জ্ঞানসাধক “জিয়াউল হক” এক প্রেরণার বাতিঘর
লিখেছেন লিখেছেন সন্ধাতারা ০২ জুন, ২০১৭, ০৬:৪৪:৫৬ সন্ধ্যা
জ্ঞানতাপস জিয়াউল হক কৃষ্ণকায় জগতে এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা। তিনি নবজাগরণের পথিকৃৎ, অসাধারণ বাগ্মী, অত্যন্ত মেধাবী ও প্রখর ধীশক্তির অধিকারী একজন ধীর সুস্থিত চিন্তার মানুষ। দুঃস্থ পীড়িত মানুষের প্রতি আত্যন্তিক সহানুভূতি ও কল্যাণকামিতা তাঁর সৃষ্টির মূল ভাবনা। তাঁর প্রতিটি প্রাঞ্জল ও আকর্ষণীয় সৃষ্টি এবং আধ্যাত্মিক চেতনা বৈচিত্র্য মহৎ প্রেরণায় উজ্জীবিত। যিনি আজ গদ্যে-পদ্যে, বাংলা সাহিত্যে-ইংরেজিতে, সঙ্গীতে, উপন্যাসে, গবেষণায় অসাধারণ আদর্শিক মননচর্যা ও নন্দনভাবনার উজ্জ্বলতম প্রতিভু। মুষলধারে বর্ষিত হচ্ছে তাঁর সৃজনশীল অনবদ্য সৃষ্টিকর্ম। তারপরও তিনি ক্ষুধিত, তৃষিত। কাঙ্ক্ষিত ও প্রত্যাশিত সৃষ্টিকর্মে সন্তুষ্ট হতে না পেরে গভীর রাত্রির নির্জনতায় যিনি নিজের মস্তক হাঁটুর নীচে গেড়ে শিশুর মত কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
এই বিশ্ববরেণ্য জ্ঞানতাপস শ্রদ্ধেয় জিয়াউল হক ভাইয়ের পুরো বাসাটিকেই মনে হয় একটি আকর্ষণীয় পাঠাগার। একনিষ্ঠ ধর্মভীরু জ্ঞানতাপসী গর্ভধারিণী মায়ের জঠরে থেকেই যিনি পেয়েছেন বিশুদ্ধ জ্ঞান আহরণের নির্মল নির্যাস। ছোটবেলা থেকেই প্রেরণাদায়ী জননীর সাহচর্যে বইয়ের প্রতি জন্ম নেয় তাঁর গুঢ় মমত্ববোধ ও সুগভীর ভালবাসা। জিয়াউল হকের প্রতিভার বহুমাত্রিকতা ও বর্ণীল পারঙ্গমতা নব জাগরণের ক্ষেত্রে বিমুগ্ধ পাঠক হৃদয়ে এক অভূতপূর্ব অহর্নিশ সাড়া ফেলছে। সবরকম বৈরী প্রতিকূলতা, বিরূপতা, চরম হতাশা, দৈন্যদশা ও ব্যর্থতাকে বৃদ্ধাঙ্গুল প্রদর্শন করে সফলতাকে ছিনিয়ে আনার তিনি বিস্ময়কর অদম্য অনন্য এক দৃষ্টান্ত। শত বিপদ কষ্ট দুঃখের মাঝেও এই মহৎ প্রাণ ব্যক্তিটি নিজে হাসতে এবং মানুষকে হাসাতে জানেন।
প্রসঙ্গতঃ ছোট একটি উদাহরণ বলছি- একদিন ফোনে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শেষে ভাবী এবং সন্তানদের কুশল জিজ্ঞাসা করলাম আমি। উত্তরে গাম্ভীর্যপূর্ণ কণ্ঠে বললেন- সবাই ভাল আছে তবে আপনার ভাবীকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাচ্ছি! হতচকিত হয়ে জানতে চাইলাম কি হয়েছে ভাবীর? বললেন গতকাল রাত থেকে তাঁর প্রচণ্ড দাঁত ব্যথা। সারারাত ঘুমাতে পারেনি আর আমাকেও ঘুমাতে দেয়নি। আহা! কেমনে এরূপ হল! বললাম আমি। ভাই বললেন, আমার গিন্নী আপনার লিখার ভক্ত। গতকাল আপনার লিখা একটি কঠিন শব্দের কবিতা পড়ার পর থেকেই এই অসহনীয় দাঁত ব্যথা শুরু হয়েছে তাঁর। আর সাথে সাথেই দু’প্রান্ত থেকেই হাসির রোল। অনেক কিছুই লিখার ছিল কিন্তু এই স্বল্প পরিসরে তা আর সম্ভব হচ্ছে না।
যাহোক নির্ভীক কলম সৈনিক “জিয়াউল হক” ভাইয়ের অনবদ্য সৃষ্টি কর্মের কিছু নমুনা বইয়ের নাম এখানে তুলে দেয়া হলঃ ধরণীর পথে পথে, টাইন নদীর ওপার থেকে, আবার কখনও যদি, মানব সম্পদ উন্নয়নে আল কুরআন, ইসলাম; সভ্যতার শেষ ঠিকানা, বাংলাদেশের শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থা, ব্রিটেনে মুসলিম শাসক, ভোট কি ও কেন, নেতা-শ্রেষ্ঠনেতা- বিশ্বনেতা, অন্তর মম বিকশিত করো, কালচার নিয়ে অনাচার, নির্বাচিত কিশোর গল্প সংকলন, ইসলামী শাসনব্যবস্থা- মৌলিক দর্শন ও শর্তাবলী ইত্যাদি। ইসলামী সঙ্গীতের ভিডিও পাঠকের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থাকরণ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি লিখা বই প্রকাশের অপেক্ষায়। যেমন; এই ধরণী তলে, বই খাতা কলম, অল্প স্বল্প গল্প, রাব্বি জিদনী ইলমা, নির্বাচিত প্রবন্ধ সংকলন, এবং বিদায় বন্ধু দেখা হবে জান্নাতে।
অকুতোভয় মানবদরদী এই নির্ভীক কলম সৈনিক সর্বক্ষণ ডুবে থাকেন জ্ঞানের সমুদ্রে। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার সময়টুকুতেও তিনি ধ্যানে মগ্ন থাকেন। সাথে থাকে বই, কলম আর কাগজ। এরূপ অনেক বিষয় নিয়ে প্রায়শঃই তাঁর গুনান্বিতা অর্ধাঙ্গিনীর সাথে হাস্যরসাত্মক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আলাপচারিতায় ভাবীর কাছ থেকে অনেক অজানা বিষয় জানা হয়ে যায়। ব্যক্তি জীবনে তিনি দুই ছেলে এবং এক কন্যা সন্তানের জনক। তুখোড় মেধাবী ছেলেমেয়েরা বাবার মত সবাই স্ব স্ব স্থানে সমুজ্জ্বল। বড়ছেলে আইটি বিশেষজ্ঞ। অতি সম্প্রতি পরিবারকে আলোকিত করে এসেছে ফুটফুটে এক সোহাগী নাতনী। ছোট ছেলে পূর্ণ স্কলারশিপ নিয়ে তুর্কীতে পড়াশোনা করছে আর হীরকতুল্য মেয়েটি ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটিতে অনেক বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে আকাশচুম্বী রেজাল্ট করায় অধ্যাপনার পাশাপাশি পি এইচ ডি করছে। পূর্ণ স্কলারশিপ নিয়ে। যা বাংলাদেশের মানচিত্র ও পতাকাকে গৌরবান্বিত করছে নিঃসন্দেহে। এই গুণী আদর্শিক পরিবারের সকলের কৃতিত্বপূর্ণ অর্জনের জন্য হৃদয় নিংড়ানো দোয়া ও নিরন্তর শুভেচ্ছা।
বিষয়: বিবিধ
১১৩৬ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে মন্তব্যের জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে মন্তব্যের জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
জেনে আমিও আনন্দিত হলাম।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
Do you mean I am demented?
জাজাকাল্লাহু খাইর।
Do you mean I am demented?
জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন