নীলপদ্মে লুকায়িত নীলাম্বরী নীলাঞ্জনা
লিখেছেন লিখেছেন সন্ধাতারা ২০ এপ্রিল, ২০১৫, ০৭:০৫:২০ সন্ধ্যা
ইউ, কে-তে আমার সবচেয়ে প্রিয় ভালোলাগা জায়গাটির নাম এডিনবরা। বিদেশের মাটিতে যেখানে আমার শিক্ষালাভের জন্য প্রথম পদার্পণ সেই ১৯৯৬ সালে। অনেকগুলো বছর কাটিয়েছি সেখানে। পরিবারের প্রয়োজনে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হলেও মনের মাঝে এখনো ভালোবাসার টান অনুভব করি ঠিক আগের মতই। সুখ দুঃখ, হাসি আনন্দ ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অর্জনের ভাবনাগুলো সজীবতায় থরে থরে সাজানো আছে নীলপদ্মে লুকায়িত নীলাম্বরী নীলাঞ্জনা হয়ে। আজ তাইতো প্রায় এক বছর পর নিজের ছোট্ট কুটীরের টানে কয়েকদিন সেখানে কাটানোর মানসে যাত্রা।
নিউক্যাসেলে কয়েকদিন ধরে ঠিক যেন বাংলাদেশী বসন্তের আবহাওয়া বিরাজ করছে। এবারই প্রথম আমার ভ্রমণের সময় ছিল মাঝ রাতে। বাসে উঠে বসার পর বাস ড্রাইভারের সংক্ষিপ্ত ঘোষণা “নিরাপত্তাজনিত কারণে সকলেই সিট বেল্ট পরিধান করুণ, বাসের মধ্যবর্তী অংশের ডান পাশের এক কর্ণারে আপনাদের জন্য টয়লেট ফ্যাসিলিটিস আছে, এয়ারকন্ডিশন চালু আছে, কারো কোন কিছু প্রয়োজন হলে ইত্যাদি ইত্যাদি”।
বাস ড্রাইভারের কথাগুলো কানে প্রবেশ করার সাথে সাথে কেন জানি আমার মনোপাখী ততোক্ষণে উড়াল দিয়েছে বাংলাদেশে। সেখানকার বাসের জীর্ণশীর্ণ চিত্রসহ সবকিছু এঁকে এঁকে মনের পর্দায় ভেসে উঠতে লাগলো। চলমান বাসে টেনে হেঁচড়ে যাত্রী উঠানো, গাদাগাদি ঠাসাঠাসি করে বাদুরের মত ঝুলে একে অপরের শরীরের মধ্যে আঁচড়িয়ে পড়া, কিশোরী কোন তরুণী হলে তো এর ঝড় ঝাঁপটা আরও অনেক মারাত্মক যা রীতিমত গাঁ শিউরে উঠার মত!! অনেক কিছু তখন মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল আর দহন যন্ত্রণাও তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছিল। এরই মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে সদ্য ঘটে যাওয়া বর্ষবরণের অজুহাতে মনুষ্যরূপী অসভ্য হায়েনাদের ঘৃণ্য অভিরুচির দৃশ্যগুলো ভাসছিল তখন চোখের সামনে। কোথায় যেন নিলীয়মান হয়ে যাচ্ছিলাম আমি।
কিছুক্ষণ পর অনুভব করলাম বাসের দু’ একজন যাত্রী ছাড়া সবাই বেঘোর ঘুমে নিদ্রাতুর। কেউবা নাক ডাকছে রীতিমত। নিদ্রালুতা যেন আষ্টেপৃষ্ঠে আমাকেও ভর করলো। আমিও মাথাটা এলিয়ে দিয়ে চোখ দুটো বন্ধ করলাম। তারপর সমূদ্রের ঢেউয়ের মনমোহনী মৃদু কম্পনে বা জিকিরের শব্দে চোখ মেলে তাকাতেই বিস্ময়াভিভূত হলাম নিশীথ সূর্যের অব্যক্ত মায়াবী রূপ দেখে। বিশাল আকাশের উচ্ছ্বসিত উছলে পড়া নববধূ রূপের সাথে নৌকা বিলাসী মানুষদের নৌকাবিহারের দৃশ্যের নিগূঢ়তায় মনে হচ্ছিল এযেন কোন কাল্পনিক এক স্বপ্নময় জগতে আমি। আহ! অচেনা আরোহীরা পাল তুলে হাওয়ায় দুলে ভেসে ভেসে যাচ্ছে কোন এক মনোমুগ্ধকর অজানা কিংবা চিরচেনা গন্তব্যে।
