জোনাকিরা জ্বলে
লিখেছেন লিখেছেন সন্ধাতারা ২৪ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:১০:৩৯ রাত
কচি নিষ্পাপ চোখের স্ণিগ্ধ চাহনিগুলো আজো হৃদয়পটে অঙ্কিত হয়ে আছে মালিহার। কনকনে শীতের সকালে শিশির বিন্দুতে ভিজে ছুটে আসে প্রতিদিন তারা কোরআন শিখতে। ছোট ছোট কচি কণ্ঠের সুমধুর সুরে কোরআন তেলোওয়াত শুনলে মনে হয় আসমান থেকে বেহেস্তী হীরার টুকরোগুলো ঝরছে। ঝর ঝর করে। সুরের অনবদ্য ঝংকারে। এ মোহময় সৌন্দর্যের চিত্র অতুলনীয়, বর্বণাতীত। প্রত্যেকটি শিশুই দেখতে যেন এক একটি শুভ্র ঝিনুক। যার ভিতরে লুকিয়ে আছে অজানা ঐশ্বর্যের বিশাল এক সম্ভার। অনন্ত ভাণ্ডার।
তাদের সাথীদের মধ্যে একটি মেয়ের নাম মাহিয়া। তার বাবা পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। সারাদিন শেষে যা আয় হয় এই দিয়েই কোন রকমে চলে যায় তার পরিবারের আহার ও ভরণ পোষণ। আবার বৃষ্টি বাদল কিংবা বৈরী প্রাকৃতিক পরিবেশে কাজ না পেলে অনাহারে অর্ধাহারে কেটে যায় তাদের দিনরাত। যে ঘরে বসে মাহিয়া প্রত্যেহ সকালে কোরআন পাঠ করে সে ঘরের পুরো কাজটিই করেছে তার বাবা অন্য সহকারী মিস্ত্রীসহ। মাহিয়া যখন সুমধুর সুরে কোরআন তেলোওয়াত করে তখন তার বাবার কলিজাটা জান্নাতী আবেশে বরফ শীতল হয়ে উঠে। অনেক গর্ভভরে বলে উঠে আমার মেয়ে খুব সুন্দর করে কোরআন পড়তে জানে। যা আমি কোনদিন স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। সে এখন আরবীর পাশাপাশি বাংলাও শিখছে। মাহিয়ার গর্বিত বাবার কথাগুলো আলোড়ন তোলে মালিহার হৃদয়ে। দেশে দেশে কতো শত কোটিপতির সন্তানেরা যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা নেশা করে ও মাদকদ্রব্য সেবন করে অর্থহীনভাবে অসৎ পথে টাকা উড়াচ্ছে সেখানে মাহিয়ার বাবারা ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কত অসহায়। কতো ছোট্ট স্বপ্ন পূরণের মাঝে তাদের পূর্ণ প্রাপ্তির বিশালতা। ভাবতেই দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে মালিহার।
মাহিয়ার বাবাসহ প্রত্যেক পরিবারের সুপ্ত অনুভূতি ও বাসনার কথা শুনে মুগ্ধ হয়ে যায় মালিহা। চোখের সামনে ঘুমন্ত কলিদেরকে ফুটতে দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠে সে। অন্ধকার রাতে চোখের সামনে তখন মনে হচ্ছিল জোনাকিরা জ্বলছে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৬ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার স্বতঃস্ফূর্ত প্রেরণামূলক প্রথম উপস্থিতি ভীষণ আনন্দিত করলো।
সর্বাবস্থায় ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এই প্রার্থনা।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার স্বতঃস্ফূর্ত প্রেরণামূলক উপস্থিতি ভীষণ আনন্দিত করলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার স্বতঃস্ফূর্ত প্রেরণামূলক উপস্থিতিসহ ভালোলাগার অনুভূতিতে ভীষণ আনন্দিত হলাম।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
সত্যিই আল্লাহ তায়ালার উপর বিশ্বাসীদের অবস্থা দুনিয়াতে বেশির ভাগই এমন হয়।
মাহইয়া ও তার বাবা দুনিয়াতে ও আখিরাতে সম্মানিত হোক।
সুন্দর কলামটির জন্য শুকরিয়া।
পড়তে পড়তে নিশ্চয়ই জান্নাত মণিটার কথা খুব করে মনে পড়েছিলো তাই না আংকেল?
আপনার স্বতঃস্ফূর্ত প্রেরণামূলক উপস্থিতিসহ চমৎকার একটি মন্তব্যে ভীষণ আনন্দিত হলাম।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনি কী ফেস বুকে নিয়মিত থাকেন?
তোমার স্বতঃস্ফূর্ত প্রেরণামূলক উপস্থিতিসহ চমৎকার একটি মন্তব্যে ভীষণ আনন্দিত হলাম। যদিও আমার যোগ্যাতার মাপকাঠি শূন্যের কোঠায়।
আপুরে......!!!! ফেস বুকে আমার উপস্থিতি একেবারেই নেই। তবে আমার ব্লগের লিখাগুলো নিয়মিত পোষ্ট করি। এইটুকুই।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার ভালোলাগার অনুভূতিতে আনন্দিত হলাম।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন