কী করা উচিৎ ?! একটু বলুন না প্লিজ...।
লিখেছেন লিখেছেন সন্ধাতারা ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৪:১১:১৩ বিকাল
অনেক মেয়েরাই অমুসলিম দেশে শত প্রতিকূলতার মুখামুখি দাড়িয়ে আংশিক পর্দাসহ তাদের জীবন জীবিকার প্রয়োজন নির্বাহ করছে। আংশিক পর্দা এজন্যই বলছি যে, কর্মপরিবেশে দ্বীনের পূর্ণভীতি ও সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তা যথাযথভাবে পালন করা সম্ভব নয়। তাদের ক্ষেত্রে ইসলাম সম্মতভাবে পর্দা সংক্রান্ত করণীয় বা পালনীয় কি তা জানা অত্যাবশ্যক। কারণ ডিউটিরত অবস্থায় ইউনিফর্ম পরিধান করার ফলে ইসলামী বিধিবিধান অনুযায়ী পুর্নাঙ্গ পর্দা মেনে চলা দুষ্কর হয়ে পড়ে। উদাহরণস্বরূপ বলতে হয়, একজন মহিলা হজ্জ সম্পাদন করার পর শুধু মাথা ঢেকে ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় ডিউটি করা কতটুকু শরীয়তসম্মত? এক্ষেত্রে কোন বিধান কার্যকরী হবে?
অনেক আলেমগণ বলেন, মেয়েরা যখন কর্মক্ষেত্রে থাকে তখন তারা মাজুর সুতরাং আংশিক পর্দাই তাদের জন্য যথেষ্ট। কেননা আল্লাহ্পাক অন্তর্যামী তিনি মানুষের নিয়্যত সম্পর্কে পরিজ্ঞাত। আবার অনেকেই বলেন আল্লাহ্র হুকুম তথা পর্দার ক্ষেত্রে এমন অজুহাত কোনমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাই পারস্পারিক এই বিরুদ্ধভাবাপন্ন অবস্থায় মুসলিম মেয়েদের কী করণীয় এ ব্যাপারে কোন বিজ্ঞ আলেম বা ভাইবোন ব্যাখ্যাসহ পরিষ্কারভাবে জ্ঞাত করলে অনেকেই উপকৃত হবে বলে আশাকরি।
বিষয়: বিবিধ
১৯১৯ বার পঠিত, ৫৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভ কামনা রইলো।
প্রশ্ন হল
১- আপনার চাকুরীটা কি করতেই হবে? যদি করতেই হয়, নেকাব পড়লে সমস্যা কোথায়? যদি নেকাব পড়ার কারণে চাকরি যাবার ভয় থাকে যার কারণে পরিবারখে অনাকাঙ্খিত সমস্যায় পড়তে হবে, তাহলে আন্তরিকভাবে দ্বিতীয় চাকরি পাওয়া পর্যন্ত পর্দার শিথিলতা গ্রহনযোগ্য।
অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য সৌদি আরব আসলাম। বিয়ে করলাম। সন্তান হল। ওদের পড়ালিখার জন্য বাড়তি আয় করতে গিয়ে সুদ ঘূষে অনেকেই একাকার। তারপর ফতোয়া খূজে বাচার জন্য। আমি ভেবে দেখেছি, দুনিয়াবী সুখ ভোগটাকে ঠিকঠাক রেখে নিজের মত করে ধর্ম মানতে গিয়ে অনেকেই নিজের মতটাকে জায়েজ করার জন্য ফতুয়া খুজতে মরিয়া হয়ে উঠে। কোন হুজুর যদি তার পক্ষে মাথা নাড়ে, মনে হয় আল্লাহর সাপোটটা পেয়ে গেল।
বিষয়টা আমার একান্ত অনুভতি থেকে বলেছি প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, দায়ী ইলাল্লাহ, আশেকে রাসুল, মাওলানা প্রবাসী মজুমদার রহমতুল্লাহ আইহে ওয়া বারাকাতুহুর পক্ষ থেকে। ধন্যবাদ।
আপনার ব্যক্তিগত বাস্তব অনুভূতি ও সুন্দর মতামত রেখে যাওয়ার জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভ কামনা রইলো। নিজের জন্যও দোয়া প্রত্যাশী।
তিক্ত সত্য কথাই বলেছেন প্রবাসী মজুমদার ভাই।
আর ভুখায় দেহান্তরিত হলেও তার জাঝা তো স্বয়ং আল্লাহর কাছে।
আসলে পরিস্থিতি খুব শোচনীয় হলে আল্লাহর ওপর পূর্ণ তাওয়াক্কুল রেখে অন্যত্র যথাসাধ্য চেষ্ট করতে হবে। এক্ষেত্রে এ কথা মনে রাখা জরুরী যে, আপনার রিজিকে ততটুকুই আছে যা আপনার জন্য বরাদ্দ। এজন্য হারাম পথ অবলম্বন করে জীবিকা নির্বাহের অনুমোদন ইসলাম দেয় না। সুতরাং কেনই বা হারাম পন্থা অবলম্বন করতে যাবেন, মূলত এটাই তো আমাদের জন্য পরীক্ষা সুহৃদ বোন।
আর অধুনা পশ্চিমা বিশ্বসহ আরব বিশ্বে যে পর্দার ডিজিটাল ভার্সন চলছে তা ইসলাম কখনোই সমর্থন করে না। এটা পশ্চিমা বিশ্বের ইসলামি মূল্যবোধ ধ্বংসের অন্যতম পায়তারা।
এ সম্পর্কে পূর্ণ জানতে Rand-এর ভয়ংকর ষড়যন্ত্রগুলো দেখতে পারেন। ইংরেজী জেনে থাকলে নেটে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
জাঝাকিল্লাহ বোন আপনার ইসলাম নিয়ে আগ্রহ পোষণ করার জন্য।
আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভ কামনা রইলো। বোনের জন্যও দোয়া রাখবেন।
আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভ কামনা রইলো।
খালাম্নির জন্যও দোয়া রাখবেন।
আশাকরি এই বিজ্ঞ অভিমত থেকে অনেকেই উপকৃত হবেন। শরীক হওয়ার জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভ কামনা রইলো। আমার জন্যও দোয়া রাখবেন।
করছি। তারা হিজাবে পড়ে কাজ করে, মসজিদে
নামাজ পড়ে। নিকাব পড়া বাধ্যতামূলক নয়।
কেউ পারলে নিকাব করবে।
আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভ কামনা রইলো। আমার জন্যও দোয়া রাখবেন।
আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভ কামনা রইলো। আমার জন্যও দোয়া রাখবেন।
চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
উপস্হাপিত বিষয়ে সুন্দর আলোচনা এসেছে মন্তব্যের ময়দানে! অনেকের মন্তব্যই গ্রহনীয় মনে হয়! বিশেষ করে 'প্রবাসী মজুমদার'ভাইয়ের মন্তব্য বেশী জুড়ালো!
আপনার প্রশ্নের জবাবে হাজারো ফতোয়া পেয়ে যেতে পারেন!
তবে নারীদের বিষয়ে ইসলামী পোশাকের বিশেষত্ব তথা সৌন্দর্য হচ্ছে –এই যে, এক্ষেত্রে বিশেষ কোন স্টাইল বা রং এর ব্যাপারে নির্দেশনা নেই। কাজেই পোশাকের ক্ষেত্রে মূল শারয়ি বিষয় গুলো মিটে গেলে- নারী তার নিজের রুচিমত, নিজের স্বকীয়তা বজায় রাখতে পারবে । শালীন যে কোন রং বা এমন স্টাইলের পোশাক যা ১) ‘সতর ঢাকে, ২) আবহাওয়া উপযোগী হবে এবং শরীরকে ভাল ভাবে আবৃত করবে, ৩) শরীরের আকর্ষণীয় কোন ভাঁজ বা খাঁজ উন্মুক্ত করবে না ( টাইট নয়, ঢিলা ধরনের পোশাক), কাজে কর্মে শরীর উন্মুক্ত হওয়ার ভয় নেই, ৪) পর পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে না ৫) সেই পোশাক পুরুষের পোশাকের মত হবে না । পোশাকের ব্যাপারে ওগুলোই শর্ত। তবে সেই ‘সতর নিয়ে আবার বিশাল গ্রন্থ লেখা যাবে- মুখমণ্ডল, হাত ও পায়ের পাতা উন্মুক্ত রাখা নিয়ে বিতর্ক আছে। যদিও পর্দার ক্ষেত্রে মাথার কাপড় মুখের উপরে টেনে নামিয়ে রাখার বিষয় উল্লেখ আছে, গলা ও বুকের অংশ ঢেকে রাখার কথা বলা হয়েছে। ঠাণ্ডার দেশে হাত, পা বা মুখের কিয়দংশ নারী পুরুষ উভয়েই স্বেচ্ছায় ঢেকে রাখে যদিও অধিকাংশ গরমের দেশে তা খুলা রাখা হয়। নিজের গরজে। প্রচন্ড গ্রমে,আপেক্ষিক আদ্রতা যেখানে অধিক, নাক ঢেকে রাখলে ‘দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার ( suffocation) মত হবে, স্বাস্থ্যবিধি হিসেবেও তা সঠিক হবে না!
সউদী আরবের রাষ্ট্রীয় ব্যখ্যা অনুযায়ী নেকাব পড়া বাধ্যতা মূলক, যদিও বাংলাদেশে তা নয়। বরং বলা যাক, মেয়েদের ইচ্ছেমত মুখমণ্ডল, হাত ও পায়ের পাতা খুলা রাখতে পারে বা ঢাকতে পারে, যদি তার প্রয়োজন থাকে; সমস্যা একটাই- একজন যেন আরেকজনকে তুচ্ছ না করে, – নেকাব ওয়ালা যেন নেকাব খুলা নারীদেরকে কোন ভাবেই ‘কম ঈমানদার না ভাবে। আল্লাহ্পাকই ভাল জানেন কার ঈমানের অবস্থা কি! নেকাবের পক্ষের যুক্তিও হেলা করার মত নয়, মুখ তো সবচেয়ে আকর্ষণীয়, কাজেই মুখ খুলা রেখে হিজাব পড়লে তাতো ‘পরদৃষ্টি আকর্ষণ করবেই! এই যুক্তি হয়তো ঠিকই আছে, তবে কুরআনের আয়াত দিয়ে তা প্রমান করা নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। আমাদের মত ‘আম আদমি’ অত গভীরে না গেলেই ভাল।
বেসিক বিষয় গুলো মেনে চলা হলে, ছোট খাট ব্যাপার নিয়ে বাড়াবাড়ি না করাই ভাল। রাসূল (সাঃ) নিজেও ‘চুলচেরা বিশ্লেষণ কারী’ দের প্রশংসা করেন নাই, ধর্মের অনুশীলনে বাড়াবাড়ি করতেও নিষেধ করা হয়েছে। মধ্য পন্থা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। আল্লাহ্ পাক রহমানুর রাহিম, তিনি তার বান্দার জন্য যেটা ‘জুলুম হয় এমনটা কি পছন্দ করতে পারেন? কারো জন্য অফিসের ইউনিফর্ম যদি সতর ঢাকার জন্য যথেষ্ট হয়, তবে হেজাব পড়ে নিলে তো বেসিক দায়িত্ব পালন হয়ে গেল। সমস্যা কোথায়?
নেকাব পড়লে দায়িত্ব পালনে যদি অসুবিধা তবে সেটা তো পেশাগত সমস্যা তৈরী করবে! পেশাগত দায়িত্ব ইসলামের সরাসরি প্রতিবন্ধক না হলে, এই জামানায় কোন মুফতিই সে পেশাকে অগ্রাহ্য করবেন না। তবে ইসলামী অনুশাসনের সাথে কোন পেশা সরাসরি সাংঘর্ষিক হলে সেটা ভিন্ন কথা।
হজ্জ করার আগের ড্রেস বা হজ্জ করার পরের ড্রেস কি আলাদা ? ‘বালেগা নারীদের জন্য পোশাকের নিয়ম তো একই হবে, তাই না।
পাতলা পোশাকের ও মোজা মোসেহ করার ব্যাপারে গ্র্যান্ড মুফতি ইবনে বাজ’ এর একটা ফতোয়া নিম্নে উদ্ধৃত করা হল, আপনার প্রশ্নের খানিকটা উত্তর এখানে এসে যাবে আশা করছি।
উত্তরঃ পাতলা পোশাক পড়া মহিলাদের জন্য জায়েজ নয়। যে পোশাকে ‘সতর ঢাকে না তা পরিধান করে সালাত আদায় করলে তাতে সালাত আদায় হবে না- কারন সালাতের জন্য ‘সতর ঢাকা শর্ত । মহিলাদের জন্য এমন পোশাক পড়া বাধ্যতামূলক যাতে তার শরীর পুরো আবৃত হয় এবং তার শরীরের চামড়া বা আকর্ষণীয় ‘ভাঁজ / খাঁজ কে অনাবৃত না করে। একই ভাবে সালাতের জন্যও শরীর পুরো আবৃত হয় এমন পোশাক পড়াই বাধ্যতামূলক । শুধু মুখমণ্ডল, হাত- ও পায়ের পাতা খুলা থাকতে পারে। হাতে পায়ে মোজা থাকলে তো আর ভাল।
মোজার উপর মোছেহ করার শর্ত হলো, মোজা অবশ্যই পুরু হতে হবে এবং যা প্রকৃতই পদদ্বয় কে ঢেকে রাখে। এটা যদি পাতলা আর স্বচ্ছ হয়, তবে তার উপর মোছেহ করা বৈধ নয়, কারন এক্ষেত্রে পা অনাবৃত বলে বিবেচিত হবে। (শেখ ইবনে বায )
আপনার সদয় উপস্থিতি ও গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনার জন্য পরম করুণাময়ের নিকট প্রাণভরে দোয়া করি। আমার জন্যও দোয়া রাখবেন ভাইয়া। জাজাকাল্লাহু খাইর।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
মসজিদে ঢোকার অনুমতি নাই। যেখান থেকে
তারা কোরান ও সূন্নাহ জানতে পারতো। সারা বিশ্বের সমাজ ব্যবস্থা এতটা জটিল বা ডিজাইন করা উভয়ইকে রোজগার করতে হয়, আমার মতে হিজাব পড়লেই যথেষ্ট।
অনেকেও হয়তো দ্বিমত পোষন করতে পারেন।
মূল্যবান অনুভূতি রেখে যাওয়ার জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
মূল্যবান অনুভূতি রেখে যাওয়ার জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর ভাইয়া।
তবে মেয়েরা চাকুরী না করায় স্ররবোত্তম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন