“ডঃ আব্দুস সালাম আজাদী” - এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম

লিখেছেন লিখেছেন সন্ধাতারা ০১ জুন, ২০১৭, ০৩:৪৪:৫০ দুপুর



সর্বজন শ্রদ্ধেয় জননন্দিত, পণ্ডিতমান্য এক অনন্যসাধারণ ব্যক্তিত্ব হলেন “ডঃ আব্দুস সালাম আজাদী”। যিনি তাঁর অসাধারণ বাগ্মিতায় যাদুমন্ত্রের ন্যায় মুগ্ধ ও আকর্ষিত করে রাখেন টিভির দর্শককূলকে। উদ্ভ্রান্ত মানবজাতিকে সত্য ও সঠিক পথ প্রদর্শনে আগ্রহী ও উৎফুল্ল করে তোলেন তাদের মনোজগতকে নাড়িয়ে দিয়ে। তাঁর অন্যতম অনন্য গুণ হল বাগ্মিতা এবং নিরন্তর উদ্দীপনাপূর্ণ প্রয়াস। পিস টিভি দর্শকের জন্য তাঁর বিষয় চয়ন ও বক্তব্য উপস্থাপনাশৈলীর মধ্যে রয়েছে এক বিশেষ স্বাতন্ত্র্যতা। এযেন জীবনঘনিষ্ঠ অভিজ্ঞতার প্রতিবিম্ব। সমাজ বাস্তবতার সার্থক রূপায়ন।

পিস টিভিতে নিয়মিত আলোচকের দায়িত্ব পালন ছাড়াও যিনি লন্ডনভিত্তিক চ্যানেল এস, টিভি ওয়ানসহ বিভিন্ন চ্যানেলেরও একজন প্রখ্যাত আলোচক এবং উপস্থাপক। একইসাথে যিনি মদিনা ইউনিভার্সিটির স্কলার, কেম্ব্রিজ ইউনিভার্সিটির পরীক্ষক, ছোয়ান সি ইসলামিক সেন্টারের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত, গ্লোবাল এইডস ট্রাস্ট বোর্ডের ট্রাস্টি ডাইরেক্টর এবং মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক বিভিন্ন আরবি পত্র পত্রিকার অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন কলামিস্ট।

যার কণ্ঠে এবং কালির আঁচড়ে ফুটে উঠে দেশ ও দশের কথা। এই বিশ্ববরেণ্য শ্রদ্ধেয় বড়ভাই ডঃ আব্দুস সালাম আজাদীর হঠাৎ একদিন টেলিফোন পেয়ে থমকে গিয়েছিলাম কিছুক্ষণের জন্য। টেলিফোনের বার্তা পেয়ে অনুভব করলাম তাঁর উঁচুমানের নিষ্ঠা এবং পরোপাকারী মনের বিশুদ্ধ শুভ্র নির্যাস। শত ব্যস্ততা ঠেলে সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে মানুষের পাশে বন্ধুর মত দাঁড়ানোর অদম্য স্পৃহা। যা সত্যিই মুগ্ধ করার মত। তাঁর ভিতরের অগণিত অসাধারণ গুণের বৈশিষ্ট্যগুলো অপরিসীম সৌন্দর্যে উদ্ভাসিত। যার একাগ্রচিন্তা ও আন্তরিক হৃদয়স্পর্শী অভিব্যক্তি সাধারণ মানুষকে হৃদয়ঙ্গম করে। আর তাঁর সফলভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালন তথা দেশ, জাতি ও উম্মতের কল্যাণের জন্য অন্তরালে থেকে যিনি অনবদ্য ভূমিকা পালন করছেন তিনি হলেন তাঁর গুণী সহধর্মিণী।

মহিমান্বিত এই বরকতপূর্ণ মাসে অতি সম্প্রতি এই মহাজ্ঞানী তুখোড় লেখকের একটি অসাধারণ সৃষ্টিকর্ম “ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে আলোর মশাল” প্রকাশিত হয়েছে। বরকতময় হোক এই অভূতপূর্ব লিখা গ্রন্থটি। “জীবন্ত কিংবদন্তী” সুলতানা আখতার আপার আন্তরিক মহতী প্রচেষ্টা এবং শ্রদ্ধেয় জিয়াউল হক ভাইয়ের দুর্দমনীয় উদ্যোগে “দি পাথ ফাইণ্ডার পাবলিকেশন্স” এই অসামান্য কাজটির দায়িত্ব পালন করেছেন। বইটির বহুল প্রচার প্রত্যাশিত। সেইসাথে আগামী দিনগুলোতেও তাঁদের সকলের বহুমুখী নান্দনিক সৃষ্টিশীল দুর্লভ কর্মতৎপরতাগুলো এভাবেই সারাবিশ্বের মানবজাতিকে যুগে যুগে গৌরবান্বিত করবে এটাই স্রস্টার নিকট একান্ত আকুল প্রার্থনা।

