আসুন সবাইকে সবার প্রাপ্য সম্মান টুকু দিতে শিখি আমরা।

লিখেছেন লিখেছেন হানিফ খান ০১ এপ্রিল, ২০১৪, ১১:৫৭:২৭ সকাল



একটা মানুষ মুফতি, মোহাদ্দেস, মোফাসসির, বা সাধারন দাওরা ফারেগ আলেম হতে যত পরিমাণ, কষ্ট-মোজাহেদা, শ্রম, আত্মত্যাগ, ও সময় দিতে হয়, তার অর্ধেক কষ্টও করতে হয় না, সাধারন কোন ডক্টর, ইঞ্জিনিয়ার,প্রোফেসর হতে।

গায়ে পাঞ্জাবী মাথায় টুপি পড়লেই কোন একজন আলেম হয় না।

একজন আলেম হতে গিয়ে তাকে দিতে হয়েছে অনেক শ্রম, মেধা ও কষ্ট

গবীর রাতে যখন পুরো জাতি ঘুমে মগ্ন ঠিক তখনই তিন-চার ঘন্টা ঘুমিয়ে, ঘুম থেকে উঠে তাহাজ্জুত নামাজ আদায় করে আবার বিদ্যার অন্বেষণ করতে শুরু করে।

ফজরের নামাজ আদায় করে কোরআন তিলাওয়াত করে সামান্য ব্রেক-ফাস্ট সেরে আবার নিযামুল-আওকাত অনুযায়ী শুরু করে জ্ঞান অন্বেষণের ধারাবাহিক কার্যক্রম। আর এজন্য ত্যাগ করতে হয়েছে দুনিয়ার অনেক চাকচিক্য, ত্যাগ করতে হয়েছে নফসের বহু চাহিদা, মন চাহে জন্দিগি ছেড়ে ধরেছে জ্ঞান অর্জনের শর্তসাপেক্ষের জিন্দেগি। তবেই হয়েছে সে একজন আলেম, তখনই হয়েছে সে একজন মুফতী, মোহাদ্দেস, শাইখুল-হাদীস,মোফাসসের, কিংবা প্রখ্যাত আদীব সাহেব।

আর অন্য দিকে( অধিকাংশ) ছেলেকে যদি দেখি চারিদিকে নিজ খরচ কামানোর জন্য হেঁটে হেঁটে টিউশিনি করে, জড়িয়ে পড়ে বিভিন্য সংস্থার সাথে কিংবা কোন এনজিও এর সাথে, অথবা কেউ খেলাধুলার কোন ক্লাবে।

রাত-দিন মোবাইলে নাইট ডিউটি করে দিনের বেলায় করে ড্যাটিং আর থাকে উৎসবের দিবস গুলির অপেক্ষায়।

কেউ বা আবার রাজনীতির সুবিদা নিয়ে চলে বেড়ায় ।

কিন্তু কিছু দিন পরেই দেখি এই ছেলেটি একজন ডাক্তার, একজন ইঞ্জিনিয়ার, বা একজন প্রোফেসর।

আর এভাবে রঙ্গু করে বড় হওয়া ইংলিশ বন্ধুরাই দেশের মেধাবী, ত্যাগী ও সোনার মানুষ মুফতী, মোহাদ্দেস, বা আলেম উলামাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য মনে করে।

নিজেদের সামান্য জ্ঞানকে প্রাধান্য দিতে চায় এল্মের পাহাড় নিয়ে বসে থাকা আলেমদের থেকে।

যাদের কাছে সরকারী সার্টিফিকেট নাও থাকতে পারে, কিন্তু জ্ঞানের সার্টিফিকেট যে তাদেরটার মুল্যই বেশি।

যেই কোরআন-হাদীস থেকে সার্চ করে বিজ্ঞানিদের উৎপত্তি, সেই কোরান-হাদীসের চুল ছিড়া বিশ্লেষণের ভান্ডার যে এই আলেমদের কাছেই।

এক কথায় দুনিয়ার বিজ্ঞানিদের মহান ভরসা কেবল বর্তমান ওলামায়ে দেওবন্দ।।।

তাই আসুন সবাইকে সবার প্রাপ্য সম্মান টুকু দিতে শিখি আমরা।

চাই সে যেই ডিপার্টমেন্টের হউক না কেন!?

সবার ধর্মের ব্যাপারে জ্ঞান থাকা ফরজ।

কিন্তু ডাক্তারী বিদ্যা সবার জন্য ফরজ নয়।

তবে ডাক্তারী কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং বা দুনিয়াবী এসমস্ত ডিগ্রি নেওয়া কিন্তু দোষের কিছু না। কারন দুনিয়াতে বেচে থাকতে হলে সবই প্রয়োজন।

তবে এগুলো হলো ফরজে কিফায়ার মত, যা সবার জন্য বাধ্য নয়।

কিন্তু ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করা ফরজে আইন, অর্থাৎ আবশ্যক।

আল্লাহ্‌ আমাদের সকলকে জগতের আলো বা ধর্মীয় আলেম, ও জাগতিক শিক্ষিত সবাইকে সবার অবস্থামত মুল্যায়ন করার মন-মানষিকতা তৈরী করে দিক। আমীন



বিষয়: বিবিধ

১০৬০ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

201234
০১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:০৬
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : কয়েকটা ব্যপারে দ্বিমত পোষণ করলেও মূল ব্যপারটায় একদমই একমত! আলেম সমাজকে অবহেলা করে অসম্মান করে কোন জাতী সম্মানিত হতে পারেনা!
201240
০১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:২৪
ডাহুকী লিখেছেন : সবার ধর্মের ব্যাপারে জ্ঞান থাকা ফরজ।
কিন্তু ডাক্তারী বিদ্যা সবার জন্য ফরজ নয় ।
কিন্তু ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করা ফরজে আইন, অর্থাৎ আবশ্যক।
সুন্দর লিখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, জাজাকাল্লাহু খাইরান।
201273
০১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৪১
শিশির ভেজা ভোর লিখেছেন : পরকালকে ছেড়ে আমরা ইহকাল নিয়ে বিজি হয়ে পড়ছিরে ভাই।
201285
০১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:০৩
জাকির হোসেন খালেদ লিখেছেন : সব বিষয়ে একমত, তবে আলেমদেরও একনিষ্ঠ হতে হবে। দুনিয়াদারির লোভে সুবিধামাফিক ইসলামের ব্যাখ্যা দেয়া আলেমের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়।
201302
০১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:২৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
201371
০১ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৩২
নীল জোছনা লিখেছেন : জাজাকাল্লা খায়র... অনেক ভালো লাগলো পড়ে। আরো বেশী বেশী লিখুন
201529
০২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৮:২৩
হানিফ খান লিখেছেন : খালেদ@ তোমার সাথে আমি একমত, তবে যারা এমন কাজ করে, তারা মুলত নিজেদের সম্মান টুকু নস্ট করতেছে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File