মিনতি
লিখেছেন লিখেছেন সন্ধাতারা ২৪ মার্চ, ২০১৫, ১০:৩১:০২ রাত
দিশার বাড়ীটি প্রকৃতির অপরূপ শোভায় ঘেরা। সেখানে রয়েছে তার অতি প্রিয় একটি বিশাল ফলমূল ও ফুলের বাগান। প্রতিদিন প্রত্যুষে ফজরের নামাজ, জিকির আজগার ও কোরআন তেলোওয়াত শেষে মিষ্টি রোদের ঝিকিমিকি আলোর মাঝে দিশা বাগানের পরিচর্যায় চলে যায়।
বাগানের ফলমূল ও ফুলের গাছগুলো প্রতিদিন দিশার অপেক্ষায় প্রহর গুণে পিপাসা নিবারণের জন্য। দিশা বাগানের আগাছা নিড়ায় পরম মমতায় এবং ফুল ও ফলের তৃষ্ণার্ত গাছগুলোকে শীতল পানি পান করিয়ে সজীব সুন্দর আর প্রাণবন্ত করে তোলে। এই সময়টুকু দিশা ভীষণ উপভোগ করে এবং বাগানের সাহচর্যে মিশে থাকতে অন্তরে লাভ করে বিপুল প্রশান্তি। হৃদয়ের আনন্দানুভূতি সঞ্চারণের এই মায়াময় লগ্নে বিভোর হয়ে সৌন্দর্যের পরশগুলো তখন বুলিয়ে দিয়ে যায় এক অপূর্ব ভাললাগায়। নানা রঙে শোভিত মনোহরী ফল ফুলের বাগান, বাহারি বর্ণের প্রজাপতির গুঞ্জন আর তার সাথে পাখিদের সুমধুর কলতান মুগ্ধ করে রাখে দিশাকে।
ঘরের বাহিরে আজ চিক চিক করা আলোর মাঝে মৃদুমন্দ হিমেল বাতাস। বাগানে প্রবেশ করে ফুলগাছগুলোর প্রতি পলক পরতেই মনের ভিতরে ছুঁয়ে গেলো একরাশ ভালোলাগার অনুভূতি। বাগান আজ ভরে গেছে সদ্য ফোঁটা ফুলে ফুলে। সজীব ফুলগুলো দেখে পরমানন্দ হলো দিশার! চারিদিক মৌ মৌ সুবাস। সে অভিভূত হয়ে সৃষ্টির সৌন্দর্যের প্রশংসায় বিড় বিড় করে বলে উঠলো সোবহানআল্লাহ্! পরম যত্নে তাদের শরীরে হাত বুলিয়ে দিলো সে।
তাজা ফুলের নীরব মনের ভাবনাগুলো হঠাৎ দিশাকে ছুঁয়ে দিলো। মনে হল তারা যেন ফিস ফিস করে মায়াভরা কণ্ঠে দিশার কানে কানে বলছে, আমাদের পরশ তুমি এতো ভালোবাসো কেন? আমাদের সৌন্দর্যে তুমি এতো আকর্ষিত কেন হও? আমাদের সুবাসে তুমি কেন হও এতো বিমোহিত? জবাবে দিশা বললো, তোমরা শোভা বর্ধন করে প্রকৃতিকে সাজিয়ে দাও! তোমাদের সুবাসে মানুষের হৃদয় করো আনন্দিত, আন্দোলিত ও সুবাসিত!! আমাদের শ্বাস নেয়ার জন্য যে বিশুদ্ধ অক্সিজেন প্রয়োজন তার প্রয়োজনীয়তা মেটাও, আমাদের প্রশ্বাসের সাথে যে কার্বন ডাই অক্সাইড বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয় সেটা তোমরা খেয়ে ফেলে প্রকৃতিকে দূষণ মুক্ত রাখো!!! সুমিষ্ট ফল দিয়ে আমাদেরকে পরিতৃপ্ত করো আরও কত কি!!!!
তখন বাগানের গাছগুলো বললো তাহলে তুমিও তো পারো অর্জন করতে আমাদের মত মুগ্ধ করা সৌন্দর্য ও সৌরভ!! আমরা তো ঝরে গেলে কেউ মনে রাখে না কিন্তু তুমি ইচ্ছে করলেই হতে পারো চির স্মরণীয় এবং বরণীয়। দিশা জিজ্ঞেস করলো কীভাবে?
গাছগুলো বললো তুমি অর্জন করতে পারো সত্য ও ন্যায় কর্মের সৌন্দর্য এবং নির্মল চরিত্রের অতুলনীয় সৌরভ। তাহলে সবাই তোমাকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসবে, ভক্তি ও শ্রদ্ধা করবে এবং স্মৃতির মণিকোঠায় আজন্ম লালন করবে। তোমার কর্মের সৌন্দর্যে ধরিত্রী হয়ে উঠবে সুন্দর, আলোকোজ্জ্বল, শোভিত ও শান্তিময়। তোমার চরিত্রের সৌরভে সমগ্র ধরা হয়ে উঠবে সুরভিময়। আমাদের সৌন্দর্য ও সুবাস তো ক্ষণিকের আর তোমার সৌন্দর্য ও সৌরভ সেতো চিরকালের! তাইতো তোমার কাছে মোদের একান্ত অনুরোধ নিজেকে তুমি বদলিয়ে ফেলো। আমাদের প্রত্যাশা অনেকে না রাখলেও তুমি অন্তত রেখো এটাই অন্তরের একান্ত মিনতি!!
হঠাৎ সম্বিত ফিরে সৌন্দর্যের এই আহ্বানের অন্তরালে যে মহান শিল্পী রয়েছেন তাঁর অস্তিত্ব অনুভব করে দিশা খুঁজে পায় অদৃশ্যের স্বাদ, যার অন্তরে সদা জীবন্ত প্রভূর মহব্বত।
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৭ বার পঠিত, ৫৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ঘটনা কি ছোট ভাই? ...।
কোরআন ও হাদিসের আলোকে আপনার গুরুত্বপূর্ণ হৃদয় ছোঁয়া মন্তব্যটি আমার লিখার চেয়েও অসাধারণ লাগলো আলহামদুলিল্লাহ্।
শত ব্যস্ততার ভীড়েও খালাম্নিকে অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য হৃদয় ভরা দোয়া ও কৃতজ্ঞতা। আপনারা আসলে মনের অজান্তেই অনেক কাছের হয়ে গেছেন আংকেল।
কেন জানি খুব মনে পড়ে জান্নাতি পাখীটাকে!!!!
যেন মুগ্ধতা সাথে ছড়াতে পারি নিজেকে।
ভালো লাগলো পড়ে,,,
আর ব্লগে মোবাইল থেকে মন্তব্য করতে কস্ট হয়। কিন্তু পড়তে পারি,,,,
আপনার সমস্যা উপলব্ধি করলাম। আপনার আন্তরিক ব্যাখ্যার জন্য বারাকাল্লাহূ ফিক।
আপনার জন্য প্রাণভরা দোয়া ও অনিঃশেষ শুভকামনা রইলো।
আমার জন্য দোয়া করবেন।
কেন তবুও আমরা স্বিকার করিনা সত্য কে।
অনেক সুন্দর ও মূল্যবান কথা বলেছেন।
মহান রবের অনিঃশেষ নেয়ামতের ভাণ্ডার পেয়ে ভোগের স্বর্গরাজ্যে আমরা আমাদের দাতাকেই ভুলে বসে আছি।
আপনার জন্য প্রাণভরা দোয়া ও অনিঃশেষ শুভকামনা রইলো।
আমার জন্য দোয়া করবেন।
ফুলের সৌন্দর্য ও সুবাস তো ক্ষণিকের কিন্তু মানুষের চরিত্র ও স্বভাব যদি সুন্দর হয় তার সুবাস রয়ে যাবে কয়েক যুগ ।
অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর লেখার জন্য ।
তোমার জন্য প্রাণভরা দোয়া ও অনিঃশেষ শুভকামনা রইলো।
আমার জন্য দোয়া করিও।
ভাল লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ। জাযাকিল্লাহু খাইরান ফিদ্দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ।
সেইসাথে পাঠের জন্য তথ্য দিয়ে সহযোগিতা আমার জন্য বোনাস।
ভীষণ আনন্দিত হলাম।
আপনার জন্য প্রাণভরা দোয়া ও অনিঃশেষ শুভকামনা রইলো।
আমার জন্য দোয়া করবেন।
আপনাদের জন্য প্রাণভরা দোয়া ও অনিঃশেষ শুভকামনা রইলো।
আমার জন্য দোয়া করবেন।
আপনার জন্য প্রাণভরা দোয়া ও অনিঃশেষ শুভকামনা রইলো।
আমার জন্য দোয়া করবেন প্লিজ।
কবি বলেছেন, হয়ত ফুলের নিচে চাপা পরে ছিলেন তাই। অথচ ফুলের সুবাস নেওয়াতো দূরে থাক,ফুল এবং গাছের অস্তিত্বও দ্বারে কাছে নেই। ঘুমাতে হয়য় নর্দমার গন্ধ নাকে মেখে।
আপনি লিখায় যা দিয়েছেন, যা চক্ষু জুড়ায়, গন্ধি বিলায় না, তাই ফুলের সাথে থাকার ইচ্ছেটুকু আপাতত সমাধিস্থ করলাম।
দিশা, ফুল, বাগান নিয়ে লিখাটা কেমন গন্তব্যহীন মনে হচ্ছিল, অথচ শেষ বেলায় এসে কি সুন্দর একটা বার্তা দিয়ে দিলেন পাঠকদের, এই না হল, গুনী লেখক!
আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে মানুষ যত বেশি ভাববে,নিখুঁত সৃষ্টি নিপুনতা দেখে ততই তাঁর ইমান বৃদ্ধি পাবে।
সন্ধাতারা!!!!!! এই নামটাই যথেষ্ট আল্লাহর সৃষ্টিকে অনুধাবন করার জন্য।
সবার আগেই আপনার লিখা আমার সামনে এসেছে, কিন্তু মন্তব্য করলাম সবার পরে! কখনো এমন হয়য়!
গঠনমূলক বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা, পর্যালোচনা ও সমালোচনাসহ হৃদয় বিগলিত করা সম্মানিত পাঠকের রেখে যাওয়া অনুভূতি আমার মত একজন নবীশ লেখক/লেখিকার বিশাল প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে।
সন্ধাতারা!!!!!! এই নামটাই যথেষ্ট আল্লাহর সৃষ্টিকে অনুধাবন করার জন্য...
এটা কী ঠিক?!!
লিঙ্গে মনে হয়...? লেখিকা হবে কি! জাস্ট ফর ফান!!
আমিও আপনার উপস্থিতি টের পেয়েছিলুম!! ভেবেছিলুম আপনি একটা অভিমানী বালক!!
আবার ভেবেছিলুম আমি আপুটা ভীষণ খারাপ তাই!
কোনটি সত্যিই আল্লাহই ভালো জানেন। আমার কোন ব্যবহারে ব্যথা পেয়ে থাকলে নিঃশর্তে ক্ষমা করে দেয়ার আর্জি থাকলো।
সবকিছুর জন্য কৃতজ্ঞতা...।
আপনার জন্য নিরন্তর দোয়া ও শুভেচ্ছা।
বোনের জন্য দোয়া চাই। প্লিজ
গঠনমূলক বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা, পর্যালোচনা ও সমালোচনাসহ হৃদয় বিগলিত করা সম্মানিত পাঠকের রেখে যাওয়া অনুভূতি আমার মত একজন নবীশ লেখক/লেখিকার বিশাল প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে।
সন্ধাতারা!!!!!! এই নামটাই যথেষ্ট আল্লাহর সৃষ্টিকে অনুধাবন করার জন্য...
এটা কী ঠিক?!!
লিঙ্গে মনে হয়...? লেখিকা হবে কি! জাস্ট ফর ফান!!
আমিও আপনার উপস্থিতি টের পেয়েছিলুম!! ভেবেছিলুম আপনি একটা অভিমানী বালক!!
আবার ভেবেছিলুম আমি আপুটা ভীষণ খারাপ তাই!
কোনটি সত্যিই আল্লাহই ভালো জানেন। আমার কোন ব্যবহারে ব্যথা পেয়ে থাকলে নিঃশর্তে ক্ষমা করে দেয়ার আর্জি থাকলো।
সবকিছুর জন্য কৃতজ্ঞতা...।
আপনার জন্য নিরন্তর দোয়া ও শুভেচ্ছা।
বোনের জন্য দোয়া চাই। প্লিজ
সহমত! কীসের সাথে পরিষ্কার করে বলুন প্লিজ। ভাইয়া এবং আপু।
আমি অভিমানী, তবে বালক নই, সাবালক হয়ে গেছি! কাল সন্ধ্যা বেলায় আমার মুরগীর মত জুড়ানি ব্যধি হয়েছি, পোস্ট দেখেও আমার আধিক্যের কারণে আর পেরে উঠিনি।
আর হা, আপনি কিন্তু অনেক খারাপ আপু কিন্তু এই খারাপটাকেই আমার অধিক বেশি ভাল লাগে।
.
কিন্তু সবসময় দোয়া ও আদর করি!!
ভালো থেকো খুব ভালো।
অনেকদিন পর থেকে দেখে আনন্দে গড়াগড়ি...।
নব দম্পতিরা কেমন আছে? আমার শুভেচ্ছা ও দোয়া রইলো ওদের জন্য।
আলহামদুলিল্লাহ্ সবাই ভালো আছে। দোআ করবেন বেশি করে। ওক্কে খালামুণি!
তবে কষ্ট যে অনুভূত হয় সেটা বেশ অনুভব করতে পারি।
কান্না না করে এখন একটু হাসো মাই লাভ্লি সান।
না হলে তো খাম্মুনিও কান্না করবো!
তখন?
তুমি এবং তোমাদের জন্য দোয়া ও শুভ কামনা থাকবে অনন্তকাল!
আপনার জন্য প্রাণভরে দোয়া করি পরম করুণাময় অন্তর্যামী আপনাকে সুঠাম দেহে দ্বীনের পথে অবিচলিত রেখে বেশী বেশী দাওয়াত দেয়ার পথ সুগম করুণ ও দুনো জাহানের কামিয়াবী অর্জনের তৌফিক দান করুণ। আমীন।
বোনের জন্য দোয়ার অনুরোধ রইলো।
এটা আমার জন্য
আপনার জন্য হাতুড়ী কেন ভাইয়া?
মন্তব্য করতে লগইন করুন