ঈদের আগমণী আনন্দে হয়তো আপনি চাঁনরাতে ঘুমাতেই পারবেন না, আবার হয়তো সেই ছেলেটি ক্ষুধার জ্বালায় দু চোখের পাতাই এক করতে পারবে না!
লিখেছেন লিখেছেন লিমন ২৬ জুলাই, ২০১৩, ১১:১১:০১ সকাল
.. আপনি যখন এই মার্কেট থেকে ওই মার্কেট ঘুরে কেনাকাটা করতে ব্যস্ত, হয়তো কিশোরী ফুলওয়ালি মেয়েটি তখন মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে একটি রজনীগন্ধার স্টিক বিক্রি করতে ব্যস্ত!
.. যখন আপনি ঈদের জন্য জামদানি শাড়ি বাছাই করতে ব্যস্ত, হয়তো বস্তির ঢাংর মেয়েটি তখন ছ্যাঁড়া পাজামাটা সুঁই দিয়ে সেলাই করতে ব্যস্ত।
.. আপনি যখন সেমাই- চিনি কিনতে ব্যস্ত, হয়তো রিক্সাওয়ালা হাশেম মিয়া তখন ৩ কেজি মোটা চালের দাম কত হবে- সেটা হিসাব করতে আঙুলের কর গুনতে ব্যস্ত!
.. যখন আপনি ঈদের খুশিতে নতুন করে ঘর সাজাতে ব্যস্ত, হয়তো তখন টোকাইগুলো ঘুমানোর পাটের বস্তাটা ভাঁজ করে রাখতে ব্যস্ত!
.. আপনি যখন ঈদের বাজেট করতে ব্যস্ত, হয়তো তখন সেই গার্মেন্টস কন্যাটি ৫০০০ টাকা দিয়ে কী কী করা যায় সেটার হিসাব মেলাতে ব্যস্ত!
.. যখন আপনি পার্লারে ফেসিয়াল করতে ব্যস্ত, হয়তো গ্যারেজের সেই কিশোর ছেলেটি তখন হাতে-মুখে লেগে থাকা কালিগুলো পরিষ্কার করতে ব্যস্ত!
.. আপনি যখন মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখতে ব্যস্ত, হয়তো ফার্মগেট মোড়ের সেই প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকটি তখন ২ টাকা ভিক্ষা চাইতে এখান থেকে সেখানে যেতে ব্যস্ত!
.. যখন আপনি মা-বাবার সাথে ঈদের খুশি ভাগ করতে ব্যস্ত, হয়তো তখন রানা প্লাজা ধ্বসে প্রান হারানো মহিলাটির ৫ বছরের সেই শিশুটি মা মা করে কাঁদতে ব্যস্ত!
অদ্ভূত না?
আমরা সবাই ব্যস্ত। পাঁচ বছরের শিশু থেকে পঞ্চাশোর্ধ বৃদ্ধ, ম্যামসাহেব থেকে বস্তির মেয়ে, হাশেম মিয়া থেকে চৌধুরী সাহেব- সবাইইই ব্যস্ত। যে যার কাজে ব্যস্ত। ব্যস্ততার মাঝেই সময় পেরিয়ে যায়।
কদিন পরেই ঈদ আসবে, আবার চলেও যাবে। ঈদের আগমণী আনন্দে হয়তো আপনি চাঁনরাতে ঘুমাতেই পারবেন না, আবার হয়তো সেই ছেলেটি ক্ষুধার জ্বালায় দু চোখের পাতাই এক করতে পারবে না!
কী!
অদ্ভুত না??
বিষয়: বিবিধ
১৪৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন