সমর্পিত জীবনের সন্তুষ্টি
লিখেছেন লিখেছেন সন্ধাতারা ১৮ মার্চ, ২০১৫, ০৫:৪২:১৯ বিকাল
এই লিখাটি সকল বিপদগ্রস্ত ও মানসিক যন্ত্রণায় কাতর ব্লগারদের জন্য উৎসর্গীকৃত
কিছুদিন যাবত বেশ কয়েকজন প্রিয় ব্লগারের মানসিক দহন যন্ত্রণা আমাকে ভীষণভাবে ভাবিত, উদ্বিগ্ন ও আলোড়িত করেছে। অনেকের মধ্যে একজন হলেন প্রিয় কাহাফ ভাইয়া। যাকে আমি ছোট ভাই হিসাবে অত্যন্ত স্নেহ করি। ব্লগে তাঁর অনুপস্থিতিসহ অন্যান্য ভাইবোনদের দূরত্ব এক ধরণের শূন্যতার আবহ তৈরী করে, জন্ম দেয় কষ্টের। তাছাড়াও অতি সম্প্রতি কয়েকটি পোষ্ট পড়ে অনেক দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ও মর্মাহত হয়েছি। উপরন্ত আরেকজন প্রিয় মানুষ নিজের যন্ত্রণাবিদ্ধ অভিজ্ঞতার বর্ণনা শেষে আমার জন্য ম্যাসেজ রেখেছে এইভাবে “দোআ করেন আমি যেন দ্রুত মরে যাই”।
এসব সন্মানিত ব্লগারদের উদ্দেশ্যে আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস আজকের এই লিখাটি। কারণ আল্লাহ্পাক বলেন, মুমিনগণ পরস্পর পরস্পরের বন্ধু এবং সহায়কশক্তি। আর এ বন্ধুত্বের যোগসূত্র কোন বাহ্যিক কারণে নয়। বরং এ বন্ধুত্ব হল আদর্শিক কারণে। বিশ্বাস, চিন্তাধারা, গতি প্রকৃতি, আদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গীর অভিন্নতা ও ঐক্যের কারণে। ফলে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের যোগসূত্র রয়েছে। দেশ, অঞ্চল, ভাষা ও বর্ণের অমিল ও বিভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও তাদের মধ্যে রয়েছে আত্মীক বন্ধুত্ব। এ ঐকান্তিক নিষ্ঠা ও বিশ্বাসেরই অনিবার্য ফলশ্রুতি। কুরআন পাকের অন্যত্র বলা হয়েছে –“মুসলমান পরস্পর ভাই ভাই”। এতে নারী পুরুষ সকলেই অন্তর্ভুক্ত। ঈমানদার নারী পুরুষ পরস্পর পরস্পরের হিতাকাঙ্ক্ষী ও সহযোগী। তা অনেক দূর থেকে বা পর্দার অন্তরাল থেকেই হোক না কেন (সূরা তাওবাহ)।
মহান রাব্বুল আলামীন প্রকৃতির মাঝে যেমন বিশাল ভাণ্ডার উজাড় করে দিয়েছেন তেমনি তাঁর কাছে মজুত রেখেছেন অফুরান দয়া ও কল্যাণের ভাণ্ডার মুমিন বান্দাদের জন্য। তবে এই অবারিত মঙ্গলের মধ্যে সিক্ত হতে হলে আমাদেরকে মাঝে মাঝেই সৃষ্টিকর্তার কাছে পরীক্ষার মুখামুখি হতে হয়। দুনিয়াতে যেমন পরীক্ষা ছাড়া ফলাফল নির্ধারিত হয়না একইভাবে আল্লাহ্র নেয়ামত ভোগ করতে হলেও পরীক্ষার মানদণ্ডে পরীক্ষিত হতে হয়।
তবে সত্যিই বলতে কী আমি যখন কোন কঠিন বিপদে পড়ি, তখন এই ভেবে সাত্ত্বনা পাই যে দয়াময় আমাকে অধিক ভালোবাসেন তাই বিপদ দিয়ে পরীক্ষা করছেন। কেননা আল্লাহ্ পাক স্বয়ং বলেছেন, “আমি তোমাদেরকে কিছু ভয়ভীতি, ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা অবশ্যই পরীক্ষা করব। তবে সুসংবাদ কেবল ধৈর্য্যশীলদের জন্য। যারা বিপদে পতিত হলে বলে আমরা তো আল্লাহরই এবং নিশ্চিতভাবে আমরা তাঁরই কাছে প্রত্যাবর্তনকারী”। আর এমন লোকদের প্রতি তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে বিশেষ অনুগ্রহ ও রহমত বর্ষিত হয়। আর এরাই সৎপথপ্রাপ্ত (সূরা বাকারাঃ ১৫৫-১৫৭)।
তাই আমাদের সকলের উচিৎ এবং করনীয় হল যে কোন বিপদাপদে ধৈর্য্যধারণ করা। বিপদ-আপদ এসে উপস্থিত হলে সেগুলোকে আল্লাহর ফয়সালা বলে মেনে নেওয়া এবং আল্লাহর পক্ষ হতে বিনিময় লাভের আশা রাখা। উপরোক্ত আয়াতে কারীমায় ধৈর্য্যশীলদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, তারা বিপদের সম্মুখীন হলে বলে, আমরা তো আল্লাহরই এবং নিশ্চিতভাবে আমরা তাঁরই কাছে ফিরে যাব। আর মুসলমান হিসাবে এটাই আমাদের শিক্ষা। এতে প্রভূত সওয়াবের ভাগীদার হওয়া যায় এবং আত্মার ভিতরে অসীম শান্তি অনুভূত হয়। সেইসাথে মনের কষ্টও দূরীভূত হয়ে যায় (মাআরিফুল কুরআন ১/৩৯৭, ৬৯)। তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো এবং নিশ্চয়ই উহা কঠিন কাজ বিনীতগণ ব্যতীত (সূরা বাকারাঃ ৪৫)।
প্রিয় রাসূল (সাঃ) বলেছেন, মুমিনের এই বিষয়টি কত আনন্দময় যে, সব অবস্থাই তার জন্য কল্যাণকর। আর তা একমাত্র বিশ্বাসীদেরই প্রাপ্য। কারণ বিশ্বাসীগণ যখন সুখানন্দে থাকে তখন সে আল্লাহর শোকরিয়া করে। ফলে এই অনুভূতি তার জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। আবার বিপদের সম্মুখীন হলে ধৈর্য্য ধারণ করে। এ অবস্থাও তার জন্য কল্যাণকর। আর আল্লাহ তা’আলা যাকে ভালোবাসেন এবং যে বান্দার কল্যাণ চান তাকে বিপদাপদে পতিত করেন (সহীহ বুখারী, মুসলিম)।
হাদীসে বর্ণিত, হযরত উম্মে সালমা (রাঃ) বলেনঃ আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, যদি কেহ বান্দা বিপদের সম্মুখীন হয়, আর বলে যে, আমি তো আল্লাহরই এবং অবশ্যই আল্লাহর কাছে ফিরে যাব। হে আল্লাহ! আমাকে এ বিপদের বিনিময়ে সওয়াব দান করুন। আর আমি যা হারিয়েছি তার চেয়ে উত্তম বস্তু আমাকে দান করুন। তবে অবশ্যই আল্লাহ তা’য়ালা তাকে সওয়াব দান করেন এবং হারানো বস্তুর চেয়ে উত্তম বস্তু প্রদান করেন (সহীহ মুসলিম)।
মোটকথা মুমিনের আশা পূরণ হলেও আনন্দ আবার আশা পূরণ না হলে সেটাও আনন্দের। এভাবে চিন্তা করলে বড় বড় মুসিবতও আনন্দের মনে হবে এবং কোনো প্রকার মুসিবতেই মুমিন বিচলিত হবে না। তবে দ্বীনের ক্ষেত্রে কোন ত্রুটি হলে পেরেশান হওয়া উচিত।
যে ব্যক্তি সকল পরিস্থিতিতে নিজেকে আল্লাহর প্রতি সোপর্দ করে, তাঁর প্রতি নিজের পূর্ণ আনুগত্য ব্যক্ত করে, সকল গোনাহ থেকে বেঁচে থাকে এবং সর্বাবস্থায় আল্লাহ্র সিদ্ধান্তে সন্তষ্ট থাকে এবং অটল বিশ্বাস রাখে যে, সকল কিছু তারই হুকুমে হয় তাহলে অনাকাঙ্খিত কোনো পরিস্থিতি বা বালা-মুসিবত তাকে বিচলিত করতে পারে না। উপরন্ত বাহ্যিক বিপদ-আপদও তাদের জন্য আত্মিক শান্তির কারণ হয়। এমনকি দুর্যোগপূর্ণ কঠিন ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও তারা বিশেষ আনন্দ ও পরম সান্ত্বনা অনুভব করে। আর এভাবেই তাঁদের জীবনের কর্মকাণ্ডকে ত্রুটিমুক্ত করে তাদের গুনাহখাতা মাফ করেন। যারা আল্লাহ্ তায়ালা ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে তারাই মহা সাফল্য লাভ করে (সূরা সাবাঃ ৭১)।
এভাবেই আল্লাহ্কে যারা প্রেমাষ্পদ হিসাবে গ্রহণ করেছে তারা সকল দুঃখ পরিতাপকে হাসি মুখে বরণ করার ধৈর্য, সাহস ও সৌভাগ্য অর্জন করেছে। কারণ তারা জানে সবকিছুই আল্লাহ্র পক্ষ থেকে আসে। এই দৃঢ় বিশ্বাস তাদেরকে আত্মিক তৃপ্তি ও প্রশান্তিতে ভরে রাখে। সুতরাং বিলাসী জীবনের আরাম ও আনন্দের মতো বিপদ-আপদকেও তারা প্রেমাষ্পদের উপহার বলে মনে করে এবং সন্তুষ্ট চিত্তে তা গ্রহণ করে। যেহেতু দু’টোই প্রেমাষ্পদের পক্ষ হতে আসে তাই এদের মাঝে পার্থক্য করার কোনো যুক্তি নেই। তারা অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করেন যে, বন্ধুর পক্ষ থেকে যা কিছু মিলে সবই কল্যাণকর আর মঙ্গলময়। আর আল্লাহ্পাক ধৈর্যশীলদের শ্রমফল নষ্ট করেন না (সূরা হুদঃ ১১৪ - ১১৫)।
তাই মুমিনগণ যদি বিপদাপদের গুঢ় রহস্য ও তাৎপর্য জানতো তা হলে সে সর্বদা বালা মুসীবতের জন্য দু’আ ও আকাঙ্ক্ষা করতো। কারণ জীবন দান এবং মৃত্যুর বিধান একজনের হাতে। আর ভালো মন্দ, সুখ দুঃখ আসে মালিকের ইচ্ছায়। তিনি যা করেন সবই আমাদের মঙ্গলের জন্য এই বিশ্বাস এবং অনুভূতি একজন মুমিনের দিলকে সবসময় সজীব করে রাখে। কোরআন বিশ্বাসীদের জন্য উপদেশ ও সাবধান বাণী (সূরা হুদঃ ১২০ )।
আল্লাহ্র সাথে যে মুমিনের আত্মার সম্পর্ক সে কখনও কোন বিপদে ধৈর্যহারা বা বিচলিত হয় না। কেননা সর্বাবস্থায় মুমিনগণ আল্লাহ্র কল্যাণের মধ্যে আছে ভেবে দিলে অনাবিল প্রশান্তি লাভ করে। আর সকল শুভ পরিণাম তো ধৈর্যশীল ও সাবধানীদের জন্য ((সূরা হুদঃ ৪৯)।
আল্লাহ্ সুবহানুতা’য়ালা আমাদের সকলকেই তাঁর প্রতি অনুগত ও সমর্পিত থেকে তাঁর সান্নিধ্য লাভে ধন্য করুণ এবং পুণ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত করে আমাদের দিলে অনিঃশেষ শান্তির ফল্গুধারা বর্ষণ করুণ দুনো জগতে এটাই প্রত্যাশা এবং প্রার্থনা।
বিষয়: বিবিধ
১৫৪৭ বার পঠিত, ৬৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
খুবি চমৎকার, নান্দনিক এবং আন্তরিক ভাষায় সুন্দর বিশ্লেষন করেছেন আপু! মাশা আল্লাহ!
আল্লাহ আমাদর ভাইয়া আপুদের কষ্ট ও বেদনা গুলোর উত্তম জাযাহ দিন! সঠিক ভাবে সবর করার তৌফিক দিন!
আর যে আপুমনিটা সবার এত সুন্দর করে খোঁজ খবর রাখেন তাঁর প্রতি আল্লাহ অবারিত রহমা দান করুন! আমিন!
জাযাকাল্লাহু খাইর! লাভ ইউ আপু!
আপনার সুন্দর মন মনন ও মায়াবী বিজ্ঞ চেতনাবোধের আলোকে আমরা সকলেই সিক্ত হবো ইনশআল্লাহ্।
আপনার হৃদয় শীতল করা দোয়ায় আমীন। আমার প্রাণপ্রিয় আপুম্নির জন্যও রইলো হৃদয় উজাড় করা দোয়া আর শুভেচ্ছা। আই লাভ ইউ টু আপুম্নি।
আর হ্যাঁ আপু আমি স্কাইপে কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু সফল হইনি!!
স্টিল ওয়েটিং আপু....
জাজাকাল্লাহু খাইর।
হতাশ হওয়া একজন মুমিনের জন্য শোভন নয়।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার জন্য নিরন্তর দোয়া ও শুভকামনা রইলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ।
আপনার জন্য নিরন্তর দোয়া ও শুভকামনা রইলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আমি মাঝে মধ্যে অবাক হই যে, ব্লগে বা ফেসবুকে একে অপরকে জানিনা, শুনিনা, কোথাকার কে। কিন্তু কমেন্টসের মাধ্যমে আমরা একে অপরের এত আপন কি করে হলাম? এত আদর্শের মিল কি করে হল? একজনের দুঃখে সবাই কেন দুঃখ পাই, একজনের সুখে সবাই কেন সুখানুভুতি পাই? এসব প্রশ্নগুলো আমাকে অনেক ভাবায়। আবার মনে হয় আমরা সবাই একই পরিবারের আপনজন, সকাল বিকাল ব্লগটা ওপেন না করলে কেমন যেন অপূর্ণতা মনে হয়। এ প্রসঙ্গে একটি হাদিস মনে পড়লাে: সকল ঈমানদারগণ একটি দেহের ন্যয়, যদি মাথা ব্যথা করে পুরো শরীর ব্যখা হয়, যদি চোখ ব্যখা করে পুরা শরীর ব্যথা হয়। তাই তো সকল ব্লগার ভাইবোনদের জন্য অনেক অনেক দোয়া করি। আল্লাহ তায়ালা সবাইকে বিপদাপদ থেকে রক্ষা করুক, সবাইকে নেক হায়াত দান করুক। সবার প্রতি রইল আন্তরীক সালাম. আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
যা বাস্তবে বেশ টের পাচ্ছি। আমি বেশ কয়েকদিন ধরে চলমান ঘটনার তীব্রতা অনুভব করছি এবং এর থেকে নিষ্কৃতির উপায় হিসাবে এই লিখাটির অবতারণা।
আপনার অসাধারণ দোয়ায় আমীন। ছুম্মা আমীন।
আপনার জন্য নিরন্তর দোয়া ও শুভকামনা রইলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
দুঃখিত...।
তাই না আংকেল?
উক্তি , নিয়তি তোমার আত্মীয়
বেছে দেয়, আর
তুমি বেছে নাও তোমার বন্ধু। -
জ্যাক দেলিল [১৭৩৮- ১৮১৩],
ফরাসী কবি :একজন
বিশ্বাসী বন্ধু দশ হাজার
আত্মীয়ের সমান -
ইউরিপিদিস [গ্রীক নাট্যকার]
বন্ধত্ব একমাত্র সিমেন্ট
যা সবসময় পৃথিবীকে একত্র
রাখতে পারবে। -
আমি আজ আমার এক নিকটাত্মীয়কে ব্লগের আগের কিছু কমেন্ট পড়ে শোনাছিলাম, আর বলছিলাম, এই মানুষটা কত সুন্দর করে গুছিয়ে প্রাঞ্জল ভাষায় মাধুর্যতা মিশিয়ে কমেন্ট করে। আর এখন কি না আমাকে শুনতে হল সে মানুসিক যন্ত্রণায় আছে!
অত কিছু বুঝি না, যেখানেই থাকুক, যে অবস্থায় থাকুক, আপনি তাকে পোস্ট করতে বলুন। ব্লগ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে আমার কারো সাথেই পরিচয় নাই, হয়ত আপনাদের অনেকের সাথে অনেকের পরিচয় থাকবে, আমার সুযোগ নেই ফোনে অথবা অন্য কোন উপায়ে যোগাযোগ করা, তাই আপনি তাকে বলুন আসতে।
তিনি ব্লগে আসবেন, এ আমার শুধু চাওয়া নয়, প্রত্যাশাও বটে।
শরীরের একটি অঙ্গ অসুখে আক্রান্ত হলে তার ব্যথা সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে যায়, তেমনি এক মুমিন ব্যথা পেলে তা সবার জন্য ব্যথার কারণ হয়। অতএব আমরাও সমভাবে ব্যথিত।
উনার সর্বশেষ লিখাটি পড়ে আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি। এই বোধ থেকেই এই লিখার জন্ম। আপনার সুন্দর অভিব্যক্তিময় মন্তব্যের সাথে আমিও একমত ভাইয়া।
আপনার প্রাণবন্ত মন্তব্যের জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
আল্লাহ আমাদর সকল ভাইয়া আপুদের কষ্ট ও বেদনা গুলোর উত্তম জাযাহ দিন! সবাইকে সবর করার তৌফিক দিন!আমীন
অনেক ধন্যবাদ আপু ।
হৃদয় ছোঁয়া দোয়ায় আমীন। ছুম্মা আমীন।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেছেন, ‘তুমি মুমিনদেরকে পারস্পরিক সহানুভূতি, বন্ধুত্ব, দয়া-অনুগ্রহের ক্ষেত্রে একটি দেহের মত দেখবে। যখন দেহের কোন অংশ অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন সমস্ত শরীর তার জন্য বিনিদ্র থাকে, জ্বরে আক্রান্ত হয়’ (বুখারী, মুসলিম)
তিনি আরও বলেন, ‘সকল মুমিন হলো এক ব্যক্তির ন্যায়। যদি তার চক্ষু অসুস্থ হয় তখন তার সর্বাঙ্গ অসুস্থ হয়ে পড়ে। আর যদি তার মাথায় ব্যথা হয়, তখন সমস্ত দেহই ব্যথিত হয়ে পড়ে’ (মুসলিম)
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, এক মুমিন অপর মুমিনের জন্য দালান স্বরূপ, যার এক অংশ অপর অংশকে সুদৃঢ় রাখে। (বুখারী, মুসলিম)
ভ্রাতৃত্ববোধ ও সৌহার্দ্যনীতির উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠুক আরকটি আদর্শ ইসলামী সমাজ।
আপনার অসাধারণ অভিব্যক্তিময় মন্তব্যের জন্য বারাকাল্লাহু ফিক।
আপনার জন্য প্রাণভরা দোয়া ও শুভকামনা থাকলো।
আল্লাহ্র সাথে যে মুমিনের আত্মার সম্পর্ক সে কখনও কোন বিপদে ধৈর্যহারা বা বিচলিত হয় না। কেননা সর্বাবস্থায় মুমিনগণ আল্লাহ্র কল্যাণের মধ্যে আছে ভেবে দিলে অনাবিল প্রশান্তি লাভ করে। আর সকল শুভ পরিণাম তো ধৈর্যশীল ও সাবধানীদের জন্য ((সূরা হুদঃ ৪৯)।
প্রত্যেকটি লাইন আলমারিতে তুলে রাখার মত। অত্যন্ত বলিষ্ঠ লেখা লিখেছেন। এটা পড়ে খুব ভাল লাগছে। ভেতর থেকে শান্তি উথলে উঠছে। আল্লাহর যেন আমাদেরকে কল্যানের পথে রাখেন। আমার জন্যে দোয়া করেন বোন।
মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে আপনার জন্য প্রাণভরা দোয়া ও শুভকামনা রইলো।
ভালো থাকবেন খুব ভালো সবসময়।
এখানে ক্লিক করুন। আর আমার কাছে কিছু পিডিএফ বই আছে,সেটা চাইলে ইমেলে এটাচমেন্ট হিসেবে দিতে পারি। চাইলে ইমেইল আইডি দিব।
দিন না প্লিজ!!
anek sonkhok pdf book ase. ja anek mulloban.inshallah apnar valo lagbe
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো যেন ন্যায়ের পথে থেকে সমাজের কল্যাণের জন্য অনেক কিছু করতে পারেন। হৃদয় ছোঁয়া মন্তব্য ও দোয়ার জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপুনি যারা নিজেদের কষ্টকে আল্লাহ কাছে সপে দিতে পেরেছে তারাই কামিয়াব হয়েছে মহান আল্লাহ আপনার পরিবার সহ আমাদেরকেও সেই দলেই শামিল করুন। আমিন!
আর যে খালামুনিটা সবার এত সুন্দর করে খোঁজ খবর রাখেন তাঁর প্রতি আল্লাহ অবারিত রহমা দান করুন! আমিন!
জাযাকিল্লাহু খাইর! লাভ ইউ খালামুনি!
জাজাকাল্লাহু খাইর।
তবে সর্ত একটাই সেটা হচ্ছে বলবোনা
খুব খুশী হলাম।
শর্তটা বলেন না প্লিজ...
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ....
শ্রদ্ধেয়া আপুজ্বী! দেশে থাকতে আমার সকল অস্হিরতায় মায়াময় স্নেহের প্রলেপ বুলাতেন নানান প্রকারে,তিনি আমার বড় আপা!আল্লাহ তাকে হায়াতে তাইয়েবাহ দান করুন!
ব্লগে পরিচয় থেকেই আপনার লেখা-অনুপ্রেরণায় বড় আপার স্পর্শ খুজে পাই যেন!
আজকের এই উপস্হাপনাও বড় আপার স্নেহের পরশ বুলিয়ে গেল!
অন্তর থেকেই এই দোয়া- হে পরাক্রমশালী করুণাময় মালিক! আমাদের কে হেদায়েত ও ধৈর্য্য দান কর! আমাদের আপা-ভাইদের কে কল্যাণের সমুহ ধারায় ভাসিয়ে নাও তোমার রহমতের আংগিনায়! আমিন ছুম্মা আমিন!!
এমন মর্মস্পর্শী দোয়া এতো সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন যে অনেক চেষ্টা করেও অশ্রু সংবরণ করতে পারলাম না। আল্লাহ্ পাক আমাদের সকলকেই কবুল করুণ। আমীন।
সবসময় ভালো থাকবেন ছোট ভাইয়া এই প্রার্থনা রইলো।
মন্তব্য করতে লগইন করুন