দ্রুত পালিয়ে যেত,এবং সাংঘাতিক ভয় পেতো
লিখেছেন লিখেছেন শিহাব আল মাহমুদ ১৭ মার্চ, ২০১৪, ১২:০৮:৫৪ দুপুর
একদল ফেরেশতা আছেন যারা মহান আল্লাহ তা'য়ালার যিকিরত ব্যাক্তিদের খুজে বেড়ান। চলতে চলতে যখন ফেরেশতাগন কোথাও আল্লাহর যিকির অবস্থা একদল লোকদের দেখতে পান।
এসময় ফেরেশগন একজন অন্যজনকে ডাকাডাকি করেন এবং বলেন তোমরা নিজ নিজ কাজে এগিয়ে চল.। তখন তারা সবাই এসে যিকিররত ব্যক্তিদের ফেরেশতাদের ডানা দিয়ে আসমান পর্যন্ত ডেকে ফেলবে।
আল্লাহ তা'য়ালা এসময় ফেরেশতাদের জিজ্ঞাসা (অথচ আল্লাহ তা"য়ালা তাদের থেকে বেশি জানেন) করবেন, আমার বান্দারা এখানে কি করছে?
উত্তরে ফেরেশতাগন বলেন, এখানে তারা আপনার পবিত্রতা বর্ণানা করছে, আপনার শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করছে,আপনার প্রশংসা করছে।
আল্লাহ আবার ফেরেশতাদের প্রশ্ন করবেন,তারা কি আমাকে দেখেছে?
উত্তরে ফেরেশতাগন বলেন,হে আমাদের রব,আপনার কসম আপনার বান্দারা আপনাকে দেখেনি।
তিনি বললবেন, যদি তারা আমাকে দেখতো?
ফেরেশতাগণ বলবেন, যদি তারা আপনাকে দেথকো তাহলে আরো বেশি করে আপনার ইবাদ করতো, আরো বেশি করে আপনার মহাত্ব্য বর্নণা করতো,আরো অধিক আপনার পবিত্রতা বর্নণা করতো।
এ হাদিসটি বর্নণা করেন,হযরত আবু হুরাইরা রা:
তিনি আরো বলেন,
তখন আল্লাহ ফেরশতাগণকে আরো জিজ্ঞাসা করবেন,আমার বান্দারা কি চাই আমার কাছে?
ফেরেশতাগণ বলবেন, তারা আপনার কাছে জান্নাত চায়। তিনি বলবেন তারা কি জান্নাত দেখেছে?
ফেরেশতাগণ বলবেন,হে আমাদের রব আপনার সত্তার কসম তারা জান্নাত দেখেনি।
আল্লাহ তা"য়ালা ফেরেশতাদের আবার জিজ্ঞাসা করবেন যদি তারা জান্নাত দেখতো,তাহলে তারা কি করতো?
ফেরেশতাগণ বলবেন, আপনার বান্দারা যদি জান্নাত দেখতো তাহলে বেশি করে লোভ করতো,এবং আরো বেশি করে ইবাদত করতো ও জান্নাত পাওয়ার জন্য অথি উতসাহী হতো।
আল্লাহ ফেরেশতাদের বলেন তারা কি থেকে আমার আশ্রয় চায়?
ফেরেশতাগণ বলবেন,জাহান্নাম থেকে!
আল্লাহ তা"য়ালা ফেরেশতাদের পূনরায় জিজ্ঞাসা করবেন, তারা কি জাহান্নাম দেখেছ?
জবাবে তারা বলবেন, আপনার কসম, হে আমাদের রব তারা জাহান্না দেখেনি।
তিনি বলবেন, তারা যদি জাহান্নাম দেখতো? আর জাহান্নাম দেখলে কি হতো?
উত্তরে ফেরেশতারা বলবেন, হে আমাদের বর, তারাতো জাহান্নাম দেখেনি, তারপরও যেভাবে তারা জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছে যদি তারা জাহান্নাম দেখতো তাহলে আপনার প্রিয় বান্দাগণ এখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যেত,এবং সাংঘাতিক ভয় পেতো।
তখন মহান আল্লাহ তা'য়ালা উপস্থিত ফেরেশতাগণকে সাক্ষী রেখে বলেবেন, আমি ওই (যারা যিকির করতে ছিল) বান্দাদের মাফ করে দিলাম।
এসময় একজন ফেরেশতা বলেবন. হে রব ওইখানে একজন তাদের অর্ন্তভূক্ত নয় বরং সে এখানে অন্য কাজে এসেছিল।
আল্লাহ বলেন হে ফেরেশতা,তারা এমন উপবৃষ্টকারীবৃন্দ যাদের বৈঠকে অংশগ্রহনকারীরা বিমূখ হয় না।
যিকিরের গুরুত্ব
ইসলামে ইলম ও যিকিরের গুরুত্ব অপরিসীম। সিরাতুল মুস্তাকীম তথা সঠিক পথে পরিচালিত হওয়ার জন্য এবং এ পথে প্রতিষ্ঠিত থাকার জন্য ইলম হল মুমিনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। আর যিকিরের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার সাথে মুমিন বান্দার বিশেষ নৈকট্য অর্জিত হয়। এজন্য প্রত্যেক যামানার আহলে ইলম ও বুযুর্গানে দ্বীন তাঁদের অনুসারীদেরকে ইলম ও যিকিরের প্রতি মনোযোগী হওয়ার জন্য জোর তাগিদ দিতেন। বিশেষত কোনো দল বা সম্প্রদায়ের হেদায়েত ও সঠিক পথে পরিচালিত হওয়ার জন্য এবং সকল ফেতনা ও গোমরাহি থেকে বাঁচার জন্য ইলমের রাহনুমায়ী অতীব প্রয়োজন। যখনই উম্মাহ ইলমে দ্বীনের প্রতি শৈথিল্য প্রদর্শন করেছে তখনই বিভিন্ন ফেতনা ও গোমরাহি উম্মাহর মাঝে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বিগত শতাদ্বীর অবিসংবাদিত আলিম ও দাঈ হযরত মাওলানা ইলিয়াস রাহ. প্রতিষ্ঠিত তাবলীগ জামাতের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ কল্পনাতীত উপকার লাভ করেছে এবং এখনও করছে। আল্লাহ চাহে তো কিয়ামত পর্যন্ত মানুষ এর মাধ্যমে উপকৃত হতে থাকবে।
বিষয়: বিবিধ
১২৪০ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিস্তারিত বললে ভাল হয়।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোষ্ট উপহার দেয়ার জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন