এই জুতা গুলো কাদের জন্য?
লিখেছেন লিখেছেন শিহাব আল মাহমুদ ১৫ জুন, ২০১৩, ০১:৩১:১৮ দুপুর
তাদের আল্লাহর উপর পূর্ণআস্থা আছে। নবী প্রতি গভীর ভালবাসা আছে। যে ভালবাসায় কোন সন্দেহ নেই। নবী প্রেমিকরা গিয়েছিল শাপলা চত্বরে। কেন?নবী স; কে নিয়ে কথিপয় কিছু নাস্তিক ব্লগার কটুক্তি ও নবীর সম্মানের উপর আঘাত আনে। নবীকে কটুক্তি নবী প্রেমিকদের সয্য হয়নি। সহ্য হয়নি ইসলাম ধর্মেকে নিয়ে কটুক্তি।নাস্তিক কুলাঙ্গারদের শাস্তির দাবিতে যখন তারা শাপলা লাখ লাখ ধর্মপ্রান মুসলমান একতিত্র হল। অবস্থান নেয়। সরকার নবী প্রেমিকদের সহ্য হয়নি। রাতেই তাদের সরিয়ে দেয়া জন্য একদল হায়েকে রনসাজে সাজিয়ে হামলা করার প্রস্তুতি নেয়। রাত আড়াইটার দিকে নিরস্ত্র মানুষের অভিরাম গুরি বর্ষন করতে থাকে। ঘুমের মানুষ অভিরাম গুলির আওয়াজে এদিকওদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। হায়েনাদের গুলিতে ইতিমধ্যেই শহিদ হয় নাম নাজানা আমার নবী প্রেমিক ভায়েরা।দৌড় দিতে গিয়ে মানুষ গুলোর হাজার হাজার জুতা শাপলা চত্বের ফেলে রেখে যায়।একসাথে এত জুতা পড়ে থাকার দৃশ্য আর কখনো দেখা যায়নি। পানিতে ভেজা জুতাগুলো বেশ চকচক করছিল। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার পাশা...পাশি প্রিন্ট মিডিয়াতেও স্থান পায় জুতাগুলো। শুধু তাই নয়, সমাবেশে আসা মানুষগুলোর ফেলে যাওয়া জুতা নিয়ে লেখা প্রকাশিত হয়েছে দেশের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে। ‘দু’পাটি জুতার জন্য হাহাকার’ শিরোনামে মন্তব্য কলামটি পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে অনেক। তারা এই জুতা গুলো কাদের জন্য রেখে গেল? এ দেশের ধর্মবিদ্বেষী এবং ওদের দোসরদের জন্য, নাকি অভিযানে অংশ নিয়ে হামলাকারী বাহিনীর জন্য? রাসূল সা:-এর প্রতি ভালোবাসায় জীবন উৎসর্গ করার নিয়তে বাড়ি থেকে বের হওয়া মানুষগুলোর মধ্যে অনেকে জীবন দিয়েছেন সেদিন। অনেকে জুতা হারিয়ে ঘরে ফিরেছেন। শহুরে সভ্যরূপী অসভ্যদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশের প্রতীক রেখে যাওয়া নিয়ে ওদের কোনো আফসোস নেইÑ এটা নিশ্চিত। বিভীষিকাময় ওই রাতে গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলোর ফেলে যাওয়া এসব জুতা হয়তো স্বপ্নে চপেটাঘাত করবে অনেককে দীর্ঘ দিন ধরে। হয়তো শেষ বিচারে দিনে এই জুতা গুলো আল্লাহর কাছে সাক্ষী দিবে। বলবে ও আল্লাহ তোমার জমিনে মোতার দেয়া দ্বীন ইসলামের জন্য তারা আন্দোলন করেছিল তাদের উপর অত্যাচা করা হয়েছে। তাদের গুলি করে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। জুতা গুলো শাপলা চত্বরের বর্বরতার ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকেব।
বিষয়: বিবিধ
১৭২১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন