কেবলা পরিবর্তনের সুমহান উদ্দেশ্য
লিখেছেন লিখেছেন সন্ধাতারা ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৮:২৬:৪৫ রাত
আল্লাহ্ যাল্লাহ শানহু পাক কালামে বলেন, কেবলা পরিবর্তনের ব্যাপারে মানুষের মধ্য হতে শীঘ্রই কিছু নির্বোধ মূর্খ লোক বলতে থাকবে, এতদিন তারা যে কেবলার দিকে (বায়তুল মাকদেস) প্রতিষ্ঠিত ছিল আজ কে তাদের সে দিক থেকে ফিরিয়ে দিল? হে নবী বলুন, পূর্ব ও পশ্চিম (সব দিক) আল্লাহ্রই, তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে সঠিক সরল পথে পরিচালিত করেন। (সূরা বাকারাঃ ১৪২)
এভাবেই আমি তোমাদেরকে এক মধ্যপন্থী উম্মতরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছি, যাতে তোমরা সমগ্র বিশ্বে অন্যান্য গোষ্ঠীর কাছে (হেদায়তের) স্বাক্ষীস্বরূপ হয়ে থাকবে এবং অনুরূপভাবে রাসূলও তোমাদের জন্য স্বাক্ষী স্বরূপ হবে। এযাবৎ যে কেবলার কেবলার উপর তোমরা প্রতিষ্ঠিত ছিলে উহাকে আমি এজন্যই নির্ধারণ করেছিলাম যাতে আমি জানতে পারি, কে তোমাদের মধ্যে রাসূলের অনুসরণ করে আর কে হেদায়তের পথ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। এটা ছিল নিশ্চয়ই এক কঠিন পরীক্ষা, অবশ্য তারা ব্যতীত যাদেরকে আল্লাহ্ তায়ালা হেদায়েত নসীব করেছেন এবং আল্লাহ তায়ালা কখনও তোমাদের ঈমানকে নষ্ট করেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তায়ালা মানুষের প্রতি বড়ই দয়ালু এবং পরম করুণাময়।(সূরা বাকারাঃ ১৪৩)
আকাশ পানে নিবিষ্ট দৃষ্টিতে (কেবলা পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে) আপনি যেভাবে তাকিয়ে থাকতেন (আমার সিদ্ধান্তের প্রতীক্ষায়) আমি তা লক্ষ্য করেছি, তাই আমি আপনাকে এমন কাঙ্ক্ষিত কেবলার দিকে ফিরিয়ে নিচ্ছি যা আপনি পছন্দ করেন, আপনি (এই মুহূর্ত হতে নামাযের জন্য) মাসজিদুল হারামের (কাবা শরীফের) দিকে মুখ ফিরিয়ে নিন। আর তোমরা যেখানেই থাক না কেন তাঁর দিকে মুখ ফিরিয়ে নাও। যাদের কাছে পূর্বেই কিতাব প্রেরিত হয়েছে তারা স্পষ্টভাবে জ্ঞাত যে এটা তাদের প্রভূর প্রেরিত মহা সত্য। এতোদসত্ত্বেও তাদের কর্মের ব্যাপারে আল্লাহ্ মোটেই উদাসীন নন। (সূরা বাকারাঃ ১৪৪)
পূর্বে কেতাবীদের মধ্যে কিছুসংখ্যক লোক যাদের কাছে আল্লাহ্র নির্দেশ এসেছে তাদের নিকট যদি পৃথিবীর সমস্ত দলিলও উপস্থাপন করা হয় তবুও তারা আপনার কেবলার অনুসরণ করবে না। ( হে নবী) আর আপনিও তাদের কেবলার অনুসারী হতে পারেন না। এমনকি তাদের এক সম্প্রদায়ের লোক আরেক সম্প্রদায়ের কেবলার অনুসারী নয়। আমার নিকট থেকে ইলেম আসার পরও আপনি যদি তাদের প্রবৃত্তি ও আকাঙ্ক্ষার অনুসরণ করেন, তবে নিশ্চয়ই আপনি জালেমদের দলভুক্ত হবেন। (সূরা বাকারাঃ ১৪৫)
আমি যাদেরকে কেতাব দান করেছি তারা তাকে এমন ভালভাবে চিনে যেমন তারা আপন সন্তানদেরকে চিনে আর তাদের একদল সবকিছু জেনেশুনেই সত্য গোপন করছে। (সূরা বাকারাঃ ১৪৬)
হে নবী, আপনি তাদের বলেন, তোমাদের প্রভুর নিকট হতে প্রাপ্ত এটাই একমাত্র প্রকৃত সত্য, সুতরাং কোনভাবেই আপনি সংশয় পোষণকারীদের দলে অন্তর্ভুক্ত হবেন না। (সূরা বাকারাঃ ১৪৭)
এমনিভাবে প্রত্যেক সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে ইবাদতের জন্য সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত ও দিক নির্দেশনা আছে সুতরাং সৎকর্মে তোমরা প্রতিযোগীতা করো এবং কল্যাণের দিকে অগ্রসর হও। তোমরা যেখানেই থাক না কেন আল্লাহ্ সকলকেই একত্রে হাজির করবেন আর আল্লাহ্ সর্ব বিষয়ে মহা সর্বশক্তিমান। (সূরা বাকারাঃ ১৪৮)
যারা আল্লাহ্র সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিতর্কে লিপ্ত হয় এবং বাড়াবাড়ি করে তাদেরকে ভয় করো না একমাত্র আমাকেই ভয় করো যাতে করে আমি আমার নেয়ামত তোমাদের উপর পূর্ণরূপে দান করতে পারি এবং তোমরা তাতে কল্যাণময় পথ প্রাপ্ত হতে পারো। (সূরা বাকারাঃ ১৫০)
এই কল্যাণকর পথের আলোক সন্ধান দেয়ার জন্যেই তোমাদের নিকট তোমাদেরই একজনকে রসূল করে পাঠিয়েছি যে, প্রথমতঃ তিনি তোমাদের নিকট আমার আয়াতসমূহ পাঠ করে শুনাবেন। দ্বিতীয়ত তোমাদের জীবনকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করবেন। তৃতীয়ত তিনি তোমাদেরকে আমার কিতাবের সুগভীর ব্যাখা ও জ্ঞানদানসহ এমন কিছু হিকমাহ শিক্ষা দিবেন যে বিষয়ে তোমরা অজ্ঞ ছিলে। (সূরা বাকারাঃ ১৫১)
সুতরাং (এসব নিয়ামতের জন্য) তোমরা আমাকেই স্মরণ করো, আমিও তোমাদের স্মরণ করবো। তোমরা আমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো এবং কখনো অকৃতজ্ঞ হয়ো না। (সূরা বাকারাঃ ১৫২)
আল্লাহ্ যাল্লাহ শানহু পাক কালামে বলেন, কেবলা পরিবর্তনের ব্যাপারে মানুষের মধ্য হতে শীঘ্রই কিছু নির্বোধ মূর্খ লোক বলতে থাকবে, এতদিন তারা যে কেবলার দিকে (বায়তুল মাকদেস) প্রতিষ্ঠিত ছিল আজ কে তাদের সে দিক থেকে ফিরিয়ে দিল? হে নবী বলুন, পূর্ব ও পশ্চিম (সব দিক) আল্লাহ্রই, তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে সঠিক সরল পথে পরিচালিত করেন। (সূরা বাকারাঃ ১৪২)
এভাবেই আমি তোমাদেরকে এক মধ্যপন্থী উম্মতরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছি, যাতে তোমরা সমগ্র বিশ্বে অন্যান্য গোষ্ঠীর কাছে (হেদায়তের) স্বাক্ষীস্বরূপ হয়ে থাকবে এবং অনুরূপভাবে রাসূলও তোমাদের জন্য স্বাক্ষী স্বরূপ হবে। এযাবৎ যে কেবলার কেবলার উপর তোমরা প্রতিষ্ঠিত ছিলে উহাকে আমি এজন্যই নির্ধারণ করেছিলাম যাতে আমি জানতে পারি, কে তোমাদের মধ্যে রাসূলের অনুসরণ করে আর কে হেদায়তের পথ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। এটা ছিল নিশ্চয়ই এক কঠিন পরীক্ষা, অবশ্য তারা ব্যতীত যাদেরকে আল্লাহ্ তায়ালা হেদায়েত নসীব করেছেন এবং আল্লাহ তায়ালা কখনও তোমাদের ঈমানকে নষ্ট করেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তায়ালা মানুষের প্রতি বড়ই দয়ালু এবং পরম করুণাময়।(সূরা বাকারাঃ ১৪৩)