ভাবছিলাম কিছুদিন আগে আমাদের বিশাল বহর নিয়ে নৌকারোহণের রোমাঞ্চিত মুহূর্তের কথা। যেখানে কোন মাঝি ছিল না। আমরা যাত্রীরাই বিশাল নৌকা নিয়ে সাগরের বুকে একে একে সবাই ড্রাইভ করছিলাম। যা অনেক দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ এবং পর্যবেক্ষণ করছিলেন সেখানকার তত্ত্বাবধানে যারা ছিলেন। প্রথম দিকে কিছুটা ভয়ে কাঁপছিলাম আমি কিন্তু পরবর্তীতে সবার সাহস আর হাসাহাসি দেখে আমিও সাহস সঞ্চয় করেছিলাম। সে এক অবিশ্বাস্য অভিনব অভিজ্ঞতা। তারপর অন্য এক স্থানে সবাইকে লাইফ জ্যাকেট পড়িয়ে মাঝারী সাইজের একটি বোটে উঠানো হল। হঠাৎ ঝড় উঠলে যাত্রীদের কী করণীয় তার উপরে ছোট্ট একটি প্রশিক্ষণ দেয়া হল। বোটে ভ্রমণের সময় আমি এক মুহূর্তের জন্যও জিকির করতে ভুলিনি ভয়ে এবং আনন্দে।
আশেপাশে লক্ষ্য করলাম দলের অন্যান্যরা তখন ছবি তোলার প্রতিযোগিতায়। উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে বোটের গতি যখন বাড়ছিলো তখন কেউ কেউ চিৎকার করছিল। বোট চালক তখন সান্ত্বনা যুগিয়ে যাচ্ছিলেন। মনোমুগ্ধকর সাগর, পাহাড়, ছোট বড় ঝর্ণাধারা ও চোখ জুড়ানো টিলাসহ আল্লাহ্র পাকের বিশাল নেয়ামতের ভাণ্ডার এই প্রকৃতির বিমুগ্ধ করা অবিশ্বাস্য সৌন্দর্য রাশির পাশাপাশি মানবকূলের বিনোদনমুখী অত্যাধুনিক চিন্তা ভাবনা সত্যিই ছিল অবাক করার মত। ভ্রমণ পিয়াসী মানুষদেরকে বন্ধুসুলভ আচরণে পরম আতিথেয়তায় মুগ্ধ করে দিনে দিনে পর্যটকদের দ্বার করছে অবারিত ও প্রসারিত এবং সেইসাথে অতি অল্প সময়ে আয় করছে প্রচুর অর্থ।
যাহোক ক্রমেই নিশুতি রাতের প্রহর পেরিয়ে পাখীর কিচির মিচির কলরবে কেবলিই সুখের বার্তা বয়ে যাচ্ছিল চারিদিকে। জীবনের স্পন্দন আর ভালোবাসার আতিশয্যে সবকিছুই যেন সপ্রতিভ মুখরিত হয়ে উঠছিল। আর নীলপদ্মের অন্তরে লুকিয়ে থাকা নীলাম্বরীর নীলাঞ্জনা বা দহন যন্ত্রণাও যেন বেড়েই চলছিল মাতৃভূমির চলমান বেহাল বেসামাল করুণ চিত্র হৃদয়ে ধারণ করে। স্বাধীন দেশে পরাধীনতা, নিরাপত্তার বিপরীতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরোয়ানা, বুকভরা নির্মল নিটোল নিঃশ্বাসের বদলে অনিশ্চয়তাময় বিষাক্ত বায়ুর ঘ্রাণ। যেখানে দিন দুপুরে ঘটছে নিঃসংকোচে আড়ষ্টহীনভাবে হাজার হাজার মানুষের সামনে যৌন নিপীড়নের সহিংস তাণ্ডব। যা ভাবতেই নিজের মন ও বিবেক অস্থির আর ভারাক্রান্ত হয়ে উঠলো। এই ভয়ঙ্কর পরিণতিতে সত্য সমাগত, মিথ্যা অপসারিত না হয়ে যেন মিথ্যা ক্রমেই অক্টোপাসের মত অবধারিত হয়ে উঠেছে জাতির ললাটে, কিন্তু কেন?!!
