পাথরে কী ফোটে ফুল...?!!
লিখেছেন লিখেছেন সন্ধাতারা ৩০ আগস্ট, ২০১৪, ০৩:৩৮:১৮ দুপুর
মানবদেহে ছোট্ট একটি অতি শক্তিশালী হৃৎপিণ্ড বা কল্বব নামক যন্ত্র আছে যা দু’নো জীবনের ভাল-মন্দ, পাপ-পুণ্য পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রন করে অবিরত, অহর্নিশ। ভালবাসা নামক বৈদ্যুতিক শব্দটির উৎপত্তির উৎস এখানেই। এই শব্দটুকুর অবিশ্বাস্য অপরিমেয় উপলব্ধিবোধ থেকে কেউ কুঁড়ে ঘরে স্বর্গ সুখ রচনা করছে আবার কেউবা এর অভাবে বিশাল অট্টালিকায় নরক যন্ত্রণা ভোগ করে দু’জগতেরই কাঙ্ক্ষিত চাওয়া পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সাময়িক উপশমের জন্য কেউবা নিষিদ্ধ জঘন্য পথ বেঁচে নিয়ে আরও বেশী বেশী ঘৃণিত, পাপিষ্ঠ ও অভিশপ্ত হচ্ছে। যদিও এদের বাহিরের চাকচিক্য দেখে সেটা ঠাওর করা খুবই দুরূহ।
স্নেহ-মায়া-মমতা, আবেগ, শ্রদ্ধা-ভালবাসা হৃদয়ের একান্ত অনুভূতি গুলোর নাম। আর এর বহিঃপ্রকাশ ঘটে আমাদের প্রতি মুহূর্তের কাজে কর্মে, আচরণে, বিশ্বাসে এবং ত্যাগে। তাইতো এই ভালোবাসামাখা শব্দের অপূর্ব অনুভূতির অনুভবকে একান্ত করে পাওয়ার জন্য মানুষ একাগ্রভাবে সাধনা করে জনম জনম ধরে। এই চাওয়া পাওয়া পূর্ণ হলে একজন মানুষ যেমন ধন্য, সুখী ও পরিতৃপ্ত হয় আবার অপরদিকে ঠিক না পাওয়ার যন্ত্রণায় কেউ কেউ ছটফট করে আমৃত্যু। জীবনটা হয়ে উঠে দীর্ঘশ্বাসে ভরা জগদ্দল পাথরের মত। আর এর থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় বা উপশম হল মহান রাব্বুল আলামীনের হৃদয় শীতল করা অমিয় মধুর শান্তির বাণী।
যারা দুনিয়া ও আখেরাতের সুখ ও কল্যাণ কামনা করে তাদের দ্বীনের ইলম ও ধর্মজ্ঞান আহরণে রত থাকা দরকার। আর এজন্যই প্রত্যেক নর-নারীর ইলমে দ্বীনশিক্ষাকে ফরয করা হয়েছে। নবী করীম (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি ইলমে দ্বীন হাসিল করার জন্য রাস্তায় চলে, মহান রব তাকে জান্নাতের রাস্তায় চালিত করেন। আসমান জমিনের সমস্ত মাখলুক তার জন্য এস্তেগফার করতে থাকে এমনকি দরিয়ার মাছও তার জন্য এস্তেগফার করে। দ্বীনের আলেমগণ হলেন নবীর ওয়ারিশ। (দারেমী)
আমাদের নবী (সাঃ) আলী (রাঃ) এর নিকট বলেন জিবরাঈল (আ) বলেছেন, আলেমগণ দুনিয়াতে এবং আখেরাতে আপনার উম্মতের জন্য উজ্জ্বল প্রদীপস্বরূপ। দুঃসংবাদ ঐ ব্যক্তিদের জন্য যারা আলেমদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। (দুররাতুন নাছিহীন)
প্রিয় নবী (সাঃ) আরও বলেন, দুনিয়া ও আখেরাতের কামিয়াবী ইলমের দ্বারা হাসিল হয়, আর একজন আলেম আল্লাহ্ পাকের নিকট মর্যাদার দৃষ্টিতে এক হাজার শহীদ হতে উত্তম। আলেম শব্দের দ্বারা উদ্দেশ্য ঐ আলেম যিনি আমল করেন। (দুররাতুন নাছিহীন)
অত্যাচারিত নিষ্ঠুর পৃথিবীর যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে যারা একমাত্র আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য দু’নো জগতের কল্যাণ কামনায় উদগ্রীব তাদের উচিৎ পরিপূর্ণভাবে ইসলামের ছায়াতলে প্রবেশ করা। একমাত্র এই আপন ভূবণেই রোপিত ও প্রস্ফুটিত হতে পারে শান্তি বৃক্ষের সুশীতল হৃদয় জুড়ানো প্রত্যেক নর-নারীর আজন্ম লালিত ও কাঙ্ক্ষিত মনোহরী ফুল।
“এভাবেই মোরা বিশ্ব নিখিলের পথে পথে পাথরে ফোটাবো ফুল,
সব গ্লানিকে দৃঢ় চিত্তে মুছে, রক্ষা করবো মোদের দু’কূল”।
আল্লাহু আকবর।
বিষয়: বিবিধ
১৬৭৮ বার পঠিত, ৬২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
চমৎকার বলেছেন আপু। অনেক অনেক ধন্যবাদ
ইনশাআল্লাহ্ আমরা পারব ।
সৃজনশীল এই লেখনির জন্য মোবারকবাদ ।
আপু (দুররাতুন নাছিহীন) এর সম্পর্কে একটু বলবেন প্লিজ?
ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।
জাজাকাল্লাহু খাইরান।
চমৎকার আলোচনার জন্য শুকরিয়া শ্রদ্ধেয়া আপুজ্বি। ভাল লাগল
তাই যেন হয়। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। বিশেষ ধন্যবাদ আফরা।
Jajakallah Khammuni.
আপনার এই আহবানটি যেন সবার মনে স্থান পেয়ে আপনি যা বলতে চেয়েছেন তাই যেন হয় । আমি দোয়া করি আপনার এমন লেখার মাধ্যমে যেন কেই না কেই উপকৃত হোক।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন সব অবস্থায় এই কামনা। আল্লাহ্ পাক আমাদের সকলকেই নেক হায়াত দান করুণ এবং জীবনকে পুণ্যময় করার তৌফিক দিন। আপনার দোয়ায় আমীন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন