যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শিরক করবেনা যে ব্যাক্তি জান্নাতে যাবে। যদিও সে চুরি করে, যদিও যিনা করে...........!!!!
লিখেছেন লিখেছেন শিহাব আল মাহমুদ ০৯ মার্চ, ২০১৪, ১২:০২:৫৯ দুপুর
যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শিরক করবেনা যে ব্যাক্তি জান্নাতে যাবে।
যদিও সে চুরি করে, যদিও যিনা করে...........!!!!
......হযরত আবু যার রা: বলেন,
আমি একবার রাতে বের হলাম.
বের হয়েই দেখতে পেলাম হুজুর স:কে। চাদের আলোর রাতে আমি নবী করিম স: পিছনে পিছনে যাচ্ছিলাম।
কিছুক্ষন হাঠতেই হুজুর স: আমাকে দেখে পেলেন। এবং বলেন কে? উত্তরে বলি আমি আবু যার। এবং বলি হে নবী আল্লাহ তাংয়ালা আমাকে আপনার জন্য উতসর্গ করুন।
নবী করিম স: বলেন চল আবু যার, আমিও চলতে লাগলাম।
কিছুক্ষন চলার পর নবী করিম স: বলেন,যারা দুনিয়াতে আরাম আয়েশ ও পাচুর্য্যের অধিকারী তারা জান্নাতে স্বল্প অধিকারী হবে। অবশ্য যাদের আল্লাহ দেয়া ধন সম্পদকে যদি হালাল পথে ব্যয় এবং চারদিকে আল্লহর রাস্তা দান করে তারা ব্যতীত।
একথা বলার পর নিরবে চলতে লাগলেন।
কিছু পথ অতিক্রম হওয়ার পর হুজুর পাক স: বলেন,আবু যার তুমি এখানে বসে থাক, আমি ফিরে না আসা পর্যন্ত এখানে থাক। তিনি চলে গেলেন এক পাহাড়ের দিকে। এক সময় নবী করিম স: আবু যার রা: এর অদৃশ্য হয়ে যান।
আবু যার রা: অপেক্ষা করতে লাগলেন।
অনেক সময় পার হয়ে গেল, এবং নবী করিম স: আসতে লাগলেন। তিনি আসার সময় আবু যার রা: শুনতে পেলেন,কাকে যেন বলেতে লাগলেন যদি সে চুরি করে, যদি সে যিনা করে।
নবী করিম স: আবু যার রা: এর কাছে আসার পর হাটথে লাগলেন,কিন্তু যদি সে চুরি করে, যদি সে যিনা করে তিনি কাকে একথা বললেন সেখানেতো কেউ ছিলনা । তাই আবু যার রা: ধৈর্য ধরতে না পেরে নবি করিম স:কে জিজ্ঞাসা করলেন ইয়া রাসুলাল্লাহ, আপনি আসা সময় আমি শুনতে পেলাম যদি সে চুরি করে, যদি সে যিনা করে কাকে একথা বললেন সেখানেতো কেউ ছিলনা এবং কেউ কোন উত্তরও দেয়নি।
তখন নবী করিম স: বলেন, ও হে আবু যার, তিনি আমার সাথে ছিলেন জিবরাইন তিনি ওই প্রস্তর প্রান্তরে আমার কাছে এসেছিলেন, জিবরাইল আমাকে বলেছেন,আপনি আপনার উম্মতদের সুসংবাদ দিন যে, যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরিক না করে মারা যাবে যে ব্যক্তি জান্নাতে যাবে।
তখন নবী করিম স: জিবরাইল আ:কে বললেন,
যদি সে চুরি করে, যদি সে যিনা করে?
জিবরাইল আ: বললেন হ্যা!
নবি করিম স: ২য়বার জিবরাইলকে বলেন
যদি সে চুরি করে, যদি সে যিনা করে?
জিবরাইল আ: বললেন হ্যা!
নবি করিম স: ৩য়বার জিবরাইলকে বলেন
যদি সে চুরি করে, যদি সে যিনা করে?
জিবরাইল আ: বললেন হ্যা!
এ হাদিসটি আবু দারদাও এক্ই রকম বর্ণনা করেছেন।
ইমান বুখারী রহ: বলেন এই সুসংবাদ ওই ব্যক্তিদের জন্য যারা তাদের পাপ কাজ থেকে তওবা করে এবং মৃত্যুর সময় লা ইলাহা ইল্লাহ বলে
শিরক কাকে বলে?
শিরক কাকে বলে?
ইসলামের পরিভাষায় শিরক বলা হয়, আল্লাহ তাআলা সত্তা এবং তার সাথে খাস এমন কোন গুণের মাঝে বান্দাকে শরীক মনে করা। অথবা বান্দার এমন গুণ যাতে দুর্বলতা ও শক্তিহীনতার রয়েছে সেটাকে আল্লাহর গুণ বলে মনে করা শিরক। যেমন সন্তান দান করা, রিজিক দেয়া, গোনাহ মাফ করে দেয়া, মৃত্যু দেয়া ইত্যাদি সবই আল্লাহর গুণ বা সিফাত। কোন সৃষ্টিজীবের ব্যাপারে এমনটি ধারণা করা যে, তিনি সন্তান দিতে পারেন, জীবন ও মরণের ফায়সালা ইত্যাদি করতে পারেন, এসবই শিরক। কেননা, সৃষ্টিকে ¯্রষ্টার সাথে শরীক করা হয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
১২৮৭ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শিরক/কুফরী না করলে অন্যান্য পাপের শাস্তি শেষে(অনেক পাপ মাফও করে দেয়া হবে) এক সময় বান্দাহ জান্নাতে যাবে।
তবে শিরক/কুফরী করলে (যেমন পীরেরা করে, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা করে) জান্নাতে যাওয়ার কোনো সুযোগ আদৌ আসবেনা। সারা জীবন এর নামায রোজা সহ সকল নেক আমল শিরক/কুফরী এর জন্য ধ্বংস হয়ে যাবে।
যারা সেক্যুলারদের নৌকা মার্কায় ভোট দিন(নিঃসন্দেহে সেক্যুলারিজম বড় ধরনের কুফরী) তাদের সব নেক আমল বরবাদ হয়ে যাবে। সো একটু ভাবুন।
এরকম কথা ক্বুরআন শরীফে আল্লাহ বেশ কয়েকবারই বলেছেন ।
''মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : হয়তো শাস্তি ভোগ করার পর যাবে জান্নাতে।''
শাস্তি ভোগ করার পর জান্নাতে যাবে - এরকম কথা ক্বুরআন শরীফের কোথায় লিখা আছে জানাবেন ( সূরা ও আয়াত সহ ) । যেহেতু জান্নাত ও জাহান্নাম আল্লাহই দিবেন , তাই এসব ব্যাপারে ক্বুরআন শরীফের রেফারেন্স খুবই জরুরী ।
[13] যখন লোকমান উপদেশচ্ছলে তার পুত্রকে বললঃ হে বৎস, আল্লাহর সাথে শরীক করো না। নিশ্চয় আল্লাহর সাথে শরীক করা মহা অন্যায়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন