পহেলা এপ্রিল ... .......মুসলিম উম্মার জন্য বেদনার দিন

লিখেছেন লিখেছেন শিহাব আল মাহমুদ ০১ এপ্রিল, ২০১৪, ১২:৫৬:০১ রাত



খৃষ্টানরা ১৪৯৩ সালে গ্রানাডায় তারা ঘোষণা দেয় মসজিদে আশ্রয় নেয়া মুসলিমদের হত্যা করা হবে না। সরলপ্রাণ লাখ লাখ মুসলিম যখন মসজিদে আশ্রয় নেন তখন তারা মসজিদে পেট্রল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে মুসলিমদের হত্যা করে।

এভাবে মুসলিদের বোকা বানাইয়া পুড়ে গনহত্যা চালায়.... ১ এপ্রিল যা বর্তমানে এপ্রিল ফুল (april fool) অর্থাৎ এপ্রিলের বোকা------এবার চিন্তা করুন আপনি এখনও পহেলা এপ্রিল পালন করবেন ?

==========================================================

পহেলা এপ্রিল ...

মুসলিমদের এপ্রিল ফুল নেই.. এই দিনটা মুসলিম উম্মার জন্য বেদনার দিন .........

আমরা যারা এপ্রিল ফুল পালন করি হয়তো জানিনা কেন পহেলা এপ্রিল পালন করা হয়। মুসলমান হিসাবে গুরুত্বসহকারে এপ্রিল ফুলের ইতিহাস জানা জরুরী। মুসলিমদের বেদনার দিনটাকে এভাবে আনন্দ করে অপসংস্কৃতিকে আপন করে নেয়া মুসলমান হিসাবে খুবই দু;খজনক। এই ইতিহাস অনেকেরই অজনা. ..এপ্রিল ফুলের সঠিক ইতিহাস অমুসলিমরা জানলেও মুসলমানগন জানিনাহ।

এই দিনে হত্যা. আগুনে পুড়িয়ে গনহত্যা. মসজিদে আটক হত্যা করা হয় স্পেনর মুসলমানদের। এ দিন হাসি তামাশার মাধ্যমে বন্ধু প্রিয়জনের সাথে মিথ্যা প্রতারণা করে আনন্দ পাওয়ার চেষ্টা করা হয়। বর্তমানে পাশ্চাত্যের অনুকরণে মুসলিম বিশ্বেও তরুণ-তরুণীদের মাঝে এ উৎসব পালনের আগ্রহ দিন দিন বেড়ে চলছে। অথচ এর পেছনের ইতিহাস একজন মুসলিমকে উৎসব পালনে উৎসাহিত করে না বরং এক শোকাবহ চেতনা ও প্রতিবাদের আগুন প্রজ্বলিত করে একজন সত্যিকারের মুসলিম তরুণ-তরুণীর হৃদয়ে। তা ছাড়া ইসলামে এমনিতেই মিথ্যা প্রতারণা করে আনন্দ উল্লাস নিষিদ্ধ। সত্যিকারের ইতিহাস না জানায় মুসলিমসমাজ নিজেদের অজান্তেই নিজেদের প্রতি জুলুম করছে।

এবার আসল ঘটনা জানুন... ...

৯২ হিজরি মোতাবেক ৭১১ খ্রিষ্টাব্দে মুসলমানগণ গথ রাজাদের পরাজিত করে স্পেনে আগমন-পরবর্তী দীর্ঘ প্রায় ৮০০ বছরের শাসনামলে মুসলিমগণ কখনোই খ্রিষ্টানদের জোর করে ধর্মান্তরিত করেননি, তাদের ওপর নির্যাতন চালাননি। তারা পূর্ণ ধর্মীয় ও নাগরিক স্বাধীনতা ভোগ করেছে। কিন্তু মুসলিমদের ওপর খ্রিষ্টানদের বিজয়ের পর তারা শুধু মুসলমানদের নাগরিক ও ধর্মীয় সুবিধা হরণ করেনি বরং লাখ লাখ মুসলিমকে আগুনে পুড়িয়ে জাহাজ ডুবিয়ে ও গণজবাই অনুষ্ঠানে জবাই করে হত্যা করে। অসংখ্য মসজিদ আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে ভস্ম করে দেয়। তেমনি ১৪৯৩ সালে গ্রানাডায় তারা ঘোষণা দেয় মসজিদে আশ্রয় নেয়া মুসলিমদের হত্যা করা হবে না। সরলপ্রাণ লাখ লাখ মুসলিম যখন মসজিদে আশ্রয় নেন তখন তারা মসজিদে পেট্রল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে মুসলিমদের হত্যা করে। এ প্রতারণার ইতিহাস স্মরণ করতেই তারা আজ এপ্রিল ফুল নতুন আমেজে পালন করে।

ই একজন মুসলিমের জন্য কোনোভাবেই প্রতারণা ও মিথ্যার মাধ্যমে এপ্রিল ফুল পালন বৈধ নয়..তাই এপ্রিল ফুলের উৎসবে মেতে না উঠে বরং আখিরাতের প্রতি অধিক আগ্রহী করে নিজেদের জীবন গড়ে তোলা এবং শাহাদাতের মৃত্যুর প্রস্তুতি নেয়াই হচ্ছে মুসলমানদের দায়িত্ব। আজ এপ্রিল ফুল মুসলমানদের মাঝে তাদের আত্মপর্যালোচনাকে জাগ্রত করবে, তারা নিজেদের উপলব্ধি করতে শিখবে এই আমার প্রত্যাশা

লেখাটি তৈরী করতে বিভিন্ন সূত্রের সাহায্য নেয়া্ হয়েছে. ............

বিষয়: বিবিধ

১৮১১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

201076
০১ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:৫১
গেরিলা লিখেছেন : মাইনাস
201117
০১ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৪:৪৪
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আপনার লেখাটা পড়ে খুব ভালো লেগেছে।
201184
০১ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৪৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
201199
০১ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:০৪
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আজ ১লা এপ্রিল! মুসলমানদের জন্য এক বেদনাদায়ক দিন।১৪৯২ সালের এদিনেই স্পেনের জমিনে মুসলমানদের উপর সংঘটিত হয়েছিল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহা হত্যাযঞ্জ।বর্তমান খ্রিষ্টান রাষ্ট্র স্পেন কোন একদিন মুসলমানরা শাসন করেছিল।৭১১খ্রিঃ তারিক বিন যিয়াদ (রহঃ) মাত্র ৮হাজার মুজাহীদের একটি ক্ষুদ্র বাহিনি নিয়ে, অত্যাচারী রাজা রডারিকের বিশাল বাহিনিকে পরাজিত করে, স্পেনে ইসলামী পতাকা উড্ডীন করেন,গোড়াপত্তন করেন মুসলিম সভ্যতার।এভাবে চলতে থাকে দীর্ঘ আটশ বছর।বিপর্যয় শুরু হয় ১৪৭০খ্রিঃ থেকে। তত্‍কালীন খ্রিষ্টান সম্রাজ্যের কুখ্যাত অধিপতি, রাজা ফার্ড়িন্যান্ড এবং রানী ইসাবেলা মুসলমানদের আটশত বছরের গৌরব উজ্জল ইতিহাসকে কলঙ্কিত করতে কোটি কোটি মুদ্রার বিনিময়ে, স্পেনের ওলামায়ে ছু'দের কিনে নেয় খুব সহজেই।ওলামায়ে ছু'রা খ্রিষ্টানদের পক্ষে ফতুয়া দেয়া শুরু করে,এরই সুবাধে খ্রিষ্টানরা ধীরে ধীরে ঢুকে পড়ে স্পেনের অভ্যন্তরে।শুরু হয় যুদ্ধ,মুসলমানদের দুর্বলতার সুযোগে খ্রিষ্টানরা, রাজধানী গ্রানাডা ছাড়া বাকী প্রায় সকল এলাকাই দখল করে নেয়।এক পর্যায়ে রাজা ফার্নিন্যান্ড মুসলমানদরকে ধোঁকা দেয়ার উদ্দেশ্যে ঘোষনা করেঃযারা অস্ত্র ফেলে মসজিদ এবং সাগরে প্রস্তুত থাকা নৌযান গুলোতে আশ্রয় নিবে, তারা নিরাপত্তা পাবে।সরলপ্রান মুসলমানরা অস্ত্র ত্যাগ করে সকলেই মসজিদ এবং নৌযান গুলোতে আশ্রয় নিতে থাকে।এক পর্যায়ে সকল মসজিদে তালা মেরে দেয়া হয়।পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয় প্রত্যেকটি মসজিদ।মসজিদে আশ্রয় নেয়া মুসলমানদের করুন আত্মচিত্‍কারে প্রকম্পিত হয় স্পেনের আকাশ বাতাশ,আর্তনাদ করতে করতে একপর্যায়ে পুড়ে ছাঁই হয়ে যায় প্রত্যেকটি মুসলমান বনি আদমের জ্যন্ত দেহ।মুসলমানদের এই করুন পরিনতি দেখে রাজা ফার্ডিন্যান্ঠ আনন্দের অতিশয্যে উপহাস করে বলেছিল Fool! Fool! সেই থেকে খ্রিষ্টানরা এই দিনটিকে April fool নামে উত্‍সব হিসেবে পালন করে আসছে।কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, কিছু কিছু মুসলমান না বুঝে এই দিনটি পালন করে থাকে।খ্রিষ্টানদের জন্য এদিনটি পালনীয় হলেও মুসলমানদের জন্য ভাষাহীন বেদনাদায়ক। সম্ভব হলে সকলেই এই পোষ্টটি শেয়ার করবেন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File