শোকের সাগরে শান্তির নহর
লিখেছেন লিখেছেন সন্ধাতারা ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০২:৩৫:১৭ দুপুর
কম্পিত দিলে বিধবা নারী অশ্রু মুছে ফেলে
কচি চাঁদ মুখ হাসে মুসলিম মায়ের কোলে।
স্বপ্ন নিয়ে বাহাদুর মা মুজাহিদ গড়ে তোলে
সর্বশক্তি উজাড় করে দেয় মন প্রাণ ঢেলে।
দিবারাত্রি কর্তব্যে কাটে চোখে নাহি নিদ
সবার অলক্ষ্যে বেড়ে উঠে বীর মুজাহিদ।
অত্যাচারের ক্ষত লুকিয়ে রাখে দিলের গহীন তলে
আরাম আয়েশ হারাম করে, খোদায়ী হুকুম তামিলে।
মওতকে তার নেইকো ডর দ্বীনি তামান্না বুকে
শহীদ পতির স্পর্শ পায়, শান্তির সুবাস শোকে।
মুয়াজ্জিনের মধুর সুরে তরঙ্গ জাগে কূলে
মানব বাগিচায় ঢেউ জাগে সিঞ্চিত তরুমূলে।
বিষয়: বিবিধ
১১৩৬ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক অনেক ধন্যবাদ
ওয়াও! অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তি!!
কেমন আছেন সবাই? কোথায় আছেন এখন?
ঈদ মোবারক। অনেক দেরীতে হলেও।
ঈদ পুনর্মিলনীতে আপনার উপস্থিতি পেলাম না। আপনার বুঝি ঈদ স্মৃতি নেই?
আর হ্যাঁ অবিশ্বাস্য হলেও সত্য ঈদের পর থেকে এক নাগাড়ে ৯৭ ঘণ্টা কর্মস্থলে কেটেছে। তাই শত ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ব্লগে ঢু মারতে পারিনি। তবে এবারের ঈদের অনুভূতি একটু ব্যতিক্রমী।
প্রথমবারের মত বাবা মা আমি ও সন্তানসহ সকলের কোরবানী ইউ কে-তেই দিয়েছি। তাই আনন্দের মাত্রাটাও একটু বেশীই ছিল।
নিজ হাতে সবাইকে পরিবেশন করেছি। দেশের মত। সবকিছু মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটি ঈদ উদযাপন করেছি এখানে। যদিও আপনজনদের নাড়ীর টান অনুভব করেছি পাশাপাশি।
এতোদিন যদিও বাবা মা ছাড়াই ঈদ করেছেন, এবার সেটাও পূর্ন হলো।
আপনার নিজ হাতে পরিবেশন করা খাবার আমিই শুধু খেতে পারলাম না!
আচ্ছা, আমাদের দেশে বড় দিনে ছুটি দেয়, সে দেশে ঈদে ছুটি নেই কেন নাকি আছে?
না, আপনি ব্লগে ভালোই সময় দেন। শুকরিয়া
আর আমার মমতাময়ী জননী দেশেই আছেন। বহুবার চেষ্টা করেছি মাকে নিয়ে আসতে। কিন্তু মায়ের অনিচ্ছায় তা আর সম্ভব হয়নি। মায়ের নামে কোরবানী হয়েছে এখানে এই যা। না পাওয়ার বেদনার চেয়ে পাওয়ার আনন্দটুকু নিয়ে বেঁচে থাকা সঠিক নয় কি ছোট ভাই?
আর হ্যাঁ ঈদে সরকারী ছুটি নেই সত্যি। তবে কেউ ইচ্ছা করলে অবশ্যই ম্যানেজ করতে পারে বলে আমার বিশ্বাস। কেননা রমযানে ইতেকাফ করার সময় আমাকে ছুটি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। কিন্তু আমি ছিলাম অনড়। অবশেষে আমাকে ছুটি দিতে বাধ্য হয়েছিলো।
আপনাকে খাওয়াতে পারলে খুবিই ভালো লাগতো। উপায় তো নেই ছোট ভাই!
প্রোফেশন মেডিক্যাল ফিল্ডে, এটাও ইবাদত সমতূল্য। তারপরও আগাম জানিয়ে রাখলে ছুটি
পেতে পারেন। এক নাগাড়ে ৯৭ ঘণ্টা কর্মস্থলে কেটিয়েছেন, সত্যিই কষ্ট দায়ক। তারপরও
ব্লগ বাচিয়ে রেখেছেন।
আপনার মূল্যবান উপস্থিতি এবং আবেগঘন সুন্দর মন্তব্য সত্যিই হৃদয় নাড়িয়ে দেয়। আসলে বিডি পরিবারের সকলেই আমরা এই পরিবেশের মানুষগুলোকে অনেক বেশী আপন ভাবি। মনে হয় যেন জনম জনমের চেনা। তাইতো শত প্রতিকূলতা মাড়িয়ে হাজিরা দেয়ার আকুল তাড়না।
সকলেরই প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায় তাই এখনো ব্লগটির মৃদু আলো টিপ টিপ করে আলো বিলিয়ে যাচ্ছে।
আপনাকে অনেক আন্তরিক মুবারকবাদ ভাইয়া।
মাত্র চার টুকরো গোস্ত দিয়ে ঈদ করেছেন জেনে অনেক কষ্ট লাগলো। তারপরও আপনি যেভাবে বিরামহীনভাবে আপনার ভালোলাগা ব্লগটিতে ছড়িয়ে দেন তা সত্যিই অনেক প্রশংসনীয়।
মঙ্গলময় আপনাকে সদা ভালো রাখুন এই প্রার্থনা।
ধন্যবাদ আপনাকে
এসব দৃশ্য দেখলে সত্যিই বুক ফেটে যায়। কবিতায় কি এসব চিত্রিত করা সম্ভব!
তারপরও আপনার সুন্দর উপলব্ধি ও প্রেরণাপূর্ণ অনুভূতির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
ভালো থাকুন দোয়া রইলো। আমাদের জন্যও দোয়া করতে ভুলবেন না যেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন