আল কোরআন পাঠের উপকারিতা
লিখেছেন লিখেছেন সন্ধাতারা ১০ মার্চ, ২০১৪, ০৬:০৩:৫৬ সন্ধ্যা
কোরআনুল মজীদ সৃষ্টির সেরা মানুষের জন্য পরম করুণাময় মহান দয়ালু আল্লাহ তাআ’লার এক বিশালতম নেয়ামত ও শ্রেষ্ঠতম পবিত্র উপহার। এতে মানব জীবনের যাবতীয় কর্মের পথ নির্দেশনা অত্যন্ত বলিষ্ঠ ও সুচারুরূপে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ শব্দমালার জোড়ালো গাঁথুনির সুনিপুণ কারিগরি ভঙ্গিমায় বর্ণনা করা হয়েছে। আর এই পাক কালাম তেলওয়াতে দুনো জাহানের সাফল্য, রহমত ও বরকত নিহিত রয়েছে। আসুন নিম্নে বর্ণিত সে জিনিসগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব ও মহব্বতের সাথে হৃদয়ে ধারণ এবং প্রতিদিন লালন পালন ও অনুশীলন করি।
১। হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সাঃ) এরশাদ করেছেন, কোরআনে পারদর্শী ব্যক্তিগণ হলেন অতি উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন যারা ফেরেশতাগণের সমমর্যাদাসম্পন্ন হবেন। আর যে ব্যক্তি অনেক কষ্ট করে ধীরে ধীরে থেমে থেমে কোরআন তেলওয়াত করবেন তার জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সওয়াব। বুখারী ও মুসলিম
২। হযরত ওসমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেছেন তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে নিজে কোরআন শিক্ষা করেছে এবং অপরকে শিক্ষা দিয়েছে। বুখারী
৩। হযরত আবু ঊমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি ঊল্লেখ করেন, আমি রসূল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, তোমরা বেশী বেশী করে কোরআন শরীফ তেলওয়াত কর। কেননা কাল হাশরের মাঠে কোরআন তার তেলওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করবে। মুসলিম
৪। হযরত আবদুর রহমান ইবনু আউফ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসূল (সাঃ) বলেছেন, কাল হাশরের ময়দানে তিনটি জিনিস আল্লাহ্র আরশের নীচে দাঁড়িয়ে বান্দার পক্ষে ফরিয়াদ করতে থাকবে। এগুলো হলঃ কোরআন, আমানত এবং আত্মীয়তার সূত্র। শরহে সুণ্ণাহ
৫। হযরত ওমর ইবনে খাত্বাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ) ফরমান নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’য়ালা এ কোরআন পাঠের কারণে একদলকে উচ্চ মর্যাদায় আসীন করবেন এবং কোরআন পাঠে বিরত থাকার কারণে অন্য দলকে অধঃপতিত বা লাঞ্ছিত করবেন। অর্থাৎ প্রথম দল কোরআনকে নিজের জীবন বিধান হিসাবে মেনে নেয়ায় উচ্চ মর্যাদা লাভ করবেন এবং অপর দল কোরআনকে জীবন বিধানরূপে না মানার কারণে অপমানিত ও লজ্জিত হবেন।
৬। হযরত ইবনু মাসুউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কোরআন মজীদ থেকে একটি হরফ পাঠ করবে তার আমলনামায় দশটি নেকী লিখা হবে। আমি বলছি না যে, আলীফ লাম মীম একটি হরফ বরং আলীফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ এবং মীম একটি হরফ। তিরমিযী ও দারেমী
৭। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসূল (সাঃ) ফরমান, কাল হাশরের মাঠে কোরআন পারদর্শী ব্যক্তিকে বলা হবে, তুমি দুনিয়ায় যে তারতীলের সহিত কোরআন পাঠ করেছ, সেই তারতীলের সহিত কোরআন পাঠ করতে করতে উপরের দিকে চলে যাও। যেখানে গিয়ে তোমার পাঠ শেষ হবে, সেখানেই তোমার বেহেশতের মঞ্জিল। আহমদ, তিরমিযী, আবু দাউদ ও নাসাঈ
আল্লাহ্ জাল্লাহ শানহূ আমাদের সকলকেই পাক কালাম নিয়মিত পাঠ করার তৌফিক দিন ও আখেরাতের অনন্ত কালের জীবনে প্রত্যেকের আকাঙ্ক্ষিত বেহেশতের মঞ্জিল লাভের পরম সৌভাগ্য নসীব করুন। আমীন, ছূম্মা আমীন।
কোরআনুল মজীদ সৃষ্টির সেরা মানুষের জন্য পরম করুণাময় মহান দয়ালু আল্লাহ তাআ’লার এক বিশালতম নেয়ামত ও শ্রেষ্ঠতম পবিত্র উপহার। এতে মানব জীবনের যাবতীয় কর্মের পথ নির্দেশনা অত্যন্ত বলিষ্ঠ ও সুচারুরূপে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ শব্দমালার জোড়ালো গাঁথুনির সুনিপুণ কারিগরি ভঙ্গিমায় বর্ণনা করা হয়েছে। আর এই পাক কালাম তেলওয়াতে দুনো জাহানের সাফল্য, রহমত ও বরকত নিহিত রয়েছে। আসুন নিম্নে বর্ণিত সে জিনিসগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব ও মহব্বতের সাথে হৃদয়ে ধারণ এবং প্রতিদিন লালন পালন ও অনুশীলন করি।
১। হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সাঃ) এরশাদ করেছেন, কোরআনে পারদর্শী ব্যক্তিগণ হলেন অতি উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন যারা ফেরেশতাগণের সমমর্যাদাসম্পন্ন হবেন। আর যে ব্যক্তি অনেক কষ্ট করে ধীরে ধীরে থেমে থেমে কোরআন তেলওয়াত করবেন তার জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সওয়াব। বুখারী ও মুসলিম
২। হযরত ওসমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেছেন তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে নিজে কোরআন শিক্ষা করেছে এবং অপরকে শিক্ষা দিয়েছে। বুখারী
৩। হযরত আবু ঊমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি ঊল্লেখ করেন, আমি রসূল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, তোমরা বেশী বেশী করে কোরআন শরীফ তেলওয়াত কর। কেননা কাল হাশরের মাঠে কোরআন তার তেলওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করবে। মুসলিম
৪। হযরত আবদুর রহমান ইবনু আউফ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসূল (সাঃ) বলেছেন, কাল হাশরের ময়দানে তিনটি জিনিস আল্লাহ্র আরশের নীচে দাঁড়িয়ে বান্দার পক্ষে ফরিয়াদ করতে থাকবে। এগুলো হলঃ কোরআন, আমানত এবং আত্মীয়তার সূত্র। শরহে সুণ্ণাহ
৫। হযরত ওমর ইবনে খাত্বাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ) ফরমান নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’য়ালা এ কোরআন পাঠের কারণে একদলকে উচ্চ মর্যাদায় আসীন করবেন এবং কোরআন পাঠে বিরত থাকার কারণে অন্য দলকে অধঃপতিত বা লাঞ্ছিত করবেন। অর্থাৎ প্রথম দল কোরআনকে নিজের জীবন বিধান হিসাবে মেনে নেয়ায় উচ্চ মর্যাদা লাভ করবেন এবং অপর দল কোরআনকে জীবন বিধানরূপে না মানার কারণে অপমানিত ও লজ্জিত হবেন।
৬। হযরত ইবনু মাসুউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কোরআন মজীদ থেকে একটি হরফ পাঠ করবে তার আমলনামায় দশটি নেকী লিখা হবে। আমি বলছি না যে, আলীফ লাম মীম একটি হরফ বরং আলীফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ এবং মীম একটি হরফ। তিরমিযী ও দারেমী
৭। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসূল (সাঃ) ফরমান, কাল হাশরের মাঠে কোরআন পারদর্শী ব্যক্তিকে বলা হবে, তুমি দুনিয়ায় যে তারতীলের সহিত কোরআন পাঠ করেছ, সেই তারতীলের সহিত কোরআন পাঠ করতে করতে উপরের দিকে চলে যাও। যেখানে গিয়ে তোমার পাঠ শেষ হবে, সেখানেই তোমার বেহেশতের মঞ্জিল। আহমদ, তিরমিযী, আবু দাউদ ও নাসাঈ
আল্লাহ্ জাল্লাহ শানহূ আমাদের সকলকেই পাক কালাম নিয়মিত পাঠ করার তৌফিক দিন ও আখেরাতের অনন্ত কালের জীবনে প্রত্যেকের আকাঙ্ক্ষিত বেহেশতের মঞ্জিল লাভের পরম সৌভাগ্য নসীব করুন। আমীন, ছূম্মা আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১২৩১ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যাযাকাল্লাহু খাইরান।
মন্তব্য করতে লগইন করুন