সুরে সুরে…… সূরা আর-রাহমান…ভাবানুবাদ
লিখেছেন লিখেছেন সন্ধাতারা ২০ জুন, ২০১৬, ০২:২৬:৫০ দুপুর
(আয়াতঃ ২৯-৬১ )
শুরু করি কর্ম রহমানুর রহীম আল্লাহ্র নামে,
অফুরান করুণা যিনি করেন বরিষণ এই ধরাধামে।
আকাশমণ্ডলী ও যমীনে যা আছে সবই তাঁর প্রার্থী,
আর মহান রব গুরুত্বপূর্ণ কাজে সদা থাকেন ব্রতী।
রবের কোন অনুগ্রহ হতে তোমরা রবে বিরত?
তিনি যখন সৃষ্টিকে অনুগ্রহ দান করেন অবিরত!
হে মানুষ ও জ্বিন! আমি শীঘ্রই তোমাদের নেব হিসাব,
কোন অনুগ্রহের করবে অস্বীকার যা দিয়েছেন তোমার রব?
হে জ্বিন ও মানব সম্প্রদায়!
আকাশমণ্ডলী ও জমিনের সীমা অতিক্রম করা দুঃসাধ্য তোমার,
অথচ রবের অনুগ্রহকে তোমরা কেমনে করো অস্বীকার!
উভয়ের প্রতি সেদিন প্রেরিত হবে ধুম্রপুঞ্জ ও শিখা আগুনের,
সেদিন কোন মানুষ ও জ্বিন জিজ্ঞাসিত হবে না তাদের পাপকর্মের।
আকাশ বিদীর্ণ হবে রূপ হবে রক্তিম গোলাপ লাল চামড়ার,
তাহলে রবের কোন অনুগ্রহকে তোমরা করবে অস্বীকার?
অপরাধীদের পরিচয় মিলবে লক্ষণ দেখে চেহারার
পাকড়াও করা হবে পা ও কেশাগ্র ধরে মাথার,
রবের কোন অনুগ্রহকে তোমরা করবে অস্বীকার?
এটিই সেই জাহান্নাম যা অপরাধীরা করতো মিথ্যারোপ
ওরা জাহান্নামের অগ্নি ও ফুটন্ত পানিতে খাবে ঘুরপাক,
সেদিন রবের অনুগ্রহকে মিথ্যারোপ করে হবে না কি হতবাক?
আর যে ব্যক্তি রবের সম্মুখে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে
তার জন্য রয়েছে দু’টি উদ্যান,
সেদিন তারা রবের অনুগ্রহে পাবে উত্তম সম্মান।
উভয় উদ্যান দু’টি ঘন শাখা পল্লব বিশিষ্ট পূর্ণ বৃক্ষের,
রবের কোন অনুগ্রহকে তোমরা করবে অস্বীকার?
উভয় উদ্যানে থাকবে প্রবাহমান দুই প্রস্রবণ,
এটি হল দয়াময় প্রভূর অনুগ্রহের দান।
উদ্যানের প্রত্যেক ফল হবে দু’প্রকার,
রবের কোন অনুগ্রহকে তোমরা করবে অস্বীকার?
হেলান দিয়ে বসবে সেথা অভ্যন্তরভাগ হবে পুরু রেশমের
কাছাকাছি ফল ঝুলবে দুই উদ্যানের,
রবের কোন অনুগ্রহকে তোমরা করবে অস্বীকার?
আরও থাকবে আয়তনয়না তরুণীর মেলা
যারা মানুষ বা জ্বিনের ছিল ছোঁয়ার বাহির,
রবের কোন অনুগ্রহকে তোমরা করবে অস্বীকার?
তারা হবে প্রবাল ও পদ্মরাগ সদৃশ্যের,
রবের কোন অনুগ্রহকে তোমরা করবে অস্বীকার?
উত্তম কর্মের জন্য এটিই হল উত্তম পুরুস্কার,
রবের কোন অনুগ্রহকে তোমরা করবে অস্বীকার?
বিষয়: বিবিধ
১১৩০ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সূরা আর রহমান হচ্ছে-কুরআনের অলংকার! আর আপনি কাব্যালংকার দিয়ে সাজিয়েছেন সূরাটি।
সত্যিই অনন্য, অনবদ্য।..জাযাকাল্লাহ।
আপনার মূল্যবান উপস্থিতি ও গুরুত্বপূর্ণ অনুভূতির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
দোয়া করবেন মহান রাব্বুল আলামীন যেন লিখার ভাবনাগুলোকে সহজ, সাবলীল ও সুন্দর করে দেন।
এ সমস্ত আয়াত সামনে আসলে আমার ভয় করে, আমি গুনাহগার যদি এমন দূর্ভাগ্যে পড়ি, আল্লাহ তায়ালা ছাড়া বাচানোর কেউ থাকবে না।
দুনিয়ার বাহাদুরি, বাহবা সবই দুলিস্যাৎ হয়ে যাবে গো!
সুন্দর পোষ্টটির জন্য অনেক অনেক আন্তরিক শুকরিয়া। জাযাকিল্লাহ খাইর
ঠিকই বলেছেন এসব আয়াত পাঠ করলে অন্তরাত্মা ভয়ে কেঁপে কেঁপে উঠে।
মহান রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলকেই তাঁর কল্যাণের পথে অবিচলিত রাখুন। আমীন।
আপনার মূল্যবান উপস্থিতি ও গুরুত্বপূর্ণ সুন্দর অনুভূতির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
দোয়া করবেন মহান রাব্বুল আলামীন যেন লিখার ভাবনাগুলোকে সহজ, সাবলীল ও সুন্দর করে দেন।
চমৎকার মন্তব্যটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার মূল্যবান উপস্থিতি ও সুন্দর ভালোলাগা অনুভূতির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
ব্যস্ততা সত্ত্বেও আপনার মূল্যবান উপস্থিতি ও সুন্দর ভালোলাগা অনুভূতির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন