হিয়ার মাঝে রেখেছি তোমায় পুস্প মালিকা করে.. (অবশিষ্টাংশ)
লিখেছেন লিখেছেন সন্ধাতারা ০১ জুন, ২০১৬, ০৯:২৯:১৩ রাত
আলোকপ্লাবী ভূবণমোহিনী সত্যের শ্বাশত কিরণে ইসলামের বাগিচায় উদ্ভাসিত হয়েছিলেন অবিশ্বাস্য চরিত্রমাধুর্যে পূর্ণ এক মহামানব হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা ﷺ। যার নক্ষত্রস্পর্শী চুম্বকীয় আকর্ষণে আঁধারির মাঝে উৎসারিত হয়েছিল অনিঃশেষ আলোর অবিস্মরণীয় মনোমুগ্ধকর ঝর্ণাধারা। অজ্ঞতার অন্ধকারে ফুটে উঠলো হিরণ্ময় এক অভূতপূর্ব আলোর দিশারী। উদিত হল বিশ্বময় বহু প্রতীক্ষিত এক নতুন সূর্যের। বাবা আব্দুল্লাহ ও মা আমেনার রক্তের নিধি ধরণীর মানচিত্র বদলিয়ে দিতে এক নব আঙ্গিকে আবির্ভূত হলেন। বিশ্ব মানবের কাছে। ঐক্য, আযাদী, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্যের মহাপয়গাম নিয়ে। শত শত বছরের পাহাড়সম শেরক ও কুফরের জলন্ত অগ্নিতে ছড়িয়ে দিলেন শান্তিময় শীতল পানীয়।
আমাদের নবীজির দূরদর্শী প্রজ্ঞা, দ্বীনের দ্যুতিময় শক্তি ও তাঁর জগৎখ্যাত ত্যাগের মহিমা তামাম দুনিয়াকে হতবাক করে দিয়ে একে একে জুলুম সংঘাতের মূলোৎপাটন করলো। মূর্তি ও কলহের প্রাসাদ গুড়িয়ে দিয়ে রোপণ করলেন সাম্য, সৌহার্দ্য ও শান্তির বৃক্ষ। মূল শেকড়ের যত্নে নিরলসভাবে পানি সিঞ্চন করলেন। ধীরে ধীরে অমানুষরা মানুষ হতে শুরু করলো।
যদিও তখনো কিছুসংখ্যক অবিশ্বাসী প্রিয় নবী (সাঃ) এর পথের কাঁটা হয়ে অহর্নিশ বাধার প্রাচীর গড়ে তোলেন। অমানুষিক দৈহিক ও মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে তাঁর কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইলেন। কল্পনাপ্রসূত নিকৃষ্ট ষড়যন্ত্রের বিষদাগার গড়ে তুললেন এই মহামানবের বিরুদ্ধে। আর কালে কালে এসব অসৎ প্রকৃতির লোক ও হতভাগ্যদের ব্যাপারে স্বয়ং মহান রাব্বুল আলামীন পাক কালামে বলেনঃ
যারা অবিশ্বাসী তাদের কর্ণে রয়েছে বধিরতা এবং ইহা তাদের জন্য অন্ধকারস্বরূপ (সূরা হামীম সাজ্বদাহঃ ৪৪)। এই অন্ধ বধির ও বাকহীন হতভাগ্যরা কখনই ফিরবে না ( সূরা বাকারাঃ ১৮)। দু’চোখ ভরা অন্ধত্ব এবং হৃদয়ভরা গোমরাহী দিয়ে স্বচ্ছ দর্পণকেও অস্বচ্ছ, অন্ধকার ও কদাকার মনে হয় তাদের। তাই যে সৎকাজ করে সে নিজের ভালোর জন্যই তা করে এবং যে অসৎকর্ম করে সে নিজের অমঙ্গল ডেকে আনে। মহান প্রভু “তাঁর বান্দাদের প্রতি অত্যাচারী নহেন” (সূরা হামীম সাজ্বদাহঃ ৪৭)। সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক রাসূলকে সত্য সাক্ষ্যদান করার পর ও তাঁর নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসার পর, তা জেনে শুনে যে কাওম কুফরী করে, আল্লাহ্ কীরূপে তাদের সৎপথের নির্দেশ দেবেন? আল্লাহ্ জালেমদেরকে সৎপথ দেখান না (সূরা আল ইমরানঃ ৮৬)। আর আল্লাহ্র আদেশ পরিবর্তনের সাধ্য কারো নেই (সূরা আন’আমঃ ৩৪)।
আল্লাহ্ কোরআনুল কারীমে নবীজিকে আরও বলেন; বলুন, আপনার নিকট আল্লাহ্র কোন ধনভাণ্ডার নেই, অদৃশ্য সম্বন্ধেও আপনি জ্ঞাত নন এবং আপনি ফেরেশতা নন, আপনি শুধু অবতীর্ণ ওহীর অনুসরণ করেন মাত্র! আপনি বলুন, “অন্ধ ও চক্ষুস্মান কি সমান? তোমরা কেন তা অনুধাবন কর না? (সূরা আন’আমঃ ৫০)। আল্লাহ্পাক এও বলেন, “আপনি শুধু মুমিনদের সতর্ককারী ও সুসংবাদবাহী (সূরা আরাফঃ ১৮৮)।
কিন্তু পরিতাপের বিষয় একজন রাখালের ডাক শুনে পশুরা ঘাস খাওয়া বন্ধ করে তার কাছে ছুটে যায় কিন্তু অসাবধান মানুষ তার প্রতিপালকের আহ্বান শুনার পরও ভ্রুক্ষেপ না করে অন্যায় ও অসৎকর্মে লিপ্ত থাকে। ঘুমন্ত মানুষকে ধাক্কা দিলে সে সজাগ হয় কিন্তু পার্থিব জীবনের প্রতি মোহাসক্তি তাদের এতটাই তীব্র যে শত ধাক্কা দিলেও তারা জাগে না। এজন্যই আকাশচুম্বী অনৈতিক চাহিদার কারণে পশু মনোবৃত্তির মানুষগুলো হয় লোভী এবং পরমুখাপেক্ষী। পার্থিব জীবনে ভোগ বিলাসের লালসায় তারা পূর্ণশক্তিতে ইসলামের বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে। এমনিভাবে হতভাগ্য আবু লাহাব এবং আবদুল্লাহ বিন উবাই তাদের বাসস্থান অনন্তকালের জাহান্নামকে বেঁচে নিয়েছেন। হে বিশ্বাসীগণ! আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর; এবং তোমরা যখন তাঁর কথা শোন তখন তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না এবং তোমরা তাদের মত হয়ো না যারা বলে, শুনলাম বস্তুত তারা শ্রবণ করে না। নিশ্চয়ই, আল্লাহ্র নিকট নিকৃষ্টতম জীব বধির ও মূক যারা কিছুই বোঝে না (সূরা আনফালঃ ২০-২২)।
আল্লাহ্ বলেন, নিশ্চয়ই যারা কাফের তারা ঈমান আনবে না আপনি তাদেরকে যতই ভয় দেখান কেন; আল্লাহ্ তাদের অন্তর ও কর্ণ সমূহের উপর মোহর মেরে দিয়েছেন ও তাদের চোখের উপর রয়েছে আবরণ (সূরা বাকারাহঃ ৬-৭)। তিনি আরও বলেন, নিশ্চয়ই যারা কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে, এদের উপর আল্লাহ্, ফিরিশতাগণ ও মানব কূলের লানত। সেখানে তাদের লানত চিরস্থায়ী হবে, শাস্তি লাঘব করা হবে না এবং তাদেরকে কোন অবকাশও দেয়া হবে না (সূরা বাকারাহঃ১৬১-১৬২)। অপরদিকে আল্লাহ্, আখেরাত ও ফিরিশতাগণ, কিতাবসমূহ এবং নবীদের প্রতি ঈমান আনলে আর আল্লাহ্র প্রীতিতে, আত্মীয়, স্বজন, অনাথ, অভাবগ্রস্ত, পর্যটক সাহায্যপ্রার্থীগণকে সাহায্য করলে এবং নামায কায়েম করলে, যাকাত আদায় করলে ও প্রতিশ্রুতি করে উহা পূর্ণ করলে, অর্থ সংকটে, দুঃখ ক্লেশে ও সংগ্রাম সংকটে ধৈর্য ধারণ করলে, এরাই তারা যারা সত্যপরায়ণ ও মুত্তাকী (সূরা বাকারাহঃ ১৭৭)।
তাই সকলের প্রতি মহানবী (সাঃ) এর বিশ্বজনীন উদাত্ত আহ্বান ছিল “আল্লাহ্ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহ্র রাসূল”। যিনি মানব জাতির কাছে আল্লাহ্র আয়াতসমূহ পাঠ করে কিতাব ও হিকমাহ শিক্ষা দানে তাদেরকে পবিত্র করেন। তিনি বলেন, আল্লাহ্ এক এবং অদ্বিতীয়, তাঁর সাথে কাউকেই শরীক করো না, হারাম বর্জন করো, পিতামাতার সাথে সদয় ও বিনম্র আচরণ করো, প্রতিবেশীর হক আদায় করো এবং প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য কোনপ্রকার নির্লজ্জতার ধারেকাছেও যেও না। এতোদসত্ত্বেও যে ব্যক্তি দুনিয়ার অর্থ বিত্ত ভোগ বিলাসিতা ও কুপ্রবৃত্তির দ্বারা আচ্ছন্ন সে আল্লাহ্র নিকট প্রত্যাখ্যাত ও ঘৃণিত। তাদের অন্তর ও দৃষ্টি জাগতিক ময়লা ধূলাবালিতে পরিপূর্ণ।
এমতাবস্থায় মহানবী ﷺ এর আলোকিত আদর্শিত পথ গভীরভাবে হৃদয়ঙ্গম করতঃ সকলের নিবিষ্টচিত্তে নেক আমলের মধ্যে পার্থিব জিন্দেগীর অসারতা অনুভব করে পারলৌকিক জীবনের পাথেয় সংগ্রহে উদ্ধুদ্ধ হওয়া আবশ্যক। কেননা ঈমানের অগ্নি পরীক্ষা ব্যতিরেকে কেহই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আল্লাহ্পাক বলেন, মানুষ কি মনে করে যে, আমরা ঈমান এনেছি এ কথাটুকু বললেই পরীক্ষা ছাড়া তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হবে? যদিও আমি তাদের পূর্ববর্তীদের সকলকেই পরীক্ষা করেছি। আল্লাহ্তা’য়ালা অবশ্যই দেখবেন কে মিথ্যুক আর কে সত্যবাদী (সূরা আনকাবুতঃ ২-৩)। এই কঠিন পরীক্ষার মধ্যে প্রকৃত নিষ্ঠাবান ঈমানদারগণের অনড় মনোবল, দৃঢ়সংকল্প চেতা অদম্য সাহস এবং হিম্মতকে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করার গুরুত্ব ফুটে উঠে। অপরদিকে দুর্বল ঈমানদেরকে ধিক্কার ও লজ্জা দেয়া হয়েছে এবং জুলুমবাজ কাফেরদেরকে চরমভাবে শাসিয়ে দেয়া হয়েছে।
ইসলাম আল্লাহ্র ধর্ম এবং সেই কারণে এই ধর্ম কখনই পুরাতন বা বিফল হবে না। তাই মুমিনগণ দ্বীন প্রতিষ্ঠায় দৈহিক নির্যাতন, কঠিন বালা মুসিবতে মানসিক অস্থিরতা, মরণ ব্যধিতে কাতর অবস্থায় একমাত্র আল্লাহ্র সন্তুষ্টির লক্ষ্যে ধৈর্যধারণ ও সহিষ্ণুতার অদম্য হিম্মতের উপর ভরসা রেখে বিজয়ী হন। তাই সৃষ্টির এসব সর্বশ্রেষ্ঠ মাখলুকাত, মানবজাতির উপর আল্লাহ্র অনুগ্রহরাজি বর্ষিত হোক, জীবনের সকল ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও নিরুদ্বিগ্নতাসহ মান ও সম্ভ্রম বজায় থাকুক, প্রভূর বরকত-কল্যাণ ও প্রাচুর্যের দ্বারা অনুগ্রহীত হোক, সুখ শান্তি ও স্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যে জীবন পরিশুদ্ধ পুণ্যময় হোক এবং দুনো জাহানের কামিয়াবী অর্জন করুক এটাই প্রত্যেকের কাঙ্ক্ষিত হওয়া উচিৎ। তাই সত্যিকারের বুদ্ধিমান ও পুণ্যবান ব্যক্তি তারাই, যারা দুঃখতাপে বুকভরা ঈমানী প্রজ্ঞা ও অনুরাগের সাথে পার্থিব ইমারত ভেঙ্গে তার উপর পারলৌকিক জান্নাতিসৌধ নির্মাণ করেন। আর এই বুদ্ধিদীপ্ত জ্ঞানী মানুষেরাই তাদের জীবনাচরণে আধ্যাত্মিকতার সাথে জাগতিকতার এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটিয়ে দ্বীনের প্রকৃত সুখ ও প্রশান্তির স্বাদ অনুভব করেন ধরণীতে এবং জান্নাতে। আর এটাই নবীজির রেখে যাওয়া দ্বীনের আসল অমূল্য রত্ন সম্ভার।
এমনিভাবে বিশ্বাসীদের পার্থিব সাময়িক কষ্ট বেদনাগুলো দ্বীনের শান্তি শীতল অতল সমূদ্রে বিলীন হয়ে তৈরী হয় দিলের মধ্যে অফুরাণ মুহাব্বতের তরঙ্গমালা যা বুলিয়ে দিয়ে যায় অকৃত্রিম ভালোবাসার অমিয় ঝর্ণাধারা। পেখম মেলে উড়তে থাকা দ্বীনের শুভ্র বিচ্ছুরিত বিকীরণ অবিশ্বাস্য অনুপম এক সৌন্দর্যে ও মায়াময় স্নিগ্ধ জোছনার আলোকিত ভূবণে অপার মুগ্ধতার রৌশনী শুধুই ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় অন্তরে। মনের মণিকোঠায় গভীর মুহাব্বতের মহার্ঘ মুক্তার এই দানাগুলো মুমিনকে আগলিয়ে রাখে চিরন্তনভাবে হৃদয়স্পর্শী মমতায়। তাদের অন্তরে আরাধনার শীতল পরশ ও স্বপ্ন পূরণের অর্ধফোঁটা সত্য ন্যায়ের কলিগুলো ফুটতে থাকে ভূবণ মোহিনী অনিঃশেষ প্রশান্তির প্রস্ফুটিত পুষ্পের সুরভি হয়ে। এই পুস্পিত সুগন্ধি স্বীয় জগতের স্বর্গীয় অনুভূতিগুলো কল্যাণমাখা মধুর অনুভবের পরিপূর্ণতায় ভরপুর হয়ে উঠে মুমিনের হৃদয়ের আঙিনায় এক অনাবিল মুগ্ধতায়, যা হিয়ার মাঝে পুস্প মালিকা হয়ে জড়িয়ে রাখে পুণ্যময়তায় ভরা জান্নাতি বসন্তের বাগিচায়।
বিষয়: বিবিধ
১৫৫২ বার পঠিত, ৩৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মহান রব আপনাকে যা দান করেছেন তার কণা পরিমাণ আমি পেলে নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবতী মনে করতাম। বিজ্ঞ, বিদ্যান ও গুণীজনেরা নিজেকে বুঝি এভাবেই মূল্যায়ন করেন?
উৎসাহদানের জন্য কৃতজ্ঞতা।
লিখা রেডি হয়েছে তো?
নাকি পুটীর মাকে নিয়ে ব্যস্ত?
নিশ্চয়ই কানাডার গল্প আসছে...... সামনে
পুটীর মা’র রমযানের প্রস্তুতি আছে তো? ওনাকেও শরীক থাকার দাওয়াত রইলো।
পুটীর মায়ের অন্নেক রাগ বুঝি?
কানাডার গল্পের অপেক্ষায়...যদি অফ থাকে তো দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।
আর অাপনাকে আমি দাওয়াত করব। ইনশাআল্লাহ আগামী বছরের এপ্রিল,মের দিকে আপনার পরিবারকে আমন্ত্রন জানাবো। অথবা আমি ওকে নিয়ে লন্ডনে আসব।
ভ্রমণ ভাবনা চমৎকার। তবে বিবাহিত জীবনের প্রথম ভ্রমণ আমাদের প্রিয় নবীজীর ﷺ মক্কা মদিনা হলে খুবিই ভাল। সামর্থ্যবানদের জন্য।
জাযাকিল্লাহ....
ওয়াদামত একটানেই পূরোটা পড়লাম- যদিও গদ্য-কাব্যের হক আদায় করে ধীরগতিতে পড়তে পারিনি!
দু-এক জায়গায় একটু হোঁচট খেলাম-
সে আমার পিয়ারা রাসূল হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ)।
সে > তিনি
(সাঃ)।> ﷺ
দুনো জগতের
এই বাক্যটিতে [এবং অনুরূপ আরো] বিশেষ্য-বিশেষণের এমন এক মিশ্রণ রয়ে গেছে যা পাঠককে হয়রাণ করে!
