মহাকাশে মহানস্রষ্টার মহাবিস্ময়কর সৃষ্টি!
লিখেছেন লিখেছেন সন্ধাতারা ০১ নভেম্বর, ২০১৬, ০৯:১৭:৫২ রাত
অনন্ত অসীমের মাঝে মহাকাশে মহানস্রষ্টার মহাবিস্ময়কর সৃষ্টির অস্তিত্ব খুবই রহস্যময় ও অলৌকিক। ডিসকভারি ম্যাগাজিন মহাবিশ্বের ১৩ টি নয়নাভিরাম বৃহত্তম, শীতলতম, উষ্ণতম, প্রাচীনতম, ভয়ঙ্করতম, দূরতম অন্ধকারতম ও সবচেয়ে উজ্জ্বলতম স্থান নিয়ে অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ব্যতিক্রমী একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছেন। নেট থেকে সংগৃহীত তারই সংক্ষিপ্ত কৌতূহলপূর্ণ কিছুটা বর্ণনা নিজের পরিবেশনায় পাঠকের জন্য তুলে দেয়া হল।
১। দ্য এল গর্দো গ্যালাক্সি ক্লাস্টার
মহাবিশ্বের অদ্ভুত এক তালিকায় প্রথম স্থান করে নেয় এল গর্দো। স্প্যানিশ এই শব্দের অর্থ “স্থুলকায় ব্যাক্তি”। তাইতো এর ভর সূর্যের চেয়ে ৩০০ লাখ গুণ বেশী। গ্যালাক্সির অবস্থান পৃথিবী হতে ৯৭০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
২। দ্য ব্লাক উইডো পালসার
উইডো পালসারের ভয়ঙ্কর সঙ্গী নিউট্রন নক্ষত্র। সূর্যের চেয়ে তার ভর দ্বিগুণ এবং প্রস্থে ওয়াশিংটন ডিসির সমান। যা ক্রমেই সঙ্গী নক্ষত্র থেকে দূরে সরে গিয়ে বড় হচ্ছে আকৃতিতে। পালসারটিকে ঘিরে থাকা রঙ্গিন দাগের মত অংশ ধীরে ধীরে এর মধ্যে প্রবেশ করে। এটি নক্ষত্রটিকে বাড়তি শক্তি দান করে। এইভাবে নক্ষত্রের সঙ্গীটির শক্তি হ্রাস পেতে পেতে একদিন অদৃশ্য হবে।
৩। ৩৭৫৩ ক্রইথন
৩৭৫৩ ক্রইথন গ্রাহাণু পৃথিবীর সমান সময় ৩৬৫ দিনে সূর্যকে ঘুরে আসে। ৩ দশমিক ১ মাইল ব্যাসার্ধের গ্রহাণুটির গতিপথও পৃথিবীর কক্ষপথকে দুবার অতিক্রম করেছে। ১৯৮৬ সালে গতিপথে পৃথিবীর এই যমজের কথা প্রথম জানা যায়। তবে এটি পৃথিবীকে কোনভাবেই আঘাত করবে না। পৃথিবী থেকে গ্রহাণুটি সর্বনিম্ন ৭৫ লাখ মাইল দুরত্বে আসে।
৪। রগ প্ল্যানেট
যে তারকা থেকে সৃষ্টি হয়েছে সেই অভিভাবক নক্ষত্র ও স্বজনদের ছেড়ে একাকী ঘুরে বেড়াচ্ছে এসএফবিডিএসআইআর ২১৪৯ গ্রহ। পৃথিবী থেকে ১০০ আলোকবর্ষ দূরে এর অবস্থান। তারকা থেকে গঠন প্রক্রিয়ায় শুরুতেই ওই গ্রহ ছিটকে পড়ে। পরে মহাশূন্যে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে। জ্যোতির্বিদদের ধারণা, মহাশূন্যে এরূপ নিঃসঙ্গ গ্রহের সংখ্যা শতকোটি।
৫। স্মিথস ক্লাউড
আমাদের চোখে যদি বেতার তরঙ্গ দেখা যেত, তাহলে রাতের আকাশে পূর্ণচাঁদের চেয়ে ২০ গুণ হয়ে দেখা দিত স্মিথস ক্লাউড। হাইড্রোজেন গ্যাসের এই মেঘের ভর ১০ লাখ নক্ষত্রের চেয়ে বেশী।
৬। গ্যাসাক্সি এক্স
গ্যাসাক্সি মিল্কওয়ে থেকে তিন লাখ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এক স্যাটেলাইট গ্যালাক্সি। এর পুরোটাই কৃষ্ণবস্তু আর গ্যাসে তৈরি। ২০০৯ সালে প্রথম গ্যালাক্সির অস্তিত্ব নিশ্চিত করেন জ্যোতির্বিদগণ। গ্যালাক্সি এক্সে তেমন কোন নক্ষত্র নেই বলে ধারণা করা হত। তবে সম্প্রতি জ্যোতির্বিদগণ জানিয়েছেন, গ্যালাক্সির দূরতম প্রান্তে শতকোটি বছর বয়সী অনেক নক্ষত্র আছে।
পরিশেষে মহান স্রষ্টার সীমাহীন সৃষ্টির বিশালতার মাঝে মহাবিস্ময়কর এই মহাকাশের অভিভূত করা অলৌকিক রহস্যেঘেরা দৃশ্য মনুষ্য জাতিকে আন্দোলিত, ভাবিত এবং তাঁরই দিকে ধাবিত করুক এই প্রত্যাশা ও প্রার্থনা।
বিষয়: বিবিধ
১৬৩৮ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার প্রাঞ্জল উপস্থিতি ও অনুপ্রেরণাদান অব্যাহত থাকুক নিষ্প্রাণ ব্লগ বাড়ীতে।
মন্তব্যের জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার প্রাঞ্জল উপস্থিতি ও অনুপ্রেরণাদান অব্যাহত থাকুক নিষ্প্রাণ ব্লগ বাড়ীতে।
মন্তব্যের জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার প্রায় লেখা নীরবে এসে পড়ে এবং নীরবে চলে যাই। মাঝে মাঝে পড়ি আর ভাবি আপনার জীবনটাও মনে হয় এমন সাজানো গুছানো যেমনটা লেখনীর মাঝে দেখতে পাই।
জাযাকাল্লাহু খাইরান
আপনার চমৎকার মন্তব্যটি পড়ে বেশ কৃতার্থ হলাম। অভিভূত হলাম। জেনে ভালো লাগলো যে, আমার প্রায় লেখা আপনি নীরবে এসে পড়ে আবার নীরবে চলে যান। মাঝে মাঝে আপনাকে আমার লিখার কাঠামোবিন্যাস ও অঙ্গসজ্জা ভাবিতও করে জেনে। পড়ে মনে হল আমার অনুভূতির জগতে এটোম বোম ছুঁড়েছেন।
আমার লিখাগুলো সাজানো গুছানো কিনা জানিনা। এ বিচারের ভার সন্মানিত পাঠক মহলের, তবে বাস্তব জীবনে আমাকে অনেকবারই প্রশংসাসূচক মন্তব্য শুনতে হয়েছে যে, আমি অনেক অরগানাইজড।
সত্যি বলতে কি! আমার প্রায় লিখাগুলোর সৃষ্টি হয় ওযুরত অবস্থায়। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পবিত্র পরিবেশে। অন্যথায় এলোমেলো পরিবেশে আমার হৃদয় থেকে একটি ভালো চিন্তার বীজও উদিত হয় না।
থাক! আজ এ পর্যন্তই। ভাবাবেগে অনেক অনাহুত কথা বলে ফেললাম।
আপনার জন্য নিরন্তর দোয়া ও মঙ্গল কামনা।
সুবহানাল্লাহি ওয়া বি হামদিহি
ফা তাবারাকাল্লাহু আহসানুল খালিকীন
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকিল্লাহ
বরাবরই আপনার মূল্যবান উপস্থিতি প্রেরণাদায়ক ও আনন্দের, আজকের উপস্থিতিও তার ব্যতিক্রম নয়।
ভাল থাকবেন, খুব ভালো।
জাযাকাল্লাহু খাইরান
আপনার মূল্যবান উপস্থিতি ও হৃদয়ছোঁয়া অনুভূতি ভীষণ আনন্দিত ও মুগ্ধ করলো।
বিডি ব্লগে আমার প্রথম ভালোলাগার শুরুটা হয়েছিলো আপনার একটি অনবদ্য সৃষ্টিশীল লিখা পড়ে। কতবার যে “বিয়ে” বিষয়ক লিখাটি পড়েছি আমি!
আমার জন্য দোয়া করবেন।
জাযাকাল্লাহু খাইরান।
আসসালামুআলাইকুম
আপনার মূল্যবান উপস্থিতি ও হৃদয়ছোঁয়া অনুভূতি ভীষণভাবে আনন্দিত ও মুগ্ধ করলো।
জাযাকাল্লাহু খাইরান
আপনার মূল্যবান উপস্থিতি ও হৃদয়ছোঁয়া অনুভূতি ভীষণভাবে আনন্দিত ও মুগ্ধ করলো।
জাযাকাল্লাহু খাইরান
তারা গ্রহ নক্ষত্রের কথা বলে, ভালো তো ভালো না।
লিখাটি খুব ভালো লেগেছে জেনে আমিও ভীষণভাবে আনন্দিত হলাম।
দোয়া করবেন বেশী করে।
জাযাকাল্লাহু খাইরান।
তোমরা আল্লাহর কোন কোন নেয়ামত করবে অস্বীকার।
আলহামদু লিল্লাহ অনেক কিছু জানলাম। জাযাকিল্লাহ খাইর।
আসলেই আমাদের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র সব শব্দ, ভাষা, চিন্তা ও জ্ঞান দ্বারা মহান রবের নিয়ামতরাশির প্রশংসা অসম্ভব। শুধু কৃতজ্ঞতায় মস্তক নুয়ে আসে।
আপনার মূল্যবান উপস্থিতি ও হৃদয়ছোঁয়া অনুভূতি ভীষণভাবে আনন্দিত ও মুগ্ধ করলো।
জাযাকাল্লাহু খাইরান।
আমার জীর্ণ কুটীরে প্রথম পদার্পণের জন্য জাযাকাল্লাহু খাইরান।
আমার জীর্ণ কুটীরে প্রথম পদার্পণের জন্য জাযাকাল্লাহু খাইরান।
সুন্দর মূল্যায়নপূর্বক চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জাযাকাল্লাহু খাইরান।
মন্তব্য করতে লগইন করুন