খুলনা জোহরা খাতুন সাহিত্য পরিষদ
লিখেছেন লিখেছেন নাসিমা খান ২৭ জুন, ২০১৩, ১০:২৮:০৪ রাত
খুলনার যতগুলো সাহিত্য সংগঠন আছে জোহরা খাতুন সাহিত্য পরিষদ তার ভিতর অন্যতম । অধ্যাপক আসিফ আলতাফ দৃঢ় ও শক্ত হাতে হাল ধরে আছেন । প্রতি সপ্তাহে ভাজ পত্রসহ , মাসিক কবি কলম লিটল ম্যাগাজিন ও বের করছে জোহরা খাতুন সাহিত্য পরিষদ ,দৌলতপুর ,খুলনা।
জোহরা খাতুন সাহিত্য পরিষদের ১৯৮ তম সাহিত্য আসরে আজকের অতিথী ছিলেন ঢাকা থেকে আগত কবি সৈয়দ আব্দুস সাদিক ।কবিতা আবৃতি করেন সৈয়দ আব্দুস সাদিক, ডাক্তার কবি নিরাপদ বসাক, শাহী সবুর , জোহরা খাতুন সাহিত্য পরিষদের সহসভাপতি নাসিমা খান , আরও অনেকে । মূখ্য -আলোচক কবি সৈয়দ আব্দুস সাদিক।
তার কবিতা আমার ভালো লাগে,
এখানে তারঁ দুটি কবিতা না দিয়ে পারলাম না, তিনি আমার প্রিয় কবি ।
ঘোর লাগা সন্ধ্যায়
সৈয়দ আব্দুস সাদিক
অনাহুত অতিথী হয়ে গেছি সেই কবে-তারপর
এই যে উদাস হাঁটাহাঁটি নির্জন মাঠের মাঝে
এই যে অনতিদূর বনের ফাঁকে ফাঁকে
গাছের সবুজ পাতায় রোদের কিরণ এসে
রৌদ্র গন্ধ ছড়িয়ে যায় সময়ে অসময়ে
বিরহ গীত ধবনি বেজে ওঠে সারাদিন
ছলছল জলে শব্দে ,সন্ন্যাস বাতাসে ।
তখন মনে পড়ে যায় সঙ্গে-অনুষঙ্গে, বসনে-ভুষনণ
সঙ্গীহীন অবয়বে স্পর্শের অলোক -অনুভুতির
প্রান্তিক বিজন বনে আজো অচেনা রয়ে গেছ তুমি।
আমি এক পরিব্রাজক-বেদনায় হেঁটে গেছি
প্রেম হাতে লগ্নে লগ্নে তোমার মুখরিত যোজন -গন্ধার
উৎসব আঙ্গিনায় প্রতি শব্দহীন আলাপে;
বৈভবের আচ্ছাদনে যত্ন করে তুলে রাখি আজো
অনাহুত অতিথীর প্রতিবেদন গুলো
যা কিছু ধূসর হয়েছে প্রতিদিন গোচরে -অগোচরে ।
প্রিয়তমা , দ্যাখো ফুঁটেছে দোলনচাপা অকাল বসন্তে,
তোমার দুকূলে জড়ায়ে গেছে রেণু তার
গোপনে-সঙ্গোপনে ভিজে জ্যোৎস্নায়
অন্তর্গত অভিঘাতের অসামান্য প্রিয়তায় তখনও
বিমল গন্ধ তার নাকে এসে লাগে সন্ধ্যার গহনে।
এই ঘোর লাগা সন্ধ্যায় একা একা স্মৃতির কুহকী পাখি
আলেয়ায় দীপ্তিহীন ভ্রমে বহুদুরে পাড়ি দিয়ে গেঁযো পথে
উড়ে এসে উড়ে যায় অভিসার পিয়াসী বাসনার হিমে
মায়াবী মরীচিকায় তন্দ্রামগ্ন তমসায় আবরিত
এই পরিচিত প্রাঙ্গনে তোমার ।
২১/০১/২০১৩, দুর্গাপুর ,কুমার খালি কুষ্টিয়া ।
সৈয়দ আব্দুস সাদিকের দ্বিতীয় কবিতা
ডিজিটাল চিকিৎসায় কোনো কাজ হবে না
যে গরু বিষ্ঠা খায়-ঘাস লতা,পাতা দিলেও
বিষ্ঠা দেখলেই হুমড়ি খেয়ে পড়ে,
কুকুরের লেজ যতপি তুমি
ঘি দিয়ে টানো না কেন
কষ্মিনকালেও সোজা হবার নয়;
হেদ-কনেষ্টবল এখন সাব-ইন্সপেক্টর
ওসি প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হলেও
ঘুষ-বাণিজ্যে থানা
তবুও লিবারসিরোসিস রোগীই ।
ফেলো কড়ি মাখো তেল
থানা হুসপাতাল কোর্ট আর
সংবাদসংস্থাগুলো
এই মন্ত্রসিদ্ধ পুরোহিত এবং
ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া ও
শিক্ষা বিভাগও এর বাইরে নয়;
নীতিশাস্ত্র শিঁকেই তুলে রাখো-
কোন ঝুট-ঝামেলা পোয়াতে হবে না।
অন্ন জলে পেলে-পুষে জনতার কী লাভ
কোন ডিজিটাল চিকিৎসায় কাজ হবে না ।
১৭/১০/২০১২ দুর্গাপুর,কুমারখালী,কুষ্টিয়া।
বিষয়: বিবিধ
১৬৩৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন