‘ইতিকাফ’ আত্মশুদ্ধির সর্বোত্তম উপায়
লিখেছেন লিখেছেন সন্ধাতারা ২২ মে, ২০১৪, ০৩:৩২:৪২ দুপুর
[img]http://www.onbangladesh.org/blog/bloggeruploadedimage/mbanu/1406160419.jpg[/img ইতিকাফ অর্থ অবস্থান করা। দুনিয়াদারীর যাবতীয় কাজ কর্ম থেকে মুক্ত হয়ে সুনিবিড়ভাবে নিবিষ্টচিত্তে নির্জনে আল্লাহ্র সান্নিধ্য বা নৈকট্য লাভের আশায় মসজিদের নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলা হয়। আর ইতিকাফের জন্য মহিলাগণ নিয়্যতসহ নিজ ঘরের নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করেন। রমযানের শেষ দিনগুলোতে মসজিদে ইতিকাফ করা মোস্তাহাব। মহানবী (সাঃ) রমযানের শেষ দশদিন মসজিদে ইতিকাফ করতেন বিধায় এই সময়ে ইতিকাফ করা সুন্নত। ইবনে উমর হতে বর্ণিত, মহানবী (সাঃ) রমযান মাসের শেষ দশদিন ইতিকাফ করতেন (মুসলিম)। হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূল (সাঃ) রমযান মাসের শেষ দশদিন ইতিকাফ করতেন এবং এটা তাঁর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত অব্যাহত ছিল (তিরমিযী)।
ইতিকাফ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিধায় মহানবী (সাঃ) রাষ্ট্র পরিচালনার মত অত্যধিক প্রয়োজনীয় কাজ দূরে রেখে রমযান মাসের শেষ দশদিন মসজিদে ইতিকাফে মনোনিবেশ করতেন। মাহে রমযানে সবচেয়ে বরকতপূর্ণ রাত্রি হোল লাইলাতুল কদর। যে রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। শেষের দশদিন ইতিকাফে থাকলে ‘লাইলাতুল কদরের’ ফযিলত লাভের আশা করা যায়। কার্যত রাসূল (সাঃ) লাইলাতুল কদরের ব্যাপারে খুবই উদগ্রীব ছিলেন। পুরা রমজানেই তিনি ইবাদতে ডুবে থাকতেন তবে রমযানের শেষ দশদিনে তা বহুগুণে বাড়িয়ে দিতেন। ইতিকাফ অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর মেলামেশা নিষিদ্ধ। কোররান মজীদে বলা হয়েছে এ সময়ে “স্ত্রীর নিকটবর্তী হয়ো না”। তাই আল্লাহ্র বিধান এবং নির্দেশিত পথ অনুযায়ী এতিকাফে বসে কোন কাজ গ্রহনীয়-বর্জনীয় বা করণীয় তা অবশ্যই অনুসরণ ও অনুশীলন করা বাঞ্ছনীয়।
ইতিকাফরত ব্যক্তিগণ এ সময়ে আল্লাহ্র একান্ত সান্নিধ্য লাভের আকাংখায় নিজেকে পরিপূর্ণভাবে আল্লাহ্র কাছে সোপর্দ করেন। তাই ইতিকাফরত অবস্থায় হকের কথা ছাড়া অপ্রয়োজনীয় কথা না বলা, বেশী বেশী নফল নামায আদায় করা, কোরআন মজীদ তিলাওয়াত করা, হাদীস শরীফ পাঠ করা, ইলম শিক্ষা করা, যিকর করা, রাসূল (সাঃ) ও অন্যন্য নবীর সীরাত ও ইসলামী গ্রন্থাদি পাঠ করাসহ নেক আমল করা প্রয়োজন। এভাবেই আদেশ-নির্দেশ পালনের মাধ্যমে বান্দা বান্দিগণ সার্বক্ষণিকভাবে ইবাদত জিকির আজগরে মশগুল হয়ে আল্লাহ্র একান্ত সান্নিধ্য তথা আত্মশুদ্ধির শ্রেষ্ঠতম সুযোগ লাভ করে। এটাই হচ্ছে সেই মহান লক্ষ্য যাতে ঈমানদারগণ আল্লাহ্র একান্ত অনুগত হয়ে তাঁর দয়া, করুণা ও রহমতের দ্বারে উপনীত হতে পারে।
বিষয়: বিবিধ
১৪৪৯ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ সুন্দর এটা লেখার জন্য।
কখনও বসিনাই। তবে এখন সময়ও পাইনা তবে দেখি তিনদিনের জন্য হলেও বসা যায় কিনা?
অন্নেক শুকরিয়া আপু সুন্দর পোষ্টের জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন