সেনার গুলিতে নিজের মৃত্যুরও ছবি তুললেন মিশরের সাংবাদিক
লিখেছেন লিখেছেন শিহাব আল মাহমুদ ১১ জুলাই, ২০১৩, ০৮:৪১:৫৩ সকাল
তাঁর দিকেই তাক করা রয়েছে সেনার বন্দুক। মুহূর্তের মধ্যে গুলির গর্জন। আর তার পর সব অন্ধকার।
এ ভাবেই নিজের মৃত্যুর ছবি তুলে গেলেন মিশরের ২৬ বছর বয়সী চিত্র সাংবাদিক আহমেদ সামির আসিম। সোমবার যখন মুরসি-সমর্থকদের উপর গুলি চালায় সেনা, তখন আসিম ছিলেন সেখানেই। জমায়েত যখন সবে শুরু হয়েছে তখন ভিডিও তুলতে শুরু করেন তিনি। এর পর চোখের নিমেষে ঘটতে থাকে একের পর এক ঘটনা। মুরসি সমর্থকদের উপর গুলি চালাতে শুরু করে সেনা। অবশেষে একটি গুলি ধেয়ে আসে তাঁর দিকেও। সে দিনের নিহত ৫১ জনের মধ্যে এক জন আসিমও।
সোমবারের ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে মিশরের সেনার তরফে বারবারই বলা হয়েছে সশস্ত্র হানা থেকে প্রধান কার্যালয় বাঁচাতেই গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিল সেনা। আবার মুসলিম ব্রাদারহুডের শীর্ষ নেতাদের দাবি, কোনও ধরনের প্ররোচনা ছাড়াই সে দিন গুলি চালিয়েছিল সেনা। সে দিন ঠিক কী ঘটেছিল তার জলজ্যান্ত প্রমাণ আসিমের তুলে যাওয়া শেষ ভিডিওটি।
আহমেদ সামির আসিম
মঙ্গলবারই অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। হাসেম এল-বেবলাউই অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে মহম্মদ এলবারাদেইয়ের নাম ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণার হাত ধরেই মিশরের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। মিশরের বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ৮০০ কোটি ডলারের অনুদান, ঋণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে মুসলিম ব্রাদারহুড-বিরোধী এই দুই দেশ। পাশাপাশি আশ্বাস দিয়েছে, মিশরকে গ্যাস এবং তেলের জোগানও দেবে তারা। মুসলিম ব্রাদারহুডের পক্ষ থেকে ফের জানানো হয়েছে, মুরসিকে পদ ফিরিয়ে দিয়ে মিশরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তার বিকল্প কোনও ব্যবস্থাই মেনে নেবেন না তাঁরা। মুরসি-বিরোধীরাও নতুন ব্যবস্থার কিছু বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। বিশেষ করে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আদলি মনসুরের অতিরিক্ত ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়েছে বলেই মনে করছেন তাঁরা। অবশ্য আগামী দু’মাসের মধ্যেই ভোট করিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের আশ্বাসও দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা নিয়ে এখনও দু’ভাগে বিভক্ত মিশর।
রমজান মাসের শুরুতে আজ তাহরির স্কোয়ার ছিল অনেকটাই জনশূন্য। তবু কড়া নিরাপত্তা দেশ জুড়ে। মিশরের ভবিষ্যৎ শান্তি না গৃহযুদ্ধ, সে দিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।তাঁর দিকেই তাক করা রয়েছে সেনার বন্দুক। মুহূর্তের মধ্যে গুলির গর্জন। আর তার পর সব অন্ধকার।
এ ভাবেই নিজের মৃত্যুর ছবি তুলে গেলেন মিশরের ২৬ বছর বয়সী চিত্র সাংবাদিক আহমেদ সামির আসিম। সোমবার যখন মুরসি-সমর্থকদের উপর গুলি চালায় সেনা, তখন আসিম ছিলেন সেখানেই। জমায়েত যখন সবে শুরু হয়েছে তখন ভিডিও তুলতে শুরু করেন তিনি। এর পর চোখের নিমেষে ঘটতে থাকে একের পর এক ঘটনা। মুরসি সমর্থকদের উপর গুলি চালাতে শুরু করে সেনা। অবশেষে একটি গুলি ধেয়ে আসে তাঁর দিকেও। সে দিনের নিহত ৫১ জনের মধ্যে এক জন আসিমও।
সোমবারের ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে মিশরের সেনার তরফে বারবারই বলা হয়েছে সশস্ত্র হানা থেকে প্রধান কার্যালয় বাঁচাতেই গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিল সেনা। আবার মুসলিম ব্রাদারহুডের শীর্ষ নেতাদের দাবি, কোনও ধরনের প্ররোচনা ছাড়াই সে দিন গুলি চালিয়েছিল সেনা। সে দিন ঠিক কী ঘটেছিল তার জলজ্যান্ত প্রমাণ আসিমের তুলে যাওয়া শেষ ভিডিওটি।
আহমেদ সামির আসিম
মঙ্গলবারই অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। হাসেম এল-বেবলাউই অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে মহম্মদ এলবারাদেইয়ের নাম ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণার হাত ধরেই মিশরের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। মিশরের বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ৮০০ কোটি ডলারের অনুদান, ঋণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে মুসলিম ব্রাদারহুড-বিরোধী এই দুই দেশ। পাশাপাশি আশ্বাস দিয়েছে, মিশরকে গ্যাস এবং তেলের জোগানও দেবে তারা। মুসলিম ব্রাদারহুডের পক্ষ থেকে ফের জানানো হয়েছে, মুরসিকে পদ ফিরিয়ে দিয়ে মিশরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তার বিকল্প কোনও ব্যবস্থাই মেনে নেবেন না তাঁরা। মুরসি-বিরোধীরাও নতুন ব্যবস্থার কিছু বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। বিশেষ করে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আদলি মনসুরের অতিরিক্ত ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়েছে বলেই মনে করছেন তাঁরা। অবশ্য আগামী দু’মাসের মধ্যেই ভোট করিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের আশ্বাসও দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা নিয়ে এখনও দু’ভাগে বিভক্ত মিশর।
রমজান মাসের শুরুতে আজ তাহরির স্কোয়ার ছিল অনেকটাই জনশূন্য। তবু কড়া নিরাপত্তা দেশ জুড়ে। মিশরের ভবিষ্যৎ শান্তি না গৃহযুদ্ধ, সে দিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।
বিষয়: বিবিধ
১১৬১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন