মানবদেহের বিচ্ছিন্ন হাড়গোড়। হাড়ের সঙ্গে রক্ত-মাংস শুকিয়ে একাকার। মাংস খসে মাথার খুলি বের হয়ে গেছে। বিচ্ছিন্ন হাত-পায়ের অংশ। গতকাল এমনই এক বীভৎস দৃশ্য দেখা গেলো খোদ রাজধানীর একটি ময়লার ভাগাড়ে। হাড় গুলো ৫মে রাতের হেফাজতের কর্মীদের নয়তো?

লিখেছেন লিখেছেন শিহাব আল মাহমুদ ২৪ আগস্ট, ২০১৩, ১০:৩৩:২৩ সকাল



৫-৬ মে রাতে শাপলা চত্তরে হেফাজতের উপর হামলার পরে নানা মাধ্যমে খবর আসছিল, হেফাজতের কর্মেীদের লাশ নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের ময়লার গাড়ি মাতুয়াইল ময়লা ফেলার স্থানের দিকে যাচ্ছে। রাস্তার রক্ত ধুয়ে ফেলেছে পানির গাড়ি।বিজিবি-র গাড়িতে করে কিছু লাশ সরিয়ে নিয়ে রানাপ্লাজায় উদ্ধার দেখানো হয়েছে। হঠাৎ করে রানা প্লাজায় লাশের সংখ্যা তিন’শ থেকে বেড়ে হয়ে যায় ১১০০!!জুরাইনে ১৪/১৫ টি লাশ দাফন করা হয়েছে - সে তথ্য আল জাজিরাকে জানিয়েছিল এক বাকপ্রতিবন্ধি গোর খোদক। লাশের গায়ে পাঞ্জাবি ও দাড়ি ছিল।সময় টেলিভিশনের এক সাংবাদিক ৬ তারিখে ভোররাতে বলেছিল আড়াই হাজারের মত লাশ সরানো হয়েছে। তার কাছেই কিছু লাশ সরানোর ফুটেজ আছে।আমাদের কাছেই ছবি আছে ৪০/৫০টা। অধিকার ৬১ জনের তালিকা দিয়েছে।এই মাতুয়াইলে খোজ করলে আরো লাশ পাওয়া যাবে।

ও হাসিনা। তুই রক্ষা পাবি না। হাফেজ হত্যার বদলা হবেই হবে। এফবি#



হেফাজত গণহত্যা এবং একটি গল্প

এক লোক আরেক লোককে খুন করল। তখন বৃষ্টি হচ্ছিল। বালির মধ্যে বৃষ্টির বড় বড় ফোটা ফেনা তুলছিল। যে লোকটা খুন হয়েছিল মারা যাবার আগে শুধু বলেছিল; আমার হত্যাকান্ডের কোন উইটনেস রইল না কিন্তু কোন একদিন এই বৃষ্টির ফোটা আমার হত্যার বিচারে সাক্ষী হবে। যে খুন করেছিল সে হাসতেছিল আর বলতেছিল বৃষ্টির ফোটা সাক্ষী দিবে আর কিছুকে সাক্ষী মানতে পারলি না। খুন হয়ে যাওয়া ব্যক্তির লাশ ঐ খানেই মাটি চাপা দিয়ে চলে আসে খুনী

অনেক দিন পরে তখনো বৃষ্টি হচ্ছলি। সেই খুনী লোকটি বৃষ্টি দেখছিল। বালির মধ্যে বৃষ্টির বড় বড় ফোটা ফেনা তৈরি করছিল। লোকটা খুব জোরে জোরে হাসতে লাগল। তার স্ত্রী তাকে জিজ্ঞেস করল কি হয়েছে??? তখন নিজের অবচেতন মনেই সে সেই দিনের খুনের ঘটনা বর্ননা করে। তার বউ সব জেনে শুনে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়। এবং পুলিশের তদন্তে বের হয়ে আসে এই লোকটি খুনী এবং খুন হওয়া ব্যক্তির হাড় গোড়ও মিলে যায়

একটি বাস্তব ঘটনা প্রমানের অপেক্ষায়

ঢাকা শহরের মাতুয়াইল গার্ভেজ সেন্টারে বস্তাবন্দী বেশ কিছু মানুষের হাড়গোড়ের সন্ধান মিলেছে। না বৃষ্টির ফোটা এই যুগে সাক্ষী দেবে না বাট ডিএনএন টেষ্ট আরো নিখুত সাক্ষী দিবে। হেফাজত ম্যাসাকারের নিহত কারো লাশ হলে অবশ্যই এর পরিচয় মেলা সম্ভব। অধিকারের যে লিষ্ট যাকে সরকার মানতে না পারলেও যেটাকা এখন পর্যন্ত একমাত্র অথেনটিক ডেথ লিষ্ট তার সাথে মিলিয়ে ডিএনএন টেষ্টের মাধ্যমে এই লাশ গুলোর পরিচয় শনাক্ত শুরু করা উচিত। সরকারের নিজের জন্যই সেটা মঙ্গল। না হলে যা হবে তা হচ্ছে, সরকার যা উড়িয়ে দিচ্ছে তাকে আরো শক্ত ভাবে প্রমানের সুযোগ সরকার বিরোধীরা নেবে

অবশ্যই একই সাথে এতগুলা লাশ একদিনে যোগাঢ় করা হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন দিন হলে একেক জায়গায় লাশ গুলো পাওয়া যেত। আর আমার বাড়ি থেকে ২ কিঃমিঃ দূরের হওয়াতে আমি গার্ভেজ সেন্টার ভালো করেই চিনি। এমনকি আমার স্কুল ছিল মাত্র ৫০০ মিটারের মধ্যে এই গার্ভেজ সেন্টারের। এইখানে সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি গুলো র‍্যান্ডমলি ময়লা ফেলে। তাই জোর দিয়ে বলতে পারি লাশ গুলো যাদেরই হোক একই দিনে ফেলা হয়েছিল। বড় ম্যাসাকার ছাড়া খুন বা গুম হওয়া এত গুলো লাশ একবারে যোগাঢ় করা কঠিন নয় শুধু অসম্ভব এক বস্তু

জানি এই সরকারের সৎ সাহস হবে না ডিএনএ টেষ্ট করার। যদি হয় তবে ধন্যবাদ দিয়ে রাখি। অবশ্যই এই ডিএনএ টেষ্ট করা হাড়গোড় গুলো কিছু মানুষের বিরুদ্ধে ম্যাসাকার করার বড় নিয়ামক হবে

*** হাইকোর্টে অনেকে পিটিশন করেন অনেক ইস্যু নিয়ে। দ্রুত এই হাড়গোড়ের ডিএনএ টেষ্ট করতে সরকারকে বাধ্য করতে এগিয়ে আসুন । অন্য গারবেজ সেন্টারগুলোতেও কী আরো হাড়গোড় মেলার সম্ভাবনা আছে? ডিএনএ টেস্ট করে এই সমস্যার সমাধান এখনি করে ফেলুন সরকার বাহাদুর। তা না হলে বিপদ সন্নিকট।

(Raju Ahmed Sunny) ফেইজবুক

বিষয়: বিবিধ

১৮৫৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File