প্রবৃত্তিতাড়িত এসব বেপরোয়া হিংস্র দানব থেকে কবে জাতি মুক্তি পাবে? সেটা কি আদৌ জাতি জানে? তাদের অশ্লীলতা, নগ্নতা ও যৌনাচার থেকে জাতির কী পরিত্রাণ নেই?!! ক্ষমতাসীনদের দাপটে দেশ আজ নীতি নৈতিকতাবর্জিত লেলিহান নরক কুণ্ডে পরিণত হয়েছে। ঘটনাকে আড়াল করতে নির্লজ্জ মিথ্যাচার ও নারকীয় তাণ্ডব থেকে জাতির মুক্তির একটাই পথ উন্মুক্ত আছে আর তা হল ধর্মীয় জীবনাচারণ এবং দ্বীনি শিক্ষাব্যবস্থা। কেননা মানুষের মধ্যে খণ্ডিত সততা বলে কিছু নেই। সততার পূর্ণাঙ্গ রূপ হল মানুষের সার্বিক পরিশুদ্ধ চিন্তা ভাবনা যার উদ্দেশ্যই হল সর্বতোমুখী কল্যাণকামিতা।
তাই এই পশুরূপী ইবলিসদের মোকাবিলায় চাই ইনসাফ ও ন্যায়ের সংগ্রাম। প্রয়োজন আল্লাহ্র নির্দেশিত পথে সত্য ও শ্বাশত দ্বীন প্রতিষ্ঠার তামান্না বুকে নিয়ে নিজের জান ও মাল কোরবানী করার দৃঢ় প্রত্যয়ী বীরযোদ্ধাদের তাওহিদী এক আপোষহীন কাফেলা। ইত্যাদি... ভাবতে ভাবতে মনের ভিতরে প্রতিবাদের স্ফুলিঙ্গ বারুদের মত জ্বলে উঠলো। আর সাথে সাথে বাস ড্রাইভার লাউড স্পীকারে ঘোষণা করলেন তোমরা তোমাদের প্রত্যাশিত গন্তব্যে পৌঁছে গেছো। চলবে ইনশাআল্লাহ
২য় পর্ব
http://www.monitorbd.net/blog/blogdetail/detail/6327/mbanu/64353#.VTuiGpO9ia
শেষ পর্ব
http://www.monitorbd.net/blog/blogdetail/detail/6327/mbanu/64404#.VTu1XJO9iac
বিষয়: বিবিধ
৩৫৯৫ বার পঠিত, ১৬৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপু আমি লেখা পড়েই ফাষ্ট হয়েছি ।
আমরাও আপনার প্রিয় স্থান এডিনবর থেকে ঘুরে আসলাম! আপনার ভাবুক মনের চমৎকার ভাবনা এবং দুঃশ্চিন্তগুলো আজ আমাদের সবাইকেই ভাবিয়ে তুলছে! আমরা যেখানেই থাকিনা কেনো মাতৃভূমির চিন্ত যে আমাদের সবসময় সাথী হয়ে আছে!
চমৎকার লিখাটির জন্য শুকরিয়া! আমি আপনাকে রিকোয়েস্ট করতে চেয়েছিলাম আপনার সফরটি নিয়ে লিখার জন্য আলহামদুলিল্লাহ আপনি নিজে থেকেই লিখা শুরু করেছেন!
জাযাকিল্লাহু খাইর!
সত্যিই বলেছো এতগুলো বছর কাটালাম তারপরও দেশের কথা দেশের মানুষের কথা সারাক্ষণ ভাবনায় ঘুরপাক খেতে থাকে। ভীষণ কষ্ট হয়। তোমাকে ফোন দিয়েছিলাম কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ ...।
তোমার মনের কথা বুঝতে পেরেছিলাম বুঝেছো বোনটি আমার সেজন্যই বলার আগেই লিখা শুরু করে দিয়েছি। বেড়াতে এসো আমার এখানে।
তোমার অনুপ্রেরণাময় ও উৎসাহব্যঞ্জক সুন্দর অনুভূতির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
তোমাকে কিন্তু ফোন দিয়েছিলাম সেদিন ...
পা ভাঙ্গার মূল উদ্দ্যেশ্য কি ছিলো? কেও বুঝে না কেউ বুঝে না!
এটাই আমাদের ঈমানী পরীক্ষা আপু। ধৈর্য হারালে হতাশ হলে চলবে কেন?!! সেটা কি মুমিনের জন্য শোভনীয় আপু তুমিই বল...???
তোমার জন্য কেন জানিনা খুউব খারাপ লাগে আপু। প্রাণভরে দোয়া করি করুণাময়ের কাছে। উনি তোমাকে সাহস, শক্তি, হিম্মত আর সান্ত্বনা যোগাবেন ইনশাআল্লাহ।
@সন্ধাতারা আপু এটা বল্লে হবে না উটা তো আপনি আমাকে দিয়েছেন এখন উটা আমার ।
হুম... তবে... ৩নং কমেন্টের ফুল টা কিন্তু আমার নয়। কারন ওটাতে "জোড়া লাভ রিং" এর মতো কিছু একটা দেখা যাচ্ছে, যেটা নেয়ার সময় আমার এখনও হয়নি!
ফজরের নামাজ কোথায় পড়ছেন উল্লেখ নেই। দেশ নিয়ে আপনার ভাবনা দেখে সত্যিই আমি পুলকিত। আপনার অতীতের কিছুটা জেনে সত্যিই আমি সুষভিত। দেশের যুবকদের করুণ পরিণতির কথা জেনে সত্যিই আমি মর্মাহত। আপনার সাহিত্যিকতা দেখে সত্যিই আমি আবেগাপ্লুত। আমার জন্য দোয়া করবেন ভেবে সত্যিই আমি গর্বিত। আপনাকে জানাই হাজার সালাম।
যাহোক আপনার অবগতির জন্য বলতেই হয় আমি সাধারণত কখনও বাসা থেকে বের হলে ওযু করে তারপরে বের হই। ফজরের নামায বাসে বসেই পড়েছি আর সেজন্য সবার শেষে যে লম্বা ৫ সিটের আসন সেখানেই বসেছিলাম। যাতে সবার দৃষ্টির আড়ালে থাকতে পারি।
আপনি এতো সুন্দর করে প্রশংসাসূচক মন্তব্য করেছেন যে নিজের ক্ষুদ্রতার কথা স্মরণ করে লজ্জা পাচ্ছি। জান্নাত্মনির জন্য অনেক অনেক আদর আর শুভেচ্ছা, বড়দের জন্য ছালাম রইলো।
আপনার স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি এবং সেইসাথে অনুপ্রেরণাময় ও উৎসাহব্যঞ্জক সুন্দর অনুভূতি রেখে যাওয়ার জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
কয়েকদিন আগে আমার এক প্রিয় মানুষকে বলতে শুনেছি ইসলামী লিখাতে সাহিত্য অনুপস্থিত আর একটু আধটু থাকলেও সেটা সাহিত্যের পর্যায়ে পরে না। সে কিছু যুক্তি ও উদাহরণও টেনে এনেছিল। কিন্তু এ বিষয়টি কেন জানি আমার অনুভূতিতে ঠিক ভিন্ন রূপে ধরা দেয়। ইসলামী সাহিত্য পড়ে আমি যতটা আনন্দ ও মনের খোরাক পাই তা অন্য কোন লিখাতে একদম পাইনা। আপনার অনুভূতি কী বলে জানিনা?!!
আপনার অভিভূত করা দোয়ায় আমীন। ছুম্মা আমীন।
সোনামণিসহ আপনাদের সকলের জন্য অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো। মঙ্গলময় আপনাকেও যেন কৃতিত্বের সাথে উচ্চতর শিক্ষালাভ এবং সম্মান ও উত্তম কামিয়াবী দান করেন। সর্বাবস্থায় ভালো রাখুন সুস্থ থাকুন এই কামনা।
আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত এজন্য যে কবির চিন্তা প্রসূত মানসিকতার সাথে আমার চিন্তা ও কর্মের অমিলের জন্য। আমি দেশে থেকে যেমন দেশকে ভালবেসেছি, পরবাসী হয়ে আজও ঠিক তেমনি ভালোবাসি। এক্ষেত্রে আমার ভালোবাসার কোন তারতম্য হয়নি আজও।
আপনার জন্য অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো। মঙ্গলময় আপনাকে সর্বাবস্থায় সুস্থ রাখুন ভালো রাখুন এই কামনা।
সেইসাথে বোনের জন্য বেশী বেশী করে দোয়া করার জন্য বিশেষ অনুরোধ থাকলো।
চমৎকার শব্দে গড়া, নান্দনিকতায় পুর্ণ দরদময় উপস্হাপনা উদ্দিষ্ঠ বিষয়কে গভীর থেকে ভাবতে বাধ্য করে পাঠক কে! এতো সুন্দর লেখেন আপুজ্বী! নিজেকেই ভাগ্যবান মনে হয় এমন একজন বড় বোনের সাথে পরিচয় হয়ে!
বৃহৎ কল্যাণেই পরাক্রমশালী আল্লাহ এই শর্দ্ধেয়া বোন কে 'হায়াতে তাইয়েবাহ' দান করুন-এই দরখাস্ত রবের কাছে সব সময়ই!!
আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত মূল্যবান উপস্থিতি, উৎসাহব্যঞ্জক সুন্দর সুন্দর মূল্যায়নমূলক পর্যালোচনা এবং অনুভূতি সবসময় আমার লিখার ভূবনকে করে রাখে আলোকময়। যার উত্তর দেয়ার ভাষা বা জ্ঞান আমার নেই।
ব্লগে আপনার উপস্থিতি ঠিক যেন জ্বলজ্বলে নক্ষত্রের মত।
আপনার জন্য অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো। মঙ্গলময় আপনাকে সর্বাবস্থায় সুস্থ রাখুন ভালো রাখুন এবং মানসিকভাবে প্রফুল্ল রাখুন এই কামনা।
সেইসাথে বোনের জন্য বেশী বেশী করে দোয়া করার জন্য বিশেষ অনুরোধ থাকলো।
আমারও বেড়াতে ইচ্ছে করতেছে, আপনি এত আকর্ষনীয় করে বর্ণনা করেছেন কেনু?
কেন বলো তো??
আমারও খুব ইচ্ছে করে আমার ছেলে দুটি তাদের মামুনির কাছে থাকুক। বিধাতাই ভালো জানেন।
তোমার জন্য রইলো অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা । মঙ্গলময় তমাকে সর্বাবস্থায় সুস্থ রাখুন ভালো রাখুন এবং মানসিকভাবে প্রফুল্ল রাখুন এই কামনা।
আসলে আমিও সেই সব দৃশ্যগুলোকে স্বরন করেই এই ছবিটা সংগ্রহ করছি।
পাহাড়ের নীচে ঘাসে বসে কল্পনার জগতে ঘোরে বেড়ানো, অথবা সমুদ্রের পাড়ে বসে বাতাসের সাথে কথা বলা আমার ভীষণ ভালো লাগে। তাই আমার এখন মন উড়ে বেড়াচ্ছে সেই সব জায়গাগুলোতে যেখানে থেকে আপনি ঘোরে আসছেন!
@খালাম্মুণি
তোমার জন্য বরাবরের মত রইলো অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা । মঙ্গলময় তোমার প্রত্যাশিত আকাঙ্ক্ষা ও মনোবাসনা পূর্ণ করে দিয়ে সর্বাবস্থায় সুস্থ রাখুন ভালো রাখুন এবং মানসিকভাবে প্রফুল্ল রাখুন এই কামনা।
লেখাপড়া কেমন চলছে মাই সান?
ইউ, কে-তে আমার সবচেয়ে প্রিয় ভালোলাগা জায়গাটির নাম এডিনবরা..........! খূজে দেখতিছি.....
ভীষণ জানতে ইচ্ছে হচ্ছে আপনার শারীরিক অবস্থা এখন কেমন???
অনিঃশেষ দোয়া রইলো আপনার জন্য। জাজাকাল্লাহু খাইর।
ওয়ালাইকুম সালাম ওয়ারাহামতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। আপ কথা গাজী ভাইয়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।
আপনাদের পক্ষে সম্ভব হলে এই মর্মে গাজী ভাইয়াকে লিখতে অনুরোধ জানান এবং ব্লগে উনার উপস্থিতি আমাদের কাম্য সেটাও দয়া করে জানিয়ে দিন।
লিখার ময়দানে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণাদানের এই আন্তরিক উদ্যোগকে কৃতজ্ঞ চিত্তে বরণ করে আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপু কিছু মনে না করলে একটু জিজ্ঞেস করি? প্রপিকের ছবিটি কি আপনার নিজের??
সম্মানিত সকলের প্রতি উৎসর্গীকৃত আমার অন্তরের অনুভূতি.........
সবুজের মিষ্টিতে ভাসছে মোর পদ্ম
এযেন প্রিয়জনের হাসি ফোঁটা সদ্য।
দোয়া মাগি সবার তরে লিখাটির নির্বাচন
সাথে যত লেখক, পাঠক আর মোর বন্ধুগণ।
হ্যারি-আওন, আংকেল-আপু, আরও আছে ছোট ভাই
মরণের পরেও মোরা মিলিত হতে চাই।
একসাথে ভাগাভাগি সুর আর সম্প্রীতি
এভাবেই কাটে যেন ব্লগের মম প্রীতি।
অন্নেক অন্নেক দোয়া ও শুভ কামনা রইলো তোমার জন্য।
স্বদেশের জন্য প্রবাসীদের মায়া মমতা যে সবচেয়ে বেশী, তা আপনার লেখায় আবারও প্রমাণীত হলো।
সুন্দর লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনার জন্য অন্নেক অন্নেক দোয়া ও শুভ কামনা রইলো প্রেরণা ও উৎসাহদানের জন্য।
চমৎকার!!!
উক্ত সমস্যা গুলো থেকে পরিত্রান পেতে হলে আমাদের (ছেলে মেয়ে) পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন!
অবশেষে আপনাকে লেখাটির জন্য ধন্যবাদ!
পরিত্রাণের উপায় হিসাবে আসলে সকলেরই সহযোগিতা প্রয়োজন। ঠিক বলেছেন। সহমত
ব্লগ কতৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ উনারা আবার ব্লগের প্রতি দৃষ্টি দিয়েছেন।
আপনার পাশাপাশি আমিও ব্লগ কতৃপক্ষের কাছে আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। শত প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে ব্লগটিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য।
আপনার সদয় স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ও মূল্যবান অনুভূতি রেখে যাওয়ার জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
বোনের দেয়া এতো সুন্দর আসমান যমীন বিস্তৃত অগণিত নীলের সমাহারে লুকিয়ে থাকা অফুরান ভালোবাসার গন্ধ প্রাণভরে উপভোগ করছি আর আমার অন্নেক অন্নেক আদরের আপুর জন্য শুধুই দোয়ার মিনতি জানাচ্ছি মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে। ভালো থাকুন খুউব ভালো সবসময় এই প্রার্থনা।
আশা করি গ্রহণ করিবেন।
অনিঃশেষ দোয়া রইলো তোমার জন্য। জাজাকাল্লাহু খাইর।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে
সেইসাথে ভিশু ভাইয়া, ইমরান ভাইয়াসহ হারিয়ে যাওয়া ভাই বোনদেরকে আন্তরিক উদাত্ত আহ্বান জানাই সমস্ত মান অভিমান ভুলে একাকীভূত হবার। সবার জন্য দোয়া ও শুভকামনা।
আর শ্রদ্ধেয়া আপুজিকে জাযাকাল্লাহু খাইরান। এত্তসুন্দর করে আমাদের মাজে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনার সাথে আমিও ব্লগ কর্তৃপক্ষের মহানুভবতার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
অনিঃশেষ দোয়া রইলো আপনার জন্য।
আলহামদুলিল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ!
আনন্দধারা আজ বহিছে ব্লগের জমিনে........
