শহীদদের ঈর্ষান্বিত মর্যাদা
লিখেছেন লিখেছেন সন্ধাতারা ২০ এপ্রিল, ২০১৪, ১১:৪১:৪৮ রাত
যুগে যুগে বাতিল সমাজ ব্যবস্থাকে উৎখাত করে আল্লাহর মনোনীত বিধান কায়েম করতে শামিল হয়ে আবাল-বৃদ্ধ-বণিতাসহ বহু মুসলিম উম্মাহ নিজের প্রাণপ্রিয় জীবনটা উৎসর্গ করে শাহাদতের ভাগ্য বরণ করেছেন এবং অদ্যাবধি করে চলেছেন। এদের ত্যাগ ও কোরবানিকে কবুল করে মহা মহিম প্রভু তাঁদেরকে রসূল (সঃ) এর সাথে বেহেশত দান করবেন বলে মহা পুরুস্কার ঘোষণা করেছেন। মহান দাতা মেহেরবান অত্যন্ত দয়াপরবশত হয়ে বলেনঃ
“যারা আল্লাহর পথে নিহত হয় তাঁদেরকে তোমরা মৃত বলো না, বরং প্রকৃত অর্থে তারাই জীবিত, কিন্তু তোমরা সেটা বুঝতে পারো না”।
যে মুমিনগণ দ্বীন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজের জীবন কোরবানি করেছেন স্বয়ং আল্লাহ তা’য়ালা তাঁদেরকে মৃত বলতে নিষেধ করেছেন। পুরুস্কার স্বরূপ তাঁরা কিয়ামতের মাঠে বিনা বিচারে জান্নাতে প্রবেশ করবেন। সুবহানাল্লাহ। তাঁরা আল্লাহর কাছে, মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায়, কবর প্রকোষ্ঠে এবং জান্নাতের বাগিচায় সর্বত্রই জীবিতাবস্থায় বিচরণ করবেন। তাঁরা এভাবেই বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল চির ভাস্বর, চির অমলীন হয়ে। এজন্য আল্লাহর ভাষায় তাঁদেরকে মৃত বলা সঠিক বা জায়েয নয় বরং আমাদের দৃষ্টিতে যারা জীবিত, শহীদগণ তাদের অপেক্ষা অনেক অনেক উর্দ্ধের এবং অত্যন্ত মর্যাদার।
এমনকি শহীদদের রক্ত যেহেতু পবিত্র এবং তাদেরকে জীবিত ঘোষণা করা হয়েছে তাই আল্লাহর পথের বীর যোদ্ধারা তাদের গৌরবান্বিত রক্তের অলংকারে সজ্জিত হয়ে মহান সম্রাটের নিকট উপস্থিত হবেন। মৃত দেহকে পবিত্র করতে সাধারণ মৃত দেহের ক্ষেত্রে যে গোসলের প্রয়োজন আল্লাহর সন্মানিত মেহমান শহীদদের জন্য সে গোসলের কোন প্রয়োজন বা বিধান নেই। কেননা শহীদদের রক্ত চির পবিত্র। তাই তারা যে পোশাকে, যে রক্ত মাখা অবস্থায় শাহাদত বরণ করেছেন অবিকল সেই চেহারায় মালিকের কাছে হাজির হবেন।
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, জান্নাতে প্রবেশের পর দুনিয়ায় আসা ও দুনিয়ার লভ্য বস্তুর আকাংখা শহীদের চেয়ে বেশী আর অন্য কারো হবে না। শহীদগণ শুধু একবার নয়, দশ বার পৃথিবীতে ফিরে আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে শহীদ হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করবেন। কারণ শহীদদেরকে যেসব জিনিস দেয়া হবে বিশ্ব জগতের কোন সৃষ্টিকে তা দেয়া হবে না। (বোখারী, মুসলিম, মালিক)
সুতরাং আল্লাহর প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে যারা লড়াই করে শহীদ হয়েছেন প্রকৃত শ্রেষ্ঠত্বের পুরুস্কার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তারাই হবেন ঈর্ষান্বিত সন্মান ও মর্যাদার অধিকারী। আল্লাহ্ সর্বশক্তিমান
বিষয়: বিবিধ
১৪৯৪ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন