অপ্রিয় কিছু কথা
লিখেছেন লিখেছেন নাসিমা খান ২৮ জুন, ২০১৩, ০১:৪৫:১৩ দুপুর
আমরা যারা সুখের জন্য ভুলে যায় নিজের ভীতের কথা,ভুলে যায় পরিণতির কথা , কখনও ভাবি না , আমার শিকড় বাকড় কোথায় ? কোথায় আমার শান্তি , কোথায় আমার তৃপ্তি ?
তারা আসলে জন্ম দুঃখী, কেন আমরা ছুটছি ? একটু চিন্তা করে দেখি কেনো আমরা ছুটছি ? সুখ কী আসলে নাগালের ভিতর পাচ্ছি ? অনেক টাকা হলো ,অনেক উচুঁতে অবস্থান হোলো, অনেক গুলো ক্রেস্ট আমার ড্রয়িং রূমে শোভা পেলো ,আমি জানি ওটা আমার প্রকৃত ইনকাম নয় ,টাকায় কেনা সম্মাননা। আপনি বলুন তো , নিজেকে উপরে উঠাতে আর কত নিচুতে নামবো আমরা ?
আমরা কেউ কেউ নিজেদের পদের উপর খাড়া হয়ে বসতে অনাবরত নিম্নপদস্ত কর্মচারীদের শোষণ করছি । সামনে মাথা নিচু করছে , পেছনে তার থেকে কতটা গালি দিচ্ছে । গ্রামিণ প্রবাদ আর কত অনুসরণ করবেন, পিছনে রাজাকেও গালি দেয় , সামনে দেবার ক্ষমতা রাখে কয়জন ?
আমিতো মনে করি দুপাঁচ খান গালি যদি সামনে হয় তাহলে আমার অবস্থান সম্পর্কে অবগত হতে পারবো ।
প্রথমে প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের সম্পর্কে বলতে হয়, রুটিনে দুতিন্টা ক্লাস নারাখলে ভালো টিচার হিসাবে জাতে উঠতে পারেন না, অথচ ওই ক্লাসগুলো সপ্তাহে একদিনও নিতে পারেন কিনা সন্দেহ , নানা ছলছুতোই হয় অফিসে না হয় স্কুলের কাজে বাইরে যান তারা ।শিক্ষা অফিসারগণ অবশ্য সব সময় প্রধান শিখকদের পক্ষেই থাকেন, কনভেন্স,নাস্তা খরচ হেড টিচারদের পকেট বা ব্যাগ থেকে যায় কিনা !!!!!
সহকারীদের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে কখনও যে তাদের মতবিনিময় করা উচিত , এ কথা অফিসার তো দুরের কথা বোধ হয়, কর্মচারী আইনে ও এ ধরণের কোন আইটেম রাখা হয়নি ।
সরকারী আইনে বোধ হয় বয়সী বলে কোন কথা নাই , হোক না বাপের বয়সী, নিম্নপদস্তকর্মচারীকে বোধ হয় তুই তোকারি শব্দটা দিয়েই সম্বোধনের নিয়ম আছে !!!!!
বেসরকারী ব্যাংক কর্মকর্তারা যেটুকু সম্মান দেন, রাস্ট্রয়াত্ব ব্যাংক গুলোতে নিম্ন পদস্তদের তুই ছাড়া তুমিতে আসতে দেখা যায় না ।
অফিস আদালতে হাতের কাছের পানির বোতলটাও আবুল গোছের কোন পিয়নকেই মুখের কাছে এনে খাওয়াতে হয় !
শিক্ষা অফিসগুলোতে আবার অফিসার থেকে ক্লার্কদের দৌরাত্বই চরমে এখন, এখানে আবার নীতি কথা চলে ,"ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে ঘাস খাওয়া অতো সহজ নয়, ক্লার্কের আগে পিওয়ন, ক্লার্কের পরে অফিসার । যে কোন বিল করতে অফিসার , পিওন, এজির আবার বাড়াবাড়ি টা অতি মাত্রায় অতোগুলো টাকার বিলে সই করাবেন, এমনি এমনি ? টাকা দেন , না হলে বিলের অনেক সমস্যা দেখা যাবে । সে ক্ষেত্রে আইনের প্রয়োগ কড়াকড়ি ।
পেনশনের টাকা তুলতে যান , নগদ ৫০০০০ হাজার দেন , একসপ্তাহের ভিতর পেনশন বিল ওকে । কম দিলে অনেক ঝামেলা, নামের আগে হস পড়েছে, শ এর জায়গাতে স হয়ে গেছে । অনেক ঝুক্কি ঝামেলা , বুড়ো বয়সে এভিডেভিট, বোর্ড এ দৌড়ানো । তার থেকে যাক পঞ্চাশ হাজার । কে পোহাবে অতো ঝামেলা ?
আজকাল নতুন কবিদের হয়েছে ভিষণ ঝামেলা , যা সুন্দর লিখেন আপনি , এখনও কোন ক্রেস্ট পাননি , আসুন আমাদের সঙ্গগঠণ আপনাকে ক্রেস্ট দিবে, সামান্য কিছু হলেই চলবে মাত্র পাঁচ হাজার ।
দেখছি বেশ নামিদামি সংগঠণ গুলোও এই ব্যাবসার মজাটা লূটছেন । আর কবিতার ব্যবসা সবচেয়ে চমৎকার ।দুটি কবিতা দেন, আমাদের বইতে ছাপিয়ে দিবো । তারপর বেশ দামেই কবিদের কাছেই বিক্রি হয় বই গুলো । নিজের কবিতার প্রকাশ সব কবিদেরই ভালো লাগে । বলির পাঠা হন নতুন কবিগুলো , কোন প্রতিবাদ নেই, কীভাবে হবে ? যে ভুত ছাড়াবে তাকেই যে ধরেছে ভুতে ।
উচিত কথা বলতে গিয়ে অনেকেই রোষানলে পড়ি মাঝে মাঝে । এবারও হয়ত । আল্লাহ ভরষা , কলম ধরে আর ভয় পাবো না , এই প্রত্যাশা হোক আমাদের সকলের । আমীন ।
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন