বিশ্বে হিজাবের জয়জয়কার

লিখেছেন লিখেছেন শিহাব আল মাহমুদ ২১ আগস্ট, ২০১৩, ০৫:৪৪:৫৩ বিকাল



ফ্রান্সে এক মুসলিম মহিলার ওপর বর্ণবাদী হামলার প্রতিবাদে অভিনব হিজাব কর্মসূচি শুরু করেছেন স্ইুডেনের নারীরা। ফেসবুক, টুইটারসহ নানা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নিজেদের হিজাব পরিহিত ছবি আপলোড করতে শুরু করেছেন সুইডেনের নারীরা।

মুসলিম নারীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করে অভিনব এই সামাজিক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন নানা ধর্মের নারীসহ রাজনীতিবিদ এবং টিভি উপস্থাপিকারা।

রাজনীতিবিদ আসা রোমসোন, ভেরোনিকা পাম এবং টিভি উপস্থাপিকা গিনা দিরাউই এরইমধ্যে ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে হিজাব পরিহিত ছবি আপলোড করেছেন।

গত শনিবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের উপকণ্ঠে হিজাবধারী এক নারীর ওপর হামলা চালায় কিছু উগ্রবাদী। হামলাকারীরা ওই নারীর হিজাব ছিঁড়ে ফেলে এবং তার মাথা গাড়িতে ঠুকে দেয়।

এক পর্যায়ে বাক্স কাটার ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ওপর হামলা চালায় এবং মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর ঘটনাস্থলে একটি গাড়ি এসে পৌঁছলে পালিয়ে যায় উগ্রবাদীরা। পুলিশ এ হামলার ঘটনার তদন্ত করছে।



নিজের জীবন পুরোপুরি পাল্টে ফেলেছেন বৃটিশ মডেল কারলি ওয়াটস। তিনি ছিলেন বিকিনির মডেল। কিন্তু এক মুসলিমের সংস্পর্শে এসে তিনি সে পোশাককে বিদায় জানিয়েছেন। তার পরনে উঠেছে বোরকা। যে মুসলিম যুবকের জন্য এমনটা হয়েছে তিনি হলেন মোহাম্মদ সালেহ। কারলি ওয়াটস এখন পুরোপুরি একজন মুসলিম নারী। তিনি মেনে চলেন ইসলামী বিধি-বিধান। তিনি একসময় নারীদের জন্য অনেকটা রগরগে ম্যাগাজিনে বিকিনি পরে পোজ দিতেন। শরীরের সব অঙ্গ প্রায় তুলে ধরতেন ক্যামেরার সামনে। কিন্তু না, আর না। তিনি নিজেই বলেছেন, মোহাম্মদ সালেহ আমার জীবনকে পাল্টে দিয়েছে। জীবনের অর্থ কি তা সে আমাকে অনুধাবন করতে শিখিয়েছে। মোহাম্মদ সালেহ’র বাড়ি তিউনিশিয়ায়। তার সংস্পর্শে এসে কারলি বিকিনি ছেড়ে হিজাব পরছেন। শিখছেন ইসলামের বিধি-বিধান। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার। তিনি আমেরিকান গ্ল্যামার মডেল কারলি ওয়াটস। ২৪ বছর বয়সী কারলি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার দুই বছরের মেয়েকে নিয়ে তিউনিশিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করবেন। গত এপ্রিলে ছুটি কাটানোর জন্য তিউনিশিয়া বেড়াতে যান কারলি। সেখানে গিয়েই মোহাম্মদ সালেহ নামের এক যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর ভাললাগা। আর ভাললাগা থেকেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত। আগামী অক্টোবর থেকেই কারলি তার একমাত্র কন্যা সন্তান নিয়ে মোহাম্মদের পরিবারের সঙ্গে তিউনিশিয়ার মনাস্তির শহরে থাকবেন। সেখানে ছয় মাস অবস্থান করবেন। এসময়টাতে তিনি ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানবেন এবং এরপরই ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করবেন সালেহকে। কারলি জানান, তিনি এতদিন মডেলিং করেছেন। সারা রাত নাইটক্লাবে নগ্ন হয়ে নেচেছেন। মাতাল হয়ে ব্রা আর বিকিনি পরে নাচতেন। কিন্তু মোহাম্মদকে ভালবাসার পর থেকে তার বিশ্বাসে টনক নড়ে। তিনি জানান, মোহাম্মদ খুব ভাল ছেলে। সে-ও আমাকে খুব ভালবাসে। তাই তার সঙ্গেই জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কারলি। কারলির মতে সালেহ’র ধর্মবিশ্বাসকে তিনি গুরুত্ব দেন। এ কারণে তিনি ধর্মান্তরিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বিষয়: বিবিধ

১২২৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File