আজ ২৩ জুন, ঐতিহাসিক পলাশী দিবস।
লিখেছেন লিখেছেন হানিফ খান ২৩ জুন, ২০১৪, ১০:৪৪:৩০ সকাল
২৫৭ বছর আগে এ
দিনে পলাশীর আম্র
কাননে ইংরেজদের
সঙ্গে এক
যুদ্ধে বাংলা বিহার ও
উড়িষ্যার নবাব
সিরাজউদ্দৌলার
পরাজয়ের মধ্য
দিয়ে যবনিকা হয়
বাংলার স্বাধীনতার
শেষ সূর্যের।
বিশ্বাসঘাতকের
ষড়যন্ত্রের শিকার
হয়ে করুণমৃত্যু হয় বাংলার
শেষ স্বাধীন নবাবের।
১৭৫৭ খৃস্টাব্দের ১২ জুন
কলকাতার ইংরেজ
সৈন্যরা চন্দননগরের
সেনাবাহিনীর
সঙ্গে মিলিত হয়।
সেখানে দুর্গ রক্ষার জন্য
অল্প কিছু সৈন্য
রেখে তারা ১৩ জুন
অবশিষ্ট সৈন্য
নিয়ে যুদ্ধযাত্রা করে।
কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদের
পথে হুগলি, কাটোয়ার
দুর্গ, অগ্রদ্বীপ ও
পলাশীতে নবাবের সৈন্য
থাকা সত্ত্বেও
তারা কেউ ইংরেজদের পথ
রোধ করল না। নবাব
বুঝতে পেরেছিলেন,
সেনাপতিরাও এই
ষড়যন্ত্রে শামিল। কিন্তু
ততক্ষণে আর করার কিছু
ছিল না।
বিদ্রোহের আভাস
পেয়ে সিরাজ
মিরজাফরকে বন্দি করার
চিন্তা বাদ দিলেন।
তিনি মিরজাফরকে ক্ষমা করে তাকে শপথ
নিতে বললেন। মিরজাফর
পবিত্র কুরআনস্পর্শ
করে অঙ্গীকার
করেছিলেন যে,
তিনি শরীরের একবিন্দু
রক্ত থাকতেও বাংলার
স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন
হতে দেবেন না।
গৃহবিবাদের
মীমাংসা করে সিরাজ
রায়দুর্লভ, ইয়ার লতিফ,
মিরজাফর, মিরমদন,
মোহনলাল ও
ফরাসি সেনাপতি সিনফ্রেঁকে সৈন্য
চালানোর দায়িত্ব
দিয়ে তাদের
সঙ্গে যুদ্ধযাত্রা শুরু
করলেন।
২৩ জুন সকালেই পলাশীর
প্রান্তরে ইংরেজরা মুখোমুখি যুদ্ধে অবতীর্ণ
হওয়ার জন্য প্রস্তুত হলো।
ইংরেজরা ‘লক্ষবাগ’
নামক আমবাগানে সৈন্য
সমাবেশ করাল।
বেলা আটটার সময় হঠাৎ
করেই মিরমদন
ইংরেজবাহিনীকে আক্রমণ
করেন। তার প্রবল
আক্রমণে টিকতে না পেরে ক্লাইভ
তার
সেনাবাহিনী নিয়ে আমবাগানে আশ্রয়
নেন। ক্লাইভ
কিছুটা বিচলিত
হয়ে পড়েন। মিরমদন
ধীরে ধীরে অগ্রসর
হচ্ছিলেন। কিন্তু
মিরজাফর, ইয়ার লতিফ,
রায়দুর্লভ
যেখানে সৈন্যসমাবেশ
করেছিলেন সেখানেই
নিস্পৃহভাবে দাঁড়িয়ে থাকলেন।
তাদের সামান্য
সহায়তা পেলেও হয়ত
মিরমদন ইংরেজদের
পরাজয় বরণ করতে বাধ্য
করতে পারতেন। দুপুরের
দিকে হঠাৎ
বৃষ্টি নামলে সিরাজউদ্দৌলার
গোলা বারুদ ভিজে যায়।
তবুও সাহসী মিরমদন
ইংরেজদের সাথে লড়াই
চালিয়ে যেতে লাগলেন।
কিন্তু হঠাৎ করেই
গোলার আঘাতে মিরমদন
মৃত্যুবরণ করেন।
বিষয়: বিবিধ
৮৫৯ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভৌগলিক কারণে এখন বাংলাদেশে সবচেয়ে বড়দিনের মওসুম, অথচ অনালোকিত এই দেশে সূর্য্যের দেখা নাই ৩/৪ দিন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন