বিষয় : নববর্ষ উদযাপন
লিখেছেন লিখেছেন হানিফ খান ১১ এপ্রিল, ২০১৬, ০২:২৮:২২ দুপুর
ও ভাই, ও আপু।
হাতে পায়ে ধরে বলছি, (বেগানা মেয়েদের হাত পা ধরা ঠিক না, তাই ধরুম না। দূর থেকে বলতে চাই)।
পহেলা বৈশাখ উদযাপন'কে 'না' বলুন।
প্রিয়ো আপু ও ভাইয়া,
হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
মুসলিম হয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে একটি শেরেকী কর্মে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত থাকুন।
মেলায় গিয়ে ঠ্যালা খাওয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখুন।
পান্তা-ইলিশ হারাম নয় ঠিক, তবে ইসলাম বিরোধী বিশেষ কোন দিন উদযাপন করতে গিয়ে এধরণের খাদ্যও জায়েয নয়। তাই এমন কাজ থেকে বিরত থাকুন।
ভাইয়া ও আপু,
তুমি তো মুসলিম, তাই না?
যদি মুসলিম হয়েই থাকো, তাহলে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ হুকুম পর্দার আইন লঙ্ঘন করে কেন অপসাংকৃতিতে মেতে উঠবে? কেন ইহুদী নাসারেদের ষড়যন্ত্রের বিস্তৃত জালে বারবার নিজেকে আটকিয়ে ফেলবে?
প্রিয়ো আপু,
ইসলাম তোমার কাছে হয়তো ভাল লাগে না। অন্তত নিজের ইজ্জত-আব্রু হেফাজতের খাতিরে ইসলাম'কে মেনে নাও।
তোমারও তো ব্যক্তিগত সম্মান ও ইজ্জত রয়েছে,
তোমারও তো একটা ফ্রেন্ড সার্কেল রয়েছে,
তোমারও তো একটা পরিবার আছে,
তোমার তো একটা সমাজও আছে,
সবার কাছে নিজেকে পিওর রাখতে, নিজেকে নিষ্পাপ রাখতে অন্তত ইসলামি দিক নির্দেশনা'কে গ্রহণ করে নাও।
আমি প্রায়ই বলে থাকি.......।
যদি কেউ আল্লাহ-রাসূল, জান্নাত-জাহান্নাম, পরকাল-কিয়ামত ইত্যাদি বিশ্বাসও না করে, তবুও যদি সে ইসলামি নিয়মকানুন মুতাবিক নিজেকে যাবতীয় অপসাংকৃতি থেকে বিরত রাখে, তবে মউতের পর জাহান্নামে যাক বা ছারেখারে, অন্তত দুনিয়াতে তার মান-সম্মান অটুট থাকবে।
প্রিয়ো আপু ও ভাইয়ারা,
গত পহেলা বৈশাখের মত ইজ্জত হারিয়ে আন্দোলন করার চেয়ে ইজ্জত সম্মান থাকতেই সচেতন হয়ে যাও।
অবশ্যই আমার রাসূল সঃ বলেন,
যদি তোমার লজ্জা না থাকে, তাহলে যাহা ইচ্ছা তাহাই তোমার দ্বারা সম্ভব।
আল্লাহ আমাদের বুঝার ও মানার তৌফিক দান করুক। আমীন
বিষয়: বিবিধ
১১৪০ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কি শুরু করছেন এইসব ? বাংআলী সংষ্কৃতিকে কি আপনারা মুছে ফেলতে চাইছেন ?
দেখুন - এসব হিজাবী , টুপি ধারী বাংলাদেশী মুসলমান ভাই বোনেরা আপনাদের মত বদ্ধমনা নয় । তারা আধুনিক হতে শিখেছে , শিখেছে ধর্ম যার যার উৎসব সবার এই থিমটি ।
ধর্ম যার যার উত্সব সবার – যদি সত্যি এমন হত তাহলে রাসুল (সাঃ) ইহুদি খ্রিষ্ঠানদের উত্সব বাতিল করে মুসলমানদের শুধু মাত্র দুই ঈদের সুসংবাদ দিলেন কেন? যদি জায়েজ হত উনি তখন সাহাবিদেরকে সেই সকল উত্সব উদযাপনে নিষেধ করতেন না! এখানেই রয়েছে ঈমানের পরীক্ষা! যার অনুষ্ঠান সে পালন করুক তাতে মুসলমানের কিছু আসে যায় না, যার প্রেক্ষিতে সুরা ক্বাফিরুন নাজিল হলো!
যদি কাফেরদের এই সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়া বা শরিক হওয়া বা তাতে সমর্থন দেওয়া জায়েজই হত তাহলে তো সুরা কাফিরুন রহিত ঘোষিত হত। কাজেই কাফির-মুশরিকরা কখনোই মুসলমান এর দ্বীন ইসলাম এর বিষয়গুলো পালন করতে পারে না। তদ্রপ মুসলমানদের জন্য কাফির-মুশরিকদের ধর্মের নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা, কৃষ্টি-কালচার, আদর্শ, পরামর্শ কোনোটাই গ্রহণ করা জায়িয নেই। আপনি বলতে চান আমি তো সেখানে পূজা করতে যাচ্ছি না, শুধুমাত্র দেখতে যাচ্ছি। কিন্তু কেন?
‘ইসলাম কাউকে ঘৃণা করতে শেখায় না, সবাইকে ভালোবাসতে শেখায়, বিধর্মীরা তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালুন করুক। তাতে ইসলাম বাধা দেয়না কিন্তু কোন মুসলমান যদি তাদের সে অনুষ্ঠানে যায়, শুভেচ্ছা যানায় তাহলে সে মারাত্বক অপরাদ করলো।
ইমাম ইবনে কায়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ) এর বক্তব্য শুনুন,
“কাফেরদের তাদের উৎসবে সম্ভাষণ জানানো আলিমদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে নিষিদ্ধ। এটা কাউকে মদ খাওয়া বা খুন করা বা ব্যভিচার করায় সাধুবাদ জানানোর মতো। যাদের নিজের দ্বীনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নেই, তারাই কেবল এ ধরনের ভুল করতে পারে। যে অন্যকে আল্লাহ্র অবাধ্যতা, বিদ’আত, অথবা কুফরীতে জড়ানোর কারণে শুভেচ্ছা জানাবে সে আল্লাহ্র ক্রোধ ও শাস্তির সামনে নিজেকে উন্মুক্ত করল”।হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
এই বিজ্ঞান এর যুগে ও মানুষ মঙলের জন্য শোভা যাত্রা করে, কি হাস্যকর।
মুক্ত মনারা কতটা বিজ্ঞান মনষ্ক এর থেকে ই বুঝা যায়।
গিয়েছিলা একবার মেলায়, বিয়ের পর স্বামীর সাথে,
কিন্তু এর পর আর সে কখনো যেতে বলে নি আল্লাহ
তা’আলা আমাদের সকলকে দ্বীন মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমীন
মন্তব্য করতে লগইন করুন