সমুদ্র সৌন্দর্যের সীমাহীন সীমানায়...... শেষাংশ

লিখেছেন লিখেছেন সন্ধাতারা ০৭ এপ্রিল, ২০১৬, ১১:১৪:৪৬ রাত



মহাপ্রজ্ঞাবান স্রষ্টার অন্তরস্পর্শী সমুদ্র সৌন্দর্যের-সৌকর্যের কাঞ্চনজঙ্ঘায় বসে অলৌকিক সৃষ্টি নিয়ে বিস্ময়াবিষ্ট হয়ে ভাবে মাহদিয়া। মনোমুগ্ধকর ভাবনাস্রোতে অশ্রুপূর্ণ আঁখিদ্বয় আনন্দের আতিশয্যে চিক চিক করে উঠে। মহান প্রভুর অফুরান করুণায়। যেখানে গাঢ় নীলাভ ঢেউয়ের সাথে তরঙ্গের ছন্দে বৃক্ষপত্রের অপরিসীম সৌন্দর্যরাশি এবং নানান রঙ ও রূপের পাথরের ফাঁকে ফাঁকে লুকিয়ে আছে অনন্ত রূপশিখা। পাশে থরে থরে সাজানো মনমাতানো ক্যারাভানগুলো। যেখানে সৌন্দর্য পিপাসু মানুষগুলোর ভ্রমণবিলাসী বাস। আকর্ষণীয় রূপে গড়ে উঠেছে চারিপাশ। দলবেঁধে ধবল রঙের বিশাল আকৃতির হাঁসগুলোর উন্মাদনা উপভোগ করছে ভ্রমণপিয়াসী দর্শনার্থীরা। হস্তদ্বয়ে খাদ্য নিয়ে দণ্ডায়মান তারা। আর হাঁসগুলো উল্লসিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে সেখানে। পাশে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ছে খেলছে শান্তি সুখের পায়রাগুলো। উপস্থিত সোনামণিদের উল্লাস যেন আর ধরে না। কচি হাতে উদ্বেলিত হয়ে পরমানন্দে আদর করছে তাদের। স্রষ্টার বিশালত্ব চারিদিকে দেদীপ্যমান। আনন্দাবেগে প্রেমময়ের এক মমতাময় অনুভূতির স্পর্শ অনুভব করে মাহদিয়া। বহে অন্তর জুড়ে মহানন্দের ঢেউ। এই অভিনব অপূর্ব সুন্দরতম শৈল্পিক কারুকার্যময় সুনিপুণ সৃষ্টিস্বর্গ মাহদিয়াকে অনাবিল আনন্দে ভাসিয়ে নিয়ে যায় কেবলিই তার অনুপম বিস্ময়কর স্রষ্টার অতুলনীয় জগতে। তাঁর মহত্তম ও পবিত্রতম সুবিশাল সৃষ্টি রাজ্যের সান্নিধ্যে।



অথচ এই সুন্দরতম সৌন্দর্যপূর্ণ ধরণীকে কিছু বিকৃত পূতিগন্ধময় মানুষরূপী দানব কলঙ্কিত করছে?! করছে অশান্ত, দুর্বিষহ! নিজেদের ঘৃণিত অসৎ বাসনায়। তারা যেন আজ জল্লাদের মূর্তিমান ভূমিকায়। এক মুসলমান ভাই অপরজনের জানি দুশমন। অন্যের মদদে ভাড়া খাটছে। গোলামীর পিঞ্জরে আবদ্ধ হয়ে স্বীয় দেশে পরবাসী। জলাঞ্জলি দিচ্ছে দেশের বৃহৎ স্বার্থকে। সেইসাথে এহকালীন ও পরোকালীন কল্যাণময় জীবনকে। আজ তাইতো অসম যুদ্ধের ময়দানে ধ্বনিত হচ্ছে ক্ষুধিতের রোনাজারি। গাদা গাদা লাশের পাহাড়ের উৎকট গন্ধে হুঁশ ফিরছে না মানবতার! কঙ্কালসার নিস্পাপ কচি শিশুগুলো ক্ষীণকণ্ঠে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে! ধিকৃত করছে মানব এবং মানবতাকে। কিন্তু কেন?! যাদেরকে মহান প্রভূ সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে সন্মানিত এবং মনোনীত করেছেন?! দান করেছেন অনন্য গৌরবের মুকুট! নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করে মাহদিয়া। কিন্তু ভাবনার আকাশে করুণ কাতর কণ্ঠে আর তীব্র আর্তনাদে ভেসে উঠে ধর্ষণ, লুণ্ঠন, গুম, লাঞ্ছনা, ব্যাঙ্ক ডাকাতি, ভোট ডাকাতি, ধর্ম ডাকাতিসহ অজস্র চরম দুর্গতিপূর্ণ নিত্য দিনের লোমহর্ষক কাহিনী। আর দুঃস্বপ্নের স্মৃতিরাজ্যে মুহূর্তেই যেন মধুস্বপ্নগুলো ভেঙ্গে খান খান হয়ে যায় মাহদিয়ার।



চারিদিক শুভ্র হালকা তুষারে ঢাকা। তারপরও বেদনানলে পুড়ছে মাহদিয়ার মন। বুক চিড়ে বের হয় দীর্ঘশ্বাস। মানুষরূপী পশুত্বের নানান বীভৎস চিত্র শেলের মত বিঁধতে থাকে শুধু। অন্তর ফেটে চৌচির। চূর্ণ বিচূর্ণ। শোকাতুর দৃশ্যগুলো বিরহী মনকে বেদনায় বিগলিত করে তোলে। আর বিড় বিড় করে আপন মনে বলে উঠে... হে বিশ্ব জাহানের মালিক! তোমার কাছেই হৃদয়ের সকল আবেদন নিবেদন। সকল ন্যায় অন্যায় বিচারের ভার। হে রাব্বুল আলামীন আমাদের দ্বীনি জ্ঞানচক্ষু ও অন্তরচক্ষুকে উন্মীলিত ও প্রসারিত করে দাও। অন্যায় ও ভ্রান্ত পথ থেকে রক্ষা করো। হে রাহমানুর রাহীম আমাদের সর্বসন্তাপ দূরীভূত করো, অন্তরের সকল ব্যথা জ্বালা নিবারণ করো। পুণ্য চিন্তাকর্মে আমাদের অন্তর উদ্ভাসিত করো। অন্তরকে জ্যোতিময় করে দাও। হে দয়াময় প্রভূ! ... আচম্বিত সাগর জলের কুলু কুলু ধ্বনি এনে দেয় প্রাণে, জেগে উঠার অদম্য এক স্পৃহা। অন্তরে জ্বালিয়ে দেয় এক নতুন আলোকময় পৃথিবী গড়ার ব্রতী প্রেরণা। যোগায় প্রাণে জয়ের দুর্দমনীয় নেশা। আর বেঁচে থাকার দুর্নিবার আকাংখা।



তারপর আবারো মাহদিয়ার দৃষ্টি আটকিয়ে যায় বরফবক্ষে সবুজের সমারোহে ঘেরা সৌন্দর্যের মাঝে। এযেন বিস্ময়কর বৈচিত্রের স্বাতন্ত্র্যে আচ্ছাদিত এক মোহনীয় রূপ। চোখ ধাঁধানো এসব দৃশ্যের সাথে একীভূত হয়ে যায় মাহদিয়া। আত্মহারা হয়ে মুগ্ধনেত্রে অপলক চেয়ে থাকে সে। অন্তরাত্মা বলে উঠে এ যে দয়াময় প্রভূর অপূর্ব রোমান্টিক সৃষ্টি। হৃদয়াবেগের ঝর্ণাধারা উছলে উঠে বার বার। রোমাঞ্চকর অনুভবে অন্যরকম এক প্রীতিপূর্ণ সুষমাময় অনুভূতি অনুভব করে সে। হৃদয়তন্ত্রীতে। আর মাধবীর মাধুরীমাখা কুসুম পেলবী মন গেয়ে উঠে...

সবুজে বরফের আচ্ছাদন মানিয়েছে বেশ

স্বর্গীয় রূপের মাধুরীতে কাটে নাতো রেশ

মনের ভেলায় চড়ে মাহদিয়া মহান রূপকারের অলৌকিক সৃষ্টির অপার সৌন্দর্যে আচ্ছাদিত হৃদয়ছোঁয়া অসাধারণ এই দরিয়ার বাস্তব প্রতিচ্ছবি হৃদয়পটে আঁকে। পরম যতনে গেঁথে রাখে হৃদয়ে। যা তাকে অনুপ্রেরণা যোগায়, তার চিন্তাশক্তিকে করে বুলন্দ, উন্মোচিত করে দেয় নতুন এক দিগন্তের। অন্তরে দ্যোতনা জাগায় উজ্জ্ববনী এক মহাশক্তির। যা তাকে দান করে অপার আনন্দঘন জ্যোতি। যার আলোকময় পরশ বুলিয়ে দেয় তার হৃদয়কে। তুলি দিয়ে দ্বীনের শক্তির আলপনা এঁকে দেয় মনের মণিকোঠায়। যদিও সাগরের উদারতা, মহত্ত্ব ও বিশালতা অনুভব করে নিজেকে অনেক ক্ষুদ্র ও সংকীর্ণ মনে হয় মাহদিয়ার। অনুশোচনার তুষানলে জ্বলে পুড়ে যায় অন্তর। অসহনীয় বেদনায় প্রাণ হাহাকার করে উঠে। আর আকাশ পাতাল ভাবনায় ছেয়ে যায় মন।





আর ভিতরে কেমন যেন এক সুপ্ত অনুভূতির সিক্ত বরফ দানা তৈরি হতে থাকে। সারা অন্তরজুড়ে। স্রষ্টার শৈল্পিক সৌন্দর্য রাঙিয়ে তোলে হৃদয়কে বার বার। প্রেমভরে। যার ভাব ও মর্মকথা মাহদিয়ার মনের অতল গভীরে অসাধারণ উজ্জ্বল দীপ্তির আভা চমকিত করে তোলে। করে তোলে আলোময়। যেথায় আলোকিত ঝলমলে হেদায়তের ফোয়ারা প্রবাহিত হতে থাকে ঝর্ণাধারার ন্যায় নিরবধি। যা তাকে বিমোহিত করে রাখে মন্ত্রমুগ্ধের মত। প্রকাশের মনোজগতে যা কোন রূপক, উপমা বা রূপকল্পের সমাহারে কিছুতেই কোন ভাষা খুঁজে পায় না। কেবলিই মনে হয় এযেন মহান রূপকারের অলৌকিক অনবদ্য ভিন্ন স্বাদের এক কাব্য কলার অনন্য জগত। স্রষ্টার সৃষ্টির সবকিছুই সেখানে একনিষ্ঠ চিত্তে গুণগান করছে একক মহান সত্ত্বার।



আচমকা হঠাৎ ধ্যান ভেঙ্গে চমকিত দৃষ্টি মেলে চারিদিকে তাকায় মাহদিয়া। সূর্য তখন পাটে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। চোখে পড়লো তার। অস্তগামী সূর্যের অন্তিম রশ্মির সোনালী আভা দূরের পর্বত শিখরগুলিকে যেন হৈম বর্ণে রাঙিয়েছে। সজ্জিত সায়াহ্নে পাখীরা ফিরছে আপন নীড়ে। অন্ধকার ঘনিয়ে আসবে শীঘ্রই। আর তো বেশী দেরী করা উচিত হবে না। অল্পক্ষণেই পাহাড় সাগর বন বনানীর ছায়াঘেরা সৌন্দর্য ঢেকে যাবে রাত্রির নিকষ অন্ধকারে। যদিও সমুদ্র তটের এমন বিমোহিত করা রূপ আর অনবদ্য সৌন্দর্যের নিটোল অঙ্গ সৌষ্ঠব ছেড়ে চলে যেতে সায় দিচ্ছে না মাহদিয়ার মন। আহা! সারাটা জীবন যদি এই অপরাহ্ণের মুগ্ধতা ও সৌন্দর্যের সুষমায় জীবন কাটানো যেত!



আনন্দাতিশয্যে ভাসতে থাকে অসীম ভাবনাময় আপন জগত। মনশ্চক্ষে ভেসে উঠে স্বপ্নের আগমনী তরী। মাহদিয়ার ভাবপ্রবণ মন পুলকে আন্দোলিত হয়ে উঠে। যা অবাক করা অচিন্তনীয় এক মুগ্ধতা এনে দেয় তাকে। চোখের ক্যামেরা মনের ক্যানভাসে যেন যাদুময় হিরণ্ময়তা সৃষ্টি করে চলে বিশ্ব স্রষ্টার দরবারে। ভাবাবেশে তন্ময় হয়ে উঠে মাহদিয়া। কেবলি মনে হয়, আকাশ বক্ষে চন্দ্রের যে আনন্দানুভূতি, জননীর ক্রোড়ে সন্তানের যে সুখ শান্তি প্রশান্তি, সমুদ্র তটে বসে সেরকমই পরিতৃপ্ত আজ সে। মহানন্দে আবেগাপ্লূত হয়ে উঠে। রবের যাদুকরী মহিমান্বিত শৈল্পিক সৌন্দর্যের ছোঁয়া রাঙিয়ে দিয় যায় তাকে। পুণ্যময় পরশমণির পরশে। এমনি এক স্বপ্নের ঘোরে সূর্যাস্তের মোহিত করা সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে মাহদিয়া নীলের নিসর্গ রেখায় হারিয়ে যায় স্রষ্টার অভিভূত করা এই অলৌকিক সৃষ্টির মাঝে। কল্পনার ফ্রেমে ভীড় করে জীবন-মরণ, দুনিয়া-আখিরাতের অজস্র প্রশ্নমালা। অকস্মাৎ আবীরের রঙে রাঙানো মন বলে উঠে......হে আল্লাহ্‌!



সুন্দরতম সৃজন তোমার বিশ্ব নিখিল ভুবন

সাগর নদী আকাশ রবী শশী তারা অগণন।

তোমার বিস্মিত সৃষ্টি দেখে হইনু কাতর

সৌন্দর্যের পরতে পরতে মিশানো আতর।



ভাবতে ভাবতেই...... ধীরে ধীরে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো। চারিদিক নিশুতি। ফাঁকা। শুনশান। নিঃসঙ্গ পথিক দাঁড়িয়ে দূরে বহুদূরে অন্তহীন এক অপেক্ষায়। অকস্মাৎ অনুভূত হতে থাকে মাহদিয়ার, কোন এক অদৃশ্যের পুঞ্জীভূত রাশি রাশি কোমল কুসুম পাঁপড়িতে পূর্ণ তার হৃদয়। ঐশ্বরিক দয়ার এক মোহাবিষ্ট মায়ায়। আমোদিত মন ভরে উঠে তারায় তারায়। অন্তরে জ্বেলে দেয় পুণ্য আলোর পরশ, অনন্য সুষমায়। অনুভূত হয়। একে একে অন্তরদৃষ্টির কপাটগুলো খুলে যায়। অপূর্ব এক সুরের মূর্ছনায়। শান্তির রেখা ভেসে উঠে নব দিনের সূচনায়। অন্তর উদ্ভাসিত নতুন মহতী প্রেরণায়। যেখানে ভেসে উঠে এক জগত, শুচি শুভ্র জ্যোতিময়। কুসুমাস্তীর্ণ পুণ্যের অতলান্তিক মহাসাগরের বলয়! মিলনপ্রয়াসী মাহদিয়ার মনে হল সেখানে সে একা মহান স্রষ্টার বিশাল কীর্তির মাঝে ডুবে আছে, শৈল্পিক সৌন্দর্যমণ্ডিত অতল সাগরের সীমাহীন সীমানায়......।



বিষয়: বিবিধ

১৫৮৩ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

364938
০৭ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১১:৪৪
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : কেমনডা লাগে!
এত সুন্দর করে লিখলে কমেন্ট করার যোগ্যতা না থাকলে হয়!
কিসের সত্যেন্দ্রনাথ! আমার আপা যে তার চেয়ে বেশি কিছু!
বইন, আল্লাহ্ আপনাকে যে এত বড় একটা গুণ দিয়েছেন, শুকরিয়া আদায় করেন তো?
আচ্ছা, লেখার মাহদিয়া বানু আপা নয়ত?
আমার কেমন জানি সন্দেহ হচ্ছে! বানু আপাও কিন্তু অবিকল মাহদিয়ার মত।
০৮ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০১:৪৬
302776
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু সুহৃদ ছোট ভাইয়া।
Cheer Cheer Cheer
আমার ক্ষুদ্র জীবনের যা কিছু প্রাপ্তি সর্বাবস্থায় সবকিছুর জন্যই মহান দয়ালুর শোকর গোজার করি। শত দীনতা, ক্ষুদ্রতা ও অজ্ঞতা সত্ত্বেও আমার প্রভু আমাকে অনেক কিছু দান করেছেন আলহামদুলিল্লাহ্‌। যা আমি কখনো স্বপ্নেও কোনদিন কল্পনাও করিনি। Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up :-b

আর হ্যাঁ, কি ব্যাপার??!! Rose Rose Rose

আমার ছোট ভাই দেখি মন্তব্যের পাতায় কখনো আমার প্রিয় কবি নজরুল এবং কখনো বা সত্যেন্দ্রনাথ......!??? পড়ে তো কলিজা কেঁপে উঠে!! Give Up Give Up Give Up Give Up কীসের সাথে কী, পান্তা ভাতে ঘি। তার মতই হয়ে গেল না?!!
At Wits' End At Wits' End At Wits' End
কেমন করে বুঝলেন মাহদীয়া অবিকল আপনার বানু আপার মত??
০৮ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩
302802
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : কিসের সাথে কি, শুটকির সাথে ঘি! কথা ঠিক, কিন্তু এ কথা বানু আপার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আমি যা বলেছি তাই ঠিক।
আপনাকে নজরুল, সত্যেন্দ্রনাথ এর মত হুবুহু হতে হবে এমন নয়। আপনার লেখার স্টাইল অনেকটাই তাদের মত। এটা আমার কাছে মনে হয়েছে।
আপনার লেখাতো নতুন করে পড়ছিনা! এইভাবেই বুঝি।
১২ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৩:৪২
303153
সন্ধাতারা লিখেছেন : আপনার দৃঢ়তা মুগ্ধ করলো। সর্বশক্তিমান দয়াবান প্রভু যেন আপনার বিশ্বাসকে কবুল করে নিয়ে মহৎ কিছু লিখার যোগ্যতা দান করেন। আমীন।

বোনের জন্য বেশী বেশী দোয়ার আবেদন রইলো।
364947
০৮ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০১:৪৫
আফরা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম আপু

এত সুন্দর লিখায় কমেন্ট করতে লজ্জা লাগে --------ধন্যবাদ আপু ।
০৮ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০২:০০
302777
সন্ধাতারা লিখেছেন : ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু প্রাণপ্রিয় আফ্রামনি।

এভাবে বলে তো আমাকেই লজ্জা দেয়া হল বোনটি। তোমরা যারা এই অঙ্গনে লিখালিখি করো সবাই অনেক বুদ্ধিদীপ্ত ও প্রজ্ঞাপূর্ণ।

তোমাদের সকলের অশেষ ভালোবাসা ও উৎসাহ উদ্দীপনামূলক একান্ত আন্তরিক অনুগ্রহে তো আজকের এই নবিস আমি। লিখার জগতে।

মহান রাব্বুল আলামিন তোমাকেসহ সকলকেই সর্বাবস্থায় হেফাজত করুণ ও দ্বীনের উপর অবিচল রেখে এই জান্নাতি অঙ্গনকে মুখরিত রাখুন। আমীন।

বোনের জন্যও বেশী বেশী করে দোয়া চাই!
Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
364958
০৮ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৭:০৫
শেখের পোলা লিখেছেন : অপূর্ব বর্ণনাশৈলী৷জাজাকাল্লাহ৷
সৃষ্টিকে অন্তর দিয়ে অনুভব করলে অবশ্যই তার স্রষ্টাকে চেনা যায়৷ দূর্ভাগা আমরা এত কিছুর পরও তাকে চেনার মানার সৌভাগ্য হয়না৷ ধন্যবাদ আপনাকে৷
১২ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৩:৪৬
303154
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু সুহৃদ বড় ভাই।

আপনার মূল্যবান মন্তব্য সবসময় হৃদয়কে নাড়িয়ে দেয়। ভাবনার উদ্রেক করে। আজকেরটিও তার ব্যতিক্রম নয়। ভাল লাগলো অনেকের প্রাণের কথাগুলো এমনিভাবে আপনার মন্তব্যে উপস্থাপিত করার জন্য।

জাজাকাল্লাহু খাইর।
365082
০৯ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৩৪
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু সন্ধ্যাতারাপি! আপনার লেখা পড়ে সঠিক মন্তব্য দিতে পারবোনা। শুধু মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা মহান আল্লাহ আপনার চিন্তার মগজে, ভাবনার মননে, প্রকাশের হাতকে আরো সু-প্রাসরিত করুন। আমাদের জন্যেও দোয়া করেবন। আপুনি পরিবারের সবাই কেমন আছে? সবার জন্যেই কল্যাণের দোয়া থাকলো। জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।
১২ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৩:৪৯
303155
সন্ধাতারা লিখেছেন : ওয়ালাইকুমাস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহী ওয়া বারাকাতুহু প্রাণপ্রিয় আপুমনি। তোমার উপস্থিতি ও মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো।

তোমার সুন্দর দোয়ায় আমীন।

তোমাদের সকলের জন্য প্রাণভরা দোয়া রইলো।

আমরা সকলেই ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ্‌।

তোমরা সবাই কেমন আছো ছোট বোন?
365124
০৯ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১০:৩৩
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ শ্রদ্ধেয়া বানু খালামুনিই মাহদিয়া।

আমার বলায় ভূল হয়নি তো!
সত্যিই আপনার লিখার তুলতা হয় না, সেই সাথে ভাবনাও চমৎকার, নিশ্চয়ই আসমান জমীন ও রজনী দিবসের পরিবর্তনের মাঝে রয়েছে চিন্তাশীলদের জন্য নিদর্শন।

অথচ এই সুন্দরতম সৌন্দর্যপূর্ণ ধরণীকে কিছু বিকৃত পূতিগন্ধময় মানুষরূপী দানব কলঙ্কিত করছে?! করছে অশান্ত, দুর্বিষহ! নিজেদের ঘৃণিত অসৎ বাসনায়। তারা যেন আজ জল্লাদের মূর্তিমান ভূমিকায়। এক মুসলমান ভাই অপরজনের জানি দুশমন। অন্যের মদদে ভাড়া খাটছে। গোলামীর পিঞ্জরে আবদ্ধ হয়ে স্বীয় দেশে পরবাসী। জলাঞ্জলি দিচ্ছে দেশের বৃহৎ স্বার্থকে। সেইসাথে এহকালীন ও পরোকালীন কল্যাণময় জীবনকে। আজ তাইতো অসম যুদ্ধের ময়দানে ধ্বনিত হচ্ছে ক্ষুধিতের রোনাজারি।


সুন্দর সুন্দর চিন্তার জগতে হারিয়ে যাওয়ার জন্য মাহদিয়াকে অনেক সালাম।

১২ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৩:৫৬
303156
সন্ধাতারা লিখেছেন : ওয়ালাইকুমাস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহী ওয়া বারাকাতুহু প্রাণপ্রিয় আংকেলজ্বি।

আপনার মন্তব্যের জবাবে কি যে লিখবো ভাবছি...!!

আপনার উদ্দীপ্তপূর্ণ মন্তব্য আমার চলার পথের পাথেয় হোক। এটাই কামনা।

খালামনির জন্য বেশী বেশী দোয়ার আবেদন রইলো।
365233
১০ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৩৬
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

দেখুন তো কবিতাটা কেমন হলো- Tongue Don't Tell Anyone

নিঃসঙ্গ পথিক দাঁড়িয়ে দূরে বহুদূরে
অন্তহীন এক অপেক্ষায়।
অকস্মাৎ অনুভূত হতে থাকে তার-
কোন এক অদৃশ্যের পুঞ্জীভূত
রাশি রাশি কোমল কুসুম পাঁপড়িতে
পূর্ণ তার হৃদয়।
ঐশ্বরিক দয়ার এক মোহাবিষ্ট মায়ায়।
আমোদিত মন ভরে উঠে তারায় তারায়। অন্তরে জ্বেলে দেয় পুণ্য আলোর পরশ,
অনন্য সুষমায়, অনুভূত হয়।
একে একে অন্তরদৃষ্টির কপাটগুলো খুলে যায়,
অপূর্ব এক সুরের মূর্ছনায়।
শান্তির রেখা ভেসে উঠে
নব দিবসের সূচনায়।
অন্তর উদ্ভাসিত নতুন মহতী প্রেরণায়।
যেখানে ভেসে উঠে এক জগত,
শুচি শুভ্র জ্যোতির্ময়।
কুসুমাস্তীর্ণ পুণ্যের অতলান্তিক
মহাসাগরের বলয়!
মহান স্রষ্টার বিশাল কীর্তির মাঝে
ডুবে আছে, শৈল্পিক সৌন্দর্যমণ্ডিত
অতল সাগরের সীমাহীন সীমানায়......।
Praying Praying
১২ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৪:০১
303159
সন্ধাতারা লিখেছেন : ওয়ালাইকুমাস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহী ওয়া বারাকাতুহু সুহৃদ ভাই।

অসাধারণ লাগলো!!

এমন একজন বিজ্ঞ ভাইয়ের চমৎকার ইনপুট পেয়ে ধন্য ও মুগ্ধ হলাম।

আপনার জন্য প্রাণভরা দোয়া রইলো।

বোনের জন্যও বেশী বেশী দোয়ার আবেদন রইলো।
১৪ এপ্রিল ২০১৬ বিকাল ০৫:৩০
303422
আবু সাইফ লিখেছেন : Good Luck Good Luck Praying Praying Praying Praying Praying
370303
২৮ মে ২০১৬ দুপুর ০২:৩৩
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।
খালামুনি কেমন আছেন। সবাই কেমন আছে?
লেখা সম্পর্কে একটি কথাই বলা যায়। আর তা হলো 'অসাধারণ'।
অবশ্য এই মন্তব্যটি পাঠক হিসেবেই করা।
মুগ্ধ হলো পাঠকের মন ও মনন। Happy
৩০ মে ২০১৬ রাত ০১:০২
307391
সন্ধাতারা লিখেছেন : সন্ধাতারা লিখেছেন : Salam. It's a great pleasure to see your comment after long time. We all are fine alhamdulillah. How are you?
370446
৩০ মে ২০১৬ রাত ০১:০২
সন্ধাতারা লিখেছেন : Salam. It's a great pleasure to see your comment after long time. We all are fine alhamdulillah. How are you?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File