আকাশ পানে নিবিষ্ট দৃষ্টিতে (কেবলা পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে) আপনি যেভাবে তাকিয়ে থাকতেন (আমার সিদ্ধান্তের প্রতীক্ষায়) আমি তা লক্ষ্য করেছি, তাই আমি আপনাকে এমন কাঙ্ক্ষিত কেবলার দিকে ফিরিয়ে নিচ্ছি যা আপনি পছন্দ করেন, আপনি (এই মুহূর্ত হতে নামাযের জন্য) মাসজিদুল হারামের (কাবা শরীফের) দিকে মুখ ফিরিয়ে নিন। আর তোমরা যেখানেই থাক না কেন তাঁর দিকে মুখ ফিরিয়ে নাও। যাদের কাছে পূর্বেই কিতাব প্রেরিত হয়েছে তারা স্পষ্টভাবে জ্ঞাত যে এটা তাদের প্রভূর প্রেরিত মহা সত্য। এতোদসত্ত্বেও তাদের কর্মের ব্যাপারে আল্লাহ্ মোটেই উদাসীন নন। (সূরা বাকারাঃ ১৪৪)
পূর্বে কেতাবীদের মধ্যে কিছুসংখ্যক লোক যাদের কাছে আল্লাহ্র নির্দেশ এসেছে তাদের নিকট যদি পৃথিবীর সমস্ত দলিলও উপস্থাপন করা হয় তবুও তারা আপনার কেবলার অনুসরণ করবে না। ( হে নবী) আর আপনিও তাদের কেবলার অনুসারী হতে পারেন না। এমনকি তাদের এক সম্প্রদায়ের লোক আরেক সম্প্রদায়ের কেবলার অনুসারী নয়। আমার নিকট থেকে ইলেম আসার পরও আপনি যদি তাদের প্রবৃত্তি ও আকাঙ্ক্ষার অনুসরণ করেন, তবে নিশ্চয়ই আপনি জালেমদের দলভুক্ত হবেন। (সূরা বাকারাঃ ১৪৫)
আমি যাদেরকে কেতাব দান করেছি তারা তাকে এমন ভালভাবে চিনে যেমন তারা আপন সন্তানদেরকে চিনে আর তাদের একদল সবকিছু জেনেশুনেই সত্য গোপন করছে। (সূরা বাকারাঃ ১৪৬)
হে নবী, আপনি তাদের বলেন, তোমাদের প্রভুর নিকট হতে প্রাপ্ত এটাই একমাত্র প্রকৃত সত্য, সুতরাং কোনভাবেই আপনি সংশয় পোষণকারীদের দলে অন্তর্ভুক্ত হবেন না। (সূরা বাকারাঃ ১৪৭)
এমনিভাবে প্রত্যেক সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে ইবাদতের জন্য সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত ও দিক নির্দেশনা আছে সুতরাং সৎকর্মে তোমরা প্রতিযোগীতা করো এবং কল্যাণের দিকে অগ্রসর হও। তোমরা যেখানেই থাক না কেন আল্লাহ্ সকলকেই একত্রে হাজির করবেন আর আল্লাহ্ সর্ব বিষয়ে মহা সর্বশক্তিমান। (সূরা বাকারাঃ ১৪৮)
যারা আল্লাহ্র সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিতর্কে লিপ্ত হয় এবং বাড়াবাড়ি করে তাদেরকে ভয় করো না একমাত্র আমাকেই ভয় করো যাতে করে আমি আমার নেয়ামত তোমাদের উপর পূর্ণরূপে দান করতে পারি এবং তোমরা তাতে কল্যাণময় পথ প্রাপ্ত হতে পারো। (সূরা বাকারাঃ ১৫০)
এই কল্যাণকর পথের আলোক সন্ধান দেয়ার জন্যেই তোমাদের নিকট তোমাদেরই একজনকে রসূল করে পাঠিয়েছি যে, প্রথমতঃ তিনি তোমাদের নিকট আমার আয়াতসমূহ পাঠ করে শুনাবেন। দ্বিতীয়ত তোমাদের জীবনকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করবেন। তৃতীয়ত তিনি তোমাদেরকে আমার কিতাবের সুগভীর ব্যাখা ও জ্ঞানদানসহ এমন কিছু হিকমাহ শিক্ষা দিবেন যে বিষয়ে তোমরা অজ্ঞ ছিলে। (সূরা বাকারাঃ ১৫১)
সুতরাং (এসব নিয়ামতের জন্য) তোমরা আমাকেই স্মরণ করো, আমিও তোমাদের স্মরণ করবো। তোমরা আমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো এবং কখনো অকৃতজ্ঞ হয়ো না। (সূরা বাকারাঃ ১৫২)
বিষয়: বিবিধ
১০৬৫ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন, যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন-কে তোমাদের মধ্যে কর্মে শ্রেষ্ঠ? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাময়।
সূরা মুলক ২
জাজাকাল্লাহু খাইরান।
মন্তব্য করতে লগইন করুন