হুমায়ূনের লাল রক্তে রঞ্জিত হয় মতিঝিলের রাজ পথ
লিখেছেন লিখেছেন শিহাব আল মাহমুদ ১৮ জুলাই, ২০১৩, ০৪:২৩:২৮ বিকাল
এই হুমাউন শাপরায় দুটি চোখ হারায় নরপশুদের গুলিতে
হেফাজতে ইসলামের সিলেট গহরপুর শাখার একটি টিম নরসিংদিতে।
শুনুন শাপলা কাহিনি
১০-০৭-১৩ ইং সকাল ৭টা, রমযানের আগের দিন আমাদের যাত্রা শুরু হল, গন্তব্য নরসিংদী জেলার কয়েকটি গ্রাম। ৫মে শাপলা চত্বরে ইতিহাসের নির্মম গনহত্যায় শাহাদাত বরণকারী শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ শহীদদের কবর জিয়ারত, আহতদের খোঁজ খবর ও সহায়তা প্রদান।
এ লক্ষে আমাদের ৫জনের কাফেলা দুপুর ১২টায় নরসিংদি জেলার রায়পুরা থানার রাধানগর গ্রামে পৌঁছলাম। আমাদের অপেক্ষায় ছিলেন হুমায়ূনের পিতা।
মেঠো পথ, পায়ে হেটে আমরা হুমায়ূনের বাড়িতে পৌঁছলাম। টিনসেডের ঘর।
হুমায়ুন রাধানগরের বাসিন্দা, সুস্থ টগবগে এক যুবক, ঢাকায় কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। ৬ই এপ্রিল লংমার্চে অংশগ্রহনের উদ্দ্যেশ্যে তিনি বাড়ি থেকে ঢাকায় গিয়েছিলেন। সফল লংমার্চ শেষে তিনি কারখানাতেই কাজে যোগ দেন, আর বাড়ি ফেরেননি। রাসূল প্রেমিক হুমায়ূন লংমার্চে ঘোষিত ৫ই মের অবরুধ কর্মসূচীতে অংশগ্রহন শেষে মতিঝিলের সমাবেশে যোগ দেন। গভীর রাতে হুমায়ূন ছিলেন যিকির রত। রাত সোয়া দুইটায় যৌথ বাহীনির গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে শাপলা চত্বরে লুটিয়ে পড়েন। হুমায়ূনের লাল রক্তে রঞ্জিত হয় মতিঝিলের রাজ পথ। হুমায়ূনের দুচোখে গুলি লাগে। চিরদিনে জন্য হারিয়ে যায় তার দৃষ্টি শক্তি।
হুমায়ুনকে দেখে আমরা বাকরুদ্ধ, কথা বলার ভাষা ক্ষণিকের জন্য হারিয়ে ফেললাম, মনটা কেঁদে উটল। এ কেমন বর্বরতা ? কেমন নিষ্টুর আচরণ ? কি অপরাধ ছিল আমার ভাই হুমায়ূনের ? রাসূলের (সা.) অবমাননার প্রতিবাদ করাই কি ছিল তার অপরাধ ? হুমায়ূনের ভাষায়, এ অপরাধে শুধু চোখ নয় আমি জীবন দিতে প্রস্তুত। বর্তমানে হুমায়ূনের দুচোখের যায়গায় কৃত্রিম (পাথরের) চোখ লাগানো আছে।
হুমায়ূনের বাড়িতে তখন বেশ কজন যুবক ছিলেন। তাঁদের চোখে আমরা যে চেতনার আগুন দেখেছি সে আগুনে যালিমরা জ্বলে-পুড়ে ছারখার হবেই ইনশাআল্লাহ।
আজ যারা জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে জঘন্য মিথ্যাচার করে বলেন, "শাপলা চত্বরে কোন গুলি হয়নি" এ সকল নির্লজ্জ মিথ্যাবাদীদের মুখোশ উন্মোচনের করেছে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা হুমায়ূনের মত অসংখ নিরীহ মানুষ ।
(চলবে…)
বিষয়: বিবিধ
১৩০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন