প্রথম রাষ্ট্রপতি বিতর্কঃ খালেদার বক্তব্য নিয়ে বিভ্রান্তি ও ধুম্রজাল
লিখেছেন লিখেছেন মুক্ত কন্ঠ ২৯ মার্চ, ২০১৪, ১২:২৯:৫৭ রাত
বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট কে? এ নিয়ে নতুন এক বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মিডিয়া, রাজনৈতিক অঙ্গন এবং ব্লগে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ব্যপারটা চয়ের আড্ডা কিংবা আলোচনার টেবিলে হাস্য রসেরও যোগান দিচ্ছে। সংবাদ শিরোনামটি যখন আমি পড়েছি তখন আমার মধ্যেও কৌতুকের উদ্রেক হয়। জিয়াউর রহমান আবার প্রথম প্রেসিডেন্ট হন কি করে? এ আবার কোন তামাশা শুরু হল? কিন্তু পরে যখন সকল পত্রিকা ঘাটাঘাটি করে খালেদার মুল বক্তব্যটা জানার চেষ্টা করলাম তখন আমার কাছে মনে হয়েছে, এটা মিডিয়ার সৃষ্ট ধুম্রজাল আর সরকার দলীয় রাজনীতিকদের অপব্যাখ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। মোটামোটি সব পত্রিকাই জিয়াউর রহমানকে খালেদা জিয়া প্রথম রাষ্ট্রপতি দাবি করেছেন, এটাই উল্যেখ করেছে। কিন্তু হুবহু খালেদার বক্তব্য কোট করা হয়নি। একমাত্র বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় দেখলাম বিষয়টি নিয়ে খালেদার বক্তব্য তুলে ধরেছে। সেখানে লিখেছে, "তিনি বলেন, একাত্তরে যখন কেউ কিছু বলছিল না, তখন জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। জনগণের ভোটে নির্বাচিত দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক বলেই আওয়ামী লীগ তাকে এত ভয় পায়।"
খালেদার বক্তব্যের এই অংশটি যখন পড়লাম তখন আমার কাছে মনে হয়েছে, এটা মুটেই অমুলক নয়। কারন, আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান অনুযায়ী যতটুকু জানি, প্রেসিডেন্ট হওয়ার দিক থেকে যদিও জিয়া সপ্তম কিন্তু জনগনের ভোটে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে জিয়াই প্রথম। কারন, পূর্বের সকল প্রেসিডেন্ট ছিলেন অনির্বাচিত। জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশে গণতান্ত্রীক রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন এবং সাধারণ নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশ প্রতিদিন এর সংশ্লিষ্ট নিউজ লিংক
বিষয়: রাজনীতি
১৩৮৮ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তারেক জিয়া 'জিয়া' কে প্রথম প্রেসিডেন্ট বলেছে - শুনে আমার বিরক্তি লেগেছিল। মনে হয়েছিল - অর্থমন্ত্রীর মত বুঝিবা 'রাবিশ' কিছু বলেছে।
কিন্তু আওয়ামী রিএ্যাকশান দেখে মনে হল - 'কালো বিড়াল' টাইপ একটা সমস্যা আছে, যা আমরা পরিষ্কার জানিনা - কিন্তু কিছু প্রমান ও দলিল দস্তাবেজ উন্মোচিত হতে শুরু করেছে।
তারপর যা কিছু পড়লাম ও জানলাম - তাতে মনে হচ্ছে - মিথ্যা ও প্রতারনাকে যতই আর্ট ও স্মার্টনেস এর আবরনে ঢেকে রাখা হোকনা কেন - তা পাবলিকলী অন্য কোন না কোন ভাবে বিমূর্ত হবেই। আওয়ামীলীগ স্বাধীনতা নিয়ে যে নোংরামী, নষ্টামী, ভন্ডামী, হঠকারীতা, খুনোখুনি করেছে - আগামীদিনে সুযোগ পেলে বাংলার মানুষ এর কড়ায় গন্ডায় উশুল করবে বলে আলামত প্রকাশিত হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশীরা মুসলিম বিবেচনাবোধ এর কারনে এসব আওয়ামী নামক ভন্ড প্রতারক দের উপর প্রতিশোধ নেবে - নাকি সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করবে? বাংলাদেশী স্যেকুলার রা ভারত কে বিবেচনায় নিয়ে আওয়ামীদের ক্ষমা করবে না ভারতকে শত্রু বিবেচনা করে এদেরকে নিশ্চিহ্ন করার কাজে নেমে পড়বে।
আপনার সাথে ১ মত
আমরা জানি যে, ইতিহাসের পূনরাবৃত্তির একটা ব্যাপার আছে। আওয়ামীরা যে ইতিহাস গড়ছে তারও একটা পূনরাবৃত্তি একসময় ঘটবেই।
মানুষের একটি অংশকে দিয়ে আরেকটি অংশকে প্রতিহত করেন এটা কোরআনেরও কথা।
**ইতিহাসের পূনরাবৃত্তির একটা ব্যাপার আছে। আওয়ামীরা যে ইতিহাস গড়ছে তারও একটা পূনরাবৃত্তি একসময় ঘটবেই।
মানুষের একটি অংশকে দিয়ে আরেকটি অংশকে প্রতিহত করেন এটা কোরআনেরও কথা।**
মন্তব্য করতে লগইন করুন