত্র পোষ্ট-ই দিয়ে দেই।
ঐ পোষ্টে অনেকেই পক্ষে বিপক্ষে মন্তব্য প্রতিমন্তব্য করেছেন। আসলে নারী পুরুষ প্রত্যেকেই যার যার কর্মক্ষেত্রে ইউনিক। আয় রোজগার বা পরিবারের বৈষয়িক কাজে পুরুষের মত হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম যেমন নারীরা পারবেনা তেমনি সাজানো গোছানো একটা সংসার গড়ার মত কঠিন চ্যালেঞ্জও পুরুষরা নিতে পারবে না। ওটা নারীর পক্ষেই সম্ভব। বোন সাফওয়ানা জেরিন কয়েকটা খোচা দিয়েছেন। যেমন-'পুরুষরা নাকি অফিসের এসিতে বসে কাজ করেও গরমে সেদ্ধ হয়ে যান'। আসলেই কি তাই? শতকরা কয়জন পুরুষ অফিসে এসিতে বসে কাজ করে? তাহলে অফিসের বাইরের কাজ, ঠেলাওয়ালা রিক্সাওয়ালা বা চাষ-বাসের মত বিচিত্র রকমের খাটুনীর কাজ কে করে? এই হিসাবটা কি কখনও মিলিয়েছেন?
বাস্তবতা হল, নারী বা পুরুষ কারো কাজকেই ছোট করে দেখার মত নয় । উপরোক্ত কাজগুলো যেমন নারীর পক্ষে করা কঠিন ঠিক তেমনিভাবে একটি অচেনা পরিবারে গিয়ে সম্পূর্ন ভিন্ন একটি অজানা পরিবেশে পরিবারের সবান মন বজায় রেখে সংসার চালনা, ঘর সাজানো-গোছানো সহ বাচ্ছাকাচ্ছা লালন পালনের মত দুরুহ কাজও পুরুষের জন্য দুঃসাধ্য। এই বৈশিষ্ট্যগুলী আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টিগত ভাবেই নারীদের দিয়েছেন।
রাত দুপুরে বাচ্ছা প্রশ্রাব বা পায়খানা করে কাপড় চোপড় নষ্ট করে দিলে বাচ্ছার গু মুত ধুয়ে পরিস্কার করে তোয়ালে পেচিয়ে বা নতুন জামা পরিয়ে পরম আদরে বুকে জড়িয়ে নেয় নারীরাই। এসব কাজ নারীরা করে বলেই পরিবার আছে সমাজ আছে। অনেকদিন পর ছেলে ক্ষর্মস্থল থেকে বাড়ি এলে ঘরের পুরুষরা তার কাজ কর্মের খোজ খবর নেয়। কিন্তু ঘরের নারীরা তড়িগড়ি করে ঠান্ডা পানি বা শরবত এনে দিয়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত পরখ করে বলবে, তোমার শরিরের একি অবস্তা? ঠিক মত নাওয়া খাওয়া করো না? শরির স্বাস্থের প্রতি এত অবহেলা কেন?
সুতরাং নারীর কাজ বেশি পুরুষের কম এটা বড় কথা নয়। এক্ষেত্রে একে অপরের কাজের বিষয়ে কৃতজ্ঞতাবোধ, মমতা, সহমর্মিতা, সহানুভূতিশীল ও আন্তরিক হওয়াটাই সবচেয়ে বেশি জরুরি। এই বোধটা থাকলে প্রত্যেকের কাছেই নিজের চেয়ে অপরের কাজটাকেই বড় মনে হবে এবং স্বাভাবিকভাবেই পরস্পরের মধ্যে সহযোগীতাপূর্ণ মনোভাব তৈরি হবে। ইসলামের আদাবে মুআশারাত এটাই। ইসলামই বলে নারী পুরুষ একজন অপরজন ছাড়া অচল। দুজন পরস্পরের পরিপূরক। 'নারী পুরুষ একে অন্যের পোষাক স্বরুপ' এটা কোরআনেরই বাণী।
বিষয়: বিবিধ
১৪৯৯ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/2030/chorabali/46141
একটা কথা কই, রান্নাবান্না...এটা একটা কাজ হলো?
আমি প্রতিদিন রান্না করে খাই। আমার রান্নার পেছনে মাত্র ২০ মিনিট সময় লাগে।
এটার পেছনে অবশ্য বিরটা এক রহস্য আছে সেটা পোস্ট আকারে পরে বলব।
মন্তব্য করতে লগইন করুন