মৌলবাদী বনাম সম্বিতহারা রবীন্দ্রপ্রেমী
লিখেছেন লিখেছেন সন্ধাতারা ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৮:১৭:২৩ রাত
মুখে দাড়ি, মাথায় টুপি আর পাঁচ ওয়াক্ত নামায মসজিদে আদায় করলেই কোন রকম বিচার বিবেচনা ব্যতিরেকেই অসহ্য বাক্যবাণে তীরবিদ্ধ করা হচ্ছে ‘মৌলবাদী’ ধর্মান্ধ কিংবা জামায়াত শিবির কর্মী বলে। ভাগ্যে জুটছে কঠিন তিরস্কার, হয়রানী, বদলী, জেলজুলুম এমনকি মৃত্যু, কোন অপরাধ ছাড়াই। একইভাবে মা বোনেরা পর্দাসহ চলাফেরা কিংবা একত্রিত হয়ে দ্বীনের আলোচনা করলেও অনবরত হচ্ছে নির্যাতিত নিগৃহীত। নওমুসলিমরা প্রতিষ্ঠানের প্রধান হওয়ায় কর্মক্ষেত্রেও বিরাজ করছে অসহনীয় দুর্যোগপূর্ণ ভয়ংকর চিত্র। ন্যায়সংগত নরম প্রতিবাদে কপালে জুটছে অবর্ণনীয় কষ্ট। একটি সভ্য স্বাধীন মুসলিম দেশের এ কী হাল?! ভাবতেও যেন গা শিউরে উঠে। নিরবচ্ছিন্নভাবে এই অসহায় জনগোষ্ঠীকে নিরাপত্তা দেয়া, সাহস জোগানো বা রক্ষা করার মত পাশে আজ কেউ নেই! কী আজব দেশ আমাদের!!
একইভাবে দেশবিনাশী এক শ্রেণীর মদ্যপ মাস্তান ইতর শ্রেণীর হাতে জিম্মি পরিশীলিত ধর্মীয় চেতনাবোধ সম্পন্ন মানুষেরা। ধর্মপ্রাণ মানুষকে কটাক্ষ করা হচ্ছে মৌলবাদী বলে! যদিও মৌলবাদীর প্রকৃত সংজ্ঞা তাদের জানা নেই। এসব কুৎসিত প্রবৃত্তির যথেচ্ছাচার অশ্লীলতায় সুস্থ মানুষের দম আটকে আসার যোগাড়। গ্রাম থেকে শহর সর্বত্রই এই ঘৃণ্য ইবলিসী বিচরণে মানুষ আজ দিশেহারা, অতিষ্ঠ। ঘুষ, ব্যভিচার, ধর্ষণ, নগ্নতা, যেনা, মাদক ও অশ্লীলতাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে উৎসাহিত করে বিচিত্রমুখী বেশরম বেহায়াপনা কাজে বাধ্য করা হচ্ছে কোমলমতি কিশোর কিশোরীদেরকে। অরুচিকর লক্ষ্যভ্রষ্ট উগ্র পথে ধাবমান এসব তরুণ তরুণীরা ভয়ংকরভাবে বিপথগামী হচ্ছে। ফলে সংক্রামিত বিষাক্ত জীবাণুতে আক্রান্ত হচ্ছে গোটা দেশ।
বিরাজমান এই চরম আগ্রাসী পরিবেশে পথহারা মুসলিম যুবক যুবতীদের কাছে আজ মহানবী (সাঃ) এর জীবনাচার ও উপদেশ আদর্শ নয়। তাদের কাছে আদর্শ হল রবি বাবুর শাঁখা-সিঁদুর, ঢোল-তবলা, ঠুমরী, সারেঙ্গী, রাখীবন্ধন ও মঙ্গলদীপের হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি। মুসলিম সন্তানেরা ধর্মীয়জ্ঞান ও কোরআনিক শিক্ষাকে অনাধুনিক বলে ব্যঙ্গাত্মক ভাষায় তুচ্ছতাচ্ছিল্য করলেও রবীন্দ্রনাথ তাদের কাছে ঈশ্বর। রবী বাবুকে তারা সর্বস্ব উজাড় করে দিয়ে দেবতাজ্ঞানে পূজা করছে উলু ধ্বনি দিয়ে। তাদের এই অতিমাত্রিক রবীন্দ্রপ্রেম ও রবীন্দ্রভজন সত্যিই একটি বিপজ্জনক সংকেত। উদাহরণস্বরূপ রবীন্দ্রনাথের একটি জনপ্রিয় গানের কলি উদ্ধৃত করা হল; “ও আমার দেশের মাটি, তোমার পরে ঠেকাই মাথা”। এখানে কবির হৃদয়মথিত আবেগ অনস্বীকার্য। কিন্তু দেশপ্রেমের নামে বিগলিত হয়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রণতিজ্ঞাপন নিঃসন্দেহে শিরক এবং তাওহিদী চেতনার সম্পূর্ণ পরিপন্থী! এভাবেই মুসলিম উম্মাহ স্বীয় ধর্মকে অবজ্ঞার বিষয় করে জ্ঞানে অজ্ঞানে এক বিশাল শেরক সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছে।
মুসলিম রবীন্দ্রপ্রেমীরা তার সঙ্গীতকে ইবাদত জ্ঞান করে জীবনকে মুক্তির আবহে বিলিয়ে দিতে এতটুকু কার্পণ্য করছে না। অবলীলায় তারা রগরগে যৌনতার বেশে কণ্ঠ বিলিয়ে, নিতম্ব দুলিয়ে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ললনার খেতাব অর্জনে মরিয়া হয়ে উঠছে। আর এটাই তাদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। যদিও রবীন্দ্রনাথ তার জীবদ্দশায় ভুলক্রমেও মুসলমানদের জন্য কোন গান বা কবিতা রচনা করেন নি। নারী স্বাধীনতার নামে চলছে অবাধ মেলামেশা এবং অবৈধ উন্মাদনা। বিদ্যমান এই উদার পরিবেশ পারিপার্শ্বিকতায় বেপরোয়া তরুণ সমাজ ন্যায় অন্যায়, সম্ভ্রমবোধ ও বেহায়াপনার পার্থক্য নিরূপণে অপারগ হয়ে উঠছে। ভেসে যাচ্ছে নৃত্য, গান বাজনার বিধ্বংসী স্রোতে। যার ফলে সমাজে প্রতিনিয়ত ঘটছে অনেক অপ্রত্যাশিত জঘন্য ঘটনা।
শিরক বেদা’আতে নিমজ্জিত অনুচিত উপসর্গে আক্রান্ত আমাদের বিড়ম্বিত জনগোষ্ঠী ধর্মীয় জীবনবোধের আলোকে পার্থিব ও পারলৌকিক মুক্তির পথ অন্বষনে শাশ্বত সৌন্দর্যে পূর্ণ জীবনবিধান ইসলামের আলোয় অনুপ্রাণিত ও উজ্জীবিত হবে এটাই আজ জাতির প্রত্যাশা। বিশেষ রোগ নির্ণয়ে যেমন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রয়োজন ঠিক তেমনি কলঙ্কিত দেশ ও জাতিকে রক্ষায় তাওহিদী বিশ্বাসে বলীয়ান মুসলিম জনতার সময়োপযোগী হস্তক্ষেপ অপরিহার্য। ইসলামী স্কলারগণ দ্বীনের দাবীকে গুরুত্বের সাথে গ্রাহ্য করে বিরাজিত এই কঠিন ব্যাধিকে নির্মূল করতে দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ হবে আশাকরি। সেইসাথে আগামী প্রজন্মের জন্য ধর্মীয় শিক্ষা ও জ্ঞানের পরিবেশ নিশ্চিতকরণসহ পার্থিব ও পারলৌকিক মুক্তির আলোকিত পথ সুনিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে নিরলস ভূমিকা পালন করবে এটাই সকলের কাঙ্ক্ষিত কাম্য।
বিষয়: বিবিধ
১৩৪৭ বার পঠিত, ৩২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মহান রাব্বুল আলামীন আপনাকে সর্বাবস্থায় ভালো রাখুন, সুস্থ রাখুন এবং দুনো জাহানের কামিয়াবী হাসিলের তৌফিক দিন এই প্রার্থনা রইলো। আমার জন্য দোয়া করবেন দয়া করে।
মৌলবাদী হতে হলে অবশ্যই ধর্মপ্রাণ হতে হবে ।প্রথম পর্যায়ে খ্রীষ্টানদের মৌলবাদী বলা হত ।বর্তমানে হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের সংজ্ঞাতে সরাসরি মৌলবাদী মুসলিমদের বলা হয়েছে ।মৌলবাদ বাঙ্গালীরা গালি হিসেবে ব্যবহার করলেও মৌলবাদী খারাপ ইঙ্গিত বহন করেনা ।
মৌলবাদ হল ,ধর্ম বা অন্য কোন ইস্যুকে কট্টর ভাবে মানা ।ঐ আইন বা ইস্যুর সাথে যারা দ্বিমত পোষন করেনা ।যিনি ঐ আইনের বাহিরে নিজেকে পরিচালনা করতে চাননা।আমি একজন মুসলিম মৌলবাদী ।এবং একজন মুসলিম মৌলবাদী হিসেবে আমি গর্বিত।
এই লেখাটি অন্যসকল বিষয়ে আমি সহমত ।হ্যা মুসলমানদের উচিত্ রবীঠাকুরকে বয়কট করা ।
এই উদ্ধৃতিটুকু বেশ ভাল লেগেছে এবং আমি একথার সাথে সহমত পোষন করছি:
বিষয়টি কী পরিষ্কার করতে পেরেছি ভাইয়া?
ইসলামী স্কলারগণ দ্বীনের দাবীকে গুরুত্বের সাথে গ্রাহ্য করে বিরাজিত এই কঠিন ব্যাধিকে নির্মূল করতে দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ হবে আশাকরি। সেইসাথে আগামী প্রজন্মের জন্য ধর্মীয় শিক্ষা ও জ্ঞানের পরিবেশ নিশ্চিতকরণসহ পার্থিব ও পারলৌকিক মুক্তির আলোকিত পথ সুনিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে নিরলস ভূমিকা পালন করবে এটাই সকলের কাঙ্ক্ষিত কাম্য।একমত আপু এটা আমাদের সবার ই কামনা ।
জাজাকাল্লাহ খাইরান আপু ।
বারাকাল্লাহু ফিক।
ভালো লাগলো।
ইসলামী স্কলারগণ এর কাছে দ্বীনের দাবী অনেক! তবে, ! মুসলিম নামের সামন্ত শাসকগণ নিজেরা ইসলাম থেকে দূরে,তবে তারা বেতনভোগী পেশাদার ইমাম তৈরী করেছে, যারা আললাহর জমিনে আল্লাহ্র প্রতিনিধিত্ব নয়, ঐ শাসক শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করে। যেন আরও অনেক পেশার মত ‘ইমামত একটা পেশা মাত্র! আল্লাহ্র হুকুমের চাইতে, রুটি রুজীর যোগানদার এই পেশার নিয়োগকর্তার হুকুম তাদের আগে মানার দরকার হয়! নিয়োগকর্তার বিরোধিতা করলে সমূহ বিপদ! আল্লাহ্র কাছে সেজদায় পরে মাফ চাইলে আল্লাহ্ মাফ করবেন, নিয়োগকর্তা মাফ করবে এই গ্যারান্টি নেই! কাজেই তারা আর সাহসের সাথে ইসলামের সাম্যের বানী কিম্বা জুলুম আর অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য বিশ্ব মুসলিমকে আহবান জানাতে পারে না! তারা নামাজ রোজা হজ্জ যাকাত এর নিয়মিত রুটিন ঘটিত প্রথা গুলো নিয়ে নিজের ঘরে প্রয়োগের কথা বলে, কিন্তু আল্লাহ্র আইন দুনিয়ায় বা দেশের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার কথা বলে না! আর এই ইমামদের পেছনে নামাজ পড়া – মুক্তাদী, আমরা – তাদেরই অনুসরণ করি- “এক্তেদাইতু বেহাজাল ইমাম”! তাই আজকের এই মুসলিম আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অত্যাচারের বিরুদ্ধে একত্রিত হয় না, প্রতিরোধে বা প্রতিবাদে গর্জে উঠে না ! ব
নিদারুণ বাস্তবতার সুনিপুণ অংকন আপনার উপস্হাপনা শ্রদ্ধেয়া সন্ধাতারা আপুজ্বী!
পৈত্রিক-মায়ের সূত্রে নামধারী মুসলিমদের প্রকৃততায় না ফেরা পর্যন্ত অবস্হার উন্নতি হবে বলে মনে হয় না!
করুণাময় মহান রব আমাদের হেদায়েত দান করুন!আমিন!!
মর্মস্পর্শী দোয়ায় আমীন। ছুম্মা আমীন।
অপেক্ষা করুণ, দাওয়াতের কাজ অব্যাহত রাখুন। ইনশাআল্লাহ্ অতিশীগ্র জালিমরা জুলম এর পথ ছেড়ে ন্যয়ের পথে চলবে, তাদের সন্তানরাই আমাদের সন্তানদের সাথে মিলে-মিশে আবার আকাশে কালেমার পতাকা উড়াবে। অনেক ধন্যবাদ আপনার প্রাণের দাবী মনের আবেগ মিশ্রিত বিনম্র ভাষায় বিজ্ঞ আলেমগণের কাছে উপস্থাপনের জন্য। আমি তাঁদের একজন ছাত্র হিসেবে আপনার নিকট আমার মতামত দিয়েছি মাত্র।
আপনার গঠনমূলক বিজ্ঞ অনুভূতি রেখে যাওয়ার জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
বেশি লিখার কারণে লিখাগুলো সাধারণ হয়ে যায়, নির্দিষ্ট কোন বিষয় ধরে যুক্তি তর্কের আলোকে লিখলে পাঠক পড়ে অনেক বেশি উপকৃত হবেন। আর দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি লিখাকে বস্তুনিষ্ঠ, প্রাণবন্ত করে তুলতে আপনার সব যোগ্যতাই রয়েছে। আশা করি আমার কথাগুলো বিবেচনায় নিবেন।
আমি রবীন্দ্র সঙ্গীত বয়কটের পক্ষে নই, তবে তা নিয়ে আদিখ্যেতা দেখানো খুবি অসস্তিকর।
আর হ্যাঁ বেশী লিখার ব্যাপারে আপনার একটা নীতিমালা আমার জানা প্রয়োজন ছিল তাহলে হয়তো বুঝতে পারতাম কতদিন পর পর আমাকে লিখা পোষ্ট করতে হবে।
আপনি বলেছেন বেশী লিখা পোষ্ট করার কারণে আমার লিখাগুলি সাধারণ হয়ে যায়। আপনার জ্ঞাতার্থে বলছি আমি কোন অসাধারণ মানের লেখিকা নই বা সে যোগ্যতাও আমার নেই। আপনার মত পাণ্ডিত্যসম্পন্ন অসাধারণ ব্যক্তির কাছ থেকে শেখার আশায় ব্লগে আমার পদচারনা। আপনার উপদেশগুলো বিবেচনার সাথে মনে রাখার চেষ্টা করবো যদিও আমি কোন তার্কিক নই।
আপনি রবীন্দ্র সঙ্গীত বয়কট করবেন কি না সেটা আপনার নিজস্ব ব্যাপার। তবে আমি যা উপস্থাপন করেছি তার সবটুকুই সত্যের উপর ভিত্তি করে কোন আদিখ্যেতা দেখানোর উদ্দেশ্যে নয়। অস্বস্তিকর বিষয়টিও নেহায়েত আপনার নিজস্ব সীমাবদ্ধতা থেকে সৃষ্ট। ধন্যবাদ।
কোন প্রয়োজন ছিলনা, যদিও গায়ে মেখেছেন আর আমাকে টিপ্পুনি কেটেছেন!
'আদিখ্যেতা' আর 'অস্বস্তি' শব্দ দুটি আপনার জন্য নয় বরং রবীন্দ্রপ্রেমীদের জন্য ব্যবহার করেছি। শুধু শুধু কষ্ট পেয়ে বসে
আছেন!
আপনাকে ছোট জ্ঞান করতে গিয়ে আমাকে পান্ডিত্যসম্পন্ন অসাধারণ বলে লজ্জাই দিলেন! আমার বয়স সবে মাত্র ২৪, এই বয়সেও চিন্তা-ভাবনা আর বুদ্ধিমত্তায় পরিপক্কতা আসেনি,যার জন্য বন্ধু বান্ধসহ কাছের মানষগুলোর কাছে আমাকে লজ্জা পেতে হয়। তাদের বিচক্ষণতার কাছে আমি বড়ই অসহায়। আপনি কি না আমাকে অসাধারণ বানিয়ে দিলেন, এর ভার সইব কেমন করে!
আপনাকে নীতিমালা দেয়ার সাহস আমি রাখি না! তবু বলছেন যখন, সপ্তাহে একটা করে দিলেই ভাল হয়। লিখার গুনগত মান বৃদ্ধি পাবে এবং আপ্নিও অন্যান্যকাজে সময় দিতে পারবেন।
কিছু সময়ের ব্যবধানে অনেক লিখা দেন, পড়তে খারাপ লাগে বিষয়টি এমন নয়!!!!! একি লিখায় একি শব্দের ব্যবহার বাবার নয়, বরং সব কটা লিখায় একি শব্দের ব্যবহার, কেননা আপনি চাইলে প্রতিদিন নতুন নতুন শব্দ আমদানি করতে পারবেন না, একি শব্দের ব্যবহারই করতে হবে। বলার চেষ্টা করছি, সপ্তাহে সপ্তাহে যদি লিখা দেন তাহলে শব্দগুলো নতুনই মনে হবে এইতো।
এখানে গাঁয়ে মাখামাখি বা টিপ্পুনি কাটার বিষয় নয়। লিখাটি যেহেতু আমার তাই কেউ কোন আপত্তি তুলে ধরলে তা খণ্ডন করার দায়িত্বও আমার।
বিচক্ষনতার প্রশ্নে বলবো ২৪ বছরের মানুষের কাছে কেন বরং আমি একটি তিন বছরের শিশুর বিচক্ষণতায় মাঝে মাঝেই অভিভূত হয়ে যাই।
আপনার পরামর্শের প্রেক্ষিতে বলতেই হয় আমি বিদেশ বিভূঁয়ে ফুল টাইম কাজ করেই নিয়মিত ব্লগিং করি শুধুমাত্র পরম করুণাময়ের সন্তুষ্টির জন্য। লিখার অসাধারনত্ব বা গুণগতমান জাহিরের উদ্দেশ্যে নয় অতএব...।
অথচ সে আপনি আজ আমার কিছু যৌক্তিক অভিযোগ কে কেন্দ্র করে আমাকে দারুণভাবে আহত করলেন। কমেন্টের শুরুতেই ভুল বুঝে গেলেন এবং এখনো ভুল বুঝেই যাচ্ছেন! অথচ আপনাকে সামান্য ব্যথা দেওয়ার নূনতম ইচ্ছা ছিল না এবং এখনো নেই।
কাউকে শ্রদ্ধা করলে প্রতিদানটা উল্টোভাবে পেতে হবে জানা ছিল না। আপনাকে দিয়ে জানলাম।
আমি সব অভিযোগ ফিরিয়ে নিলাম। ক্ষমা চাচ্ছি, আল্লাহর ওয়াস্তে ক্ষমা করবেন।
মন্তব্যের জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর। ভালো থাকবেন খুব ভালো সবসময়। দোয়া রইলো।
উৎসাহ ও প্রেরণামূলক আন্তরিক সুন্দর অনুভূতি রেখে যাওয়ার জন্য বারাকাল্লাহু ফিক। ভালো থাকবেন খুব ভালো সবসময়। দোয়া রইলো।
মহান রাব্বুল আলামীন আপনিসহ আমাদের সকলকেই ক্ষমা করুণ এবং সর্বাবস্থায় ভালো রাখুন, সুস্থ রাখুন এবং দুনো জাহানের কামিয়াবী হাসিলের তৌফিক দিন এই প্রার্থনা রইলো।
মন্তব্য করতে লগইন করুন