প্রশ্ন

লিখেছেন লিখেছেন নাসিমা খান ১৭ জুলাই, ২০১৩, ১০:৪৫:৪৩ রাত



আমাদের নানাবিধ প্রশ্ন থাকে , তবে যে প্রশ্ন গুলো জীবন মুখী আমরা সেগুলো নিয়েই বেশি ভাবি ।সকালেই উঠেই যে প্রশ্নটা মনে আসে তাহলো আমার রাতের ভাবনাটা কী দিনে সফল হবে ? ইদানিং দেশ নিয়েও আমাদের প্রশ্নের অন্ত নেই ।ঘুম থেকে উঠতে চেয়েছিলাম মিষ্টি একটা আমেজ নিয়ে, কিন্তু উঠছি বিশাল কোন টেনশন নিয়ে ।ছেলেটাকে স্কুলে পাঠাবো সে ভালোভাবে স্কুল পৌছাবে ? ঠিকমত ফিরে আসবে কী ?

এ প্রশ্ন কার কাছে ,নিজেই আমরা জানি না, ভাগ্যের কাছে ছেড়ে দেওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না ।প্রশ্ন আছে ,উত্তর নেই । অজস্র প্রশ্ন , তারপরও উত্তরহীন জীবন কি নির্বিকার ভাবে কাটিয়ে যাচ্ছি আমরা । অনেক প্রশ্নের উত্তর হয় না জানি । কিন্তু যারা বোবা নন , তারা যখন প্রশ্নের উত্তর দিতে কৃপনাতা করে তখন , আমাদের মাথা ঠিক থাকবার কথা নয় ।

তারপরও আমরা নির্বিকার থাকি ,থাকতে হয় , কারণ এসব ক্ষেত্রে আমরা বড়ই অসহায়, এখানে অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ বাধাবার কোন স্কোপ থাকে না ।

স্কুলে যখন ছাত্র অবাধ্যতা করে , নিষেধ থাকলেও দুএক ঘা যে বসায় না, এ কথা কোন শিক্ষকই বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে না। প্রশ্ন করলে আমাদের উত্তর চাই ই চাই ।সে তো বাধ্য ছাত্র বলে মুখ বুজে বেত্রাঘাত সয্য করে ।কিন্তু যারা ছাত্র নয়, যাদেরকে কোন রকম শাস্তি দেবার কথা মাথায় আসে না ,তারা কেন, প্রশ্নের উত্তর জানা থাকা সত্তেও উত্তর দেয় না?

এই প্রশ্নটাও আমাদের প্রতি মুহুর্তে আঘাত করে ।নিরবে এসব রাগগুল পুষে রাখতে হয় ।

একদিন মানুষ তার রাগ গুলো হজম করতে না পেরে উগরে দেয় ।

অনেকেই আবার প্রশ্নের উত্তর বাঁকা পথে দিতে পছন্দ করে ।অজস্র রাস্তায় সে উত্তর দিয়ে যাবে, তবে তা পরোক্ষভাবে ।

মানুষ সহজ সরল পথে যেতে পছন্দ করে।উত্তরও আশা করে সরল পথে ।কিন্তু ইদানিং তেমনটি আশা করা বাতুলতা মাত্র ।

আমরা ইস্যু ছাড়ায় শাস্তিদিই, এবং তা রেওয়াজ হয়ে গেছে ,শক্তির দাপট দেখাবার পথটাও

আমাদের জন্য বড় রকমের গৌরবের, আমার ক্ষমতা আছে , তোমাকে তা প্রর্দশন করবো না কেন ?

আমার লিগাল প্রশ্নের জবাব পাবো না, প্রশ্ন করা তাই অহেতুক মনে করি আমরা ,কিছু নাছোড় বান্দা আছে, যারা উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত প্রশ্ন করেই যাবে ।ধৈর্য্য ও বটে ।

অনেকেই তাদের বেহায়া বলে ঘৃণা প্রকাশ করে, কিন্তু ঘৃনীত মানুষ গুলো এটা বুঝতে পারে না, আর এর সংখ্যা আমাদের সংসারে বেশি ।

একজন স্ত্রী তার স্বামীকে কম পক্ষে দশবার একই প্রশ্ন করেন, এই শুনছো ?

স্বামী দেবতা একবারও তা শুনে না, স্ত্রী তখন চিংকার করে করে বলে-আমার কথা শুনবে কেনো?সুন্দরী কোন রমনী হলে প্রশ্নের আগেই উত্তর দিয়ে দিতে ।রসিক স্বামী হলে উত্তর দেন, তোমার থেকে বেশি সুন্দরী কেউ আছে বলে তো মনে হয় না।

আর ত্যড়া স্বামী খেকিয়ে উত্তর দিবেন, তা সামনে থাকলেও তো চোখটা জুড়াতো ।

প্রশ্নের অন্ত নেই, কবে হবে দেশটা শত্রু মুক্ত ? কারো কাছে অবাক প্রশ্ন, দেশ কী তবে এখনও স্বাধীন হয়নি ? তবে ত্রিশ লক্ষ মানুষ কেন প্রাণ দিয়েছিলো ?

তা হলে যুদ্ধ কী সেদিন বেকার গেছে ?

কেউ হতাশ হয়ে বলে , হয়তো তাই হবে ? না ,হলে রাস্তায় কেন এতো ককটেল, এতো পুলিষ ? এত গুলি কেন করছে ওরা ?কেন মানুষ ,মানুষ মারছে ?

প্রশ্ন, বিভক্ত হয়, প্রশ্নেরই আঘাতে , বোকাদের একটাই প্রশ্ন -আমাদের মারো কেন ? আমাদের তো কোন দোষ ছিলো না ।তাহলে কি প্রমাণ ছাড়ায়, মৌখিক বিচার করো তোমরা ?

বিষয়: বিবিধ

১৪০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File