আপনাকে হয়রাণ বা পেরেশান করার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। যা আমার লিখার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নয় বা ছিল না কখনই।
শিক্ষাজীবনে বরাবরই বাংলা ২য় পেপারে ভাল নম্বর পেয়ে শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের অনেক স্নেহভাজন হলেও আজকে আমার লিখার আবেদনটুকু একমাত্র আমার অন্তর্যামীই জানেন। যেখানে বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, অব্যয় আর ক্রিয়ার কোন বিশেষত্ব গুরুত্বপূর্ণ নয়।
হৃদয়ের আবেদনই সেখানে একমাত্র এবং শুধুমাত্র মুখ্য বিষয়।
তারপরও আপনার রেখে যাওয়া সদুপদেশ শ্রদ্ধাবনত চিত্তে বিবেচনায় রাখলাম।
পুরো সংশোধনী রেখে গেলে উপকৃত হতাম!
সেটার লোভনীয় স্বাদটাই অন্যরকম!!
আপনার মূল্যবান লিখাগুলো মাঝে মাঝে ফেস বুকে পড়ি।
ব্লগে নিয়মিত হবার অনুরোধ রইলো আপু। সেইসাথে মাহে রমযানের লিখায় আপনার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের অনুরোধ জানাই।
সবাইকে নিয়ে ভালো ও সুস্থ থাকুন। এই দোয়া ও কামনা।
তেমন সুন্দর গাথনি
সবমিলিয়ে মুগ্ধতা
পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো ও সুস্থ থাকুন। এই দোয়া ও শুভ কামনা।
মাশা আল্লাহ লিখাটির প্রতিটি পরতে পরতে রয়েছে আত্মশুদ্ধির এক হৃদয়ঙ্গম শিক্ষা।
কথাগুলো হৃদয় দিয়ে ভাবলে অনেক প্রশ্নেরই উত্তর মিলে, কারণ বিধর্মীরাও তো কুরআন হাদীস রিচার্চ করে, অনেক ক্ষেত্রে মুসলিমদের থেকে অনেকটা বেশি করে। তবুও কেন তাদের হৃদয়ঙ্গম হয় না?
আসলে এ কথাটিই সত্যঃ যারা অবিশ্বাসী তাদের কর্ণে রয়েছে বধিরতা এবং ইহা তাদের জন্য অন্ধকারস্বরূপ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ জাযাকিল্লাহ খাইর
আপনার স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি এবং চিন্তাশীল মূল্যবান অনুভূতির আলোকে রেখে যাওয়া বাস্তব প্রতিচ্ছবি সত্যিই অনেক বিষয়ের বার্তা বহন করে এবং তার যথাযথ উত্তরও সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়।
এখন সুস্থ আছেন তো আংকেল?
সর্বাবস্থায় খুব ভালো ও সুস্থ থাকুন। এই দোয়া ও শুভ কামনা।
সবাই এত এত ভাল বল্ল আমি আর কি বলব !!
বহুকাল পর তোমার উপস্থিতি অন্নেক আনন্দ এনে দিল।
সুস্থ আছো তো ছোট আপু?
আর হ্যাঁ সম্ভব হলে যদি ৮ই জুনে পরিচালকের দায়িত্বটুকু পালন করতে তাহলে অনেক অনেক উপকৃত হতাম। অনেক চেষ্টা করেও কিছুতেই ছুটি নেয়া সম্ভব হল না!
প্রিয় নবীজির (সাঃ) এর গুণগান কখনই কি বলে শেষ করা সম্ভব আপু!
অনুমতির প্রয়োজন নেই ভাইয়া। লেখার উদ্দেশ্যই হল ছড়িয়ে দেয়া। আপনার মহৎ চিন্তা ও উদ্দেশ্যকে সাধুবাদ জানাই।
জাজাকাল্লাহূ খাইর।
হৃদয়গ্রাহী চমৎকার মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য জাজাকাল্লাহূ খাইর।
আপনার জন্যও একই দোয়া রইলো। আপনাদের মত মহৎ মানুষদের উত্তম মানসিকতা এই অধ্মাকেও ভালো হতে অনুপ্রাণিত করে।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
সুন্দর একটি মন্তব্যের জাজাকাল্লাহু খাইর।
ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু.........
একই দোয়া ও প্রার্থনা তোমার জন্যও রইলো বোনটি আমার।
ভালো থেকো খুব ভালো নিরন্তর প্রত্যাশা.........
অল্প অবসরে সবার লিখাগুলো পড়ার সদিচ্ছা অবশ্যই প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ তবে প্রয়োজনীয় আমল ও রমাদ্বানের মহামূল্যবান সময়গুলো কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন। তা ঠিক ঠিক করবেন তাও জানি। তবুও বোন হিসাবে একটু স্মরণ করে দিলাম আর কি ...
মন্তব্য করতে লগইন করুন