আপনার প্রতিটি লিখা চমৎকার, পাঠক সমাদৃত! এটিও তার ব্যতিক্রম ছিলো না! আপু এডিট করে লিখার নিচে বাকি দুই পর্বের লিংক দিয়ে দিন!
সন্মানিত মডারেটবৃন্দদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই চমৎকার পোস্টটিকে স্টিকি করে সব ভাই বোনদের আরো একবার পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য!
আপনার জন্য স্টিকি শুভেচ্ছা! ভিশু ভাইয়াকে মিস করছি উনি সবসময় আপনার লিখার স্টিকি দাবী করতেন! ভিশু ভাইয়া আপনি অনেক ব্যস্ত জানি ব্যস্ততার ফাঁকেও যদি ভিজিটর হয়ে আপুর পোস্ট দেখেন আশাকরি আমাদের আনন্দে শামিল হবেন!
অনেক অন্নেক শুভেচ্ছা আপুকে, আপুর লিখা হোক চিরকল্যানামীতার তরে, সুন্দরের তরে........
এবং
ঠিক আছে আপু এডিট করে দিচ্ছি। ভিশু ভাইয়াকে তোমার সাথে আমিও একই অনুরোধ রাখছি আমাদের সকলের আনন্দে শামিল হওয়ার জন্য। আপনার সাথে আমিও সন্মানিত মডারেটবৃন্দদের মহানুভবতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
তোমার সাথে কথা বলার পর তোমার প্রাণের উষ্ণ ভালোবাসার উচ্ছলতা আমাকে বিস্ময়ের দোলায় তরঙ্গায়িত করেছে একান্ত আপন মানুষের সান্নিধ্যের ন্যায়। কখন যে আদরের ছোট বোনের আসনটি পাকাপোক্ত করে দখল করেছো টেরই পাইনি। ভীষণ মুগ্ধতায় ভেবেছি শুধু। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এই ব্লগের মধুময় ভালোলাগার আঙিনা কীভাবে সমস্ত সীমানার পাহাড় ডিঙ্গিয়ে ইউ কে আর ইটালিতে থাকা অপিরিচিত মানুষগুলোর হৃদয়গুলোকে একে অপরের জন্য মায়ায় পরিপূর্ণ করে তুলেছে যা মহান আল্লাহ্র অমূল্য নিয়ামত ছাড়া আর কী হতে পারে বলো আপু??!!
তোমাদের সকলের ভালোবাসার ঋণ আসলেই অপরিশোধিত!! যা শুধু হৃদয়ের অতলান্তে অনুভব করা যায় ভাষা দেয়া যায় না। বিনিময়ে দোয়া ছাড়া আর কী বা দিতে পারি বলো?!! তাই দিলাম.........
এর মধ্যে এমন 'মানুষের মধ্যে খণ্ডিত সততা বলে কিছু নেই। সততার পূর্ণাঙ্গ রূপ হল মানুষের সার্বিক পরিশুদ্ধ চিন্তা ভাবনা যার উদ্দেশ্যই হল সর্বতোমুখী কল্যাণকামিতা' পাওয়ারফুল অভিব্যাক্তি - নিঃসন্দেহে লিখাটিকে সুপারভ করেছে।
আল্লাহ আমাদের ভাই বোনদের মধ্যে কত না সুন্দর সুন্দর গুন দিয়েছেন - কিন্তু আমরা সে গুনাগুলো যেন বুঝতেই ব্যার্থ হচ্ছি।
অসংখ্য ধন্যবাদ এমন অনবদ্য লিখা ব্লগের পাঠকদের উপহার দেবার জন্য।
আপনার স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ও আন্তরিক প্রেরণাদ্বীপ্ত সুন্দর অনুভূতি আমার লিখার জগতে পাথেয় হোক থাক এটাই প্রতাশা। আপনার জন্য প্রানভরা অন্নেক অন্নেক দোয়া ও শুভকামনা রইলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
অাপনার জন্য প্রিয় বাংলাদেশের কোন এক হাওরে এক দুরন্ত কিশোরের শাপলা তোলার আনন্দ কত সুখকর তার একটি ছবি উপহার দিচ্ছি
আপনার দেয়া হৃদয়স্পর্শী উপহার আমাকে সেই শৈশবের দীঘিতে শাপলা তোলার বিশ্বজয়ের আনন্দানুভুতির কথা স্মরণ করিয়ে দিল। সেই সুখময় দিনগুলো আহা!! সত্যিই এযেন এক অভিভূত করা ভালোলাগা। উপহারটি পেয়ে অন্যরকম আপ্লুত হয়েছি ভাইয়া।
ভালো থাকুন খুউব ভালো, আপনার জন্য প্রানভরা অন্নেক অন্নেক দোয়া ও শুভকামনা রইলো।
এই অভিজ্ঞতার আলোকে একটা লিখা পোষ্ট করোনা প্লিজ...
সকলের জন্য শ্রেণীমত ছালাম ও শুভেচ্ছা রইলো।
কেমন কাটছে ব্যতিক্রমী সময়গুলো??
আপনার জন্য অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা।
চমৎকার লিখেছেন।
আমাদের দেশের কিছু কিছু না বরং অনেক মানুষের নামই মানুষের খাতা থেকে কেটে পশুর খাতায় লিখে দেয়া দরকার। অবশ্য তার আগে অবশ্যই পশুদের থেকে অনুমতি নিতে হবে। জাহান্নামের কীট গুলোকে পশুরাও তাদের দলে নিবে কিনা সন্দেহ আছে।
ধন্যবাদ।
আপনার স্বতঃস্ফূর্ত মূল্যবান উপস্থিতি এবং উৎসাহব্যঞ্জক সুন্দর অনুভূতির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার জন্য অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো।
জাযাকাল্লাহ খাইরান।
অনেক সুন্দর লিখেছেন।
আপনার জন্য অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা।
যদি কিছু মনে না করেন ভাইয়া আপনি কী ইউ কে তে থাকেন?
আপনার জন্য অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো।
ওগুলো আপনার জন্যেও রইলো, (অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা, শুভকামনা ইত্যাদি)।
উদ্যোগ প্রশংসা করার মত। উনি কিছু দাবীও রেখেছিলেন যা ব্লগ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে বারবার উপেক্ষিত হয়েছে। সহব্লগারদের (ভাইয়া এবং আপুদের)আন্তরিকতারও যথেষ্ট অভাব ছিল। ভিশু ভাই নিজে যেহেতু ইসলামী আন্দোলন এবং ডাক্তারীর মত মহৎ পেশার সাথে জড়িত তাই উনি দায়িত্বের ব্যাপারে আবেগতাড়িত হয়ে কোনো সিন্দ্ধান্ত নিয়েছেন বা নিবেন বলে আমার মনে হয়না। ফিরে আসার সিদ্ধান্তটা ভাইয়ার ব্যাক্তিগত। বরারবরের মতই আহ্বান রইলো। সেই সাথে শুভকামনাও
ধন্যবাদ আপু আপনাকে
সেইসাথে ভিশু ভাইয়া, ইমরান ভাইয়াসহ হারিয়ে যাওয়া ভাই বোনদেরকে আন্তরিক উদাত্ত আহ্বান জানাই সমস্ত মান অভিমান ভুলে একাকীভূত হবার। সবার জন্য দোয়া ও শুভকামনা।
অনেক দিন পর আমার লিখায় আপনার মূল্যবান স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ও উৎসাহব্যঞ্জক সুন্দর অনুভূতির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনারা সবাই নিয়মিত হলে এই ব্লগ ময়দান আবার উজ্জ্বীবিত ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে ইনশআল্লাহ্। আবার আমরা ফিরে পাবো আমাদের সেই হারানো দিনের পুরনো আলো ঝলমলে আনন্দগাঁথা গৌরবময় সোনালী দিনগুলো।
আপনার জন্য অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো।
আপনার জন্য অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো। বোনের জন্য দোয়া রাখবেন বেশী বেশী করে আবেদন রইলো।
যদিও জানি এতোসব বিশেষণের যোগ্য আমি নই তারপরও অনেক ভালোলাগা ছুঁয়ে দিলো।
আপনার জন্য অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো। বোনের জন্য দোয়া রাখবেন বেশী বেশী করে আবেদন রইলো।
মন্তব্য করতে লগইন করুন