।।কাদিয়ানীদের মুখোশ উন্মোচন সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিভক্তি অপতৎপরতা ।।
লিখেছেন লিখেছেন কুরআনের যোদ্ধা ২৯ মে, ২০১৩, ১২:১৬:৩৭ রাত
মুসলমানদের ইমান আকীদা ও ধর্মবিশ্বাসের আঘাত হানার জন্য ভারতের শিখ পরিবারে জন্ম নেওয়া 'মির্যা গোলাম আহমেদ' উনবিংশ শতাব্দির অন্যতম ফেতনা। নিজের আল্লাহ নবী হিসাবে জাহির করে পশ্চিমাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিভিন্ন মুসলিম দেশে এরা বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। আমাদের দেশেও রয়েছে এদের বেশ আকারের একটা ঘাঁটি যাদের প্রধান কাজ মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করা এবং খিষ্ট্রীয়করন প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যে এদের বিরাট একটা অংশ পার্বত্য চট্টগ্রামের খিষ্ট্রান আধ্যূষিক এলাকা হিসাবে বিভক্তির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। পশ্চিমা বিভিন্ন এনজিও ও মিশনারীগুলো তাদেরকে সাহায্য করে যাচ্ছে। এদের ধর্ম বিশ্বাস বেশ জগাখিঁচুরী টাইপের মুসলমান-খিষ্ট্রান মিশানো। ইতিমধ্যে তারা 'আহমদিয়া মুসলিম জামাত' নামে একটি সম্প্রদায় গঠন করে এবং পরবর্তীতে আহ্মদিয়ারা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পরে লাহোর আহ্মদিয়া আন্দোলন ,আহ্মদিয়া মুসলিম সম্প্রদায় নামে। লাহোর আহ্মদিয়া আন্দোলন মনে করে আহ্মদিয়া জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মির্যা গোলাম আহ্মেদ একজন মুজাদ্দিদ (সংস্কারক), প্রতিশ্রুত মসীহ্, ইমাম মাহাদি এবং প্রত্যাবর্তনকারী যীশু খ্রিস্ট হিসাবে। তারা কায়মনো বাক্যে স্বীকার করে যে মুহাম্মদ(সঃ)সর্বশেষ নবী। অপরদিকে আহ্মদিয়া মুসলিম সম্প্রদায় এর মতে মির্যা গোলাম আহ্মেদ একজন মুজাদ্দিদ (সংস্কারক), প্রতিশ্রুত মসীহ্, ইমাম মাহাদি এবং প্রত্যাবর্তনকারী যীশু পাশাপাশি মুহাম্মদ(সঃ)এর প্রদর্শিত পথে পাঠানো একজন নবী। তাদের মতে নবুয়াতের সমাপ্তি মানে আর কোন নতুন নবী আসতে পারবেননা তা নয়, নতুন নবী আসতে পারবেন তবে তা অবশ্যই হতে হবে মুহাম্মদ(সঃ) যে পথ-প্রদর্শন করে গেছেন সেই পথে কিন্ত্ত কখনই নতুন কোন মতবাদ নিয়ে নয়।১৯'শ শতকের শেষের দিকে মির্যা গোলাম আহ্মেদ নিজেকে একজন সংস্কারক,প্রতিশ্রুত মসীহ্,ইমাম মাহাদি এবং প্রত্যাবর্তনকারী যীশু খ্রিস্ট হিসাবে দাবী করেন।তিনি বলেন যে তার আগমন হয়েছে ইসলাম কে তার আসল অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে।তাই তিনি প্রতিঠা করেন আহ্মদিয়া মুসলিম জামাতের।মুসলমানগণ প্রথম থেকেই আহ্মদিয়াদের বিরোধিতা করে আসছে। ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান সরকার আহ্মদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণা করে। পাকিস্তানের মত বাংলাদেশ মূলধারার মুসলমানদের পক্ষ থেকে আহ্মদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণা করার জন্য আন্দোলন হতে থাকে।কিন্তু এখনো তাদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করা হয়নি। এই সুযোগে তাদের এজেন্ট "দৈনিক প্রথম আলো" পত্রিকার মাধ্যমে বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে আলোচনায় আসে। তারা বিশ্বাস করে যে আল্লাহ্ যীশুকেসশরীরে (জীবন্ত অবস্থায়) বেহেস্তে তুলে নিয়ে যান্নি।তিনি এই পৃথিবীতেই স্বাভাবিক মৃত্যবরণ করেছেন এবং মৃত্যুর পর বেহেস্তবাসি হয়েছেন। যীশুর আগমন হবে এবং তা হবে মুহাম্মদ(সঃ)এর উম্মতদের মধ্য থেকে।কেননা যদি ইসলাম ধর্মকে পুনর্গঠনের জন্য বেহেস্ত হতে যীশুকেই পাঠাতে হয় তাহলে মুসলমানরা কি ভূমিকা পালন করবে? যীশুর দায়িত্ব পালন করার জন্য তাই মুসলমানদের মধ্য থেকে উঠে আসবেন কেউ,যিনি ইসলাম ধর্মের পুনর্গঠনের জন্য কাজ করবেন।আর ইনি হলেন মির্যা গোলাম আহ্মেদ।তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো যে বাঙ্গালী নাস্তিক বুদ্ধিজীবি ষাড় জাফর ইকবাল এবং যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তা,প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কমাণ্ডার অ্যাডমিরাল রবার্ট উইলার্ড তাদের জন্য পূর্ব তীমুর কিংবা দক্ষিণ সূদানের মতো একটি আধ্যূষিক রাষ্ট্র করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন।এছাড়াও রয়েছে লর্ড এরিক এভেরির, যার ব্লগেই তিনি তার সম্পর্কে লিখেছেন তিনি Founder, Parliamentarians for East Timor, 1988; এই এভেরী ১৯৮৮ সালে আন্তর্জাতিক ভূমি কমিশন গঠন করে পুর্ব তিমুর বিচ্ছিন্ন করার ক্ষেত্রে অন্যতম ভুমিকা পালন করেছিলেন।এভেরি্র সাথে একসাথে কাজ করে যাচ্ছেন এ্যাড সুলতানা কামাল চক্রবর্তী (স্বামী শ্রী রঞ্জন চক্রবর্তী) , ড. স্বপন আদনান (সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), ব্যারিষ্টার সারা হোসেন (স্বামী ডেভিড বার্গমান), ড. মেঘনা গুহ ঠাকুরদা প্রমুখ ।তাদের একটাই উদ্দেশ্য পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিভক্ত করে কাদিয়ানিদের সহায়তায় খ্রিষ্টান আধ্যূষিক এলাকা হিসাবে ঘোষণা। আমরা যদি এখন সচেতন না হয়ে তবে পরিনাম খুবই ভয়াবহ। তার আগে প্রয়োজন মুখোশের আড়ালে বুদ্ধিজীবিদের সনাক্ত করা। কাদিয়ানীদেরকে অমুসলিম ঘোষনা একং পাবর্ত্য চট্টগ্রামের মিশনারীদের ও এনজিও দের অপতৎপরতা বন্ধ করার জন্য হেফাজতে ইসলাম ২টি দাবি করেছিল। সরকারের উচিত এদিকে নজর দেওয়া। গুরুত্বপূর্ণ এই পোষ্টটি দয়াকরে শেয়ার করেুন সবার মাঝে।চলবে....
বিষয়: বিবিধ
৩২১৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন