আদর্শ গ্রামের হারানো ঐতিহ্যময় দিনগুলি
লিখেছেন লিখেছেন সন্ধাতারা ১৩ এপ্রিল, ২০১৫, ০৭:০১:০৬ সন্ধ্যা
একদা গ্রামের সর্বোত্তম আদর্শ ছিল ভোরের আযানের সাথে সাথে মসজিদ পানে ছুটে যাওয়া। নামায শেষে মক্তবে কিংবা মাদ্রাসায় আরবি পড়ার জন্য দলবেঁধে হাজির হওয়া। দিনের শুরুতেই ধর্মীয় পবিত্রতা আর শান্তিময় বাণীর শীতল পরশ নিয়ে মানবজাতির আরাধিত স্বপ্ন ও প্রত্যাশা পূরণে প্রবেশ করতো কর্মময় জীবনে। অথচ সেখানে আজ ঘুম ভাঙ্গে এবং দিন শুরু হয় হারমোনিয়ামের সুরে সুরে সারগাম রেওয়াজের মধ্য দিয়ে। শিশুরা প্রায় ভুলে গেছে মক্তবে যাওয়া। অভ্যাসের ক্রমাগত পরিবর্তনের আবর্তে চাপা পড়ে যাচ্ছে ধর্মীয় শিক্ষা দীক্ষা। বিপরীতমুখী এই স্রোতে সৎ মানুষের বদলে তৈরী হচ্ছে ইতর শ্রেণীর এক জনগোষ্ঠী।
অথচ এই একই গ্রামে আগে ভোরের স্নিগ্ধ পরিবেশে ওস্তাদজির সান্নিধ্যে এবং মাতাপিতার আদর্শিক চিন্তা ও প্রতিপালনে গড়ে উঠতো নির্মল এক ধর্মীয় জামা’আত। যে কচি মনে শিক্ষা জীবনের শুরুতেই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ এবং মানবজাতির মেরুদণ্ডসম ধর্ম, কর্ম, চরিত্র, নৈতিকতা ও যোগ্যতার সুসমন্বয়ের এক সুন্দর পরিবেশ গড়ে উঠতো। যেখানে রোপিত হতো সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও সুসমৃদ্ধ সমাজ সভ্যতার খাঁটি বীজ। যারা পরবর্তীতে সমাজ ও শাসনব্যবস্থায় উপহার দিতো সুন্দর ধর্মীয় বোধের উদাহরণ। এককথায়, আদর্শ মানব সম্পদ তৈরীতে এবং সমাজে আদর্শিক পরিবেশ বিনির্মাণে আধ্যাত্মিক, জাগতিক, নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞান ও ধর্মীয় স্তম্ভগুলো সেখানে পরস্পর সহায়করূপে সক্রিয়ভাবে কাজ করতো।
আর এই ধর্মীয় জ্ঞানের মূল্যবোধ ছিলো সর্বক্ষেত্রে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার উত্তম চাবিকাঠি। এভাবেই ব্যক্তি থেকে পরিবার, রাজনৈতিক পরিমণ্ডল থেকে গোটা দেশে বিরাজিত ছিল মুসলমানদের জন্য আদর্শিক জীবন মান। সমাজজীবনে ও শাসনব্যবস্থায় উন্নত নৈতিকতা ও আদর্শ চরিত্রেরই গ্রহণযোগ্যতা ও পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিলো। ব্যবসা-বাণিজ্য, পেশা-শিল্প, লেনদেন ও সামাজিক সম্পর্ক, আচার-বিচার, এককথায় জীবনের সকল ক্ষেত্রে উন্নত মানবিক মূল্যবোধের একচ্ছত্র শাসন ছিলো। সত্য ন্যায়ের বিস্তার এবং সভ্যতার ব্যাপ্তির পাশাপাশি মানুষের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতিও প্রায়োগিকভাবে অব্যাহত ছিলো। ব্যক্তির সাথে পরিবারের,
এবং সমাজের সাথে দেশের মানুষের সম্পর্ক ছিলো আস্থা ও দায়িত্বশীলতা এবং ভালোবাসা ও কল্যণকামিতার বুনিয়াদের উপর সুপ্রতিষ্ঠিত। ফলে দেশের বিশালতা ও জনসংখ্যার স্ফীতির তুলনায় অপরাধ হত্যা লুণ্ঠন ধর্ষণের পরিমাণ ছিলো খুবই নগণ্য বলতে গেলে প্রায় শূন্যের কোঠায়। অথচ তখনো পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি, দারিদ্রতা ও কার্যকারণ সবই ছিলো অপরাধ প্রবণতার অনুকূলে।
এতোদসত্ত্বেও ধর্মীয় মূল্যবোধের নিগুঢ় শিক্ষায় অনুপ্রাণিত এক আদর্শিক পরিবেশে উত্তম ও সমৃদ্ধতর জীবনই ছিল একমাত্র কাঙ্ক্ষিত। একে অপরের মঙ্গল কামনা ছাড়া ক্ষতিকর কোন কাজ করার মানসিকতা তারা পোষণ করতো না। আর এসব সম্ভব হয়েছিলো শুধুমাত্র তাদের ধর্মীয় বোধের আলোকিত জীবন ও চারিত্রিক সৌন্দর্যের কারণে।
অনুরূপভাবে যারা গ্রামের শাসনভার পরিচালনা করতো এবং নাগরিক জীবন ও সভ্যতার পরিচর্যা করতো তারা সবসময় আল্লাহ্র আইন মেনে চলতো। আর তা সম্ভব হয়েছিলো তাদের আকীদা ও বিশ্বাস, শিক্ষা ও দীক্ষা এবং রাজনীতি ও শাসননীতির মহত্ত্বের কারণে। যেখানেই তারা অবস্থান করতেন এবং যে দায়িত্বেই নিয়োজিত হতেন, চারিত্রিক নির্মলতায়, মহানুভবতায় ও ধার্মিকতায় তারা হতেন সকলের আদর্শ। এককথায় সর্বাবস্থায় সততা-সত্যবাদিতা, বিনয়-সংযম, ধৈর্য-আত্মত্যাগ, সহমর্মিতা ও কল্যাণকামিতাই ছিলো তাঁদের বিবেচ্য বিষয়।
সর্বক্ষেত্রে তারা সৎ কাজে আদেশ দান করা এবং মন্দ কাজে নিষেধ করাকে দায়িত্ব মনে করতো। ধনী গরীব নির্বিশেষে ইনসাফপূর্ণ আচরণ করা এবং কারো সাথে ওয়াদা করলে তা সঠিকভাবে পালন করাই ছিল তাঁদের জীবনের ব্রত। আর এর সবই ছিলো ধর্মীয় শিক্ষার ফল। আজ সেখানে গড়ে উঠছে আদম ব্যবসা, মদ্যপান ও জুয়ার রমরমা আসর, গুম, হত্যা, ব্যভিচার, লুণ্ঠন, ধর্ষণ ইত্যাদি। যেখানে স্বাভাবিকভাবে শান্তিপ্রিয় মানুষের শ্বাস প্রশ্বাস নেয়া অনেক দুরূহ।
আজ শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত সবখানে ক্ষমতা, যথেচ্ছার ভোগবিলাস, সম্পদের লালসা ও অর্থের প্রতাপে সবকিছুই কুক্ষিগত। যার সর্বগ্রাসী নিয়ন্ত্রণ থেকে সাধারণ মানুষের নিস্তার ও রেহাই নেই, নেই স্বস্তিতে বেঁচে থাকার নুন্যতম অধিকার। গ্রামের অসহায় বঞ্চিত অধিকাহারা মানুষ আজ ক্রীতদাসের ভূমিকায়। মহান রাব্বুল আলামীন এই জুলুমবাজ নগ্নতাশ্রয়ী আশীর্বাদপুষ্টদের কাছ থেকে আদর্শ গ্রামগুলোকে হেফাজত করুণ এবং সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আদর্শ গ্রামের হারানো ঐতিহ্যময় শান্তিপূর্ণ দিনগুলি ফিরিয়ে দিন। আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১৮২৩ বার পঠিত, ৭৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কত মজার দিন ছিল ,,,,সকালে কে কার আগে মসজিদে যাবে। .....ধন্যবাদ
আপনার জন্য অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো। মঙ্গলময় আপনাকে সর্বাবস্থায় ভালো রাখুন এই কামনা। সেইসাথে বোনের জন্য বেশী বেশী করে দোয়া করার জন্য বিশেষ অনুরোধ থাকলো।
আপনার জন্য অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো। মঙ্গলময় আপনাকে সর্বাবস্থায় ভালো রাখুন এই কামনা। সেইসাথে বোনের জন্য বেশী বেশী করে দোয়া করার জন্য বিশেষ অনুরোধ থাকলো।
আপনার স্বতঃস্ফূর্ত প্রথম উপস্থিতি ও সুন্দর অনুভূতির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার জন্য অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো। মঙ্গলময় আপনাকে সর্বাবস্থায় ভালো রাখুন এই কামনা। সেইসাথে বোনের জন্য বেশী বেশী করে দোয়া করার জন্য বিশেষ অনুরোধ থাকলো।
আপনার কথায় ছোটবেলায় ফিরে গেলাম। সেসময় সকালে বরই কুড়াতে বের হতাম ১০/১৫ জনের পিচ্চিদের সাথে। একেক জনের গাছের বরই একেক রকম ছিল। আমরা সেগুলো কুড়িয়ে খেতাম। শিউলি ফুল কুড়াতাম,তারপর মালা গাথতাম। এরপরই পড়তে যেতাম বাড়ির শিক্ষকের কাছে। আর আমি অল্প কয়েকদিন আরবী শেখার জন্যে মক্তবে গিয়েছি। আমি অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে কুরআন শিখেছিলাম। সে সময়ে প্রায় প্রত্যেক বাড়ির ছোট বাচ্চারা কুরঅঅন শিখত। আর সকালে ফজরের নামাজের পর কুরআন তিলাওয়াত ছিল রেওয়াজ। আমার আব্বা,মাও তিলাওয়াত করত।
এক গ্রামে এক ছেলে আর মেয়ে রাতের বেলা গোপনে কথা বলেছিল,এই কারনে শালিস বসল। আমি সেখানে ছিলাম। চেয়ারম্যান ছেলের বাপকে ডেকে এনে অপদস্ত করল। এরপর এরকম ঘটনা ঘটেনি। যদিও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত ছিলনা কিন্তু সমাজের মানুষের মধ্যে ইসলামী মূল্যবোধ থাকাতে,তারা উত্তম পরিবেশে বাচতে পেরেছে। আর আজ ইতর,শুয়োর দিয়ে সমাজ ভরে গেছে,এরাই শাসক শ্রেণী
আসলেই আজ সেই মধুর স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে শুধু দীর্ঘশ্বাসই বের হয়ে আসে আমার কেন জানি।
আপনার জন্য অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো। মঙ্গলময় আপনাকে সর্বাবস্থায় ভালো রাখুন এই কামনা। সেইসাথে বোনের জন্য বেশী বেশী করে দোয়া করার জন্য বিশেষ অনুরোধ থাকলো।
পুটীর মা নিশ্চয়ই অনেক অনেক সুখী হবে প্রত্যাশা করি।
সুন্দর মন্তব্যটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
কিন্তু আপনি এখনো নীরব কেন আপু??!!!
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু শ্রদ্ধেয় আংকেল। বিশ্লেষণধর্মী আপনার অভিজ্ঞতালব্ধ সুন্দর ঘটনাটি জেনে অনেক ভালো লাগলো। আপনার বাস্তবসম্মত সুন্দর মতামতের সাথে সহমত।
আপনার উদ্যোগ অনেক মহতী ছিল এবং খুব সুন্দর কাজ করেছেন মাশাআল্লাহ্।
আমাদের জান্নাতি পাখীটা কেমন আছে আংকেল?
আপনার উদ্যোগ অনেক মহতী ছিল এবং খুব সুন্দর কাজ করেছেন মাশাআল্লাহ্।
আমাদের জান্নাতি পাখীটা কেমন আছে আংকেল?
আমার জন্ম ঢাকাতে হলেও আজানের শব্দে আমার ঘুম ভাংত ঘুব ভাল লাগত । এখন আজান শুনি না তবে মামনির কোরআন তেলায়াতের শব্দে ঘুম ভাংগে এটাও ভাল লাগে ।
আমার নানুর বাড়ির পাশেই একটা মসজিদ আছে ছোট বেলায় সেখানে অনেক ছেলে মেয়ের সাথে আমি ও পড়তে যেতাম । সে সব দিন গুলো অনেক মনে পড়ে ।
অনেক ধন্যবাদ আপু ।
এখানে মসজিদের আযান শুনতে পাইনা তাই মোবাইলে সেট করা আছে। ভোর বেলা মোবাইলের আযান শুনেই ঘুম থেকে উঠি।
উৎসাহব্যঞ্জক সুন্দর অনুভূতির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
তোমার শরীর এখন কেমন কেমন? তোমার জন্য অনেক দোয়া করেছি। ভীষণ খারাপ লেগেছে তোমার অসুস্থতার সংবাদ শুনে।
এখন শহরে বেশিরভাগ স্কুল এই ক্লাস শুরু হয় ভোর ৭-৮ থেকে। মায়েরা রাতে সিরিয়াল শেষ করে ঘুমাতে যান ১-২ টা বাজে। সকালে ঘুমঘুম চোখে শিশুদের অবস্থা দেখে কষ্ট হয়। সব কিছুই আছে শুধু কুরআন থেকে তাদের দুরে রাখার চেষ্টা বেশি।
আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা নিজ হাতে জাহান্নামের দিকে ঠেলে দেয়ার পাঁয়তারা করছি যা খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। এই খোলস থেকে আমাদের পিতা মাতাকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
বাস্তবসম্মত পরিবেশের আলোকে আপনার সুন্দর মন্তব্যটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
টেকনাফে প্রতিটা মসজিদের সাথে এখনও মক্তব আছে আলহামদুলিল্লাহ।
এবং মজবুত মক্তব।
আমি নিজেও আবুল কালাম হুজুরের কাছে মক্তবে পড়েছি।
হুজুর এখন নেই কিন্তু তার স্মৃতি হৃদয়ে অম্লান।
খুব মনে পরছে হুজুরকে।
ক্ষমা করে দিন আমাদের হুজুরের গুনাহ ইয়া রব্ব।
তোমার হুজুরের জন্য প্রাণভরা দোয়া রইলো মহান রাব্বুল আলামীন উনার সমস্ত গুনাহখাতা মাফ করে জান্নাতের উচ্চ মাকামে সন্মানিত মেহমান বানিয়ে নিন।
আমিও ছোটবেলায় মক্তবে পড়েছি আলহামদুলিল্লাহ্ মাই লাভ্লি সান।
তুমি কী ছোটবেলায় টেকনাফে ছিলে?
টেকনাফ/সেন্ট মার্টিন/ শাহপরীর দ্বীপ এসব যায়গা ঘুড়ে ঘুড়ে অবলোকন করার সৌভাগ্য হয়েছিলো। আলহামদুলিল্লাহ।
তোমার জন্য অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো। মঙ্গলময় তোমাকে সর্বাবস্থায় ভালো রাখুন এই কামনা।
আপনার আবেগঘন মন্তব্যটি পড়ে আমিও আমার স্মৃতির পাতায় এঁকে এঁকে বিচরণ করছি।
খুবিই সুন্দর আবেগাপ্লুত মন্তব্যটির জন্য বারাকাল্লাহু ফিক।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে। ভালো লাগলো
খুবিই বিপজ্জনক কথা যে বাচ্চারা আরবী, বাংলা শেখার আগে হিন্দী শিখে। আপনিও মক্তবে পড়েছেন জেনে ভীষণ আনন্দিত হলাম আপু। অনেক সুন্দর স্মৃতিময় অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর আপু।
আপনার লিখা পড়তে চাই আপু......। পড়াশুনা কতদূর...?
ধর্মীয় জ্ঞানের মূল্যবোধ ছিলো সর্বক্ষেত্রে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার উত্তম চাবিকাঠি। এভাবেই ব্যক্তি থেকে পরিবার, রাজনৈতিক পরিমণ্ডল থেকে গোটা দেশে বিরাজিত ছিল মুসলমানদের জন্য আদর্শিক জীবন মান। সমাজজীবনে ও শাসনব্যবস্থায় উন্নত নৈতিকতা ও আদর্শ চরিত্রেরই গ্রহণযোগ্যতা ও পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিলো। ব্যবসা-বাণিজ্য, পেশা-শিল্প, লেনদেন ও সামাজিক সম্পর্ক, আচার-বিচার, এককথায় জীবনের সকল ক্ষেত্রে উন্নত মানবিক মূল্যবোধের একচ্ছত্র শাসন ছিলো। সত্য ন্যায়ের বিস্তার এবং সভ্যতার ব্যাপ্তির পাশাপাশি মানুষের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতিও প্রায়োগিকভাবে অব্যাহত ছিলো। ব্যক্তির সাথে পরিবারের,
এবং সমাজের সাথে দেশের মানুষের সম্পর্ক ছিলো আস্থা ও দায়িত্বশীলতা এবং ভালোবাসা ও কল্যণকামিতার বুনিয়াদের উপর সুপ্রতিষ্ঠিত। - সহমত।
সুন্দর অনুভূতি রেখে যাওয়ার জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
আমাদের বড় হওয়া কলোনীতে হলেও আমরা ছোটবেলা থেকেই ইসলামিক শিক্ষার হাতেখড়ি দিয়েই জীবন শুরু আলহামদুলিল্লাহ! ঠিক মসজিদের পাশের বাসাটাই আমাদের ছিলো, মুয়াজ্জিনের সুমধুর আযানের ধ্বনি আবার কখনো মায়ের কোরান তিলাওয়াতের মাধ্যমেই ঘুম থেকে জেগে ওঠা হতো! বান্ধবীরা দল বেঁধে, আম্মুর বড় উড়নাটা বহু কসরত করে মাথায় দিয়ে রেহাল হাতে নিয়ে মসজিদ পানে হেঁটে যাওয়া, উস্তাদজ্বি( আমার আব্বাজান) উনার পাশে বসা নিয়ে প্রতিযোগিতা করা খুব খুব আনন্দময় ছিল দিনগুলো! আলহামদুলিল্লাহ!
আমরা ইতালিতেও চেষ্টারত আছি প্রতিদিন পারছি না কিন্তু শনি আর রবিবার বাচ্চাদের মক্তব শিক্ষা চালু রেখেছি আলহামদুলিল্লাহ!
চমৎকার পোস্টটির জন্য জাযাকিল্লাহু খাইর আপু!
অনেক সুন্দর স্মৃতিময় অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর আপু।
মাশাআল্লাহ্! অনেক সুন্দর কাজে আল্লাহ্ পাক তোমাকে নিয়োজিত থাকার সৌভাগ্য নসীব করেছেন। ভীষণ আনন্দ হল জেনে।
তোমার জন্য অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো। মঙ্গলময় তোমাকে সর্বাবস্থায় ভালো রাখুন এই কামনা।
সেইসাথে বোনের জন্য বেশী বেশী করে দোয়া করার জন্য বিশেষ অনুরোধ থাকলো।
মুসলিম পরিবার মানে খুব ভোরে উঠে কোরআন পাঠদান বাধ্যতামুলক হওয়া উচিত! এখনো অনেক গ্রাম আছে মত্তবে কোরআন পাঠের সুরালো আওয়াজে ভরপুর! শুনলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়।
বেশিরভাগ মুসলিম আধুনিকতার নামে কোরআন শিক্ষা থেকে ছেলেমেয়েদের দূরে রাখে!!! আল্লাহ আমাদেরকে উত্তম বুঝ দান করুন আমিন।
তারা আসলেই দুর্ভাগা যারা মুসলিম অথচ আধুনিকতার নামে কোরআন শিক্ষা থেকে ছেলেমেয়েদের দূরে রাখে!!! আল্লাহ আমাদের সকলকেই উত্তম বুঝ দান করুন। আমীন। ছুম্মা আমীন।
অনেক সুন্দর অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপ্নাদের জন্য অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো। মঙ্গলময় আপনাদেরকে সর্বাবস্থায় ভালো রাখুন এই কামনা।
সেইসাথে বোনের জন্য বেশী বেশী করে দোয়া করার জন্য বিশেষ অনুরোধ থাকলো।
আস সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ.....
শ্রদ্ধেয়া আপুজ্বী!
ব্যক্তি-সমাজ ও রাষ্ট্রের অধঃপতন শুরুই এখান থেকে! আদর্শ গ্রামের বৈষয়িক স্বার্থবাদীতায় এমন করুণ পরিবর্তনেই সমাজে এতো অনাচার-অনৈতিকতা!
করুণাময় আল্লাহ স্বীয় দয়ায় হেফাযত করুন মুসলিম সমাজ কে-এই দোয়া!
জাযাকিল্লাহু খাইরান!!!
আপনার প্রাণ জুড়ানো দোয়ায় আমীন। ছুম্মা আমীন।
আপনার জন্য অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো। মঙ্গলময় আপনাকে সর্বাবস্থায় ভালো রাখুন সুস্থ রাখুন এই কামনা।
সেইসাথে বোনের জন্য বেশী বেশী করে দোয়া করার জন্য বিশেষ অনুরোধ থাকলো।
তোমার জন্য অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো। মঙ্গলময় তোমাকে সর্বাবস্থায় ভালো রাখুন সুস্থ রাখুন এই কামনা মাই লাভ্লি সান।
খুব সুন্দর লিখেছেন।
ভাল লেগেছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
জাযাকিল্লাহু খাইরান ফিদ্দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ।
উত্তম কাজের জন্য উত্তম মনের মানুষ যেমন প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন অতীতকে জেনে প্রজ্ঞার সমন্বয়ে কর্মপন্থা নির্ধারণ করা। এটা আফসোস নয় ভাইয়া, অভিজ্ঞতার আলোকে কোরআন ও হাদিসের অনুসরণে আগামী দিনের জন্য সঠিক চলার পথ নিরূপণ করতে উৎসাহী মানুষগুলোকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র।
আপনার স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ও উৎসাহব্যঞ্জক সুন্দর অনুভূতির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন