ফেলে আসা আলো আঁধারির দিনগুলি – পর্ব ২
লিখেছেন লিখেছেন সন্ধাতারা ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১১:৪৮:৩০ রাত
পর্ব ১
http://www.bd-today.net/blog/blogdetail/detail/6327/mbanu/62002#.VPCxjeH26ac
ধরণীর পথে পথে এমন কিছু উদার অবিশ্বাস্য গুণী ভাবনার মানুষ থাকে যাদের প্রতি মনের অজান্তেই অনিঃশেষ শ্রদ্ধায় ভরে উঠে মনপ্রাণ। এরূপ হৃদয়বান মহৎ মানুষের অনুপস্থিতি সৃষ্টি করে এক অভাবনীয় শূন্যতা। যা মনে হলে হৃদয় বিগলিত হয়ে দু’চোখে নামে অঝোর অশ্রুধারা। যাহোক গুণমুগ্ধ পাঠক সেদিনের অপ্রত্যাশিত বিচারপর্ব শেষে নুরুল ইসলাম স্যার অন্যস্থানে চলে যাওয়ার পর উপস্থিত অন্যান্য চিকিৎসকগণ আমাকে বাহবা দিতে লাগলেন। কারণ জিজ্ঞেস করলে উত্তরে তারা বললেন সেই মহিলা চিকিৎসক ছিলেন অনেক অহংকারী আর মুখরা। অনেকেই তার অনেক অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করেছেন শুধুমাত্র তার বাবা স্যারের স্কুল শিক্ষক ছিলেন বলে।
যাহোক আমি ব্যক্তিগতভাবে স্যারের ন্যায় বিচারে যারপর নেই ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ ও মুগ্ধ হলাম। বাসায় এসে ভাবতে থাকলাম ন্যায় পথে চলার প্রেরণায় আজকের এই বিচারিক রায়ের জন্য স্যারকে অন্ততঃ একটা থ্যাক্স দেয়া প্রয়োজন। কিন্তু কীভাবে? উনি তখন সাবেক পি জি হাসপাতালের পরিচালক তাই অফিস চলাকালীন সময়ে সাক্ষাৎ পাওয়া খুবই দুরূহ। এমতাবস্থায় অনেক ভাবনার পর সিদ্ধান্ত নিলাম উনাকে একটি চিঠি লিখবো। তারপর নিজের অনুভূতির কথাগুলো লিখে একদিন অনেক কষ্টে চিঠি ও ফুল স্যারের হাতে তুলে দিয়ে অনুরোধ করলাম শতব্যস্ততা সত্ত্বেও উনি যেন আমার লিখাটুকু পড়েন।
এরপর কিছুদিন যেতে না যেতেই কাজের পরিবেশে কর্তৃপক্ষের অন্যায় ও জুলুম কর্মকাণ্ডের অভিজ্ঞতা সহকর্মীদের কাছ থেকে সঞ্চয় করতে থাকি। অনেকেই দিনের পর দিন এসব অন্যায় মুখ বুঝে নীরবে সহ্য করছে দেখে এক সময় তাদের হয়ে প্রতিবাদ জানাই। সমষ্টিগতভাবে প্রতিবাদের ফলে অনেক সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হলেও ধীরে ধীরে একসময় আমি কর্তৃপক্ষের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাড়াই। যদিও আমার বিপদগ্রস্থ দিশেহারা সহপাঠীদের কাছে তখন ছিলাম আমি একজন পরমাত্মীয় অত্যন্ত বিস্বস্থ আপনজন।
চারিদিকে তখন কালো মেঘের আঁধারিতে ঢাকা। ক্রমেই স্পষ্ট হতে লাগলো এবং কর্তৃপক্ষের নেয়া পদক্ষেপের নমুনা ও আকার ইঙ্গিতে প্রতীয়মান হতে লাগলো যে আমার সমূহ বিপদ অত্যাসন্ন। কিন্তু চোখের সামনে নির্বিকারভাবে দুঃশাসনের দুঃসহ নিত্যকার ঘটনা একজন মানুষ হিসাবে আমার পক্ষে কোনভাবেই এড়ানো সম্ভবপর ছিল না। বিপদের মূহুর্তে অন্যের পাশে দাঁড়ানোর এই প্রেরণা ও শিক্ষাটুকু আত্মস্থ করেছিলাম ছোটবেলা থেকেই আমার বাবার নিঃস্বার্থ কর্মস্পৃহা ও অপরের সাহায্যে মায়াময় মানবিকবোধ থেকে। এভাবেই আমার পরিচিতি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়লো সবার মধ্যে।
হঠাৎ একদিন আমাদের কেন্দ্রীয় সভানেত্রী আমার বাসায় এসে উপস্থিত। তিনি আমাকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানালেন কেন্দ্রীয় সভানেত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করতে। একথা শুনে আমি মুহূর্তের জন্য স্তম্ভিত হয়ে যাই। তাঁর দায়িত্বভার আমি গ্রহন না করার অনমনীয় মনোভাব প্রকাশ করলে তিনি আমার হাত ধরে বিনয়ের সুরে বলেন তুমি আমাকে আজ ফিরিয়ে দিলে আমার জীবনের স্বপ্নসাধ সব ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। কৌতূহলের দৃষ্টি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি আমাকে বললেন বিষয়টি অনেক গোপনীয় তাই একান্ত ঘনিষ্ঠ দু একজন ব্যতীত কেউ অবহিত নন। গোপনীয়তার অনুরোধ রেখে তিনি পুরো বিষয়টি আমাকে খুলে বললেন। চলবে
বিষয়: বিবিধ
২০৪৮ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সালাম রইল।
ভালো থাকবেন খুব ভালো। জাজাকাল্লাহু খাইর।
খালাম্নির জন্য দোয়া করতে ভুলবেন না যেন।
আশাকরি ব্যস্ততা সত্ত্বেও ব্লগে নিয়মিত হবেন।
আস সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহে....শ্রদ্ধেয়া আপুজ্বী!
ব্লগে সাধারণতই দীর্ঘ উপস্হাপনা বিরক্তি উদ্রেক করে কিন্তু আপনার লেখনী যত বড়ই হোক মুগ্ধতার মাত্রাও ততোধিকই বাড়ে!
পর্বগুলো আরেকটু লম্বা করা যায় না?
জাযাকুমুল্লাহু খাইরাল জাযা-ই!!
অনেক ভালো লাগা নিয়ে সাথেই আছি।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার জন্য প্রাণভরা দোয়া রইলো। আমার জন্যও দোয়া রাখবেন।
ভালো লাগলো না!!
টেনশনে থাকতে..
আপনার জন্য প্রাণভরা দোয়া রইলো। আমার জন্যও দোয়া রাখবেন।
চলবে যখন আমিও চলব....
তাদের শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালোবাসা আজও আমাকে সিক্ত করে, ভাবায় অনুপ্রাণিত করে।
আমার চিন্তা, কর্ম আমাকে সামনে চলতে শেখায়, উদ্বুদ্ধ করে অবিরত। তাইতো আমি আজ একজন সফল মানুষ হিসাবে তৃপ্তবোধ করি। চলছি...। থামতে শিখিনি...।
সাথে থাকার জন্য অনিঃশেষ দোয়া ও শুভকামনা রইলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
সাথে থাকার জন্য অনিঃশেষ দোয়া ও শুভকামনা রইলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার জন্য অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো।
বোনের জন্য বেশী বেশী করে দোয়া করার জন্য বিশেষ অনুরোধ থাকলো ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন