স্বপ্ন যখন সত্যি!
লিখেছেন লিখেছেন সন্ধাতারা ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ০২:৩২:৪০ দুপুর
কেন জানি আজ লিখতে বসে বিডি ব্লগের সাথে জড়িত সকল শুভানুধ্যায়ীগণকে ভীষণ মনে পড়ছে! তাঁদের প্রতি পরম শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা নিবেদন করে তাই শেয়ার করছি আমার নব জন্মের দু’টি কথা। বিডি ব্লগে এসে মনে হয়েছিল আমৃত্যু ছদ্মনামেই লিখে যাবো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দয়াময়ের করুণায় স্বনামে আজ আবির্ভূত হলাম আপনাদের মাঝে। ২১শের গ্রন্থ মেলায় প্রকাশিত “মণি মুক্তোয় মোড়ানো মনোলোভা মালিকা” আমার প্রথম লিখা ছোট্ট সীরাত গ্রন্থটি “মরিয়ম বানু” নামে স্টল ১২২, পরিলেখ প্রকাশনীতে প্রকাশিত হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ্। এযেন স্বপ্নের এক কল্পনাতীত বাস্তবায়ন। আবেগাপ্লুত হৃদয়ে তাই বইটির ভূমিকা আপনাদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরছি।
ভূমিকা
অবশেষে পল্লবিত পুষ্পকুঞ্জ থেকে অন্তর্লোকের স্বপ্নরাজ্যে অজস্র তাজা সুবাসিত ফুলে গাঁথা মালিকার বাহ্যিক আনন্দঘন উৎসারণ। নীরব সুখোস্রোতে খুশীর অপূর্ব ঝর্ণাধারা। আর এজন্য নিবেদিত ও সমর্পিত চিত্তে অনিঃশেষ শুকরিয়া জ্ঞাপন করি বিশ্বজাহানের মালিক মহামহিম প্রভু! পরম করুণাময় আল্লাহতা’আলার আসমানি দরবারে। অন্তরীক্ষ বলে এ আমার মায়ের অপার দোয়ার অছিলায় প্রজ্ঞাময় দয়াবানের অশেষ রহমত ও অজস্র অনুগ্রহের দান। তাইতো নিজের বিদ্যাবুদ্ধি এবং যোগ্যতার সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আজকের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। মহামহিমের ইচ্ছায় বিদেশ বিভুঁয়ে নির্জনে একাকীত্বে মহাবিশ্বের আলোক দিশারী ও চিরন্তন সত্যের কাণ্ডারি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনী মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় যতবার পড়েছি ততবারই শিশুর মত অঝোর ধারায় কেঁদেছি। আর অন্তর্ভেদী এক উত্তাল উচ্ছ্বাস অনুভূতিতে ও প্রচণ্ড এক ছাতিফাটা পিপাসায় শুধুই ছটফট করেছি।
অন্তহীন ভালোবাসা উথলে উঠেছে হৃদয়ের গহীনে। উপলব্ধি হতো, ভূবণমোহিত করা সীমাহীন প্রেমপ্রীতি, অসীম ত্যাগের মায়াজালে অবিশ্বাস্য ভালোবাসা, মহানুভবতার অনন্য নজীর এই মহামানব, সিন্ধুতুল্য অনবদ্য অন্তরের উৎসারিত প্রস্রবণ থেকে সবটুকু তুলে এনে ধরণীময় বিলিয়ে দেয়া একমাত্র তাঁকেই মানায় যিনি আল্লাহ্র প্রিয় হাবীব! এরই সুবাসে পুষে রাখা অনুভূতি আমার সম্মানিত প্রিয় পাঠক-পাঠিকা ভাই-বোনদের খিদমতে পেশ করার অদম্য স্পৃহা জাগে মনে। হৃদয়ের কোণে লুকিয়ে থাকা সেই দীর্ঘদিনের পোষিত সুপ্ত লালিত স্বপ্নের আজকের এই আলোকিত বাস্তব রূপায়ন। লিখনীর জগতে এ আমার প্রথম এককভাবে লিখা গ্রন্থ আলহামদুলিল্লাহ্। যদিও ইতিপূর্বে পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে গ্রুপে লিখা আমার পেশাভিত্তিক বই।
উপরন্তু দীর্ঘ সময়ের যাপিত জীবনে নিয়মিত কুরআন-হাদীস চর্চা, জ্ঞানী-গুণী লেখক-লেখিকার গ্রন্থ পঠনের নির্যাস, হজ্জ পালনকালীন সময়গুলোর অনুভূতি এবং সুইজারল্যান্ডসহ বিদেশ সফরের বিভিন্ন সময় মহান রবের রহস্যঘেরা বিস্ময়োদীপক দুর্লভ অনুপম সৃষ্টি আমার মনোজগতকে বিপুলভাবে নাড়া দেয় এবং বুকের ভেতর সৃষ্টি করে অদম্য এক তোলপাড়। কর্মরত জীবনের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত একান্ত নির্জনতায় আলো আঁধারিময় মানুষের জীবনের ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাগুলো ভীষণভাবে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াতো আমাকে। অন্যায় ও অস্থির সমাজের নিষ্পেষিত বেড়াজালে বন্দী অসহায় মানুষের দুর্দশা লিখনীর মাধ্যমে কিঞ্চিৎ লাঘবে এ মন সদা মুক্তির অন্বেষণে সঠিক পথ খুঁজে বেড়াতো। ইংল্যান্ডে নিভৃতে অনেক কঠিন সময়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনী পাঠ করে দিলে অফুরান সান্ত্বনা ও তৃপ্ততা অনুভূত হতো।
এমনি এক মুহূর্তে একজন শুভাকাঙ্ক্ষী মানুষের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমার লিখার সূচনা। তিনি একজন বরেণ্য লেখক এবং স্বনামধন্য বিজ্ঞ ব্লগার। যদিও সেটা ছিল একান্তই অভিজ্ঞ ও উৎকণ্ঠিত এক হৃদয়ের অনুসন্ধিৎসু পদচারণা এবং নিজের বিবেকবোধকে প্রশমিত করে প্রত্যয়ী মনে কিছুটা স্বস্তি ও আত্মতৃপ্তি লাভ করা। দিকভ্রান্ত মুসলিম মিল্লাতকে কিছুটা হলেও দ্বীনমুখী ও আল্লাহ্ অভিমুখী করে তোলার প্রেরণায় জাগিয়ে দেয়া। আর এটুকু সম্ভব হয়েছে পরবর্তীতে আমার অনেক পরম হিতৈষী ব্লগার ভাইবোনের গঠনমূলক সদুপদেশ, উৎসাহব্যঞ্জক অনুভূতি প্রকাশ ও নিরন্তর অনুপ্রেরণায়। এভাবেই ইংল্যান্ড- এ পড়াশুনা শেষে কাজে ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে একমাত্র আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য শত ব্যস্ততা ডিঙিয়ে হাটি হাটি পা পা করে নিজস্ব অনুভব অনুভূতির পথ চলা ক্রমেই এগিয়ে চলছে আপণ গন্তব্যের ঠিকানায়। আজকের এই বিশেষ মুহূর্তে অন্তর থেকে তাঁদের সকলের জন্য দোয়া করছি।
সেই ছোটবেলার কথা খুব মনে পড়ে। সবার অগোচরে রাতের আঁধারে মোমবাতির আলোয় বই পাঠের তৃষ্ণা আজো যেন অনুভব আর অনুভূতিতে জীবন্ত হয়ে আছে। বই পাঠান্তে অন্তর্নিহিত নির্যাসটুকুর তাড়নায় মনের গহীনের বীজ থেকে কেবলি তখন অঙ্কুরোদ্যমের আকুতি। মমতাময়ী মায়ের মমতাময়ী আঁচলে ঢাকা স্নেহের সুশীতল ছায়াতলে মধুর অনুভূতিগুলো অবারিত আনন্দের ঝর্ণা হয়ে উচ্ছ্বাস ছড়াতো অন্তরে। আবার কখনো বা কিছু নিষ্ঠুর মানুষের কথার খোঁচায় হৃদয়ের ক্ষত থেকে রক্তের ফোঁটা হয়ে ঝরতো কালির আঁচড়ে। ধীরে ধীরে লিখার পাতায় মুক্তোর বিন্দুর মত সাহিত্যের প্রাণপ্রাচুর্যে ভরে উঠতো অক্ষরগুলো। অন্তরের উদ্যানে মায়াময় চাঁদ উদিত হতো। সঞ্চিত হতো সুন্দর স্বপ্নের গুচ্ছ গুচ্ছ কথামালা। প্রস্ফুটিত হতো পাতার বক্ষে আনন্দ বেদনার প্রাণবন্ত এক বিমূর্ত ছবি। সঙ্গোপনে রেখে দেয়া মনোগোলাপের পাঁপড়ি মেশানো হৃদয়ের থোকা থোকা মুক্তোগুলো একদিন হারিয়ে যায়। সেদিন বেদনার অশ্রু ঝরেছিল দু’চোখে সবার অলক্ষ্যে। আর সেইসাথে মৃত্যু হয়েছিল একটি অঙ্কুরিত সতেজ প্রাণের।
স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় অভিমানী মন লিখার জগত থেকে হারিয়ে গিয়েছিল সেদিন। ক্ষোভে, দুঃখে আর লজ্জায়। বুকের ভিতরে তৈরী হয়েছিল এক গভীর ক্ষত। সময়ের স্রোতে জীবন বয়ে চলে অন্য এক প্রবাহে। বিপরীতমুখী এক জগতে। বহু বছর পর পারিবারিক আলোচনায় বেরিয়ে আসে, কে পাতাগুলো সরিয়ে সেদিন নিজের কাছে সযত্নে রেখেছিল। জানা হলেও সেই রত্ন জড়ানো অক্ষরগুলো এ দৃষ্টিতে আর ধরা দেয়নি কখনো। আস্তে আস্তে ক্ষতের উপর জমতে থাকে শীতল পুরু প্রলেপের আস্তরণ। কালের পরিক্রমায় আবারো ফিরে আসা মাধুরীপূর্ণ ভালোবাসার সেই আপন ভূবণে। গড়ে উঠে ক্বলবের সাথে কলমের কিংবা কী বোর্ডের পুরানো সেই সুগভীর সখ্যতা। জীবনোদ্যানের শুষ্ক প্রান্তরে মৃত বীজ থেকে মুকুলিত হতে থাকে আবারো কচি পাতার প্রাণের স্পন্দন। যা সত্যিই বিস্ময়কর! যেন স্বপ্নের প্রতিচ্ছবি! আর এটি সম্ভব হয়েছে শুধুই গায়েবের ইশারায়।
কেননা অগোছালো অনুভূতিগুলো নিজের সাধ্য ও আরাধ্য মনে সুন্দর করে গুছিয়ে সাজিয়ে তারপর প্রকাশের বিষয়ে কদম ফেলবো এমনটিই ভাবনাতে ছিল। কিন্তু বিশেষ প্রয়োজনে এক শুভাকাঙ্ক্ষীকে ফোন করলে কথা শেষে জানালেন নিজের বই প্রকাশের পাশাপাশি আমারও একটি বই প্রকাশের ব্যবস্থা করবেন। তাঁর এই সহমর্মী মনোভাবকে সম্মান জানাই এবং সেইসাথে অন্তর থেকে দোয়া করি। যদিও বিষয়টি শুনে থমকে গিয়েছিলাম। মনের কোণে উঁকি দিয়েছিল একটু দ্বিধাদ্বন্দ্ব, কিছুটা ভাবনার আনন্দ! কিন্তু সময়ের যে প্রয়োজন, সেটাই আমার মর্মবেদন! তারপরও অন্তরালে যিনি সেই মহা প্রজ্ঞাবানের অপার করুণার উপর ভরসা করে উদ্যোগী হলাম। হে মহিমাময় প্রভূ! আপনি এ মহতী ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাটুকু কবুল করুণ।
একটু অবসর পেলেই বই পড়তে গিয়ে দুনিয়া-আখিরাত, জান্নাত-জাহান্নাম, আযাব ও সওয়াবের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অন্তরকে ঝাঁকুনি দিয়েছে প্রবলভাবে। যার উপাত্তসমূহ হৃদয়কে মোমের মত বিগলিত করতো আর মনের অজান্তেই আঁখিদ্বয় অশ্রুজলে ভাসতো। এমনি এক মাহেন্দ্রক্ষণে অনেকটা কাকতালীয়ভাবে শ্রদ্ধেয়া বোন সুলতানা আখতার -এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও অনুপ্রেরণায় বই প্রকাশের আজকের এই মহতী উদ্যোগ। সম্মানিত পাঠক-পাঠিকা ও সুপ্রিয় ভাই বোনগণ যদি এই লিখনী থেকে বিন্দুমাত্রও উপকৃত হন বা তাঁদের মন মননকে একটু হলেও নাড়া দেয় তবেই নিজের এই নগণ্য প্রয়াসকে সার্থক মনে করবো।
ব্যস্ততম জীবনের কঠিন সংঘাতময় মুহূর্তে এই লিখাগুলোর জন্ম। তাই সচেতনতা সত্ত্বেও লিখার বিষয়বস্তুতে সঙ্গত কারণেই অমার্জনীয় কিছু ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। সন্মানিত পাঠক-পাঠিকা মহলের নিকট নিবেদন কোন ধরণের ভূলত্রুটি দৃষ্টিগোচর হলে তা মেহেরবাণী করে অবহিত করবেন আশাকরি। এই গ্রন্থের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকেই মহান রব একজন আদর্শ দ্বীনের মোসাফির হিসাবে, একজন দায়ী ইল্লাল্লাহ হিসাবে এবং একজন আদর্শ মুসলিম হিসাবে দু’নো জগতের কাবিয়াবী হাসিলের তৌফিক দিন। সেইসাথে কিয়ামতের মাঠে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর শাফায়েত লাভের সৌভাগ্য নসীব করুণ। আমীন। ইয়া রাব্বুল আলামীন।
মরিয়ম বানু
ইউ. কে।
বিষয়: বিবিধ
১৬৪০ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বরাবরের ন্যায় তোমার আন্তরিক উপস্থিতি ও উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্য মুগ্ধ করলো। আমরা পরিবারের সকলেই ভালমন্দ মিলিয়েই আছি বলতে হবে। তবে কঠিন কোন ব্যাধি নয়।
তোমার অসুস্থার জন্য সবসময়ই প্রাণভরা দোয়া। মহান আল্লাহ্ তাঁর বান্দার অন্তঃকরণ জানেন। তাইতো প্রত্যাশা আমরা সকলেই যেন পারলৌকিক জীবনে আবারো একসাথে থাকতে পারি।
ভালো থেকো, খুব ভালো। এটাই কামনা তোমার জন্য।
আশাবাদী ভাইয়ার সাথে একমত। নিয়মিত লিখার জগতে থাকার চেষ্টা করিও। নিশ্চয়ই মনের খোরাক পাবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
উচ্ছাস,উদ্যম ভরা থাক লেখার প্রকাশে|
বোনের জন্য বেশী বেশী করে দোয়া করবেন।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার হৃদয়স্পর্শী মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আমার বিশেষ ভালোলাগা এজন্য যে, প্রিয়তম রাসূল (সাঃ) এর জীবনী নিয়ে আমার প্রথম গ্রন্থ বইমেলায় প্রকাশিত হল বলে।
আপনার প্রেরণাপূর্ণ অনুভূতি পাথেয় হয়ে থাক।
বোনের জন্য বেশী বেশী করে দোয়া করবেন।
অনেক দিন হল আপনার কোন লিখা ব্লগে দেখিনি! ভাল আছেন তো ভাইয়া?
জাজাকাল্লাহু খাইর।
সত্যিই বলতে একদিন আমার অসুস্থতার মুহূর্তে যখন একজন ব্লগার কেমন আছি জিজ্ঞেস করেছিলেন কথাটা শুনে অনেক সুস্থ বোধ করেছিলাম যেন। সন্তান স্নেহে আপ্লুত হয়েছিলাম।
তাইতো ব্লগ বাড়ীটার কাছে আমি অন্নেক ঋণী ভাইয়া।
আলহামদুলিল্লাহ!!
আলহামদুলিল্লাহ!!!
সন্ধাতারার আড়ালে একজন আল্লাহওয়ালী মহিয়ষিণীর আবশ্যিক অস্তিত্ব অনুধাবিত সব সময়ই! যার লেখার প্রতিটি শব্দ ও বাক্য মানবতার হেদায়েত ও কল্যাণ কামনায়!
এবার আসলী নাম নিয়ে বিশ্ব জাহানের প্রকৃত আলোক শিখা নিয়ে উপস্হিত হয়েছেন জেনে মহামহিম অপার শক্তিধর রবের দরবারে সেজদাবনত শুকরিয়া- আলহামদুলিল্লাহ!
জাযাকুমুল্লাহু ওয়া ইয়্যানা খাইরাল জাযা!
দীর্ঘকাল পর আমার লিখায় আপনার আন্তরিকতাপূর্ণ কথাগুলো ও তার মর্মার্থ ভীষণভাবে হৃদয়ে দাগ কাটলো।
ব্লগবাড়ী খুবিই মিস করে আপনার মত একজন জ্ঞানী, সুশীল ও বিজ্ঞ মনের চিন্তা চেতনায় সমৃদ্ধ আলোকিত মানুষকে।
আপনাদের সকলের প্রেরণাপূর্ণ অনুভূতি ও উৎসাহ ব্যতিরেকে এ অসাধ্য কর্ম কোনভাবেই সম্ভব হতো না।
আপনাদের দোয়া ও উৎসাহব্যঞ্জক অনুভূতি আমার চলার পথের পাথেয় হয়ে থাক।
কেমন আছেন আপনি ভাইয়া?
ইনশাআল্লাহ আগামী সপ্তাহে মেলায় আসছি।
আপনার আন্তরিকতাপূর্ণ অভিনন্দনে সিক্ত হলাম। ভীষণ আনন্দিত হলাম জেনে যে, আপনি আগামী সপ্তাহে বইমেলায় যাচ্ছেন।
আপনার মত একজন জ্ঞানী, নিবেদিত ও বিজ্ঞ মনের চিন্তা চেতনায় সমৃদ্ধ আলোকিত মানুষের কাছ থেকে কিন্তু জাতি অনেক কিছু আশা করে। আগামী বই মেলায় আপনার লিখা একটি বই চাই কিন্তু ভাইয়া।
সেই পর্যন্ত ভালো থাকুন, খুব ভালো।
লিখাটি পোষ্ট করার সময় অনেকের মাঝে তোমাকেও মনে পড়েছিলো। যাক শেষাবধি সৌভাগ্যবশতঃ পেলাম তোমাকে। লিখো না কেন? লিখার এই সুন্দর জগতটাকে কখনো ছেড়ো না কিন্তু!
হ্যাঁ ছোট ভাই গাজী সালাউদ্দিন একদিন ইমেইল থেকে এই বানু আপাকে আবিস্কার করেছিল।
যাক তোমার আন্তরিকতাপূর্ণ উপস্থিতিতে ভীষণ আনন্দিত হলাম। বইমেলায় পদধূলি পড়ুক সেই প্রত্যাশায়।
এমনভাবে তোমার কথাগুলো হৃদয় থেকে উৎসারিত হয়েছে যে, আমার ক্ষত হৃদয় থেকে নতুন করে তাজা রক্ত ঝরালে!
আমিও সব্বাইকে খুব খুব মনে করি। ঠিক যেন ছোটবেলার অবোধপ্রাণ অকৃত্রিম শুভার্থীদের মত! যা একান্তই সম্পর্কিত স্রস্টার সন্তুষ্টির সাথে।
আমি খুব আশাবাদী মনের মানুষ। তাই ভাবি আবারো বিডি ব্লগ সকল ভালো মানুষগুলোর প্রাণের স্পন্দনে আবারও মুখরিত হয়ে উঠবে একদিন। ইনশাআল্লাহ্!
প্রথমেই আন্তরীক শুকরিয়া মহান এই কাজের আঞ্জাম দেওয়ার জন্য, আল্লাহ তায়ালা আপনাকে এই বইয়ের মাধ্যমে চির অমর করে রাখুন।
সত্যিই প্রসংশার দাবী রাখে আপনার মহান কাজটি। আল্লাহ তায়ালা কবুল করুক।
দুনিয়াবী বিভিন্ন ব্যস্ততায় ব্লগ পাড়ায় একদম আশা হয় না। মাঝে মাঝে এলেও শিরোনাম পড়েই বিদায় নিতে হয়।
দোয়া চাই, অনেক দোয়া।
আল্লাহ তায়ালা আপনার দুনিয়া ও আখিরাত খাইরে ভরিয়ে দিক।
অনেক শুকরিয়া বানু খালামনি অধমকে স্মরণ করার জন্য।
দেশে ফেনীতে আপনার বই পাঠানোর ব্যবস্থা হবে কিনা জানাবেন।
আপনার আন্তরিক উপস্থিতি ও হৃদয়স্পর্শী দোয়ায় অভিভূত হলাম। ব্যস্ততা সত্ত্বেও কষ্ট করে এসে উৎসাহব্যঞ্জক অনুভূতি রেখে যাওয়ার জন্য অন্নেক শুকরিয়া।
জান্নাত্মনিটা মনে হয় অনেক বড় হয়েছে!? তাইনা আংকেল?
আজকে ওর আগের ছবি দেখলাম।
ঠিকানা দিলে কাউকে দিয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করবো ইনশাআল্লাহ্!
অভিনন্দন খালামুনি
মন্তব্য করতে লগইন করুন