বিষয়: বিবিধ

১৩৯২ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

383198
০১ জুন ২০১৭ বিকাল ০৪:১৮
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম আাপি। ব্লগে এসে নতুন মুখদেরই বেশি দেখছিলাম হটাৎ তোমার কথা মনে পরছিল আল্লাহ মিলিয়ে দিলেন। উনার ব্যাপারে তেমন জানতামনা। পিস টিভিতে আগে উনার কিছু কথা শুনছি নরমালি টিভি এড়িয়ে চলি আর এখন তো বাংলাদেশে পিস টিভি বন্ধ। উনার বই সংগ্রহের চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় এটাই দেখছি মুসলিমদের বড় অংশই বর্তমান দুরাবস্হা নিয়ে হা হুতাশ আর অতীতের স্মৃতি হাতড়ে শান্তনা খোঁজার চেষ্টা করছে। এক অংশ যুদ্ধ বিগ্রহ দাঙ্গায় ধ্বংস হচ্ছে, এক অংশ প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে শুধুমাত্র নিজেকেই শেষ করে দিচ্ছে কোন সমাধানের রাস্তায় মুসলিম সম্প্রদায়কে পরিচালিত করতে পারছেনা উপরন্তু তাদের সেই কৃতকর্মের জন্য জীবিত মুসলিমদের উপরে আবার নতুন নতুন অত্যাচার নেমে আসছে। মুসলিমদের ব্যক্তিগত পর্যায়ে পরিবারে, আত্নীয় স্বজন ও নারী পুরুষের মাঝে হিংসা বিদ্বেষ বাড়ছে আমরা ইসলামিক ফেমিনিজম নামক নতুন তত্ত্বের সাথে সম্প্রতি পরিচিত হচ্ছি যা মুসলিম সমাজের জন্য মোটেও কল্যাণকর না। পুরুষদের একটা অংশ নিজের স্ত্রীর উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন ইসলামিক ইলিমেন্টসগুলোর অপব্যবহার করছে। এতদিন শোনানো হয়েছে বিয়েই একমাত্র পথ মুসলিম সমাজে ব্যভিচার রোধ করার জন্য। কিন্তু আমরা দেখছি মোটামোটি ইসলাম মেনে চলে এমন ছেলে মেয়েরাও বিয়ের পরই নিজেদের প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে ফেলছে এবং ডিভোর্স এর পথে চালিত হচ্ছে। এর প্রধান কারণ তাদেরকে ইসলামের নামে ভুল ম্যাসেজ দেয়া হচ্ছে "বিয়েই ব্যভিচার ঠেকানোর অস্ত্র" যখন প্রচার করা হয়, তখন মুসলিম তরুণ-তরুণীরা এটাই শিক্ষা পায়, বিয়ে হল হালাল উপায়ে যৌনতা নিবারণের মাধ্যম। অথচ কুরআন সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলছে, শুধুমাত্র যৌনতা নিবারণের জন্য তোমরা বিয়ে করোনা। স্ত্রীর প্রতি পতির দায়িত্ব বা পতির প্রতি স্ত্রীর দায়িত্ব পালন এর সাথে তাকওয়ার সম্পর্ক, দুনিয়া ও আখিরাতের হিসাব নিকাশ ইত্যাদি মুসলিম তরুণ তরুণীরা বুঝতে পারছেনা তাই যখনই প্রশ্ন আসে দায় দায়িত্বের তখন তারা তা থেকে পালাতে চায়, আকর্ষণ থাকেনা পরষ্পরের প্রতি। ইসলাম বিদ্বেষীতা, মুসলিম পরিবারে জন্ম নেয়া সন্তানদের নাস্তিকতার দিকে ঝোক ইত্যাদি আমাদের সামনে বড় চ্যলেঞ্জ। তাই মুসলিম সমাজকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে হবে এর বিকল্প নেই। তাই আশা করি উনার বই কিছু দিকনির্দেশনা দিবে। জাঝাক আল্লাহ আপি।
০২ জুন ২০১৭ সন্ধ্যা ০৬:৪৯
316470
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতাহু আপুম্নি।

সুদীর্ঘ সময় অনুপস্থিতির পর তোমার বিশ্লেষণাত্মক উপস্থিতিসহ মন্তব্য পড়ে অন্নেক আনন্দ হল।

লিখার অনুরোধ রইলো। ভালো থেকো খুব ভালো।

অন্নেক দোয়া ও শুভেচ্ছা।
০৩ জুন ২০১৭ রাত ০৮:০১
316477
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে এবার ইনশাআল্লাহ আবার লিখব আপি।
০৭ জুন ২০১৭ বিকাল ০৪:২৯
316498
সন্ধাতারা লিখেছেন : অপেক্ষায় আপুম্নি……।
383202
০১ জুন ২০১৭ রাত ০৮:১১
স্বপন২ লিখেছেন :

Excellent!

০২ জুন ২০১৭ সন্ধ্যা ০৬:৫১
316471
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতাহু শ্রদ্ধেয় ভাইয়া।

প্রেরণাপূর্ণ মন্তব্যের জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
383203
০১ জুন ২০১৭ রাত ০৮:২২
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : Excellent APU
The majority of the people of Bangladesh believe human sovereignty instead Allah sovereignty.
০২ জুন ২০১৭ সন্ধ্যা ০৬:৫১
316472
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতাহু শ্রদ্ধেয় ভাইয়া।

প্রেরণাপূর্ণ মন্তব্যের জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File