“মক্ষিরাণী”
লিখেছেন লিখেছেন সন্ধাতারা ১২ মে, ২০১৬, ০৯:৩৬:২৬ রাত
দেশে দেশে জন্ম, জীবন ও মৃত্যুর ভেলায় চড়ে মানুষের যাত্রা হয় শুরু। এই যাত্রাপথ কখনো মসৃণ তো কখনো হয় সংঘাতময়, অভিশপ্ত। দেশের রাজা রাণীর দয়া ও মর্জির উপর নির্ভর করে! এমনিভাবে হঠাৎ করে এক দেশে ষড়যন্ত্র করে স্বঘোষিতভাবে ভয়ঙ্কররূপে আবির্ভূত হল একজন মক্ষিরাণী। তার ক্ষমতার মূলমন্ত্র হলঃ
• যে কোন উপায়ে তার গদি কেয়ামত পর্যন্ত বলবৎ রাখা। আর এই খায়েশ পূরণে বেছে বেছে সে দেশের কুখ্যাত চোর, ডাকাত, খুনি, ধর্ষক, জুয়াড়ি, মদ্যপ, অশিক্ষিত এবং মস্তিস্কবিকৃত লোকদেরকে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেয়া।
• মসনদের স্বার্থে জনগণের সাংবিধানিক অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধের মূলোৎপাটন করা।
• সত্য ও ন্যায়ের আলোকে প্রতিষ্ঠিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্যসূচিতে আমূল পরিবর্তন এনে আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে চরম মিথ্যাচারসহ ধৃষ্টতা প্রদর্শন করা। সেইসাথে পাঠ্যসূচিতে বিধর্মীদের নামে গুণকীর্তন করা।
• মাস্তান বাহিনী দিয়ে শান্তিপ্রিয় মানুষদের মধ্যে ঐক্য, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধন সমূলে ধ্বংস করে সর্বত্রই হিংসা এবং বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয়া।
• বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম ও মিডিয়াতে সর্বক্ষণ ইসলামের বিরুদ্ধে বিশদাগার করা, উলঙ্গপনাকে মদদ দেয়া এবং দেশের প্রচলিত ন্যায়নীতি ও প্রথা বিলুপ্ত করে বিজাতীয় সংস্কৃতি প্রবর্তন করা।
• পরিকল্পিতভাবে দেশের ধনসম্পদ পাচার করে দেয়া। এমনকি ব্যাঙ্কে রক্ষিত অর্থও চতুরতার সাথে অরক্ষিত রাখা এবং নানা অজুহাতে বিশাল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করা।
• দুর্নীতি, অন্যায়, নিপীড়ন ও অপশাসনের বিরুদ্ধে টু শব্দ করা মাত্রই কালবিলম্ব না করে প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে সেইসব ব্যক্তিকে লাশ বানিয়ে সেই রক্তাক্ত মৃত্যুদেহ খালে বিলেসহ যত্রতত্র ফেলে রাখা।
• মসজিদ মাদ্রাসার বিরুদ্ধে মিথ্যা কুৎসা রটনা করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সৎ ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিকে নির্যাতন করা।
• আপোষহীন, নির্ভীক কলম সৈনিক, সাংবাদিক, রাজনীতিক ও দেশপ্রেমিকদের কারাগারে পুরে রিমান্ডের নামে লোমহর্ষক শাস্তি দেয়া এবং বিচারের নামে প্রহসন করে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে দেয়া।
• মারাত্মক অপরাধপ্রবণ মানুষকে সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে ও বন্ধুত্বের পরিচয়ে ভয়ঙ্কর সাহসী করে তোলা।
• অপকর্মে পারদর্শী দুশ্চরিত্র মানুষকে জাতীয় বীরের মর্যাদা প্রদান করা।
এমনিভাবে অগণিত কুখ্যাত অপকর্মের কারণে সেই স্বঘোষিত শাসক বিশ্বব্যাপী নব্য স্বৈরশাসক, হিটলার, লেন্দুপ দর্জিসহ নানা খেতাবে ভূষিত হল। তার খ্যাতির থলেতে একে একে অনেক উপাধি জমা হতে লাগলো। তবে সর্বশেষ যে উপাধিতে সে বিশ্ববিখ্যাত হল, তার নাম “মক্ষিরাণী”।
বিষয়: বিবিধ
১৫৮৪ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার গুরত্বপূর্ণ মন্তব্যসহ প্রথম উপস্থিতি অনেক ভালো লাগলো।
মহান রব আপনাকে সর্বাবস্থায় সুস্থ ও উত্তম প্রতিদান দান করুন। আমীন।
আপনার গুরত্বপূর্ণ মন্তব্য ও উৎসাহদানে প্রীত হলাম।
অনেক দিন পর এলেন। আশাকরি ভালো আছেন?
যদিও চলমান পরিস্থিতিতে কেউই ভালো নেই!
শিরোনাম দেখে তো
গলা শুখিয়ে যাবার জোগাড় হয়ে গেছিল।
ক্লান্তি....
আপা, কদিন ধরে খুব চাপা কষ্ট বয়সে বেড়াচ্ছি।আমরা তো জানি, আল্লাহ্ কর্তৃক পরীক্ষার ধারাবাহিকতার অংশ, কিন্তু মন কেযে মানাতে পারিনা।
এ দিনতো শেষ নয়
আসিবে দিন ফিরে,
তারা সেদিনের করেছে কি ভয়
পালাবে সেদিন কোন নীড়ে?
ছন্দাকারে সত্যিই এবং সঠিক কথা ও অনুভূতি রেখে যাওয়ার জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন