ভ্রমণ ভূবণে
লিখেছেন লিখেছেন সন্ধাতারা ১৬ নভেম্বর, ২০১৫, ০৪:৪৩:১৭ বিকাল
শুভ্র রঙের ফোঁটায় ফোঁটায় অঙ্কিত হয়ে হৃদয় সেজেছিলো স্বপ্নের আল্পনায়। ডানা মেলে উড়ে উড়ে যায়। বাহারীরূপে। কল্পনার রাণীরা ভেসে চলে নীলাকাশে। অঙ্গ প্রত্যঙ্গ জুড়ে বাসা বেঁধেছিল আনমনা ভাব। নানা ভাবনার। অধীর আগ্রহে পথচলার নেশা। উতলা মনে উদয় হয়েছিল অদম্য অস্থিরতা। অবশেষে জুলাইয়ের ভ্রমণ ভাবনা গড়িয়ে আসে জুনের মাঝামাঝি। হঠাৎ করেই পরিবর্তন আসে। মন মননে। প্রতিক্ষা আর সহে না। জননীর।
সব বাঁধা পেছনে ফেলে উড়তে থাকি আকাশে। যমীন থেকে ধীরে ধীরে। ১৪ই জুন। অন্তর কম্পিত। দৃষ্টি বিস্ফারিত। মেঘের কোলে মনের মাধুরী ঢেলে উচ্ছ্বসিত ভাবনাগুলো দোল খায়। প্রিয়জনের সান্নিধ্য পাবার আশায়। অবশেষে পদযুগল জন্মভূমিকে ছুঁয়ে দেয়। তারপর...। প্রিয় মাতৃভূমি। প্রাণপ্রিয় আপনজন।
কিন্তু একি! গাড়ী অল্পদুর এগোতেই ফোনে পরিচিত কণ্ঠ। ভারী ভেজা কণ্ঠস্বর! আচমকা কেঁপে উঠে মন। ভেসে আসে শব্দের তরঙ্গমালা। আমার হজ্বে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা সম্ভবতঃ এবার সম্ভব হচ্ছে না। আমাকে জানানো হল। হতচকিত এবং বিমর্ষ হয়ে কারণ জানতে চাইলে বলা হল। আমার লাল পাসপোর্ট। সেজন্য। আজকেই স্থানীয় কতৃপক্ষ সমস্ত হজ্বের কাগজপত্র ঢাকার মেইন অফিসে প্রেরণ করছে। শেষ তারিখ জমা দেয়ার। অথচ আমার মা, ছোট ভাই এবং আমার, আমাদের তিনজনের টাকা অনেক আগেই জমা নেয়া হয়েছে। সরকারীভাবে। খবর শুনে আকাশ থেকে পড়লাম। সমস্ত আনন্দ মুহূর্তেই কালো মেঘে ছেয়ে দিলো।
একে একে ভাবনাগুলো স্রোতের মত ভেসে ভেসে যাচ্ছিল। দূরে বহুদূরে। করুণ সুরে। মলিন চিত্তে বাসায় পৌঁছে স্মরণাপন্ন হলাম মহান আল্লাহ্র। উথলে উঠলো আঁখিদ্বয়ের নদনদী। সাগর মহাসাগরের পানি তাঁরই পানে। যিনি একমাত্র ভরসাস্থল। মহান দাতার দরবারে।
দয়াময়ের দয়া হল। প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলো। ইমারজেন্সি ফী জমা দেয়া হল। নতুন পাসপোর্টের জন্য। দীর্ঘ দৌড় ঝাঁপ ও অচিন্তনীয় কাঠ খড় পুড়িয়ে অন্তিম মূহূর্তে অবশেষে আল্লাহ্তায়ালা ধৈর্য, সবর ও ঈমানী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সৌভাগ্য দান করলেন। আলহামদুলিল্লাহ্।
বিষয়: বিবিধ
১২৬২ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্রেরণাপূর্ণ মন্তব্যের জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
সুন্দর দোয়ার জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
এত অল্প কথায় ভ্রমন কাহিনী শেষ করে দিলেন? আরো বিস্তারীত জানতে চাই। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
শুভেচ্ছা রেখে যাওয়ার জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
সংক্ষিপ্ত অথচ মধুঝরা ভ্রমণ বৃত্তান্ত পড়লাম, আশাকরি সামনেই বাকি পর্বগুলো পড়ার সৌভাগ্য হবে!
অনেক অনেক শুকরিয়া, ভালবাসা ও শুভকামনা রইলো!
তোমার অনুপস্থিতিতে অনেক উদ্বিগ্ন ছিলাম। অতঃপর ...অবসান হল।
সময় করে ধীরে ধীরে বিস্তারিত জানাবো ইনশাল্লাহ।
তোমরা সবাই ভালো আছো তো?
ভালোবাসা ও শুভ কামনার জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
তোমাদের সকলের জন্য প্রাণভরা দোয়া রইলো।
করুণাময়ের অপার রহমতে অবশেষে সেই সৌভাগ্য হয়েছে আপনাদের!আলহামদুলিল্লাহ ও অভিনন্দন!
আমাদেরও যেন সেই সৌভাগ্য নসীবে হয়-এই দুয়ার আবেদন রইল মুহতারামা আপুজ্বী!
জাযাকুমুল্লাহু ওয়া ইয়্যানা খাইরাল জাযা-ই!
দোয়ার জন্য অনেক অনেক শুকরিয়া ভাইয়া।
এবারের হজ্বের কথা বলছি।
কেমন আছেন সবাই? মামুনিটা এখন কোথায়? একেবারে ফিরলেন?
দোয়ার জন্য অনেক অনেক শুকরিয়া ভাইয়া।
আপনাদের জন্য অনেক দোয়া, দীর্ঘায়ু, ও শুভ কামনা রইলো।
সুন্দর উপদেশের জন্য অনেক অনেক শুকরিয়া ভাইয়া।
আপনার জন্য অনেক দোয়া ও শুভ কামনা রইলো।
মন্তব্যের জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন