চাঁদ এবং চাঁদাবাজের মধ্যে পার্থক্য।। ( শেষের দিকে উক্তিটির কারণ )
লিখেছেন লিখেছেন হানিফ খান ১২ জুলাই, ২০১৫, ০৫:২৮:০৩ সকাল
চাঁদ এবং চাঁদাবাজ:
শব্দ দুইটা মনে হয় কাছাকাছি।
চাঁদ থেকেই মনে হয় চাঁদাবাজ শব্দটা নির্গত।
কিন্তু বাস্তবে তা ভিন্ন।
চাঁদ মানুষকে আলো দেয় আর চাঁদাবাজরা দেয় বিপরীতটা।
চাঁদের আলোয় মানুষ পথ খুঁজে নেয়।
আর চাঁদাবাজদের চাঁদাবাজি কেঁড়ে নেয় একজন সুখি মানুষের সুখ আর ভুলিয়ে দেয় তার গন্তবস্থান।।
মাসের ৩০ টা দিন আকাশের ঐ চাঁদ আমাদের আলো দিতে পারে না, আর যেদিন দেয় সেদিন ২৪ ঘন্টা পুরো দেয় না।
কিন্তু চাঁদাবাজদের চাঁদাবাজি চলে বছরের প্রত্যেকটা দিন এবং রাতদিন চব্বিশঘণ্টা।।।
বন্ধুরা কথাগুলো কেন বললাম তাহলে জেনে নাও,,,,।
এবার ঈদে কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকা
চাঁদাবাজির মিশন নিয়ে মাঠে
নেমেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ
যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক
রেজাউল করিম রেজা। নিজের সম্পদ
বৃদ্ধি ও গডফাদার মহিকে যুবলীগের
সাধারণ সম্পাদক করতেই এ অর্থ আদায়ের
পরিকল্পনা করা হয়। আগামী
ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় যুবলীগের
কাউন্সিলের আগে নেতাদের
‘ম্যানেজ’ করতে প্রয়োজন এই টাকার।
তাই ঈদ মৌসুমকে কাজে লাগিয়ে
বিশাল চাঁদাবাজির মিশনে
নেমেছে রেজাবাহিনী।
যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক ও সমবায় ব্যাংকের
চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহির ক্যাডার
এবং ক্যাশিয়ার হিসেবে রেজাউল
করিম রেজা কাজ করে বলে শাসক
দলের একাধিক নেতা জানিয়েছেন।
তারা বলেন, মহি যুবলীগের সাধারণ
সম্পাদক হতে মরিয়া। এজন্য টাকা
দিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের
ম্যানেজ করতেও তিনি রাজি।
এলক্ষ্যে তার প্রয়োজন বিপুল অংকের
টাকা। সেই টাকার জন্যই শিষ্য
রেজাকে মাঠে ছেড়ে দিয়েছেন
বলে অভিযোগ উঠেছে। সিগন্যাল
পেয়ে রাজধানী সুপার মার্কেট,
টিকাটুলী, ওয়ারী, বংশাল, গুলিস্তান,
মতিঝিল, সায়েদাবাসহ আশপাশের
এলাকার ব্যবসায়ীদের ওপর ঝাঁপিয়ে
পড়েছে রেজাবাহিনী। তাদের
কাছে বিশাল অংকের চাঁদা দাবি
করে তা আদায় শুরু করেছে। বিভিন্ন
মার্কেট ও বিপণিবিতানের ব্যবসায়ী,
ঠিকাদার, পরিবহন খাত, দখল বাণিজ্য
এবং মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে
ঈদের আগেই এ বিশাল অংকের চাঁদা
আদায়ে মরিয়া রেজাবাহিনী।
গডফাদারের স্বার্থসংরক্ষণের
পাশাপাশি নিজের আখের
গোছাতেও ব্যস্ত রেজা। যে কারণে
চাঁদাবাজির পাশাপাশি দখল
বাণিজ্যেও সমান ব্যস্ত তিনি। সব
কিছুতেই মাথার ওপর ছাতা হিসেবে
পাচ্ছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা
মহিউদ্দিন মহিকে। এছাড়া অভিযোগ
আছে গডফাদার মহির প্রশ্রয়েই রেজা
সায়দাবাদ এলাকায় রেলওয়ে এবং
ওয়াসার জমিতে দু’তলা মার্কেট গড়ে
তুলেছেন। একইভাবে পুরান ঢাকার
আগা নগরের একটি মার্কেট দখল করে
নিয়েছেন তিনি। ওয়াইজ ঘাট, সিম্পসন
ঘাট ও কার্গো ঘাটের পার্কিং
ইয়ার্ড দখল নিয়েছে রেজাবাহিনী।
টার্মিনাল ছাড়াও যাত্রাবাড়ী ও
সায়েদাবাদ এলাকার মাদক ব্যবসার
নিয়ন্ত্রণও রেজার হাতে। পরিবহন
ব্যবসায়ী, সাধারণ ব্যবসায়ী, মাছের
আড়ত, ফলের আড়ত, থেকে
রেজাবাহিনী নিয়মিত চাঁদা আদায়
করছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ
করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত
নেই। কিন্তু প্রকাশ্যে কেউ অভিযোগ
করার সাহস পাচ্ছেন না। এ সুযোগে
পুলিশও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন
করছে। মাঝেমধ্যে আটক হলেও খুব বেশি
সময় রেজাকে আটকে রাখতে পারে
না কোনো সংস্থাই।।।।
একটি পত্রিকার কলাম থেকে মাত্র কিছু 'কুপি' করে শেয়ার করলাম।।।
এই হলো চাঁদাবাজ ও আমাদের ........টাল সরকারের উন্নয়নের ধারা।।
বিষয়: বিবিধ
১১৫২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দূর্মুখদের মুখে ছাঁই দিয়ে পদ্মা সেতুর কাছ এগিয়ে চলেছে ।
চাঁদে যাওয়ার জন্য চাঁদা চায়!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন