ফেলে আসা আলো আঁধারির দিনগুলি – পর্ব ৮
লিখেছেন লিখেছেন সন্ধাতারা ২৯ মার্চ, ২০১৫, ১২:১১:১৯ রাত
পর্ব ৭
http://www.todaybd.net/blog/blogdetail/detail/6327/mbanu/62844#.VRbvq-H26ac
অবশেষে অনেক স্বপ্ন, অনেক আবেগ আর উচ্ছ্বাসে ভরা সেই বহু কাঙ্ক্ষিত মাহেন্দ্রক্ষণের লগ্নটি সমাগত হলো। বাংলাদেশ এয়ারপোর্টে নির্বাচিত পাঁচ জনের সকলেই প্রিয়জনদের সান্নিধ্যে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে মনের শেষ নির্যাসটুকু ব্যক্ত করছে। আবার কেউবা অশ্রুসজল চোখে একান্ত ব্যাকুলতা নিয়ে বিদায়ের প্রহর গুনছে দু’বছরের জন্য দেশের মায়া ত্যাগ করার বিষাদের ছায়াতে। আমি ছিলাম দ্বিধাদ্বন্দের দোলাচলে। অবশেষে দয়াময়ের অপার কৃপায় কোনরূপ ঝুট ঝামেলা ছাড়াই আমার সমস্ত জল্পনা কল্পনা ও দুশ্চিন্তাকে সমাধিস্থ করে, প্রয়োজনীয় চেকআপ শেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ব্রিটিশ এয়ার ওয়েজের এয়ার হোষ্টেজের সহযোগিতায় নিজের আসনে গিয়ে বসলাম। সৌভাগ্যক্রমে আমার বসার আসনটি ছিল জানালার পাশে।
সারা যাত্রাপথে অসীম মুগ্ধতায় সৃষ্টার অবিশ্বাস্য সৃষ্টিকৌশল নয়নভরে উপভোগ করলাম। বিশাল পাখী আকৃতির প্রাণের মাঝে এতো মানুষ আর নয়নাভিরাম জিনিসের সমাহারে কীভাবে বিমানটি অগণিত তারার মাঝে আকাশে উড়ছিল তা পুলকিত নয়নে দেখছিলাম আর ভাবনার রাজ্যে হাবুডুবু খাচ্ছিলাম। এভাবেই উর্ধ্বে এবং লোকালয়ের অবিশ্বাস্য মাধুর্যের মুগ্ধতায় অনুসন্ধিৎসু দৃষ্টি আমার সারারাত নির্ঘুম রইলো। সাদা নীল মেঘ খণ্ডগুলো যখন জানালার কাছ ঘেঁষে ভেসে ভেসে যাচ্ছিল, মনে হল যেন স্বপ্নের মধ্যে ভ্রমণ করছি আমি। ছবিতে কল্পনার পরীরা যেভাবে উড়ে উড়ে ভেসে ভেসে যায় ঠিক তেমনি অনুভূতি হচ্ছিল আমার। তারপর ভাবাবেগে মনে যা আসলো ডায়েরীর পাতা ভরে লিখলাম।
আস্তে আস্তে প্রচণ্ড শীতের তীব্রতা অনুভূত হতে থাকলো। এরই মধ্যে ঘোষণা কানে বেজে উঠলো কিছুক্ষণের মধ্যেই হিথ্রো এয়ারপোর্টে বিমানটি অবতরন করতে যাচ্ছে। তাড়াতাড়ি নামার প্রস্তুতি চলছিল। এয়ারপোর্টে নেমে মনে হল শরীরের হাড়গুলো প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় যেন জমে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা অনেকেই এয়ারপোর্টের ফ্রেসরুমে ভারী গরম কাপড় চোপড় পরিধান করে নিলাম।
তারপর কানেকটিং ফ্লাইটে ৪৫ মিনিটের মধ্যে এডিনবরায় পৌঁছে গেলাম। সেখানে আমাদেরকে রিসিভ করার জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিলের ব্যাচ পরিহিত প্রতিনিধি অপেক্ষমাণ ছিল। নেমে দেখি গাছপালা থেকে শুরু করে সারা শহর সাদা ধবে ধবে তুষারে ঢাকা। এ এক সম্পূর্ণ ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন প্রকৃতি।
সৌভাগ্যবশতঃ গন্তব্যস্থলে পৌঁছেই অপ্রত্যাশিতভাবে পূর্ব পরিচিত কলিগদের দ্বারা আমরা সবাই আপ্যায়িত হলাম। বিদেশের মাটিতে তাদের আন্তরিক উপস্থিতি, অভ্যর্থনা, আপনজনের মত সান্নিধ্য এবং উষ্ণ আপ্যায়নে বিশেষ এক অনুভূতি তৈরী হল আমাদের হৃদয়ে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তারপর দলবেঁধে তারা আমাদেরকে নিয়ে বেড়াতে নিয়ে গেলো অদেখা সৌন্দর্য ভ্রমণে। যদিও অনেকেই ক্লান্ত থাকার কারণে যেতে আপত্তি করলো কিন্তু অবশেষে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনার সাথে সেদিনটি ভীষণভাবে উপভোগ করলো।
কয়েকদিন পর বিমানে বসে স্যারকে নিয়ে লিখা একটি কবিতা এবং আমার অনুভূতির বর্ণনাসহ একটি চিঠি ওনাকে ডাকযোগে পাঠালাম। কিছুদিনের মধ্যেই অপ্রত্যাশিতভাবে স্যারের উত্তর পেয়ে আনন্দে অভিভূত হলাম। স্বল্প সময়ের মধ্যে ছেলেকেও নিয়ে আসলাম আমার কাছে। সেও আমার সাথেই থাকতো। এভাবেই একদিন আনন্দ বেদনা, ভালো মন্দ, সুখ দুঃখের দোলাচলে প্রায় দু’বছরের কোর্সটি কৃতিত্বের সাথে সমাপ্ত হল। পরমানন্দে তখন আমরা সকলেই দেশে ফেরার প্রতীক্ষায়।
তারপর দেশে ফিরে কলেজে শিক্ষকতার পাশাপাশি বিদেশী প্রজেক্টে তখন আমি কাজ করেছি। একদিন হঠাৎ করে আবারো পারিবারিক প্রয়োজনে ইউ কে তে ফিরে আসি। চাকুরী জীবনে ঢাকায় বদলী হয়ে আসার পর আমার যেটুকু ক্ষুদ্র অর্জন সেটা সম্পূর্ণ স্যারের আন্তরিকতাপূর্ণ সাহায্য সহযোগিতার যাদুকরী ফসল। এযেন একটি জীবনের বেঁচে থাকার জন্য অত্যাবশ্যকীয় আলো ও বাতাসের মত। স্যারের জন্য তাই অনুতাপের অশ্রু বিসর্জন কিংবা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ যথেষ্ট নয় আমার জন্য।
এরপর যতবার দেশে বেড়াতে গিয়েছি স্যারের সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে। সে মুহূর্তগুলো ছিল আমার জন্য অনেক কষ্টের এবং অনেক বেদনার। শেষবার যখন স্যারের সাথে দেখা করতে গেলাম আমার ছেলে তখন সাথে ছিল। অনেক কথা বললেন স্যার যদিও কথাগুলো একটু অস্পষ্ট ছিল। বুঝতে একটু কষ্ট হতো। এই অবস্থায় কেন জানি সেদিন স্যারকে দেখে নিজের আবেগ আর ধরে রাখতে পারিনি। দুচোখ বেয়ে টপ টপ করে পানি ঝরছিল। হঠাৎ অনুভব করলাম পিতৃ স্নেহের ন্যায় একটি আদরমাখা হাত আমার পিঠে রেখে সান্ত্বনার বাণী শোনাচ্ছেন তিনি। মুহূর্তেই পরিবেশ অত্যন্ত ভারী ও আবেগঘন হয়ে উঠলো। আর কালবিলম্ব না করে দ্রুত আমরা দু’জন স্যারের সান্নিধ্য ছেড়ে চলে এলাম। চলবে...
বিষয়: বিবিধ
২২১০ বার পঠিত, ৪৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আসুন আপনার সময় করে আংকেল।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
জানালার পাশে বসলে দেখা উড়ান্ত বিমানে বসে বাইরের সব আজব দৃশ্য....! মেঘ গুলোকে মনে হয় এক একটি ছোট্ট ছোট্ট পৃথিবী।
ঢেউয়ের পরে ঢেউ দেখে ভয়ে কখনো কখনো ইচ্ছে হয় চিৎকার করি.......! আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে বিমন ভ্রমণ করি বলেই আল্লাহ আমাদের পাখির মত উড়িয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নিয়ে যায়। আলহামদুলিল্লাহ।
আপনাদের জন্য প্রাণভরে দোয়া করি পরম করুণাময় অন্তর্যামী আপনাকে দ্বীনের পথে অবিচলিত রেখে চলার পথ সুগম ও দুনো জাহানের কামিয়াবী অর্জনের তৌফিক দান করুণ। আমীন।
বোনের জন্য দোয়ার অনুরোধ রইলো।
আপনার জন্য প্রাণভরে দোয়া করি পরম করুণাময় অন্তর্যামী আপনাকে দ্বীনের পথে অবিচলিত রেখে চলার পথ সুগম ও দুনো জাহানের কামিয়াবী অর্জনের তৌফিক দান করুণ। আমীন।
বোনের জন্য দোয়ার অনুরোধ রইলো।
আলহামদুলিল্লাহ্, আল্লাহর অশেষ কৃপায় কোন ঝুট ঝামেলা ছাড়াই কোর্স্টি শেষ করে আস্তে পেরেছেন, শুনে খুশি হলাম।
কিন্তু আমি একমাত্র ব্যক্তি যে আপনার সবগুলো পর্ব পড়েছু, একটা বিষয় আমাকে আজ খুব দুঃখ দিচ্ছে এবং অনুসন্দধানি মন কৌতূহলী হয়ে উঠছে, সারাক্ষণ শুধু স্যারের প্রশংসাই করে গেলেন, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ভাল, কিন্তু এই কৃতজ্ঞতার আধিক্যে একটা বিষয় চাপাই পড়ে গেছে!!!! আপনার এতো সফলতার পিছনে ভাইয়ার কি কোন অবদান ছিল না???????????
অবদান যদি নাও থাকে, একজন নারীর জীবনে স্বামী সন্তানের চেয়ে আপনি আর কি হতে পারে, নিয়েছেন উনার নাম একটি বারের জন্যও মুখে? কিন্তু কেন???? আমার ভেবে মনে দারুণ ব্যথা হচ্ছে!
ভাইয়া সম্পর্কে যতক্ষণ না জানতে পারব, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার প্রতি ক্ষোভ থেকেই যাবে।
আশা করি, আমার মনোকষ্ট দূর করবেন। যদি আমাকে ভাই ভেবে থাকেন।
আর এই লিখার উদ্দেশ্য আমার শ্রদ্ধেয় স্যারের রেখে যাওয়া বিশাল ঋণের বোঝাকে হালকা করার মানসে ক্ষুদ্র একটু প্রয়াস মাত্র। আমি আমার লিখায় স্যারের বিষয়ে যেটুকু প্রকাশ করেছি সেটা আপনার কাছে আধিক্য মনে হলেও তাতে এতোটুকু অতিরঞ্জন নেই যা আমার লিখায় উল্লেখ করা হয়েছে।
তাইতো এখানে আমার পারিবারিক বিষয় বা পরিচিতিকে তুলে ধরা শোভনীয় হবে না।
আপনার জন্য প্রাণভরে দোয়া করি পরম করুণাময় অন্তর্যামী আপনাকে দ্বীনের পথে অবিচলিত রেখে চলার পথ সুগম ও দুনো জাহানের কামিয়াবী অর্জনের তৌফিক দান করুণ। আমীন।
বোনের জন্য দোয়ার অনুরোধ রইলো।
যাই হোক, আমি এতো সহজে ছাড়ছি না। একবার যখন উনার কথা মাথায় এসেছে, উনার কথা বিস্তারিত শুনেই তবে ক্ষান্ত হবো! সরাসরি না হোক, গল্প আকারে অথবা ভিন্ন কোন উপায়ে উনাকে নিয়ে একটা লিখা আপনাকে লিখতেই হবে!
খুব কষ্ট দিচ্ছি? বিরক্ত করছি? প্রশ্ন করে বিভ্রান্ত করছি নাতো? হয়ত করছি! কিছু মানুষ থাকে, যাদের ভাল না লাগ্লেও সহ্য করে নিতে হয়য়, আমাকেও না হয়য় একটু সহ্য করে নিলেন!
কমেন্টটি যখন লিখি, তখন আমি নিজেও বুঝতে পারি, আমার কমেন্ট দেখে আপনার খুব একটা ভাল লাগবে না! জানেন আমি অনেক কিছুই বুঝতে পারি। আপনার কমেন্ট ভাষা আমাকে বুঝিয়ে দেয়, আমার প্রতি ভাল্লাগা থেকে কমেন্ট করেন আর কখন করতে হয় তাই করেন।
আপনি না সেদিন বলেছিলেন আপনি সাবালক একজন। তার তো কোন লক্ষণ আমার মত একজন নির্বোধের অনুভূতিতে ধরা দিচ্ছে না! হয়তো বা আমারই বোকামী বা নির্বুদ্ধিতা!!
ভালো থাকুন দোয়া রইলো।
অনেকদিন পর আবার সিরিজটি পড়লাম! আলহামদুলিল্লাহ! পরের পর্বের অপেক্ষায় আপু!
শুকরিয়া আপনাকে
আপনার জন্য প্রাণভরে দোয়া করি পরম করুণাময় অন্তর্যামী আপনাকে দ্বীনের পথে অবিচলিত রেখে চলার পথ সুগম ও দুনো জাহানের কামিয়াবী অর্জনের তৌফিক দান করুণ। আমীন।
বোনের জন্য দোয়ার অনুরোধ রইলো।
আপনার কথাগুলো ভাবের দোলায় যেন তরঙ্গায়িত হয়ে একসাথে অনেক ম্যাসেজ দিলো। নিজেকে এতো তাড়াতাড়ি বুড়ো বানিয়ে ফেলেছেন দেখে কষ্ট হলেও পরক্ষণে আনন্দিত হলাম যে আমার লিখাটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে।
আপনাদের মত শ্রদ্ধাভাজন, জ্ঞানী গুণীজন এভাবে পাশে থেকে লিখতে উদ্বুদ্ধ ও উজ্জ্বীবিত করার জন্য ভীষণ আনন্দ লাগছে।
সাথে থাকার জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার জন্য প্রাণভরে দোয়া করি পরম করুণাময় অন্তর্যামী আপনাকে সুঠাম দেহে দ্বীনের পথে অবিচলিত রেখে বেশী বেশী দাওয়াত দেয়ার পথ সুগম করুণ ও দুনো জাহানের কামিয়াবী অর্জনের তৌফিক দান করুণ। আমীন।
বোনের জন্য দোয়ার অনুরোধ রইলো।
আপনার লিখা খুবই সুন্দর আর গুরুত্বপূর্ণ। তাই মনস্তাপে আক্ষেপ করার কিছুই নেই।
আপনার জন্য প্রাণভরে দোয়া করি পরম করুণাময় অন্তর্যামী আপনাকে সুঠাম দেহে দ্বীনের পথে অবিচলিত রেখে বেশী বেশী দাওয়াত দেয়ার পথ সুগম করুণ ও দুনো জাহানের কামিয়াবী অর্জনের তৌফিক দান করুণ। আমীন।
বোনের জন্য দোয়ার অনুরোধ রইলো।
মানুষের মানবিক গুনগুলি হারিয়ে যাচ্ছে। তেমনই ডাঃ নুরুল ইসলাম সাহেবের মত মানবসেবকরাও।
আপনার জন্য প্রাণভরে দোয়া করি পরম করুণাময় অন্তর্যামী আপনাকে দ্বীনের পথে অবিচলিত রেখে দুনো জাহানের কামিয়াবী অর্জনের তৌফিক দান করুণ। আমীন।
বোনের জন্য দোয়ার অনুরোধ রইলো।
সব মানুষের জীবনেই কোন না কোন সিরি আল্লাহ দেন তবে কেউ সেটা বেয়ে মানে কাজে লাগিয়ে উপরে উঠতে পারে কেউ পারে না ।
অনেক ধন্যবাদ আপু ।
তোমার জন্য প্রাণভরে দোয়া করি পরম করুণাময় তোমাকে দ্বীনের পথে অবিচলিত রেখে দুনো জাহানের কামিয়াবী অর্জনের তৌফিক দান করুণ। আমীন।
বোনের জন্য দোয়ার অনুরোধ রইলো।
আপনার জন্য প্রাণভরে দোয়া করি পরম করুণাময় আপনাকে দ্বীনের পথে অবিচলিত রেখে দুনো জাহানের কামিয়াবী অর্জনের তৌফিক দান করুণ। আমীন।
বোনের জন্য দোয়ার অনুরোধ রইলো।
তাই তো এটা কি?
আমিও তো এই প্রশ্ন জীবনে প্রথম শুনলাম!!
আপনার জন্য প্রাণভরে দোয়া করি পরম করুণাময় আপনাকে দ্বীনের পথে অবিচলিত রেখে দুনো জাহানের কামিয়াবী অর্জনের তৌফিক দান করুণ। আমীন।
বোনের জন্য দোয়ার অনুরোধ রইলো।
আমি বিমান বালা বা এয়ার হোস্টেজ দেখেছি
ভালো থাকুন আপনার জন্য অনিঃশেষ দোয়া রইলো।
পুরাই দুআর ভান্ডার দিয়ে দিলেন হিহিহি___>খুব ভালো লাগলো আপপু
তবে মানুষ হিসাবে মহান প্রভূ আমাকে যে অবস্থানে রেখেছেন আমি খুবিই সুখী আলহামদুলিল্লাহ্।
আর ভাই হিসাবে বোনের মঙ্গল কামনা করলেন জেনে ভীষণ আনন্দিত হলাম। ছোট ভাইটির জন্য আমার দোয়া ও শুভকামনা সবসময় আছে এবং চিরকাল থাকবে ইনশআল্লাহ্।
পরম করুণাময় আমাদের সকলকেই দ্বীনের পথে অবিচলিত রেখে দুনো জাহানের কামিয়াবী অর্জনের তৌফিক দান করুণ। আমীন।
আপনার অতীত জেনে আমি কিন্তু অনেক গভীরে হারিয়ে গেলাম। মনে মনে ভাবছি যদি কোন দিন আপনার সাথে দেখা হয়ে যায়, তখন আমি কথা বলার ভাষা খুজে পাব না। যার জিবনে এত সংগ্রাম, আনন্দ, বেদনা, অর্জন, বিসর্জন, ভ্রমন, অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, দিক্ষা আরো কত কি!
আর হ্যাঁ আংকেল আমি খুবিই সাধারণ একজন মানুষ। আল্লাহ্ পাক যদি কোনদিন দেখা হওয়ার সৌভাগ্য নসীব করেন তাহলে তো ভীষণ ভালো লাগতো। এভাবে বলে লজ্জা দিবেন না। আমার অর্জন তেমন কিছুই নেই তবে আমি পথ চলতে জানি প্রভূর ইচ্ছায় এবং দয়ায়।
আমার জন্য দোয়া করবেন বেশী বেশী করে। আপনার জন্য দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো।
আপনি আমার স্যারের জন্য দোয়া করেছেন জেনে ভীষণ খুশী ও কৃতজ্ঞ হলাম। মহান মহিমাময় প্রভূ যেন আমাদের সকলের প্রার্থনা কবুল করে নেন। আমীন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন