শব্দের স্পন্দনে
লিখেছেন লিখেছেন সন্ধাতারা ২৫ মার্চ, ২০১৫, ০৫:৩৭:৪৫ বিকাল
শব্দের স্পন্দন মানুষের মন মানসে ও চিন্তায় সৃষ্টি করে প্রবল আলোড়ন। বোধের চেতনাকে করে পুষ্টিত ও উর্বর। মহা প্রলয়ের অগ্নিশিখা যখন পৃথিবীকে গ্রাস করে অন্ধকূপে সমাধিস্থ করতে চায় তখন শব্দের স্পন্দনে সেখানে সৃষ্টি হয় সত্য ও ন্যায়ের অনির্বাণ প্রদীপ শিখা। শব্দের শাণিত গাঁথুনি অনৈতিকতার আগাছায় নিড়ানী দিয়ে গড়ে তোলে সবুজ সতেজ নির্মল বাসযোগ্য পৃথিবী। প্রাণে প্রাণে জেগে উঠে নব জাগরণী সুর। সৃষ্টি হয় ভালোবাসার অমোঘ বন্ধনে ব্যক্তি, পরিবার, জাতি এবং দেশের কল্যাণ। শব্দের স্পন্দনে জাগ্রত হয়েছে এমনিভাবে লাখো জনতার প্রাণ।
এই স্পন্দিত আলোকিত মানুষেরা নিজের বিয়োগ বিষাদ ঝেড়ে ফেলে কাঁধে তুলে নিয়েছে সময়ের সাহসী তলোয়ার। বৈরী প্রকৃতি ললাটে লেপে লেপটে নিয়ে ধাবিত হয়েছে শত্রুর মোকাবিলায় লড়াইয়ের ময়দানে। প্রিয়জনদের সুখানুভবের নির্যাস মুছে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে সাহসী যুবকেরা দৃঢ় প্রত্যয় বাসনা নিয়ে হিম্মতি পা বাড়িয়ে দিয়েছে আগ্রাসী শক্তির মোকাবিলায়। কেউবা স্বর্গের অপ্সরা পরীদের দু’পায়ে দলে ভালবাসাকে পুড়িয়ে ছারখার করেছে ন্যায়ের তীব্র অনলের পথ রেখায়।
এদের ভালোবাসা কুয়াশার কাঁকনে জড়ানো কামিনীরা নয়। এদের স্বপ্নের জগতে থাকে কঙ্কালসার অনাহারী শিশু মাতা ভগিনী। এরা মিথ্যা অন্যায় ও রক্ত চক্ষুকে ডরায় না। কারো হুঙ্কারে শির করে না নত। এরা পরাস্ত হয়ে পলায়ন করতে জানে না যুদ্ধের ময়দান থেকে। এরা ভালো করেই জানে মহান রবের অমূল্য প্রতিদানের কথা। এদের আত্মিক পরিশুদ্ধি, উন্নতি, অগ্রগতি এবং আরাধনার বিষয়বস্তু অন্যায় নিধন করে মানবকল্যাণ প্রতিষ্ঠা করা।
এই কলম যোদ্ধারা তাদের শব্দের স্পন্দনে ঘুমন্ত প্রাণকে জাগিয়ে তোলে। এরা কাঁপিয়ে তোলে ভীত তামাম অসূরের। যুগে যুগে এরা বদলিয়ে দেয় ইতিহাস। অন্যায়, অসত্য, গুম, হত্যা, ধর্ষণ, হতাশা ও নৈরাজ্যের ভারে ন্যুজ্জ্ব দুঃখভারাক্রান্ত জাতীকে স্বস্তির আলো এনে দেয় এরা। যুগে যুগে দুঃশাসনের রুদ্র বহ্নিকে এই বীরেরা বিনাশ করে উপশমের দ্বার করেছে উন্মুক্ত, অবারিত। এরাই মানুষের প্রয়োজনে ইতিহাস ভাঙ্গে এবং গড়ে। এরা মরতে জানে না। এদের মৃত্যু নেই এরা মৃত্যুঞ্জয়। এদের বুকে শব্দের স্পন্দন শাণিত থেকে শাণিততর হয়। এই স্পন্দন কখনও মুছে দেয়া যায় না ইচ্ছে হলেই। অনুরণিত হতেই থাকে গৌরবের নেশায় যা হিটলারি শাসকদেরকে ভাবিয়ে তোলে অজানা আশঙ্কায়।
জঙ্গম স্রোতের প্রবল প্রত্যয়ী বুকে পিণ্ডসুল ব্যাধিগ্রস্ত জাতির জন্য এরা জীবন মরণ পণ করে ঝাঁপিয়ে পড়ে চিহ্নিত দুশমন মোকাবিলায়। দুরারোগ্য ব্যাধির অসহনীয় যন্ত্রণায় কাতর মানবকূলের শান্তি ফিরিয়ে না দেয়া পর্যন্ত এরা দমে যায় না। কাল থেকে কালান্তরে এসব সাহসী নাবিকের এটাই হল গৌরবগাঁথা ইতিহাস।
এরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ চিত্তে আমৃত্যু অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীনভাবে আপ্রাণ সংগ্রাম চালিয়ে যেতেই থাকে। সফল হলে এরা গাজী, আর সফল না হলে শহীদ। যুদ্ধে জিতে সফলকাম এই বিজয়ী সেনারা বিধাতার দরবারে শোকর গোজার করে আর ব্যর্থতায় পরম ধৈর্য ও ছবর করে। এদের কোন গ্লানি বা পরাজয় নেই। এই মানবতাপ্রেমীগণ যুগে যুগে দেশ ও জাতির কাছে অমূল্য এক শ্রদ্ধেয়, সন্মানিত এবং মহার্ঘের পাত্র।
তাই তো সময়ের প্রয়োজনে অত্যন্ত আশাজাগানিয়া চির দুর্দমনীয় এই অমূল্য সম্পদ আমাদের গর্বিত মানিকেরা জিহাদের তামান্না নিয়ে বুকে তুলে নিয়েছে অসহায় মানুষের কঠিন দায়িত্ব আর মুষ্টিবদ্ধ হাতে নিয়েছে প্রতিবাদের তলোয়ার। গভীর তমাসাচ্ছন্ন ও নির্মম বাস্তবের অগ্নিমূর্তির প্রজ্জ্বলনে জাতি যখন দিশেহারা তখন এই বীরেরা তাদের সান্ত্বনা যুগিয়েছে, দেখিয়েছে মুক্তির স্বপ্ন ও সঞ্চারিত করেছে আশাবাদ নিষ্প্রাণ দেহে। অভিশপ্ত জাতীকে মুক্ত করতে স্নেহ মায়ামমতা ও প্রেম বন্ধনের লোহার শিকল ভেঙ্গে গর্জে উঠেছে আত্মা এই বিদ্রোহী কাফেলার। এভাবেই সৃষ্টি হয়েছে তারিক বিন যিয়াদের বীরত্বগাঁথা ইতিহাস। জন্ম হয়েছে অসীম সাহসী যুবক মুহম্মদ বিন কাসিম এবং গাজী সালাহ উদ্দীনের। যাদের বীরত্ব অমরত্ন দান করেছে গর্ব ও গৌরবের।
প্রলয়ঙ্করী পরিবেশে মুক্তি পাগল বীরেরা বিজয়ের ঝাণ্ডা উড়াবার জন্য কামনা করেছিল তাঁদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেয়ার। আর যুগে যুগে এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং সময়ের সাহসী উচ্চারণে তেজ্জ্ব্যোদ্বীপ্ত শক্তি ও বল যুগিয়ে চলেছে শব্দের স্পন্দন। এমনিভাবে সাহসী হাত সত্যের ঝংকারে শাণিত কলমের আঁচড়ে কাগজের বুকে তুলে স্পন্দনের চির কম্পন। হৃদয়ে জীবন্ত হয়ে উঠে পূর্ণিমার ন্যায় বিজয়ের আলোকিত ভূবন। যে কলমে থাকে তলোয়ারের তৃষ্ণার্ত ধার, কালিতে থাকে লাল রক্তের শহীদি উষ্ণ ঘ্রাণ, আর ধমনীতে বহে চলে ঈমানের তাজা স্পন্দন! এভাবেই মহাবিপ্লবী মানসে কাল থেকে কালান্তরে বিকশিত হয় কোটি কোটি বীরের প্রাণ। তাঁরাই উড়িয়ে চলছে বিজয় কেতন। অনবদ্য হয়ে উঠছে সেখানে শব্দের শাণিত স্পন্দন।
বিষয়: বিবিধ
১২৯৭ বার পঠিত, ৪০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
উৎসর্গ করলাম সব পছন্দের ছবিগুলো তোমার জন্য...
তবে আমার মনে হয় ছবিগুলোর চেয়ে কথাগুলো আরও অনেক সুন্দর!!
ব্লগে তোমার উপস্থিতি
হ্যারিকেনে নক্ষত্র জ্যোতি।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস পরম করুণাময় রাহমানুর রাহীম তোমাকে পড়ার
মানসিকতা এবং পড়ার জগতকে তোমার জন্য স্বাদের ও উপভোগের বিষয় বানিয়ে দিবেন ইনশআল্লাহ্।
পোষ্ট না পড়েই দাদাগীরী??
তাই ব্লগে কিছুটা ভারমুক্ত হওয়ার পাশাপাশি একটু ছেলেমানুষি করা হ্যারির স্বভাব। যা ব্লগের হয়তো অনেকেই জানেন।
আপনি হ্যারির জন্য প্রাণভরে দোয়া করবেন আংকেল।
অবশ্যই দোয়া, আল্লাহ তায়ালা হারিকেন ভাইকে দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ দান করুক। আমীন।
--------------------------
"সত্য ও ন্যায়ের নির্বাণ প্রদীপ শিখা"। মনে হয় শব্দটা 'অনির্বাণ' হবে।
আপনার ঊজ্জ্বীবিত করা মন্তব্য, দোয়া এবং সংশোধন করিয়ে দেয়ার যে সুন্দর মানসিকতা তাকে কৃতজ্ঞচিত্তে সাধুবাদ জানাই।
আপনার জন্য প্রাণভরা দোয়া ও অনিঃশেষ শুভকামনা রইলো।
আপু হয়ে গেলাম আবার কখন????
বুঝতে পেরেছি, আপুদের মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে হয়তো ভুল করে চলে এসেছে।
ভীষণ খারাপ লাগছে নিজের এই ত্রুটির জন্য।
জাযাকাল্লাহু খাইর।
কারণ আমি যেটুকু লিখালিখি করি এই ভোতা মাথায় এবং মগজে তার সবটুকুই আমার স্রষ্টার সন্তুষ্টির জন্য।
আমার অন্তর্যামী নিশ্চয়ই তা জানেন। সুতরাং উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছুই নেই।
“ও” টা কে তা কিন্তু বলোনি!!
তোমার জন্য প্রাণভরা দোয়া ও অনিঃশেষ শুভকামনা রইলো।
স্পন্দন, প্রবল আলোড়ন, পুষ্টিত, উর্বর, মহা প্রলয়ের, অগ্নিশিখা, গ্রাস, অন্ধকূপে, সমাধিস্থ, অনির্বাণ, প্রদীপ, শিখা,শাণিত, গাঁথুনি, নিড়ানী, নির্মল, নব জাগরণী, অমোঘ, বিষাদ, ললাটে, লেপে লেপটে, নির্যাস, হিম্মতি, স্বর্গের অপ্সরা, ছারখার, অনলের, কাঁকনে, কামিনীরা, কঙ্কালসার, ভগিনী, হুঙ্কারে, শির, পরাস্ত, আত্মিক, পরিশুদ্ধি, আরাধনার, নিধন, তামামদ অসূরের, ন্যুজ্জ্ব, দুঃখভারাক্রান্ত, রুদ্র, বহ্নিকে, উপশমের, উন্মুক্ত, অবারিত, মৃত্যুঞ্জয়, শাণিত, শাণিততর, অনুরণিত, আশঙ্কায়, জঙ্গম, প্রত্যয়ী, পিণ্ডসুল, ব্যাধিগ্রস্ত, কালান্তরে, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, চিত্তে, আমৃত্যু, গ্লানি, মহার্ঘের, আশাজাগানিয়া, দুর্দমনীয়, অগ্নিমূর্তির, প্রজ্জ্বলনে, সঞ্চারিত, নিষ্প্রাণ, অমরত্ন, প্রলয়ঙ্করী, ঝাণ্ডা, তেজ্জ্ব্যোদ্বীপ্ত, ঝংকারে, শাণিত, আঁচড়ে, তৃষ্ণার্ত, উষ্ণ, ধমনীতে, মহাবিপ্লবী, মানসে, কালান্তরে, বিকশিত, কেতন, অনবদ্য।
এই শব্দগুলো কোন ব্যাকরণের সংরক্ষণ? আমিতো উচ্চারণ করতে করতে জিহবা দূর্বল করে ফেলেছি। এত সাহিত্বিকতা থাকার পরও (বিষয়: বিবিধ) সিলেক্ট না (বিষয়: সাহিত্য) কেন সিলেক্ট করলেন না?
