তাহলে তো শাহবাগিদের প্রয়োজন ছিলো “ফিলানি” সহ শত বাঙ্গালিকে বর্ডারে অন্যায়ভাবে হত্যা করার প্রতিবাদে ভারতের হাইকমিশনের এম্বাসি ঘেরাও করার।

লিখেছেন লিখেছেন হানিফ খান ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৯:২৪:৪০ সকাল

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো পাকিস্তানের উচিৎ নয়।

পাকিস্তান “৭১ এ আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত লুন্ঠন করেছে, ত্রিশ লক্ষ মুসলিম বাঙ্গালিকে শহীদ করেছে, এতো অত্যাচারের পরেও তারা আজো আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায় যা তাদের কাছ থেকে কারো কাম্য নয়।

যাই হোক এবার আমাদের বাঙ্গালিদের ব্যাপারে কিছু বলি।

আমরা সব সময়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানি, আমরা দেশ দ্রোহীদের ছাড়ি না।

আমরা বিন্দেশি রাজাকারদের ছেড়ে দিইনা। আমরা ধর্মদ্রোহীদেরও ছেড়ে দেই না। আমরা দুর্নীতিবাজদেরও ছেড়ে দেই না। প্রত্যেকটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা গণজাগরণ সৃষ্টি করি। আমরা সত্যিকারের বাঙ্গালিরা কখনো পাকিস্তানের রাজাকার হতে পারিনা আবার ভারতের দালালও হতে পারি না। কিন্তু যুদ্ধপরাদিদের বিচার দাবীর নামে শাহবাগে যে গণজাগরণ তৈরি হয়েছে সেটি সত্যি গণজাগরণ নাকি হাতের সোনার আংটি ডান হাত(পাকিস্তান) থেকে খুলে বাম হাতে(ভারত) নিয়ে যাওয়ার জন্য?? তারা রাজাকারদের বিচার চায় যা সকল বাঙ্গালিরাই চায় কিন্তু এমন বিচার তো জনগন চাইনি যদ্দরুন লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি, যেখানে একজনের মুক্তির/ফাঁসির দাবীতে মরতে হয় আরো শতশত জনগন। শাহবাগের মঞ্চ যুদ্ধপরাধির অভিযোগে আটকদের বিচার চায় না তারা চায় এদের ফাঁসি। আর সরকার তাদের দাবীতে অত্যন্ত খুশি তা সাড়া দিয়ে রাতে রাতে আইন পরিবর্তন করে। আসতে শুরু হয় শাহবাগিদের আস্পলন। তারা জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে চেয়েছে, তারপর চেয়েছে ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধ করতে, আর আসতে আসতে শুরু করে ধর্মীয় মুল্যবোধের উপর মারাত্মক আঘাত। ধরা পড়ে গেলো তাদের আসল চেহারা ও উদ্দেশ্য । এবার জেগে উঠেছে “হেফাজত” জেগে উঠেছে তাউহিদি জনতা। এবার ফালাতে বাদ্ধ হয়েছে শাহবাগিরা, যদিও এর জন্য ঝরাতে হয়েছে রাতের অন্ধাকারে হাজার শহিদের রক্ত। কিন্তু আজ আবার আওয়ামীলীগের অবৈধ হাতিয়ার শাহবাগিরা আবার মাথা লাড়া দিয়ে উঠলো। তারা পাকিস্তানের এম্বাসি ঘেরাও করেছে। পকিস্তান হয়তো সত্যি কথা বলতে গিয়ে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তারা নিজেদের নাকটা একটু বেশি গলিয়ে ফেলেছে। কিন্তু এই কারনেই যদি তাদের কূটনৈতিক এম্বাসি ঘেরাও করে ২০ ঘন্টার আল্টিমাটাম দিতে হয় তাহলে তো শাহবাগিদের প্রয়োজন ছিলো “ফিলানি” সহ শত বাঙ্গালিকে বর্ডারে অন্যায়ভাবে হত্যা করার প্রতিবাদে ভারতের হাইকমিশনের এম্বাসি ঘেরাও করার। টিপাইমুখ বাঁধ, তিস্তা চুক্তি সহ ভারত কর্তৃক অসংখ্য ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ভারতের এম্বাসি ঘেরাও করার প্রয়োজন ছিলো।যার প্রতিবাদ করেছিলো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সহ সকল ইসলামী দল ও বিরুধি দলগুলো । আর এই কাজগুলা গণজাগরণ মঞ্চনামের শাহবাগিরা যদি করতো তাহলে আমরা তাদের শাহবাগি না বলে সত্যিকারের গণজাগরণ বলতে পারতাম। আওয়ামীলীগের এক নেতাই তো বলেই ফেলেছেন যে, প্রয়োজনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমরা আবার লড়বো। সে নেতা হয়তো ভারতের উপর নির্ভর করে এমন কথা বলেছে কিন্তু তিনি হয়তো খবর রাখেনা যে এই এই আধুনিক যুগে পাকিস্তানকে শুধু ভারত নয় আমেরিকাও অনেক ভয় পায়। পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশ/আওয়ামিলিগ কূটনৈতিক বন্ধুত্ব ছিন্ন করলে তাতে পাকিস্তানের বা আর কি ক্ষতি হবে। যেখানে অন্যান্য বিদেশি কূটনীতিকরাও বিজয় দিবসে স্রিতিসোধে ফুল দেইনি একমাত্র বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনাস্থা হয়ে। সুতরাং আমার মনে হয় গণজাগরণ মঞ্চ শুধু পাকিস্তানের নয় সব বিদেশি কূটনীতিকদের এম্বাসি ঘেরাও করার। লোকের অভাব হলে সরকারকে জানানো দরকার, প্রয়োজনে সরকার ভারত থেকে লোক এনে দিবে তবুও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। <<<<<ধন্যবাদ সবাইকে>>>>>

(ব্লগার হানিফ)

বিষয়: বিবিধ

১২৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File