আপনার সাহিত্যের ছাত্র হতে চাই। কি বলেন ছাত্রকে কেয়ার করবেন তো!
অনেক ধন্যবাদ খালাম্মুনি।
নিজের লিখাকে নিজেই বিশ্লেষণ করছি, যা আসলেই কঠিন কাজ।
আমি জানিনা কেন আমার লিখা দুর্বোধ্য মনে হয় এবং আপনাদের অনেকের কষ্টের উদ্রেক করে।
লিখাটা মনে হয় আমার মত একজন নবীশ লেখক বা লেখিকার একান্ত কিছু সৃষ্টি যা চাইলেও রদবদল করা কঠিন।
আপনি প্রশ্ন করেছেন শব্দগুলো কোন ব্যাকারনের সংরক্ষণ। এগুলো কোন ব্যাকারনে নেই তবে বাংলা অভিধানে হয়তো আছে।
আপনার জিহ্বা দুর্বল করে দেয়ার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আর হ্যাঁ আমি লিখা পোষ্ট করার সময় কোন বিষয় সিলেক্ট করিনা কেননা ওটা আমার লিখার উদ্দ্যেশ্য নয়!
খালাম্নির ছাত্র হতে চেয়ে আমাকে লজ্জিত করছেন বৈকি!!
দীর্ঘ বিশ্লেষণাত্মক মন্তব্য ও আপনার ব্যক্তি অনুভূতির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার জন্য দোয়া ও শুভ কামনা রইলো।
অনেক কস্টকরে পড়েছিতো তাই।
অসাধারণ অসাধারন হয়েছে আপুজি।
আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
আপনার জন্য প্রাণভরা দোয়া ও অনিঃশেষ শুভকামনা রইলো।
জাযাকাল্লাহু খাইর।
আপনাদের জন্য প্রাণভরা দোয়া ও অনিঃশেষ শুভকামনা রইলো।
জাযাকাল্লাহু খাইর।
আপু লেখা Excellent হয়েছে ।
সুন্দর অনুভূতি এবং অনুপ্রাণিত করা মন্তব্যে ভীষণভাবে আনান্দিত হলাম।
প্রাণভরা দোয়া ও অনিঃশেষ শুভকামনা রইলো।
জাযাকাল্লাহু খাইর।
ব্লগে আপনার নিয়মিত উপস্থিতি প্রত্যাশিত।
আপনার জন্য প্রাণভরা দোয়া ও অনিঃশেষ শুভকামনা রইলো।
জাযাকাল্লাহু খাইর।
আপনার মূল্যবান উপস্থিতি, চমৎকার বিশ্লেষণ এবং রেখে যাওয়া অভিভূত করা মন্তব্যে প্রীত ও মুগ্ধ হলাম।
যদিও এর যোগ্য আমি নই।
আপনার অনুপ্রাণিত করা সন্মানের প্রতি আমার আন্তরিক অনিঃশেষ কৃতজ্ঞতা এবং শ্রদ্ধা। ফুলেল শুভেচ্ছার জন্য রইলো অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনাদের জন্য প্রাণভরা দোয়া ও অনিঃশেষ শুভকামনা রইলো। আপনারা দুজনেই ভালো থাকবেন খুব ভালো। জাযাকাল্লাহু খাইর।
যদিও নিজস্ব বিবেচনায় আমি এসবের যোগ্য নই। তুমি এবং সোনামণিদের জন্য রইলো অশেষ প্রীতিমাখা আদর আর নিরন্তর শুভেচ্ছা।
ভালো থেকো খুব ভালো অবিরত...।
এই নামগুলো মুখে নেয়ার সময় এই ভাইটির কথা কি একবারো মনে পড়ে নি????? তারা গত হয়েছেন আমিতো আছি! নাইবা হতে পারলাম তাদের মত, কিন্তু নামতো ধারণ করেছি তাদের, তাই একটু স্মরণ করলেও পারতেন!
লোহার সাথে স্নেহ মায়া শব্দগুলো কেমন জানি যাচ্ছে না। লোহার মত শক্ত বলিষ্ঠ বীরের পক্ষেই সম্ভব কেবল মায়া মমতাকে তুচ্ছ করা, কিন্তু প্রেম বন্ধনের লোহার শিকল??? ঠিক হয়েছে? আমি ভাল জানি না, বোন আমার, আশা করি জানাবেন।
লিখাটি খুব সুন্দর হয়েছে, আরো ভাল লাগত , যদি কোন ঘটনা বা প্রেক্ষাপটকে উদাহরণ হিসেবে টেনে আনতেন। কিছু নাম উল্লেখ করেছেন, যেমন গাজী সালাউদ্দিন, তারিক বিন যিয়াদ, মুহাম্মদ বি কাসিম, সাথে সাথে তাদের কিছু বিজয়গাঁথা উল্লেখ করলে লিখাটি আরো সুন্দর হত!
বোনা আমার, ছোট মানুষ, অনেক দুঃসাহস নিয়ে সমালোচনা করছি, বেয়াদবি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আচ্ছা বড় বোনের কি ছোট ভাইয়ের প্রতি কোন দায় দায়িত্ব নেই????? আমি যে অসুস্থ, এই এক কষ্ট, আবার যখন দেখি, বড় বোন সম্পূর্ণই উদাসীন, তখন যে কষ্টে বুক ভেঙ্গে খান খান হয়ে যায়, মানুষ কি সে খবর রাখে????
হ্যারিকেনের আলো আমার লিখায় থাকলে হ্যারিও ঠিক একই প্রশ্ন করতো!! যাহোক সর্বোপরি আপনার গঠনমূলক আলোচনা, সমালোচনা ও প্রশংসা সবকিছুই অসাধারণ। যদিও একথা সত্যিই যে আমি কোন প্রশংসার এতটুকু যোগ্য নই।
আমার বিশ্বাস আপনি গাজী সালাউদ্দিন, তারিক বিন যিয়াদ, মুহাম্মদ বি কাসিমদেরকেও একদিন ছাড়িয়ে যাবেন ইনশআল্লাহ্! আর হ্যাঁ আমার লিখার বিষয়বস্তু ওনাদের ইতিহাস নিয়ে নয়!! ইতিহাসের দিকে আলোকপাত করলে লিখার মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হালকা হতো সেইসাথে লিখাটি দীর্ঘ হলে পাঠকের ধৈর্যচ্যুতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল বৈকি!
লোহার শিকলকে যেমন সহজে মানুষ খুলতে পারে না আপনজনদের বন্ধনও ঠিক তেমনি। এরূপ একটি ধারণা থেকে এসেছে। আগুন সবকিছুই পোড়ায় আবার আগুন দিয়ে মানুষ উপকৃতও হয়!!!
ভীষণ ব্যস্ততা যাচ্ছে তাই কারোই খোঁজ রাখা সম্ভব হচ্ছে না। কী হয়েছে আপনার? জানালে ভালো হতো।
আপনার সুস্থতার জন্য প্রাণভরা দোয়া করছি এবং সেইসাথে অনিঃশেষ শুভকামনা রইলো।
বোনের জন্য দোয়া করবেন যেন প্লিজ...।
আপনি যোগ্য কি যোগ্য না, তা যেমন আপনি, আমরাও জানি, তবে আপনার মত জানা সম্ভব না, ঘরে কি আছে, ঘরের মালিকই তা অধিক ভাল জানেন! তবুও যেটুকু জানি, আপনি একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী।
তাদের মত হতে পারাটা জরুরী নয়, তাদের দেখানো সরল সঠিক প অনুসরণ করা জরুরী। দোয়া করবেন যেনো এই পথে থেকে বিচ্যুত হয়ে না যাই।
যে বিষয়টি আমি বুঝতে পারি নি, আপনি এতো সুন্দর করে বুঝিয়েছেন, আমি সত্যি আপনার জবাবে খুব খুব সন্তুষ্ট।
কাল দুপুর থেকে অনেকটা আঁতুড়ের মত হয়ে গেছি, বেশিভার সময় শুয়ে থাকি, ইদানীং খেতে পারি না, ওই যে পোকার ঘেন্না ঢুকেছে! আর দাস্ত খুব দুর্বল করে দিয়েছে।
ভাইয়ের কাছে দোয়া চেয়ে নিতে হয়য় না!
মন্তব্য করতে লগইন করুন